Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সরগরম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ

নওগাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সরগরম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ শতভাগ ফিরে এসেছে বলে বিদ্যালয় গুলোর প্রধান শিক্ষকগন জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন ও শেষে বৈষম্য বিরোধী সরকার পতনের একদফা দাবীর চলমান আন্দোলনে নিরাপত্তার কারণে তৎকালীন হাসিনা সরকারের বন্ধ করে দেওয়া বিদ্যালয় গুলো আবারও গত ৬ আগষ্ট খোলার নির্দেশ দিলে ৬,৭,৮ আগষ্ট নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সকল বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সংখ্যা ছিল একেবারেই নগন্য। দেশের এই সংকট মহুর্তে অবিভাবকগন তাদের ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে সহস পেত না ফলে বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা একেবারে কমে গিয়েছিল। এর পর দেশের চলমান পরিস্থিতি ক্রমে অগ্রগতি হওয়ায় ও অন্ত:বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়ায় অবিভাকদের মনের সংকট ক্রমেই কেটে যেতে শুরু করে এবং তাদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে শুরু করে। বর্তমানে উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় প্রত্যেকটি স্কুল শিক্ষার্থীর সমাগমে বেশ আগের মতই সরগরম হয়ে উঠেছে। সাপাহার রাজ্যধর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ও আলহেলাল ইসলামী একাডেমী এন্ড কলেজ এর শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান যে, দেশের চলমান পরিস্থতিতে অবিভাবকগন প্রথম দিকে তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পেলেও পরবর্তীতে তারা দেশের তরুন সমাজের উদ্যোগে দেশকে এগিয়ে নিতে দেখে খুশি হয়ে গত ৯ আগষ্ট হতে তাদের ছেলে মেয়েদের র্নিদিধায় বিদ্যালয়ে পাঠাতে শুরু করে এবং বর্তমানে শত:স্ফ্রত ভাবে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে থাকে। বর্তমানে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৭% থেকে ৯৮% শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলার বৃহত বিদ্যাপিঠ আলহেলাল ইসলামী একাডেমী এন্ড কলেজে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ শাখায় ১ হাজার ৭শ' ৪৬ জন। মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক হতে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ৮শ' ৮৮ জন এবং রাজ্যধর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাক প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত  ৬শ' ১৮ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে বলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন জানিয়েছেন। 



আরও খবর



কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক সাগর রুনি ও রুবেল হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মাহাবুব হোসেন,কুমারখালী(কুষ্টিয়া)

বাংলাদেশের আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী ও কুষ্টিয়ার সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ আগস্ট) কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১ টাই কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) (রেজি নং-২০৬৯) এর  আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চুর সভপতিত্বে মানববন্ধন পরিচালনা করে সাধারন সম্পাদক শামিম-উল হাসান অপু। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি লুৎফর রহমান কুমার, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুন্নবী বাবু, দপ্তর সম্পাদক এস,এম মাহফুজ-উর রহমানসহ সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার আল মামুন সাগর, প্রবীন সাংবাদিক দৈনিক কুষ্টিয়া বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম ও কুমারখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মাহমুদ।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, গত এক যুগে ১১১বার সাগর-রুনী হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়েছে। আওয়ামী সরকার নিজের দোষ গোপন রাখতেই সাগর-রুনী হত্যা কান্ডের বিচার না করে প্রহোসন করেছে। বর্তমানে নির্দলীয় অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে সাগর-ররুনী হত্যা কান্ডের বিচারের জোর দাবি জানান এছাড়াও কুষ্টিয়ার হাসিবুর রহমান রুবেল হত্যা কান্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, অতি পরিকল্পিত ভাবে রুবেলকে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয়া হয়। এই হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রশাসনের স্বার্থলোভী কর্মকর্তা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা হত্যা করা হয়। এই হত্যার যেনো কোনভাবে বিচার না হয় সে জন্য নৌ পুলিশের কাছে মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে। এখন সময় এসেছে রুবেলের হত্যাকারিদের শনাক্ত করার। দ্রুত রুবেল হত্যা কান্ডের জট খুলে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাংববাদিকদের কলম থামিয়ে দিতে কালো আইনের সমালোচনা ও বাতিলের দাবি জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, আওয়ামী সরকার তার রাজত্ব্য কায়েম ও নির্বিগ্নে জুলম নিপিরন চালিয়ে যেতে সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা নামক কালো আইন পাশ করে। এই আইনের মাধ্যমে দেশের অনেক সাংবাদিক মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে। স্বাধীন সাংবাদিকতা ও সত্যকে সত্য বলে তুলে ধরার ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয় এ আইনের মাধ্যমে। তাই বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে অবিলম্বে এ কালো আইন বাতিলের দাবি জানান তারা

