Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করলেন প্রধান শিক্ষক

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নওগাঁর মান্দায় ক্লাসে পড়া না হওয়ায় ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে নন এমপিও স্কুলের নামে পরীক্ষা দেওয়ানো সেই প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার মান্দা উপজেলার চক গোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ে।

ঘটনাটি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানার সাথে সাথেই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ। 

এঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষে ১০ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র ইকবাল মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শিক্ষার্থীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো সোমবার বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর ৩য় ঘন্টার গণিত ক্লাসে পড়া না পারার জন্য ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে শরীর রক্তাক্ত জখম করেছেন প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী। তিনি শিক্ষার্থী ইকবালকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি বেতের আঘাত করে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করে বলে এতে আমার পুরো শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। এভাবে আমাদের ক্লাসের ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। তাৎক্ষনিকভাবে আমি নিজের প্রান বাঁচানোর তাগিদে স্কুলে বাহিরে চলে যাই। বিষয়টা এলাকাবাসিকে জানালে তারা উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানায়। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সরেজমিনে বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করেন এবং আমাকে সহ আমার সহপাঠীদের রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে যায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত শরীরের ছবি ও ভিডিও অভিযোগের সাথে জমা দেন বলেও জানায় সে।

প্রতিবেদকের হাতে থাকা ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায় ইকবাল, মাহফুজুর, মুজাহিদ, সাকলাইন, মাহি, রাকিব, সাকিব, রনি, আরাফাত সহ ২০থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিট করা রক্তাক্ত শরীর। তারা সেই ভিডিওতে দাবি করেন প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী তাদের এমন নির্মমভাবে নির্যাতন করেছেন।

এবিষয়ে জানার জন্য প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলীর মুঠোফোনে কল দিলে সে বিভিন্ন বিষয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে পড়ে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।

মারপিটের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, মারপিটের ঘটনা ঘটার পর স্থানীয়রা আমাকে জানান। আমি জানার সাথে সাথেই বিদ্যালয়ে গিয়ে সরেজমিনে দেখে সত্যতা পেয়েছি। আর ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

এব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, আমি ঘটনাটি জানিনা বা আমাকে এই বিষয়ে কেউ জানায় নি। আপনার মাধ্যমেই প্রথম জানলাম। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে বলছি। ক্লাসে পড়া না পারলে কোন শিক্ষার্থীকে কি শারীরিক নির্যাতন করা যাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শারীরিক নির্যাতন তো দূরের কথা শিক্ষার্থী মনোকষ্ট পাবে এমন কথাও বলা যাবেনা।


আরও খবর



আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার ;আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অবদান ও সংগ্রামকে সম্মান জানাতে দিবসটি পালিত হয়। এটি শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার দিন। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য- শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি। স্বাধীনতাণ্ডউত্তর বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে ১ মেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মে দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেন। একইসঙ্গে সরকারি ছুটিও ঘোষণা করেন।

১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের যে মার্কেটের শ্রমিকরা উপযুক্ত মজুরি আর দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। কল-কারখানা তখন গিলে খাচ্ছিল শ্রমিকের গোটা জীবন। অসহনীয় পরিবেশে প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা কাজ করতে হতো। সপ্তাহজুড়ে কাজ করে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য একেবারে ভেঙে যাচ্ছিল।

শ্রমজীবী শিশুরা হয়ে পড়েছিল কঙ্কালসার। তখন দাবি উঠেছিল, কল-কারখানায় শ্রমিকের গোটা জীবন কিনে নেওয়া যাবে না। ৮ ঘণ্টা শ্রম দিনের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের সময় ওই বছরের ১ মে শ্রমিকরা ধর্মঘট আহবান করে, প্রায় তিন লাখ মেহনতি মানুষ ওই সমাবেশে অংশ নেয়। আন্দোলনরত ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের রুখতে গিয়ে একসময় পুলিশ বাহিনী শ্রমিকদের মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিরস্ত্র শ্রমিক নিহত হন, আহত ও গ্রেপ্তার হন আরো অনেক শ্রমিক। পরে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে গ্রেপ্তার শ্রমিকদের মধ্য থেকে ছয়জনকে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

