Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় সিএনজি- মোটরসাইকেল সংঘর্ষে অজ্ঞাত এক নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ


নওগাঁয় মোটর সাইকেল ও সিএনজি সংঘর্ষে আনুঃ ৪৮-৫০ বছর বয়সি অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় শনিবার দুপুরে রাণীনগর-আত্রাই মহা-সড়কের রাণীনগর রেলগেটের ছোট ব্রিজ এলাকায়। মৃত ঐ নারী সিএনজি এর যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে রেলগেট এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেল আত্রাইয়ের দিকে যাচ্ছিল অপরদিকে সিএনজি টি আসছিল আত্রাইয়ের দিক থেকে। রাণীনগর রেলগেটের ছোট ব্রীজ এলাকায় পৌঁছালে সিএনজি ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে সিএনজির ঐ নারী যাত্রী ও মোটরসাইকেল চালক অমিত গুরুত্বর আহত হোন। স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানিয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঐ নারীকে মৃত ঘোষণা করেন। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য মোটরসাইকেল চালক আমিতকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

চিকিৎসক জানান, মৃত ঐ নারীর নাম পরিচয় এখনো পাওয়া সনাক্ত হয়নি। যারা হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন তারাও বলতে পারেনি।

রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু ওবায়েদ বলেন, সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত অজ্ঞাত ঐ নারীর পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। আমরা তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছি।



আরও খবর



ঋণ পরিশোধে সময় দিল রাশিয়া, জরিমানা মওকুফ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণদাতা দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে দায়দেনা পরিশোধে বাড়তি সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৭ সালের মার্চ থেকে প্রকল্পের ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধ শুরু করার কথা ছিল। বিভিন্ন জটিলতার কারণে দুই বছর সময় চেয়েছিল সরকার। এতে সাড়া দিয়ে দেড় বছর সময় দিয়েছে রাশিয়া।

এদিকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নেওয়া ৫০ কোটি ডলারের ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ না হওয়ায় ১৬ কোটি ডলারের বেশি যে জরিমানা হয়েছিল, তা মওকুফ করেছে পুতিন প্রশাসন। যদিও রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কিস্তি ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারেনি বাংলাদেশ। রূপপুরের ঋণের সংশোধিত প্রটোকলে এমন ছাড় দিয়েছে রাশিয়া।

বৈদেশিক দায়দেনার চাপ কমাতে ২০২৯ সালের মার্চ থেকে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু করার সময় নির্ধারণে রাশিয়া সরকারকে অনুরোধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত প্রটোকলে ২০২৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পরিশোধ শুরুর নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ইআরডির সংশ্লিষ্ট ইউরোপ উইংয়ের প্রধান ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সরকারের যোগাযোগের ভিত্তিতে এমন ভালো সিদ্ধান্ত এসেছে। প্রকল্পের কাজ এখনো বেশ বাকি থাকায় আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। রাশিয়ার তাতে সম্মতি রয়েছে।

তিনি জানান, প্রকল্প শুরুর আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নেওয়া ঋণের কিস্তির অর্থ আলাদা একটি ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারে তা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বিকল্প প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনো কোনো সমাধানে আসা যায়নি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট ব্যয় ধরা হয় ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার বা ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। ব্যয়ের ৯০ শতাংশ হিসেবে মোট ১১.৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। বাকি ১০ শতাংশ বাংলাদেশের নিজস্ব জোগান। রাশিয়ার ঋণের মধ্যে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ৭.৭০ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। করোনা মহামারি এবং পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ঋণের অর্থছাড়ে দেরি হয়। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিশ্রুত মোট ঋণের বাকি ৩.৬৮ কোটি ডলার ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে। রাশিয়ার রোসাটম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

ইআরডি সূত্র জানায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই কিছু ঋণদাতা সংস্থা এবং দেশের কাছে ঋণ পরিশোধে বাড়তি সময় চাওয়া হয়। ঋণের সুদের হারেও ছাড় চাওয়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ রূপপুর প্রকল্পের ঋণ চুক্তি সংশোধনে রাজি হন। ওই বৈঠকেই সংশোধনী চূড়ান্ত করার বিষয়ে একমত হয় সরকার এবং রোসাটম।