আরও খবর



রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী ::


রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। রোববার  (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয় । মিছিলে স্লোগান ছিল  "লিটনের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও " খুনিদের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও " হই হই রই রই ডাবলু তুই গেলি কই " আরো বিভিন্ন স্লোগানে মিছিলটি রেলগেট দিয়ে নগর ভবন এসে শেষ হয় এবং রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে। এতে শিক্ষার্থীরা রাজশাহীতে গত ৫ আগস্টের হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা বলেন, রাজশাহীতে শুরু থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু এই আন্দোলনে বারবার হামলা করেছে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ বাহিনী। আন্দোলন করায় কোনো শিক্ষার্থীরা বাসায় বা মেসে থাকতে পারেননি। তখন সব বাহিনীই শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারে উঠেপড়ে লাগে। কিন্তু হামলাকারী একজনকেও এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি।

শিক্ষার্থীরা জানান, ৫ আগস্ট বিজয়ের ঠিক আগমুহূর্তে নগরের আলুপট্টিতে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ হামলা চালায়। সেদিন আওয়ামী লীগ ও তাদের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করেন। সাকিব আনজুম নামের এক শিক্ষার্থীর গায়ে গুলি লাগলে তিনি লুটিয়ে পড়েন। পরে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ আগস্ট আলী রায়হান নামের আরেকজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছিল। এসব ঘটনায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপিতে  বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছেন, জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ও লাঠিয়াল বাহিনীর অংশ হয়ে এখানে যারা নিরীহ সাধারণ ছাত্রদের বুকে গুলি চালিয়েছে, বহু মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে, বহু মায়ের কোল খালি করেছে, সেই ঘৃণ্য সন্ত্রাসীরা আইন ও আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখনো সদর্পে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে সন্ত্রাসীদের এমন নিষ্কৃতি ও বাধাহীন পথচলা জুলাই বিপ্লবের মৃত্যুঞ্জয়ী শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহীতে ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত যেসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে অবিলম্বে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এর কোনো রূপ ব্যত্যয় ঘটলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের একজন ফাহিম রেজা বলেন, এই জুলাই বিপ্লব রাজশাহীবাসীর রক্তে কেনা। এই রক্তের দাগ রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে ছিল। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তাঁরা দেখেছেন নগর ভবনে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এটাকে মেয়র ক্যান্টনমেন্ট বানিয়েছিলেন। ৫ আগস্ট বিজয়ের আগমুহূর্তে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ হামলা করে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। কিন্তু এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।

ফাহিম আরও বলেন, ‘আপনারা যদি গ্রেপ্তার না করেন, এই ছাত্র-জনতা জড়িতদের ইঁদুরের গর্ত থেকে বের করে আনবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পোশাক পরতে সাহস পাচ্ছিল না। এই শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা দিয়েছেন। কিন্তু আপনারা এখনো কাজ করছেন না। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে বলে জানান তিনি।

উক্ত সমাবেশ বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করার সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোঃ রাশেদ রাজন, মুজাহিদ বাবু, আব্দুর রহিম, মাসুম, ফাহিম রেজা, নওশাদ জামান, নুরুল ইসলাম শহিদ সহ নগরীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আরও খবর



সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীয়ার ১৩তম ওরশ শরিফে লাখো ভক্ত-জনতার ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

