Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় পুলিশের পদক্ষেপে রক্ষা পেলো একটি সংসার, অভিযুক্ত শ্রীঘড়ে..!

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১৭১জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় পুলিশের পদক্ষেপে রক্ষা পেলো একটি সংসার, অভিযুক্ত কথিত প্রেমিক শ্রীঘড়ে..!

প্রথমে সোস্যাল মিডিয়া 'ফেসবুকে' পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে দু' জনের মাঝে চলছিলো হাই-হ্যালো। এভাবে চলার মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ঘড়ে অন্তসত্বা স্ত্রী থাকার পরও হাবিবুর রহমান (২৪) নামের এক যুবক অসৎ উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে গৃহবধূ (১৯) কে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদ পাতেন। ফোনেই চলে প্রেমালাপ। এক পর্যায়ে বিয়ে করার কথা বলে ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূকে নিয়ে পাড়ি জমাবেন অজানা কোন স্থানে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়। আর সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফোনে যোগাযোগ করে ঘটনার দিন অন্তসত্বা স্ত্রী সহ পরিবারের কাউকে না জানিয়ে প্রেমিক হাবিবুর রহমান (২৪) 

নিজ বাড়ি মান্দা থেকে বের হয়ে আনুমানিক ১৯ কিঃ মিঃ দূরে মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটামোড় চৌমাশিয়া বাজারে এসে অবস্থান করেন এবং ফোনে গৃহবধূ (১৯) ডেকে নিয়ে বাজারে প্রথম বারের মতো দু'জন একে অপর কে সরাসরি দাখেন এবং পূর্বের সিদ্ধান্ত মোতাবেক একটি অটো-বাইক যোগে পালাতে গিয়ে নওগাঁ-রাজশাহী সড়কের খোর্দ্দনারায়নপুর নামক স্থানে পৌছালো গৃহবধূ'র স্বামী নিজেই স্ত্রী ও তার কথিত প্রেমিক কে আটক করে নিজ গ্রামে নিয়ে যান। এরপর কয়েক ঘন্টাধরে (ত্রিমুখি) প্রেমিকের স্বজন, গৃহবধূর পিতার পরিবার ও স্বামীর পরিবার ঘটনাটি সমাধান এর চেষ্টা চালিয়ে বার্থ হোন। ঐ সময় গৃহবধূকে তার স্বামীও বাড়িতে তুলতে রাজি হয়নি। অপরদিকে কথিত প্রেমিকও তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। যার ফলে খবর দেওয়া হয় নিকটস্থ্য নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ কে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে কথিত প্রেমিক হাবিবুর রহমান ও গৃহবধূ দু'জন কেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ ও তদন্ত (ওসি) পৃথক ভাবে দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, প্রেমিক বিবাহীত এবং তার ঘরে অন্তসত্বা স্ত্রী থাকার পরও সে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের গৃহবধূ (ভিকটিম) কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো, তবে তাকে সে বিয়ে করবে না, তার উদ্দশ্যে ছিলো অসৎ। অপরদিকে (ভিকটিম) গৃহবধূ কে তার স্বামী খু্ব ভালো বাসেন এবং তিনি কোন কিছু না বুঝেই স্বামীর বাড়ি থেকে বের হোন, তবে তার স্বামী খুবই ভালো মানুষ জানিয়ে গৃহবধূ আরো বলেন, হাবিবুর রহমান আমার সরলতার সুযোগ নিয়েছে, আমি তার শাস্তি চাই, আমি আমার স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাই বলেও পুলিশকে জানান এবং এঘটনায় (ভিকটিম) গৃহবধূ নিজেই বাদি হয়ে থানায় কথিত প্রেমিক হাবিবুর রহমান কে আসামী করে মামলা দাযের করেন। সম্পতি এঘটনাটি ঘটে নওগাঁর মহাদেবপুরে।

স্থানিয় সুত্র জানায়, গত বুধবার ১৫ মার্চ সকাল ১০ টারদিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার নুরুল্যাবাদ গ্রামের ছবের আলীর ছেলে কথিত প্রেমিক   