সম্প্রতি মস্কো থেকে পাঠানো সংশোধিত প্রোটোকলের খসড়ায় ঋণ পরিশোধে এক মাস বিলম্বের জন্য বিলম্ব মাশুল পরিশোধের শর্ত বাদ দেওয়া হয়। মূল প্রোটোকলে ঋণ পরিশোধ এক মাস বিলম্বিত হলে বাংলাদেশকে ৪.৫ শতাংশ হারে জরিমানা দেওয়ার শর্ত ছিল। সে হিসেবে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ঋণের কিস্তি বকেয়া বাবত বাংলাদেশকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হতো। ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, ঋণ পরিশোধে বিলম্বের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। ২০১৭ সালে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



পিতার লেখা ডায়েরী থেকে পুত্রের বই

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পিতার গৌরবজ্জ্বল জীবনের ডায়েরী থেকে আত্মজীবনীমূলক বই লিখে দাদা-দাদির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহবুবুর রহমান। ঈদের পরেরদিন পারিবারিক মিলন মেলা ঘটিয়ে বইয়ের মোড়কও উম্মোচন করলেন তিনি। তাঁর পিতার বড় পুত্রবধূ ও বড় মেয়েকে দিয়ে ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই উম্মোচন করা হলো বইটির মোড়ক। 

‘ডাঃ মুনসুর আহমেদ হাওলাদার, এক সাহস্য জীবনযোদ্ধার নাম’ শিরোনামের এ বইটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার দক্ষিণ বেতকাটা গ্রামের ডাঃ মুনসুর আহমেদের বর্ণাঢ্য জীবনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যে এমন বিশাল আয়োজন হতে পারে সেটিও নজিরবিহীন ইতিহাস রচনা করলো।

মরহুম ডাঃ মুনসুর আহমেদ প্রতিষ্ঠিত রামপালের দক্ষিণ বেতকাটার ‘ডাক্তার বাড়ি’তেই ঈদের পরের দিন(১এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয় বইটির মোড়ক উম্মোচনী অনুষ্ঠান। বইটির লেখক ও সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন, ডাঃ মুনসুর আহমেদ হাওলাদারের বড়পুত্রবধূ মাজেদা বেগম ও বেঁচে থাকা একমাত্র মেয়ে জয়নব বেগম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, মরহুম ডাঃ মুনসুর আহমেদ হাওলাদারের নাতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের। 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বইয়ের লেখক মোঃ মাহবুবুর রহমানের পুত্র, লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি অধ্যায়ণরত ব্যারিষ্টার মনজুর রাব্বি তনয়, ফাইবার অ্যাড. হোমের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা(সিএইচআরও) মোঃ মাসুদ রাব্বি, লেখকের ভাই অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মোঃ লুৎফর রহমান, শিক্ষক আব্দুস সালাম, আবুল কালাম, বনবিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, কলেজ শিক্ষক মোঃ আল মামুন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সাবেক নির্বাহী সদস্য এইচ এম আলাউদ্দিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের কোষাধ্যক্ষ মোঃ আজিজুর রমান মশিউর, মোড়েলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ নাসির ফকির, কামরুজ্জামান সোহেল, শামসুজ্জামান সজিব, তৌহিদুল ইসলাম আকমলসহ পরিবারের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ এবং আত্মীয়-স্বজন।

উল্লেখ্য, প্রকাশিত বইটিতে মরহুম ডাঃ মুনসুর আহমেদের পারিবারিক জীবনের পাশাপাশি কয়েক প্রজন্মের ইতিহাস তুলে ধরা হয়। যার অধিকাংশই লেখকের অনুপ্রেরণায় তাঁর পিতা মৃত্যুর আগে ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। ২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হলে ডায়রী সংগ্রহ করে বই আকারে প্রকাশ করা হয়। বইটি ঢাকার নোলক প্রকাশনী প্রকাশ করেছে। প্রকাশক এম নন্দিনী খান।


আরও খবর

প্রিয় বন্ধু হবেন যেভাবে

মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫




এসএসসি পরীক্ষা পেছাতে আন্দোলনের ডাক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

জুলাই-আগস্টের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে গত আট থেকে নয় মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই আন্দোলনে সরব ছিল দেশ। যৌক্তিক-অযৌক্তিক, যার যা দাবি ছিল তা নিয়েই অস্থির করে তোলা হয়েছিল রাজপথ। এখনো এসবের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।

তবে এবার সরাসরি দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যেই জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এলাকায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।

সূত্র জানায়, পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তবে পরীক্ষা এক মাস পেছানোসহ দুটি দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে পরীক্ষায় অংশ নেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে এসএসসির পরীক্ষার্থীরা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।