কারাগারে বন্দিদশায় এক শ্রমিক নেতা আহত হন। এতে বিক্ষোভ আরো প্রকট আকারে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। মে দিবসের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান আজকের শ্রমিক শ্রেণিকে আগলে রেখেছে। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামী চেতনা এখন শ্রমজীবীদের ভূষণ। ১৮৮৬ সালের রক্তঝরা সেই ১ মে এখন সবার কাছে অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জোর সংগ্রামের শপথ গ্রহণের দিন। তাই তো সুকুমার ভট্টাচার্য লিখেছিলেন- হারাবার কিছু ভয় নেই শুধু শৃঙ্খল হবে হারা/জন কল্লোলে উত্তাল নদী মোহনায় দিশেহারা।। তুফানে তুফানে তুলেছে আওয়াজ সইবো না/আজন্ম কাঁধে শোষণের চাকা বইবো না/এবার লড়াই, এবার লড়াইয়ে অস্ত্র শানিয়ে দাঁড়া।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নত কর্মপরিবেশ, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতাসহ সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-মান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল থেকে যেকোনো শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে, জরুরি চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্যেও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। আমরা রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের সার্বিক কল্যাণে আর্থিক সহায়তা প্রদানে একটি কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করেছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। সব সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শ্রমিক সমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো দিনটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ও টকশো সম্প্রচার করবে। এচাড়া আজ বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করবে জাতীয় শ্রমিক লীগ।

সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেবেন।

 


আরও খবর



ঈদের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ৭ সিনেমা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

ঈদুল আজহার সিনেমা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে বিনোদনপাড়ায়। রুপালি পর্দার শিল্পী, পরিচালক ও প্রযোজকরা জানান দিচ্ছেন কোন কোন সিনেমা নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন তারা। গত ঈদেও প্রেক্ষাগৃহে চলেছে আটটি সিনেমা। এগুলোর মধ্যে এখনো লিডার: আমিই বাংলাদেশ’, ‘কিল হিম’, ‘জ্বীন’, ‘লোকাল’, ‘আদমসিনেমাগুলো রয়েছে দর্শক আগ্রহে, চলছে প্রেক্ষাগৃহে। আগামী ঈদে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক মাতাতে আসছে যেসব সিনেমা, তা নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।

প্রিয়তমা
গত বুধবার রাতে প্রকাশ্যে আসে শাকিব খান অভিনীত প্রিয়তমাসিনেমার প্রথম লুক। ঈদুল আজহায় মুক্তি দেয়ার প্রত্যাশা নিয়েই নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্রটি। হিমেল আশরাফ পরিচালিত এ ছবিতে শাকিবের নায়িকা হিসেবে থাকছেন কলকাতার টিভি সিরিয়ালের অভিনেত্রী ইধিকা পাল। ছবির পোস্টার সামনে আসতেই শাকিব খানের প্রশংসা করছেন অনেকে। ছবিটি ঈদুল আজহায় মুক্তি দেয়ার কথা জানিয়ে নির্মাতা হিমেল আশরাফ বলেন, প্রিয়তমায় নতুনভাবে হাজির হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন শাকিব। পরিবর্তন এনেছেন নিজের লুকেও। অপরিপাটি, অগোছালো লুকের একটি চরিত্র থাকবে। টানা এক মাস শুটিং করে আসন্ন ঈদের তালিকায় রাখা হবে সিনেমাটি।

সুড়ঙ্গ
প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় আসতে চলেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে নিশোর প্রথম সিনেমা সুড়ঙ্গ। গত বুধবার প্রকাশ পেয়েছে সিনেমার টিজার। রায়হান রাফী পরিচালিত এই সিনেমায় নিশোর বিপরীতে জুটি বেঁধেছেন তমা মির্জা। মার্চের প্রথম সপ্তাহের দিকে শুরু হওয়া এই সিনেমার শুটিং চলেছে কয়েক লটে। নির্মাতা সূত্রে জানা যায়, সিনেমার শুটিং শেষ, গানের দৃশ্যধারণ কিছুটা বাকি আছে। সেটাও শিগগিরই শেষ করে ঈদে মুক্তির প্রস্তুতি নেবে সিনেমাটি।

