Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় সাক্ষর জাল করে চাকুরীচ্যুত করার অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার গোয়াল ভিটা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং সহকারী শিক্ষক মোঃ উজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে সাক্ষর জাল করে মোঃ আব্দুল হামিদ নামের এক দপ্তরীকে চাকুরীচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই দপ্তরী গোপনে অব্যহতি পত্র প্রস্তুত করে চাকুরী থেকে ইস্তফা দেখানো ও বেতন থেকে বঞ্চিত করায় মাদ্রাসার সভাপতিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার দপ্তরী পদে আব্দুল হামিদ গত ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১ জুন থেকে নিয়মিতভাবে কর্মরত ছিলেন। তার ৮ম পাশের সনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৬২। এই মোতাবেক সরকারি বিধি অনুসারে তার চাকুরী থেকে অবসর যাওয়ার কথা ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু ২০২১ খ্রিস্টাব্দের আগষ্ট মাসে অধ্যক্ষ তাকে জানান যে, তার চাকুরীর বয়স শেষ হয়েছে বিধায় তিনি আমাকে তৎপরবর্তী সময়ের বেতন-ভাতা ও প্রদান করেননি। তিনি সরল বিশ্বাসে তাঁর কথা মেনে নিয়েছেন। বর্তমান কমিটি আয় ব্যয় পর্যালোচনায় দেখতে পান যে, তার চাকুরী থাকা অবস্থায় তার ইস্তফা দেখনো হয়েছে খবরটি শুনে এবং অব্যাহতি পত্র দেখে তিনি বিস্মিত হন। 

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, সহকারী শিক্ষক উজাউল ইসলাম নিজ হাতে তার অব্যহতি পত্র প্রস্তুত করে সুকৌশলে তার অজান্তে তাকে চাকুরী হতে ইস্তফা দেখিয়াছেন। উক্ত ইস্তফা পত্র মো. উজাউল ইসলামের নিজ হাতে লেখা যাহাতে আমি স্বাক্ষর করি নাই। অথচ সরকারী বিধান মতে আমার আরো ৪ মাস চাকুরী ছিল। 

ভুক্তভোগী দপ্তরী আব্দুল হামিদ বলেন, অধ্যক্ষ এবং উজাউল আমাকে বিনা বেতনে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে নতুন দপ্তরী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আমাকে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করতে বলেন। সে মোতাবেক আমার দ্বারা ২০২২ খ্রিস্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিনা বেতনে মাদ্‌রাসার দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে নিয়েছেন। আমার সম্পূর্ণ অজ্ঞাতসারে আমার ইস্তফাপত্র প্রস্তুত করে আমাকে বেতন থেকে বঞ্চিত করায় আমি উক্ত ৪ মাসের বেতন এবং বিধি অনুযায়ী অবসর ও কল্যাণ সুবিধা থেকে আংশিক বঞ্চিত ও প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমার এই ইস্তফা পত্রে আমি স্বাক্ষর করিনি। এটা উজাউল ও অধ্যক্ষ মিলে করেছে। আমি এর বিচার চাই।

জানতে চাইলে ইস্তফা পত্র লেখে দেওয়ার কথা শিকার করে শিক্ষক উজাউল বলেন, আমাকে ড্রাফট করে দিয়েছে সেটাই আমি লেখে দিয়েছি। আমি এতে স্বাক্ষর করিনি। তবে ভুক্তভোগীর স্বাক্ষরের সাথে ইস্তফাপত্রের স্বাক্ষরের মিল নেই কেন? এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলেও সেটা বন্ধ পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে মাদ্রাসার সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে বিধিমতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



দেশকে বদলাতে পরিচালনা পদ্ধতি পাল্টাতে হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশকে বদলাতে চাইলে পরিচালনার পদ্ধতি পাল্টাতে হবে। একই নিয়মে সবসময় চলা যায় না। এক্ষেত্রে তরুণরা বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক ইয়াং জেন ফোরামে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে কী-নোট স্পিকার ছিলেন ড. ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শুধু মুনাফার জন্য ব্যবসা করলে হবে না। সমাজকে বদলানোর জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। সম্পদের ভারসাম্য আনতে হবে। একইসঙ্গে পরিবেশের কথাও ভাবতে হবে। বাংলাদেশ অনেক বড় জায়গা, সেই তুলনায় নিজের পরিধি ছোট। ছোট পরিসরেই কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন, ব্যবসায় মুনাফা পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু উদ্যোক্তার মনে লোভ চলে আসলে সেই ব্যবসা ধ্বংস হতে বাধ্য।