তাদের দাবি দুটি হলো

এক. পরীক্ষা ১ মাস পেছানো

দুই. সব পরীক্ষায় ৩-৪ দিন বন্ধ দেয়া

শিক্ষার্থীদের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে শুরু হয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পর্যন্ত এলাকায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। আর অন্য জেলার শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব শিক্ষাবোর্ডে আন্দোলন করবেন।

দাবির যৌক্তিকতা হিসেবে পরীক্ষার্থীরা বলছে, রমজান মাসে রোজা রেখে ভালোভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া ঈদের পরপরই পরীক্ষা হওয়ায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই এক মাস সময় দিলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।

তারা আরও জানিয়েছে, গরমে একটানা পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। গরমে একটানা পরীক্ষা দিলে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পরীক্ষার কেন্দ্রও দূরে। তাই প্রত্যেক পরীক্ষার মাঝে তিন-চার দিন বিরতি দিতে হবে।


আরও খবর



হাসনাতের পোস্ট ‘রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি : সেনাসদর

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রিফাইন্ড (সংশোধিত) আওয়ামী লীগ গঠনে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চাপ দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সম্প্রতি ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছেন, তাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সেনাবাহিনী সদরদপ্তর।

সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের গতকাল শনিবারের এক প্রতিবেদনে এ প্রতিক্রিয়া জানানোর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সেনাসদরকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয়। এর আগে গত শুক্রবার হাসনাত আবদুল্লাহ এক পোস্টে লেখেন, ১১ই মার্চ, সময় দুপুর ২:৩০।

কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন, তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

আমিসহ আরও দুজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় ১১ই মার্চ দুপুর ২:৩০এ। আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদেরকে বলা হয়, ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে-তারা শর্ত সাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা নাকি ভালো। ফলশ্রুতিতে আপনি দেখবেন গত দুই দিন মিডিয়াতে আওয়ামী লীগের পক্ষে একাধিক রাজনীতিবিদ বয়ান দেওয়া শুরু করেছে।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল নেত্র নিউজকে দেওয়া সেনাসদরের এক বিবৃতিতে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে সেনানিবাসে খোদ সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গেই ১১ মার্চ বৈঠকটি হয়েছিল। তবে হাসনাত আবদুল্লাহকে ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদেরকে প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বরং হাসনাত আবদুল্লাহ ও তার দলের আরেক মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের আগ্রহেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে নেত্র নিউজ যোগাযোগ করলে একজন মুখপাত্রের মাধ্যমে বক্তব্য দেয় সেনাসদর। হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্টকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয় বলেও মন্তব্য করা হয়েছে সেনাসদরের বিবৃতিতে। এ ছাড়া ২৭ বছর বয়সী এই ছাত্রনেতার বক্তব্যকে অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ব গল্পের সম্ভার হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে সেনাবাহিনী।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে আগস্টে যে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল, তার সূচনা ঘটেছিল সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালে আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মাধ্যমে। পরবর্তী সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠিত হলে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর গঠিত নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় ওই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত তিনজন ছাত্রনেতা দায়িত্ব পালন করেন। তাদেরই একজন নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি নামের একটি নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই দলে দুই আঞ্চলিক মুখ্য সমন্বয়কের পদ পান হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।

নেত্রর প্রতিবেদনে বলা হয়, তার (হাসনাত আবদুল্লাহ) পোস্টের পর ওই রাতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সেখানে নেত্র নিউজের একজন প্রতিবেদক হাসনাত আবদুল্লাহকে প্রশ্ন করেন, সেনানিবাসে তিনি যে বৈঠকটির কথা বলছেন, তা কি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে হয়েছিল কি না। কিন্তু এই বিষয়ে তিনি সরাসরি জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান।

হাসনাত বলেন, আমি তো সেখানে ক্যান্টনমেন্ট উল্লেখ করেছি, আপনারা কথা বলতে পারেন সেখানে। আরেকজন সাংবাদিক তাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেন, কার উদ্যোগে বৈঠকটি হয়েছিল। জবাবে হাসনাত বলেন, সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ও বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন ছিল। এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য আমাদেরকে আহ্বান জানানো হয়েছিল।”’

সংবাদ সম্মেলনের পর নেত্র নিউজের একজন প্রতিবেদক আবারও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বাইনারি বা হ্যাঁ-না জবাব দিতে রাজি হননি।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাদের কাছে পাঠানো বিবৃতিতে সেনাসদর নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে সেনাপ্রধানের সঙ্গেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল, তবে ওই বৈঠক ছাত্রনেতাদের আগ্রহেই হয়েছিল বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়।