প্রহেলিকা
ঈদে মুক্তির তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত সিনেমা প্রহেলিকা। এই সিনেমা দিয়েই বিরতি ভেঙে পর্দায় ফিরেছেন অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ। ছবিটিতে তার বিপরীতে রয়েছেন অভিনেত্রী শবনম বুবলী। পান্থ শাহরিয়ারের গল্প, সংলাপ ও চিত্রনাট্য অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। ছবিটি মুক্তি প্রসঙ্গে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘সিনেমাটির এখনো কিছু কাজ বাকি আছে, যা আগামী মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। আমি আগামী ঈদে ছবিটি মুক্তি দিতে চাই।

ক্যাসিনো
নির্মাতা সৈকত নাসির নির্মাণ করেছেন ক্যাসিনোসিনেমা। এর আগে বেশ কয়েকবার মুক্তির কথা থাকলেও নানা কারণে মুক্তি পায়নি সিনেমাটি। এবার ঈদুল আজহায় সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে জানান নির্মাতা। তিনি বলেন, ছবিটি খুব শিগগির সেন্সরে জমা দেয়া হবে। তারপর মুক্তির সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া ছবিটির ট্রেলার প্রকাশ পাবে, আশা করছি ট্রেলার দর্শকদের মুগ্ধ করবে। সিনেমাটিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন নিরব হোসেন এবং শবনম বুবলী।

অন্তর্জাল
সাইবার যুদ্ধের গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমা অন্তর্জাল। দীপঙ্কর দীপনের সাইবার থ্রিলার এই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে এই ঈদুল আজহায়। অন্তর্জালের গল্প লিখেছেন দীপঙ্কর দীপন, সাইফুল্লাহ রিয়াদ ও আশা জাহিদ। এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে সিয়াম আহমেদ, বিদ্যা সিনহা মিম, সুনেরাহ বিনতে কামাল, এ বি এম সুমনকে।

নেত্রী দ্য লিডার

দুই বছর আগে নেত্রী দ্য লিডারসিনেমার মহরত অনুষ্ঠিত হয়। শুটিংও শেষ হয়েছে অনেক আগেই। সিনেমাটি নিয়ে ঈদে দর্শকদের মাঝে হাজির হবেন বলে জানিয়েছেন সিনেমাটির অভিনেত্রী বর্ষা। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনন্ত জলিল ও বর্ষা। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন দক্ষিণ ভারতীয় নির্মাতা উপেন্দ্র মাধব।। এতে আরও অভিনয় করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও কাজী হায়াত। এ ছাড়া রয়েছেন বলিউডের কবির দুহান সিং, তরুণ অরোরা, প্রদীপ রাওয়াত প্রমুখ।

লাল শাড়ি

গত ঈদুল ফিতরে মুক্তির কথা থাকলেও মুক্তি পায়নি সরকারি অনুদানের সিনেমা লাল শাড়ি। জানা যায়, এই ঈদে সিনেমাটি মুক্তি দেয়ার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। এই সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন অপু বিশ্বাস ও সাইমন সাদিক। অভিনয়ের সঙ্গে এই সিনেমার প্রযোজকও এই নায়িকা। এতে আরও অভিনয় করেছেন দিলরুবা দোয়েল, সুমিত সেনগুপ্ত, রাশেদ মামুন অপু, শহীদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।


আরও খবর

কান উৎসব মাতিয়ে তুললেন সানি লিওন

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




তীব্র তাপপ্রবাহ গ্রাস করছে এশিয়াকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

বিশ্বের বৃহত্তম মহাদেশ এশিয়ার বিভিন্ন অংশে যেভাবে ফোস্কাপড়া তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে, তাতে চলতি ২০২৩ সাল পৃথিবীর উষ্ণতম বছর হতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন জলবায়ুবিদরা।