তরুণদের তিন-শূন্য ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি পরিষেবা প্রদান করতে চাই, তাহলে আমাদের তিনটি শূন্যের একটি নতুন সভ্যতার দিকে যেতে হবে - শূন্য কার্বন নির্গমন, শূন্য বর্জ্য এবং শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কার্বন নির্গমন, বর্জ্য উৎপাদন এবং সম্পদ কেন্দ্রীকরণ পুরানো অর্থনৈতিক মডেলগুলি প্রয়োগ করে বিশ্ব একটি আত্ম-ধ্বংসাত্মক সভ্যতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রকৃতির সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি না আপনার সম্পদ ভাগাভাগি করা হয়, তাহলে আপনি সমাজে টিকে থাকতে পারবেন না।

মানুষ অন্য কারও অধীনে কাজ করার জন্য জন্মগ্রহণ করেনি বরং তারা উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হওয়ার কথা মাথায় রাখতে বলেন।

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তরুণদের চাকরিপ্রার্থী না হয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই কেবল টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।

বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম হিসেবে অভিহিত করে প্রধান উপদেষ্টা তাদের শুরুতে বা ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যবসা চালু করার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, ‘তুমি একবারে রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করতে পারবে না। তাই ছোট পরিসরে শুরু করে পরিবর্তনের সূচনা কর।

তরুণদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শুরুতে বড় পরিসরে ব্যবসা চালু করা ভুল পথ। বক্তব্যের পর তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধান উপদেষ্টা।


আরও খবর



কঙ্গোতে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আগুন লেগে নিহত ১৪৮

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লাগার পর সেটি উল্টে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

দেশটির উত্তরপশ্চিমের কঙ্গো নদীতে গত মঙ্গলবার উল্টে যাওয়ার সময় নৌকাটিতে নারী-শিশুসহ প্রায় ৫০০ আরোহী ছিল বলে শনিবার একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বলা হয়েছে। খবর স্কাই নিউজ, রয়টার্স ও দ্যা গার্ডিয়ানের।

দুর্ঘটনার পর মৃতের সংখ্যা ৫০ হবে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল।কিন্তু পরে নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

কঙ্গোতে প্রায়ই নৌকা দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। দেশটিতে নদীবেষ্ঠীত গ্রামগুলোতে যাতায়াতে এখনো পুরনো, কাঠের নৌযানই বেশি ব্যবহৃত হয়, সেসব নৌযানে প্রায়ই ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রীও ওঠে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা। গত সপ্তাহের নৌকা এ দুর্ঘটনায় এখনও কয়েকশ নিখোঁজ রয়েছে বলে শুক্রবার কঙ্গোর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এইচবি কঙ্গোলো নামের ওই নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর ছেড়ে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাওয়ার সময় এমবানদাকা শহরের কাছে তাতে আগুন ধরে যায়।

নৌযানটিতে এক নারীর রান্না থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক বার্তা সংস্থাকে এমনটাই বলেছেন নদী কমিশনার কম্পিতেন্ত লয়োকো।

সাঁতার না জানা অনেক নারী-শিশু নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার পর তাদের মৃত্যু হয়। জীবিত উদ্ধার প্রায় ১০০ জনকে স্থানীয় টাউন হলে অস্থায়ীভাবে বানানো এক আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে, অগ্নিদগ্ধদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত বছর কঙ্গোর উত্তরাঞ্চলে লেক কিভুতে ২৭৮ যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা উল্টে যাওয়ার ঘটনায় পানিতে ডুবে অন্তত ৭৮ জনে মৃত্যু হয়েছিল। পৃথক আরেক ঘটনায় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ডিসেম্বরে নদীতে নৌকা ডুবে অন্তত ২২ জন মারা গেছে।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার আবারও সাক্ষী হলো দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শিশুটির মলদ্বারে বাতাস ঢুকিয়ে আজকে নির্মমভাবে হতা করা হয়েছে। শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার আবারও সাক্ষী হলো দেশ।  

শিশুটির বাবারও আহামরি বয়স নয়। বড়জোর ৩০ হবে। এই লোক তার বড় ছেলে জিহাদকে একটি গ্যারেজে কাজ শেখার জন্য দিয়েছিলো। নিহত ছোট শিশুটির নাম আবু বকর সিদ্দিকী। শিশু শ্রেনীতে পড়তো।  

মিরপুর-১১, বাউনিয়াবাদ, ডি ব্লক পোড়া বস্তি পেরিয়ে 'আলহামদুলিল্লাহ বাইক সার্ভিসিং সেন্টার'। এই গ্যারেজেই বড় ভাই জিহাদ কাজ করতো। 

শিশু আবু মাঝেমধ্যে এখানে স্কুল শেষে ভাইয়ের সাথেই থাকতো। বাইকে চড়ার বায়না করতো। শিশুর এই আচরণ  গ্যারেজ মালিকের চোখে দুষ্টুমি লেগেছে। ব্যাস শিশুর অপরাধ এইটুকুই। 