সেনাসদরের বিবৃতি উল্লেখ করে নেত্রর প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সারজিস আলম দীর্ঘদিন যাবৎ সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ইচ্ছা পোষণ করছিলেন। পরবর্তীতে সারজিস আলম ১১ই মার্চ ২০২৫ তারিখে সেনাপ্রধানের মিলিটারি এডভাইজারকে ফোন দিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিলিটারি এডভাইজার তাদেরকে সেনাসদরে আসার জন্য বলেন। অতঃপর ১১ই মার্চ দুপুরে সারজিস আলম এবং হাসনাত আবদুল্লাহ সেনাসদরে না এসে সরাসরি সেনাভবনে সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করেন। পরবর্তীতে সেনাপ্রধান অফিস কার্যক্রম শেষ করে সেনা ভবনে এসে তাদের সঙ্গে দেখা করেন।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদেন বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে ছাত্রনেতাদের বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল, তা নেত্র নিউজ স্বতন্ত্রভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিটের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পৃথকভাবে নেত্র নিউজকে বলেছেন যে ছাত্রনেতাদের আগ্রহ ও উদ্যোগেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে বহু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে সেনাবাহিনী ও এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ভূমিকা ছিল। ঐতিহাসিকভাবেই দেশটিতে এখনো রাজনীতি ও বিভিন্ন বেসামরিক কার্যক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর প্রভাব লক্ষ্যণীয়। তবে শেখ হাসিনার পতনপরবর্তী সময়ে বারবার কোনো ধরনের সেনা হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা বা আগ্রহ উড়িয়ে দিয়েছেন সেনাবাহিনীতে মৃদুভাষী হিসেবে পরিচিত জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। কিন্তু তারপরও সেনাবাহিনীর অবস্থান ও ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান অস্বস্তি চাপা দিয়ে রাখা যায়নি।

তবে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের ওই বৈঠক তাদের ব্যক্তিগত কারণে নাকি জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে পুর্বানোমোদিত ছিল সেটি স্পষ্ট হওয়া যায়নি। শনিবার সিলেটে এক ইফতার মাহফিলে জাতীয় নাগরিক পার্টির আরেক নেতা নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী হাসনাতের ওই ফেসবুক পোস্টকে শিষ্টাচার বর্জিত হিসেবে উল্লেখ করেন।


আরও খবর



নওগাঁয় প্রতিবেশীদের মারপিটে এক কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীদের মারপিটে জহিরুল ইসলাম ওরফে খোকন (৫৪) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত জহিরুল ইসলাম খোকনের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে মহাদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মারপিটের ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামে। 

নিহত জহুরুল ইসলাম ওরফে খোকন খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামের মৃত জান বক্সের ছেলে। জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে জহিরুল ইসলাম ওরফে খোকনের ছেলে চার্জার ব্যাটারি চালিত অটো-বাইক যোগে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসে নিজ বাড়ীর নিকটে অটো-বাইকটি রেখে চালক সহ মালপত্র নিয়ে তার বাড়িতে রাখতে যান। এ সময় প্রতিবেশী শাহীন শেখের ছেলে আপন শেখসহ বেশ কয়েকজন যুবক অটো-বাইক রাখাকে কেন্দ্রকরে বিরোধে লিপ্ত হোন এবং এক পর্যায়ে আপন শেখসহ প্রতিবেশী আরো বেশ কয়েকজন জহিরুল ইসলাম খোকন, তার ছেলে শরিফুল ইসলামকে লাঠিদিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে।


তাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসার পর জহুরুল ইসলাম ওরফে খোকনকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বগুড়া নিয়ে যাওয়ার সময় পথে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রাতে মৃতদেহ গ্রামে আনার পর থেকে মারপিটকারী পক্ষের লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দফায় দফায় বসেন ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হত্যা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু নিহতের পরিবার ও স্বজনরা টাকা চাই না ন্যায় বিচার চাই দাবি জানালে ঘটনাটি নিয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে আলোচনার চৃস্টি হয় এবং ঘটনাটি পুলিশ প্রশাসন অবগত করেন নিহতের স্বজনরা।   

এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীন রেজা বলেন, মারপিটে এক জনের মৃত্যু হয়েছে এমন খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।


আরও খবর