এল নিনো ধরনের আবহাওয়ার প্রভাবে ২০২৩ সালের শীত শেষ হতে না হতেই তাপমাত্রার পারদ যেভাবে চড়ছে, তা বিশ্বের উত্তর গোলার্ধের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর জন্য রীতিমতো অশনি সংকেত বলে মত বিশ্বের জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের।

রোববার ভিয়েতনামের গড় তাপমাত্রা ছিল ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটির ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। তাপমাত্রার প্রভাবে বিদ্যুতের চাহিদায় আকস্মিক উল্লম্ফন এবং তার জেরে ভিয়েতনামে প্রায় ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। প্রতিবেশী দেশ লাওসেও এ দিন রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রা ছিল। দক্ষিণপূর্ব এয়িশার অপর দেশ ফিলিপাইনে প্রায় প্রতিদিন তাপমাত্রার সূচক বিপজ্জনক পর্যায়ে থাকায় স্কুলের সময়ঘণ্টা কমাতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

তাপপ্রবাহ থেকে থেকে মুক্তি পাচ্ছেনা ফিলিপাইনের দুই প্রতিবেশী থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়াও। গত সপ্তাহে প্রতিদিনই থাইল্যান্ডের উত্তর ও মধ্যাঞ্চালে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। তাপপ্রবাহের কারণে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদাও। থাই জলবায়ুবিদরা সরকারের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, সামনের তিন বছর দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে খরা দেখা দিতে পারে; সরকারের উচিত আসন্ন এই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা।

খরার আশঙ্কায় আছে মালয়েশিয়াও। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি বছর মালয়েশিয়ায় বৃষ্টিপাত কমে যেতে পারে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। যদি সত্যিই এমন হয়, সেক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পাম ওয়েল উৎপাদনকারী এই দেশটির ভোজ্যতেলের মূল কাঁচামাল পামের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বৈশ্বিক জলবায়ুবিদদের মতে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে শুরু হতে যাওয়া এল নিনো আবাহাওগত প্যাটার্ন এই দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রাবাহের জন্য মূলত দায়ী এবং একে আরও অসহনীয় করে তুলছে মানবসৃষ্ট কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাপারটি।

স্প্যানিশ ভাষার দুই শব্দ এল নিনো এবং লা নিনার আক্ষরিক বাংলা অর্থছোটো খোকা ও ছোটো খুকী। তবে গত কয়েকশ বছর ধরে এই শব্দ দুটি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলের জলবায়ুগত অবস্থা বা চক্রকে বোঝানো হয়। এই চক্রের একটি অংশের নাম এল নিনো অপরটির নাম লা নিনা

কোনো কোনো বছর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলীয় দেশ পেরু, ইকুয়েডর ও চিলির উপকূলে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে এক প্রকার উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়। গড়ে প্রতি ৬ থেকে ৭ বছর অন্তর অন্তর বিশেষ এই ব্যাপারটি ঘটে।

এই উষ্ণ স্রোতের কারণে দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী শীতল সামুদ্রিক স্রোতের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলের সমুদ্রে বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উদ্ভিদ প্ল্যাংকটনের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং মাছের উৎপাদন কমে যায় এবং স্থলভাগের তাপমাত্রা বাড়ে।

এল নিনোর প্রভাবে প্রশাসন্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খরা বা অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। কোনো কোনো অঞ্চলে অতিবর্ষণও ঘটে থাকে।

সাধারণত ২ থেকে ৪ বছর স্থায়ী হয় এল নিনো। তারপরই আসে লা নিনা। সে সময় এল নিনোর বিপরীত অবস্থা দেখে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিভিন্ন দেশ।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের জলবায়ু মডেলগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছর প্রশান্ত মহাসাগরে লা নিনা আবহাওয়া প্যাটার্ন ছিল। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের চাপ থাকা সত্ত্বেও খানিকটা কম ছিল বৈশ্বিক তাপমাত্রা; কিন্তু চলতি বছরের মাঝামাঝি বা তার কিছু পর থেকে লা নিনা শেষ হবে, শুরু হবে এল নিনো প্যাটার্ন।