হাবিবুর রহমান (২৪) মহাদেবপুর উপজেলার হাট-চকগৌরী এলাকার এক গৃহবধূকে মোবাইল ফোনে চৌমাশিয়া নওহাটামোড়ে ডেকে নেওয়ার পর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অটো-বাইক যোগে অজানার উদ্দশ্যে নিয়ে যাওয়াকালে (ভিকটিম) গৃহবধূর স্বামী তাদেরকে আটক করেন। এঘটনায় কয়েক ঘন্টাধরে দফায় দফায় পারিবারিক ভাবে আপোস-মিমাংসার চেষ্টা চালিয়ে বার্থ হোন, ঐ সময় গৃহবধূকে ভুল বুঝে তার স্বামী ঘড়ে তুলতেও রাজি হয়নি অপরদিকে  কথিত প্রেমিক ও তাকে বিয়ে করবেনা বলে জানিয়ে দেন। 

এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের দু'জনকে উদ্ধার পূর্বক থানা হেফাজতে নেওয়ার পর মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর ও (তদন্ত) ওসি আবুল কালাম আজাদ পূথক ভাবে দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদে 'মোবাইল ফোনে সম্পর্ক, সেই সম্পর্ক থেকে ঘটনার দিনই তাদের প্রথম দেখা ও অভিযুক্ত যুবক (বিয়ে করবেনা) সে অসৎ উদ্দশ্যে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক গড়ে গৃহবধূকে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে শিকার করেন। এসময় ভিকটিম জানান, তার স্বামী তাকে খুবই ভালো বাসেন এবং সে তার ভুল বুজতে পেরে স্বামীর ঘড়ে ফেরার আকুতি জানিয়ে (ভিকটিম) নিজেই বাদি হয়ে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে ভিকটিম গৃহবধূর স্বামী ও তার শ্বশুড় সহ স্বজনরা থানায় এসে মূল ঘটনা জানা ও শুনার পরই স্বামী ও শ্বশুড় নিজেই গৃহবধূকে নিজ বাড়িতে নিতে চাইলে, স্বামির হেফাজতে গৃহবধূকে দেয়া হয়।

পুলিশ কর্মকর্তাদের মানবিক ভূমিয়ার কারনে এভাবেই টিকে যায় একটি পরিবার। এলাকার সচেতন অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন থানা পুলিশের এমন উদ্যোগকে। গৃহবধূর স্বামী শুক্রবার রাতে মুঠোফোনে প্রতিবেদক কে জানান, আমার স্ত্রী সামান্য একটি ভুল করেছিলো, যা পুলিশের মাধ্যমে আমি বুজতে পেরেছি। আমার স্ত্রী আমার কাছেই (বাড়িতে) সংসার করছেন।


আরও খবর



বিশ্বব্যাংকের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র যাবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

বিশ্বব্যাংকের আমন্ত্রণে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১ মে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী একই সময় জাপান ও ‍যুক্তরাজ্যও সফর করবেন।

বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের গত পাঁচ দশকের সম্পর্কের সবচেয়ে বড় ফাটল ধরে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে। দুর্নীতি হতে পারে এমন অভিযোগ এনে ২০১১ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ায় বিশ্বব্যাংক। এ নিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলে। এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে গর্ব করে। তাদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। এখন তারা ঘটা করে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্‌যাপন করছে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডন যাবেন। যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে জাপান সফর করবেন তিনি।

বিগত প্রায় ১৫ বছরের মধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বাইরে কোনো কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রে আসেননি প্রধানমন্ত্রী। এ বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


আরও খবর



বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মতো নির্বাচন হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

জহিরুল কবির আমজাদ: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পৃথিবীর কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তত্ত্বাবধায়ক বা অনির্বাচিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সরকার ব্যবস্থা নেই। যারা সংবিধানকে নির্বাসনে দিয়ে নির্বাচনকে প্রতিহত করার পাঁয়তারায় লিপ্ত, তারা মূলত জনগণকে আড়ালে রেখে চিহ্নিত গোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যস্ত। দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার কোনো মানুষ তাদের এই অপরাজনীতির বাস্তবায়ন হতে দেবে না।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, বাংলাদেশেও সেভাবেই সংবিধানের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের ‘চিরাচরিত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর’ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি অতীতের মতো আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে একইভাবে সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পথ বেছে নিয়েছে, যা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের প্রধান প্রতিবন্ধক।

সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তন হবে। সেজন্য সব রাজনৈতিক দলেরই দায়িত্বশীল ও সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করা আবশ্যক। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, অতীতে নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মতো গণহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। বর্তমানেও তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে একইভাবে সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পথ বেছে নিয়েছে, যা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের প্রধান প্রতিবন্ধক।

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের বক্তৃতা ও বিবৃতিতে প্রমাণিত হয় সম্প্রতি পঞ্চগড়ে সংঘটিত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় তারা জড়িত। এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের দায়িত্বশীল নেতারা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। বিশেষত, তাদের বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও আইডি থেকে গুজব ছড়িয়ে ঘটনাকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



রাঙ্গামাটিতে আওয়ামীলীগের পদবঞ্চিত ত্যাগী নেতাকর্মীদের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৩২জন দেখেছেন

Image

উচিংছা রাখাইন, রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি :

রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সদ্য অনুমোদিত কমিটিতে পূর্ববর্তী কমিটির

ত্যাগী- পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে

আওয়ামীলীগের পদবঞ্চিতদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ মার্চ সোমবার

সকাল সাড়ে ১১টায় রাঙ্গামাটির স্থানীয় এক রেস্টুরেন্টে এই সাংবাদিক

সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ পদ ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম

সাধারন সম্পাদক মো: আব্দুল মতিন।

এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ডা:আশুতোষ বড়ুয়া, সাবেক

সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জমির উদ্দিন, সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক

সম্পাদক স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো: হানিফ,

সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো: জাকির হোসেন সেলিম, সাবেক উপ প্রচার ও

প্রকাশনা  সম্পাদক অমর কুমার দে, সাবেক সদস্য জয় সেন তঞ্চঙ্গ্যা, সাবেক

সদস্য নুরুল আজম চৌধুরী, সাবেক সদস্য মো: শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, রাঙ্গামাটিতে আওয়ামীলীগের মধ্যে কোন

গ্রুপিং রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করিনা।

আমরা চাই বর্তমান নতুন অনুমোদিত জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে সাবেক কমিটিতে

যারা ছিলেন সেসব ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে

অন্কর্ভূক্ত করা হোক। এ জন্য নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।



আরও খবর



সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কে ঢ্রাম ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ১ আহত ১৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক সিজুগ ছড়া উদয়পুর সীমান্ত সড়কের দাড়ি পাড়া এলাকায় ঢ্রাম ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটনা স্থলে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায়  গুরতর আহত হয়েছে আরো ১৩ জন। সবাই সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত ছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে কারো পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ১৩ মার্চ সোমবার রাত ৯ ঘটিকায় এই দূর্গটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি টীম আহতদের   উদ্ধার করে চাঁদের গাড়ী যোগে  দিঘীনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর দূর্গটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন শ্রমিকরা সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে ঢ্রাম ট্রাকে করে ফেরার পথে উঁচু  পাহাড় উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। ফলে ঘটনা স্থলে একজনের মৃত্যু হয়। আহতদের অবস্থাও আশংকা জনক মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। ঢ্রাম ট্রাকটিতে ৩১ জন শ্রমিক ছিলো।


আরও খবর



মাঠ পর্যায়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে সব দল

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৮২জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী এ বছর ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নয় মাসেরও বেশি সময় বাকি থাকলেও নির্বাচন ঘিরে রাজনীতি উত্তাপ বইতে শুরু করেছে। টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি বলছে, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দিলেও ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপিও। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারাও বিভিন্ন সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। দলীয় গণ্ডি থেকে নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে। তৈরি করা হচ্ছে নির্বাচনী ছক ও কৌশল। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রধান দুই দলই সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।

