Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় শীর্তাত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

নওগাঁয় অসহায়, দুঃস্থ ও শীর্তাত শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার ৭ জানুয়ারী দুপুর সাড়ে ১২টারদিকে নওগাঁ সদর উপজেলা অডিটেরিয়ামে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ৫শ' অসহায়, দুঃস্থ ও শীর্তাত শ্রমিকদের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। 

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভান্ডার হতে প্রাপ্ত শীতবস্ত্র নওগাঁ বাংলাদেশ সংযুক্ত ফেডারেশন ও বহুমূখী শ্রমিক ফেডারেশনের ৫ শত অসহায়, দুঃস্থ ও শীর্তাত শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম রবীন শীষ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা আশেকুর রহমান, সদর উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা প্রকৌশলী মাহবুব রহমান প্রমূখ।


আরও খবর



নওগাঁয় সাক্ষর জাল করে চাকুরীচ্যুত করার অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার গোয়াল ভিটা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং সহকারী শিক্ষক মোঃ উজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে সাক্ষর জাল করে মোঃ আব্দুল হামিদ নামের এক দপ্তরীকে চাকুরীচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই দপ্তরী গোপনে অব্যহতি পত্র প্রস্তুত করে চাকুরী থেকে ইস্তফা দেখানো ও বেতন থেকে বঞ্চিত করায় মাদ্রাসার সভাপতিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার দপ্তরী পদে আব্দুল হামিদ গত ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১ জুন থেকে নিয়মিতভাবে কর্মরত ছিলেন। তার ৮ম পাশের সনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৬২। এই মোতাবেক সরকারি বিধি অনুসারে তার চাকুরী থেকে অবসর যাওয়ার কথা ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু ২০২১ খ্রিস্টাব্দের আগষ্ট মাসে অধ্যক্ষ তাকে জানান যে, তার চাকুরীর বয়স শেষ হয়েছে বিধায় তিনি আমাকে তৎপরবর্তী সময়ের বেতন-ভাতা ও প্রদান করেননি। তিনি সরল বিশ্বাসে তাঁর কথা মেনে নিয়েছেন। বর্তমান কমিটি আয় ব্যয় পর্যালোচনায় দেখতে পান যে, তার চাকুরী থাকা অবস্থায় তার ইস্তফা দেখনো হয়েছে খবরটি শুনে এবং অব্যাহতি পত্র দেখে তিনি বিস্মিত হন। 

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, সহকারী শিক্ষক উজাউল ইসলাম নিজ হাতে তার অব্যহতি পত্র প্রস্তুত করে সুকৌশলে তার অজান্তে তাকে চাকুরী হতে ইস্তফা দেখিয়াছেন। উক্ত ইস্তফা পত্র মো. উজাউল ইসলামের নিজ হাতে লেখা যাহাতে আমি স্বাক্ষর করি নাই। অথচ সরকারী বিধান মতে আমার আরো ৪ মাস চাকুরী ছিল। 

ভুক্তভোগী দপ্তরী আব্দুল হামিদ বলেন, অধ্যক্ষ এবং উজাউল আমাকে বিনা বেতনে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে নতুন দপ্তরী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আমাকে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করতে বলেন। সে মোতাবেক আমার দ্বারা ২০২২ খ্রিস্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিনা বেতনে মাদ্‌রাসার দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে নিয়েছেন। আমার সম্পূর্ণ অজ্ঞাতসারে আমার ইস্তফাপত্র প্রস্তুত করে আমাকে বেতন থেকে বঞ্চিত করায় আমি উক্ত ৪ মাসের বেতন এবং বিধি অনুযায়ী অবসর ও কল্যাণ সুবিধা থেকে আংশিক বঞ্চিত ও প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমার এই ইস্তফা পত্রে আমি স্বাক্ষর করিনি। এটা উজাউল ও অধ্যক্ষ মিলে করেছে। আমি এর বিচার চাই।