গত প্রায় তিন বছর ধরে খরা চলছে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশভুক্ত আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাংশে। বৈশ্বিক জলবায়ুবিদদের মতে, এল নিনোর প্রভাবে হয়ত চলতি বছরই এই খরার অবসান হবে, কিন্তু একই সময়ে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়তে থাকবে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়াসহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল।

আর এসব জায়গায় টানা ও দীর্ঘমেয়াদী তাপপ্রবাহের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কফি, চিনি,পাম তেল ও কোকোয়ার মতো কৃষিপণ্যের উৎপাদন।


আরও খবর



দুই বছর সাজাভোগ করে দেশে ফিরল ১০ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

দুই বছর সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলো ১০ বাংলাদেশি যুবক। ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা দেশে ফেরেন। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

ফেরত আসারা হলেন, আরিফ মোল্লা (২৭), কোরবান আলী (৩৫), পান্নু মোল্লা (৩৮), সোলাইমান (৩০), শরিফ (২৪), সাইফুল ইসলাম (২৪), ইয়াছিন শেখ (২৪), নজিবুল ইসলাম (২২), সুমন্ত মন্ডল (২৩) ও সোহেল হাওলাদার (২৬)। ফেরত আসাদের বাড়ি রাজবাড়ি, বগুড়া, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা ১০ বাংলাদেশিকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিক এন্ড কেয়ার নামের একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

জাস্টিক এন্ড কেয়ারের ফিল্ড অফিসার রোকেয়া পারভিন বলেন, ফেরত আসারা ভালো কাজের আশায় ভারতের চেন্নাই শহরে গিয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন পেশায় কাজ করার সময় তারা সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হয়। পুলিশ তাদের আদালতে পাঠালে আদালত তাদের দুই বছরের সাজা দেন। সেখান থেকে ত্রিজি নামের একটি এনজিও সংস্থা ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। বৃহস্পতিবার বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরেছে তারা। তাদের যশোরে নিয়ে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে।


আরও খবর

সহায়ক হতে পারে মার্কিন ভিসা নীতি

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




ইলিশ ধরতে নিষেধাজ্ঞা নেই

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১১১জন দেখেছেন

Image

ইলিশ ধরতে সরকারঘোষিত নিaষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গতকাল মধ্যরাতে। তাইতো নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরই ইলিশ ধরতে সাগরপানে ছুটে গেছেন হাজারো জেলে। শত-শত নৌকায় করে জেলে ছুটেছেন নদী-সাগরে। এতে কয়েকদিন ধরে প্রাণহীন থাকা জেলে পল্লীগুলোতে আবার চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। জেলে পল্লীগুলোতে বইছে আনন্দ।

দেশের ইলিশসম্পদ রক্ষায় সরকার প্রতি বছরই ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল অভয়াশ্রম কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। ২০০৬ সাল থেকে মার্চ ও এপ্রিল চাঁদপুরের বিস্তীর্ণ নদী সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সেই অভয়াশ্রমের নির্দিষ্ট সময়সীমা ৩০ এপ্রিল রাত ১২টায় শেষ হয়।

নিষেধাজ্ঞার কারণে দুই মাস জেলেরা নির্বিঘ্নে নদীতে মাছ শিকার করতে পারেননি। তাইতো অভয়াশ্রম শেষে মাছ ধরার আনন্দে জেলে পল্লীতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাঁদপুরের মেঘনা ও পদ্মা নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এ সময় ৪০ হাজার নিবন্ধিত জেলেকে পুনর্বাসনের চাল দেয়া হয়। তবে নিবন্ধনবিহীন জেলে রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার। সাহায্য থেকে বঞ্চিত ছিলেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বলেন, এবার অভিযান সফল হয়েছে। অভিযান সফল করতে যেসব বিভাগের সহযোগিতা চেয়েছি তা পেয়েছি।

নৌ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, দুই মাসের অভিযানে সহস্রাধিক জেলেকে আটক করেছি। জাটকা রক্ষায় এবার বেশি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ায় মাছ ধরতে এখন আর বাধা নেই। জেলেরা উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ ধরতে নেমেছে।

 


আরও খবর