এদিকে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ছক কষছে কীভাবে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা যায়। এই তিন বড় দলের পাশাপাশি ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাম প্রগতিশীল ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোও। ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত ধর্মভিত্তিক দলগুলোও থেমে নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনই আভাস মিলেছে।

নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু হওয়ায় সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নড়েচড়ে বসেছেন। অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। সামাজিক কর্মকাণ্ডেও বেড়েছে তাদের তৎপরতা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন নানাভাবে।

আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্র জানায়, তারা নির্বাচনের প্রক্রিয়া বেশ জোরেশোরেই শুরু করেছে। এতে যুক্ত হয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। একই সঙ্গে নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি তারা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরছেন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে। বিগত সময়ে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ভুলভ্রান্তি শোধরাতে এরই মধ্যে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রার্থীদের বিষয়ে আগাম তথ্য সংগ্রহের কাজও চলছে আওয়ামী লীগে। 

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য জানিয়েছেন, দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে এখন দল গোছানোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা একটি কার্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ের পাশে আলাদা একটি ভবনে এ কার্যক্রম চলবে। বৃহৎ পরিসরে এ কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সব কার্যক্রম পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণ করা হবে। এজন্য আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে।

দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, নেতাদের সাংগঠনিক সফর ও কর্মসূচিতে দল গোছানো, তৃণমূল পর্যায়ে কোন্দল দূর করা এবং সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম জনসমক্ষে তুলে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দলের ও সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরা হবে।

বারবার সব দলকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে আসছে সরকার। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ও দলীয় ফোরামেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। বিশেষ করে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে এবং নির্বাচন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে দলের প্রধান শেখ হাসিনার এমন ইঙ্গিতে সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনীর মাঠ প্রস্তুত করতে আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাঠে নেমেছেন। এরই মধ্যে তিনি চট্টগ্রাম, খুলনা, কক্সবাজার এবং রাজশাহীতে জনসভা করেছেন। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য বিভাগেও জনসভা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ তিনি নিজের মতো করে নির্বাচনী মাঠ গোছাতে শুরু করেছেন। দলীয় সভাগুলোতে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, এবার নির্বাচন সহজ হবে না। পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে নানা নারকীয় ঘটনার কথাও বারবার বলছেন। সংসদীয় দলের সভায়ও তিনি নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট কথা বলছেন। এর বাইরে নির্বাচনকে ঘিরে তিনি দলীয় নেতাকর্মী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতির ব্যাপারে কাজ করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। একইসঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভূমিকা রাখা, সর্বোপরি ভিশন ’৪১ বাস্তবায়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কাজ করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। 

সম্প্রতি আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের বেশি দিন বাকি নেই। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। নেতার সঙ্গে কর্মীর এবং কর্মীর সঙ্গে জনগণের সেতু নির্মাণ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ী হতে হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষ উন্নয়ন ও কাজ চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও কাজ করে যাচ্ছেন। তাই দেশের জনগণ শেখ হাসিনার ওপর খুশি, আর এতে বিএনপির মন খারাপ।

ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি :

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন করছে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে। দৃশ্যমান কার্যক্রম না চললেও সম্ভাব্য প্রার্থীর বিষয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রায় ২০০ আসনে প্রার্থী তালিকার খসড়া তৈরি করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। সম্ভাব্য প্রার্থীদের আমলনামা পাঠানো হচ্ছে লন্ডনে থাকা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানের দিকনির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, বিএনপি বরাবরই নির্বাচনমুখী দল। প্রার্থী বাছাইয়েও বেগ পেতে হবে না। যে কোনো মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত আছে। তবে তা হতে হবে দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে। অন্যথায় বিএনপি সেই নির্বাচনে যাবে না।