জানতে চাইলে ইস্তফা পত্র লেখে দেওয়ার কথা শিকার করে শিক্ষক উজাউল বলেন, আমাকে ড্রাফট করে দিয়েছে সেটাই আমি লেখে দিয়েছি। আমি এতে স্বাক্ষর করিনি। তবে ভুক্তভোগীর স্বাক্ষরের সাথে ইস্তফাপত্রের স্বাক্ষরের মিল নেই কেন? এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলেও সেটা বন্ধ পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে মাদ্রাসার সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে বিধিমতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে প্রতারণা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলা প্রায় দুই শতাধিক মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষক হামিদুর রহমান শেফালী মফিজ মহিলা আলিম মাদ্রাসার এবতেদায়ী প্রধান। তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোর ইউনিয়নের মধ্যপলাশতলা গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। প্রতারক হামিদুর রহমানের বিচার দাবি করেছেন প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়,বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোর ইউনিয়নের মধ্যপলাশতলা গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে হামিদুর রহমান ২০১৯ সালে গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে এবং সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে প্রত্যেকের কাছে থেকে ৫ থেকে ৮ হাজার করে টাকা নেন। পরে তাদের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয়পত্র ও সনদপত্রও দেন তিনি। “ঘরে ঘরে জাগ্রত করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এমন স্লোগান সংবলিত ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ এর ব্যানারে একটি করে ভুয়া সার্টিফিকেট দেন প্রতারক হামিদুর রহমান। কিন্তু এসব সনদ যাচাই করতে গিয়ে তারা জানতে পারেন, এগুলো আসলে ভুয়া। এরপর তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দিলে হামিদুর রহমান নানা ভাবে টালবাহানা শুরু করেন। এমনকি ভুক্তভোগীদের মামলা হামলার ভয়ভীতি দেখান। এই ঘটনায় একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠক হলেও কোন শালিস বৈঠক হলেও টাকা ফেরত দেননি হামিদুর। গত এক সপ্তাহ আগে নাশকতা মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। হামিদুর রহমান নাশকতা মামলায় বর্তমানে জামালপুর জেল হাজতে রয়েছেন। এছাড়াও হামিদুরের বিরুদ্ধে অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করারও অভিযোগ রয়েছে। গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে হামিদুরের বিরুদ্ধে প্রতারণার শিকার ইসমাইল হোসেন,হাসমত আলী,খলিলুর রহমান,জমিলা বেগম ও আবেদন বেগমসহ অনেকের অভিযোগ করেন।  

প্রতারণার শিকার হাছেন আলী বলেন,সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে হামিদুর আমার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা নেয়। সে বলেছিল সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হলে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে সরকারি ভাতা পাবেন। কিন্তু কোনো সুবিধা পাচ্ছিই না। এখন বুঝতে পারছি সে প্রতারণা করছে। যে সার্টিফিকেট দিয়েছে সেটা ভুয়া। তাই হামিদুরের প্রতারণার বিচার চাই।

প্রতারণার শিকার মো. আবদুস সামাদ বলেন,সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে মাসে মাসে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে হামিদুর আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেয়। আমি ছাগল বেচেঁ তাকে টাকা দেই। পরে জানতে পারি সে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। এখন সে টাকাও ফেরত দিচ্ছেনা। আমরা তার শাস্তি চাই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,হামিদুর আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।তার বেয়াই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি থাকার কারনে তিনি দাপট দেখিয়ে চলতেন। অন্যের জমি দখল ও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে প্রায় ২ শতাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই হামিদুর। একজন মাদ্রাসা শিক্ষক হয়েও মানুষের সাথে প্রতারনা করেছেন তিনি। তাকে আইনের আওতায় আনার জোড় দাবি জানান তারা।

হামিদুর রহমান কারাগারে থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আফসার আলী বলেন, একটা প্রতারক চক্র সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আসলে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বলতে কিছু নেই। যারা প্রতারণা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান,এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 


আরও খবর



বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলহাজ্ব মানিক সওদাগর সভাপতি ও জাহিদুল ইসলাম প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট বকশীগঞ্জ উপজেলা কমিটি এবং এডভোকেট আনিছুজ্জামান গামা সভাপতি ও সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট পৌর কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কমিটি প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত ১২ মার্চ কমিটির অনুমোদন দেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী মামুন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পুর্নাঙ্গ কমিটি জমা দানের নির্দেশ দিয়েছে জেলা কমিটি। উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসিবুল হক সঞ্জু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ক্বারী ও ময়নুর হোসেন সম্পদকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পৌর বিএনপির কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সানোয়ার সওদাগর,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও সাংবাদিক শাহজাহান পারভেজ শাহীনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।

জানা যায়, ১৬ বছর পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বকশীগঞ্জে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বকশীগঞ্জ খয়ের উদ্দিন মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ জামালপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। উৎসব মুখর পরিবেশে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও সেদিন কমিটি ঘোষনা করা হয়নি। সম্মেলনের ২৩ দিন পর কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি।  

এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদার বলেন,পৌর বিএনপির সকল নেতাকর্মীর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি জননেতা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম,সাধারণ সম্পাদত এডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন ভাইয়ের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে আমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা সততার সাথে পালনের জন্য সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি।

বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভ্পাতি আলহাজ্ব মানিক সওদাগর বলেন,নতুন কমিটি দিয়ে তৃনমূল নেতাকর্মীদের চাওয়া পাওয়া পুরন করেছেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ভাই। তাই এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও জেলা কমিটির সভাপতি ,সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত এর দিকনির্দেশায় সুন্দর একটি পুর্নাঙ্গ কমিটি উপহার দেয়া হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলনে ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত এবং সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ চিত্র ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নির্মম পাশবিকতায় আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীর মতো আমাকেও ব্যথিত করেছে। তার মৃত্যুর সংবাদে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এই মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে।

তারেক রহমান বলেন, আছিয়ার ওপর ঘটে যাওয়া নির্মম পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে শহর থেকে গ্রামে। রাজপথ উত্তপ্ত হয়েছে মিছিল আর স্লোগানে। একইসঙ্গে তার ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা ছিল প্রতিটি মানুষের। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর সিএমএইচ থেকে আসা খবরে শোক আর ক্ষোভে একাকার মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে মানুষরূপী কুলাঙ্গারদের। আমি শুরুতে এ ঘটনা জানার পর তার চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিলাম।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, অতীতের ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে ধর্ষণকারীদেরকে বিচারের আওতায় না এনে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার ফলে দেশে ধারাবহিকভাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার ফলে আইনের ফাঁক দিয়ে ধর্ষণকারীরা বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ধর্ষণের মাত্রা দিন-দিন বেড়েই চলছে। আধুনিক এই যুগে মানব জাতি এরূপ অমানবিক, পৈশাচিক ও বর্বরোচিত কাজে লিপ্ত হতে পারে, তা কল্পানাতীত।

তারেক রহমান বলেন, ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত এবং সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ চিত্র। আমাদের সমাজে যে নির্মম ও বর্বরোচিত ঘটনাগুলো ঘটে চলছে, তা মানবতা ও নৈতিকতার মৌলিক ভিত্তিকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখছি, পবিত্র মাহে রমজান মাসেও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশুদের ওপর চলমান নিপীড়ন, হেনস্তাকরণ ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজ রোধে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে নারী হেনস্থা, হয়রানি, ধর্ষণ বা ধর্ষণের হুমকির মতো ঘটনা মানুষ আর প্রত্যাশা করে না। তারপরেও এই ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নারী, কিশোরী ও শিশুদের প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতা বা হয়রানি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিশ্চিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। এ ছাড়া একটি বিস্তৃত শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ চলাচল, নাগরিক স্বাধীনতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে হবে। ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে হবে আইনিভাবে। এই ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সমাজে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনা শুধু বর্তমান সমাজকে কলুষিত করছে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এক ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।


আরও খবর



নওগাঁয় একাধীক ডাকাতি, চুরি ও অস্ত্র মামলার আসামী শান্ত আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার:

নওগাঁ জেলা পুলিশের অভিযানে ডাকাতি ও চুরি সহ একাধীক মামলার আসামী আতাউর রহমান শান্ত ওরফে বিপ্লব (৩৮) আটক। সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) জ্বনাব গাজিউর বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী জানান, 

গতভোর রাতে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্তৃক নওগাঁর মহাদেবপুর থানার চেরাগপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ৭টি ডাকাতি ও ৪টি চুরি মামলা সহ ১৭টি মামলার আসামী আতাউর রহমান (শান্ত) ওরফে বিপ্লব (৩৮)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাবার নাম আব্দুল মজিদ মন্ডল। গ্রেফতারকৃত বিপ্লব  আন্তঃজেলা ডাকাত দলের নেতা। তার বিরুদ্ধে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর, পত্নীতলা, ধামুইরহাট, বদলগাছী এবং নওগাঁ সদর থানায় মোট ১৭টি মামলা রয়েছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে অস্ত্র মামলায় তার ১৭ বছরের সাজা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় সড়কে বাস ডাকাতি ও আত্রাই উপজেলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পথরোধ করে ডাকাতী সংঘটনের সাথে সে জড়িত। বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী তাকে নওগাঁ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ পূর্বক ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা। আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে ৭টি ডাকাতী, ৪টি চুরি, ২ টি চাঁদাবাজী, ২টি মাদক, ১টি মারামারী ও ১টি অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জ্নাব গাজিউর।


আরও খবর