গ্যারেজের মালিক সুজন খান বড় ভাইকে পাউরুটি-চা আনার জন্য পাঠায়। আর এই ফাঁকে শিশু আবুবকরকে দুষ্টুমির শাস্তিসরূপ মলদ্বারে কর্মচারীদেরকে দিয়ে মেশিনের বাতাস প্রবেশ করায়। 

ফলাফল, মূহুর্তেই শিশুটির নাক মুখ দিয়ে খাবার বেরিয়ে যায় ও পায়ুপথ দিয়ে রক্ত। হাসপাতাল যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। 

এই ঘটনা ঘটানোর পর, হতাকারী শান্ত থাকেনি।

সমাধানের জন্য হতাকারী স্হানীয় রাজনৈতিক নেতাকে ধরেছে। তার মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিয়েছে ক্ষতিপূরণ দিয়ে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য।  

সবশেষ তিনজনের মধ্যে মাত্র একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

আপনাদের মনে আছে কীনা জানিনা, এর আগেও ২০১৫ সালে খুলনায় রাকিব (১২) এবং ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জে ইয়ামিন (১৩) নামের দুই কিশোরের পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল। ওই দুই কিশোর কারখানায় কাজ করত। 

এবং ২২ সালেও গাজীপুরে একই ঘটনা ঘটে ও একজন শিশু নিহত হয়। একই বছরে আরেক নারী শ্রমিককে এভাবে আহত করা হয়েছিলো।    

আমার চোখে, এতটুকু দুধের শিশুর প্রতি যারা সহিংসতা করে। এদেরকে আসলে আইনী সাজা দেওয়ার চেয়ে উপস্থিত সাজাই দেওয়া উত্তম। কারণ এসব নপুংসক মানুষ না। নরখোর। এদের বেঁচে থাকার অধিকার নাই। 

প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, এই শিশুর হতাকারী তিনজনকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি যে বা যারা এখানে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শিশুর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। এদেরকেও আইনের আওতায় আনা হোক।

শিশু আবু বকর সিদ্দিকীর হতার বিচার চাই।


আরও খবর



প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দেশে বিপুল পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে চলতি মাসের ২৪ দিনেই এসেছে প্রায় ২৭৫ কোটি ডলার প্রবাসী আয়। যা দেশের ইতিহাসে যে কোনো মাসের সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চলতি মার্চের ২৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৫৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।

এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) আসে গত ডিসেম্বরে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে (প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার)।

এদিকে, গত ২৪ মার্চ একদিনেই দেশে এসেছে ১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে দেশে স্বজনদের কাছে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে বাড়ছে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াতে পারে।

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছিলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ এই মাসে খুবই ভালো। এটি প্রণোদনা দেয়া হোক বা অর্থপাচার বন্ধের কারণেই হোক; রেমিট্যান্স আসছে, এটিই আশার কথা। চলতি মাসে ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার হতে পারে। এ বছর ৩০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।

গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ও ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।

আর সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ, জুলাইতে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ও ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।


আরও খবর



মিয়ানমারে ফের ভূমিকম্প, নিহত ছাড়াল ৩০০০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মিয়ানমারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩০০০ ছাড়িয়েছে। শুক্রবারের (২৮ মার্চ) পর থেকে একের পর এক কম্পন অনুভূত হয়েছে দেশটিতে। বুধবার (২ এপ্রিল) রাতেও ৪.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে।

শুক্রবারের জোরালো ভূমিকম্পের পর থেকে এখনও মাঝে মধ্যে কম্পন (আফটারশক) হয়ে চলছে মিয়ানমারে। বুধবার রাতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারে।

ভারতের ভূবিজ্ঞান সর্বেক্ষণ সংস্থা (ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি) অনুসারে, কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৮। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার গভীরে কম্পনটি অনুভূত হয়েছে। বুধবার বিকেলে ৪.৩ মাত্রার আরো একটি কম্পন অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারে।

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার থেকে ৩০০০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি চলছে। তার মধ্যে এই ভূমিকম্পে পরিস্থিতি আরো উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।

দেশটির জান্তা-বিরোধী পিপল্‌স ডিফেন্স ফোর্স আগেই ভূমিকম্প পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল। বুধবার মায়ানমারের জুন্টা সেনাও সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।

গত শুক্রবার সকালে প্রথমে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমারের মাটি। তার পর থেকে পর পর ১৫ বার ভূকম্প-পরবর্তী কম্পন হয়েছে সে দেশে। ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেঙে পড়েছে বহু ভবন, রাস্তা, সেতু। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ। খোঁজ মিলছে না ৪ শতাধিক মানুষের।

এরই মধ্যে বুধবার মিয়ানমারের এক হোটেলের ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এক যুবককে।

শুক্রবারের ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডেও। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে একটি নির্মীণাধীন ৩০তলা ভবন ভেঙে পড়ে। সেখানে বহু মানুষের মৃত্যুর কথা জানা গেছে।

উদ্ধারকারীদের ধারণা, এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। তাদের খুঁজে বের করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