সরকারে থাকা দল এখন থেকেই জনসভা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেখানে বিএনপি কীভাবে প্রস্তুতি নেবে- এ প্রসঙ্গে দলের একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যত সাংগঠনিক কার্যক্রম করছি সবই তো নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ। এই যে দেখলেন ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি। অনেক লোক হয়েছে, তারা উজ্জীবিত; নির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুত। তবে এই সরকারের অধীনে নয়, কেননা এই সরকারে অধীনে হাজারো প্রস্তুতি নিয়ে ভোটে গেলে ২০১৮ সালের মতো পরিস্থিতি হবে। তার ভাষ্যমতে, নির্বাচন যখনই হোক না কেন; বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ে তেমন বেগ পেতে হবে না। কারণ গত সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে হাজারখানেক প্রার্থীর নামের তালিকা আছে। এখান থেকেই অদলবদল হবে। সবকিছু দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তারেক রহমান।

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই। প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি হবে না। এরই মধ্যে ২০০ আসনের প্রার্থী মোটামুটি ঠিক করা আছে। কিছু আসন পূর্বনির্ধারিতই থাকে। সব মিলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অত বেশি মাথা ঘামাচ্ছে না বিএনপি।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোটের প্রস্তুতি তো থাকতেই হবে। আন্দোলনকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব আমরা। তবে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।

সূত্র মতে, সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সব সংসদীয় আসনের নেতাদের মাঠে নামার কথা বলেছেন। কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। পরে আমলনামা হিসেবে এগুলোর ফলোআপ রিপোর্টও সংগ্রহ করতে বলেছেন। তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা এটিকে নির্বাচনী প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন।

নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। নির্বাচন করেই কয়েকবার ক্ষমতায় যায়। নির্বাচনের বিকল্প কিছু চিন্তা করে না। তবে তা হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এজন্যই আমরা ১০ দফা দাবি আদায়ে মাঠে আছি। আন্দোলন করে তা আদায় করার পর নির্বাচনের কথা সামনে আসবে। বিএনপি কীভাবে প্রস্তুতি নেবে এটা আমাদের ব্যাপার। এখানে দৃশ্যমান হওয়ার কিছু নেই।

নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টিসহ বাম প্রগতিশীল ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোও। ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত ধর্মভিত্তিক দলগুলোও নির্বাচন প্রস্তুতিতে থেমে নেই। সব পক্ষই নিজেদের শক্তি এবং সামর্থ্য অনুযায়ী ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে। একই সঙ্গে চলছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় কৌশল প্রণয়নের কাজও।

জানা গেছে, শাসক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা এরই মধ্যে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকরাও বসে নেই। জোটের বাইরে বাম, ডান, মধ্যপন্থা এবং ধর্মভিত্তিক দলগুলোও ঘর গোছাচ্ছে। ভবিষ্যতে জোটবেঁধে নির্বাচনের ভাবনা মাথায় থাকলেও আপাতত তারা এককভাবেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে একক সংখ্যারিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গঠন করা জাতীয় পার্টি আছে প্রধান বিরোধী দলের আসনে। খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করে এই সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে মাঠের বড় দল বিএনপি। এর বাইরে আওয়ামী লীগের শরিক দল হিসেবে সংসদে আছে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাতীয় পার্টি-জেপি, তরীকত ফেডারেশন এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল হিসেবে সংসদে আছে গণফোরামও।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিয়েছি। যেহেতু ১৪ দল এখনো আছে। ভবিষ্যতে কী হয় তা সময় বলবে। আপাতত আমরা দল গোছানোর পাশাপাশি পুরোদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছি।

টানাপড়েন যাই থাকুক না কেন আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যেও।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে আমরা নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছি। এরই মধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এর বাইরে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের দলীয় প্রতীক হাতপাখা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করছেন। দলটির প্রচার উপকমিটির সহকারী সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম কবির। তিনি বলেন, ‘আমরা এককভাবে নির্বাচন করব। গত নির্বাচনেও এককভাবে অংশ নিয়েছি। এ ছাড়াও খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম, বটগাছ প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, রিকশা প্রতীক নিয়ে খেলাফত মজলিস, গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে জাকের পার্টিসহ ডানপন্থি এবং ইসলামি ঘরানার ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোও বসে নেই। জোটের বাইরে থেকে তারাও আপাতত নিজেদের মতো করে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক

[email protected] 


আরও খবর

নৌকার পালে নির্বাচনের হাওয়া

মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