ত্বরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার বৈশ্বিক রূপদানকারী, ইমামে আহলে সুন্নাত, শাইখুল ইসলাম হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.) এর ১৩তম ওরশ শরিফ হাজারো ভক্ত জনতার উচ্ছ¡াস উদ্দীপনায় মাইজভাণ্ডার  দরাবর শরিফে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫দিনব্যাপ ওরশ শরীফের ১৯ আগস্ট শেষ দিনে  অশান্ত সংঘাতমুখর পরস্থিতি থেকে দেশ ও বিশ্ববাসীর পরিত্রাণ কামনায় আখেরি মুনাজাতে সামিল হন হাজার হাজার আশেক,ভক্ত-জনতা। দেশের প্রতিকূল পরিস্থিতি উপেক্ষা করে সারা দেশ থেকে শত শত পরিবহনে ওরশ শরিফে যোগ দেন অসংখ্য মানুষ। ওরশ শরিফ উপলক্ষে আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়াসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া শরীফ, ফ্রি চিকিৎসা, রক্তের গ্র“প নির্ণয়, মাদক ও যৌতুকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর, মহান মুর্শিদ কেবলার (ক.) রওজা শরিফে গিলাফ চড়ানো, জিয়ারত, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, হুজুর কেবলার জিবনী আলোচনা, মিলাদ মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ওরশ শরীফ মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে হুজুর কেবলার স্থলাভিষিক্ত খেলাফতপ্রাপ্ত আওলাদ, মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান  হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ম.জি.আ.) বলেন,বিশ্বে আজ নিরপরাধ মানবতার চরম অপমান-নিগ্রহ চলছে। শান্তিকামী নিরীহ মানুষের ওপর শক্তিধর মানুষের প্রবল শোষণ নিপীড়ন আজ মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। নিপীড়ন-শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি শান্তিময় পৃথিবী ও মানবিক সমাজ গড়তে আজীবন দিশারীর ভূমিকা রেখেছেন হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.)। তিনি বলেন, মাইজভাণ্ডারী মহাত্মাদের জীবন দর্শনের কর্মসূচির মাধ্যমে নিষ্পেষিত মানবতার বিপন্ন অবস্থা থেকে নিস্কৃতি সম্ভব। দেশে শান্তি ও জননিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে মাইজভাণ্ডারী মহাত্মাদের শান্তিবাদী গণমুখী দর্শনের পূর্ণাঙ্গ অনুসৃতি প্রয়োজন বলে তিনি মতব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আউলিয়ায়ে কেরামের প্রদর্শিত ইসলামের শান্তি-দর্শন ও অহিংস নীতি ব্যক্তি, পরিবার, অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনে অনুসরণ করলে বর্তমান নিগৃহীত অবস্থা থেকে পরিত্রাণ মিলবে। খোশরোজ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন মইনীয়া যুব ফোরামের সভাপতি শাহ্জাদা সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী (ম.জি.আ.), কার্যকরী সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী (ম.জি.আ.), সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ্জাদা সৈয়দ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী (ম.জি.আ.)। হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীর ট্রাস্টের মহাসচিব অ্যাড.কাজী মহসিন চৌধুরী, আন্জুমান কেন্দ্রীয় মহাসচিব শাহ্ মোহাম্মদ আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী। আন্জুমান কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আলহাজ্ব কবির চৌধুরী, মাওলানা মুফতী বাকী বিল¬াহ্ আল-আযহারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম মুহাম্মদ খান সিরাজী,মাওলানা মুফতী এইচএম মাকসুদুর রহমান, মাওলানা বাকের আনসারী, মাওলানা মুহাম্মদ হাসান, মাইজভাণ্ডার রহমানিয়া মইনীয়া দরসে নেজামী মাদরাসা হেফজখানা ও এতিমখানার সুপার মাওলানা হাফেজ নাজের হুসাইন প্রমুখ। সালাত-ছালাম পরিবেশন শেষে অশান্ত নিগৃহীত অবস্থা থেকে দেশ ও বিশ্ববাসীর নাজাত কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন পীরে ত্বরীকত মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী (ম.জি.আ.)।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীসহ ৯৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
নাঈম তালুকদার - সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::

গত ৪ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগের নির্দেশে ছাত্র জনতার উপর বর্বর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে দ্রুত বিচার আইনে সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 


সোমবার দুপুরে ছাত্র আন্দোলনে জখমীর বড় ভাই দোয়ারাবাজর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের নাজির আহমেদের ছেলে হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, এড. রনজিৎ সরকার, সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট,  সাধারন সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখত, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, ঘটনাকালীন দ্বায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস ও সদর থানার তৎকালীন ওসি খালেদ চৌধুরীসহ ৯৯ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ই আগস্ট সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্টেন্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলা আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা  ছাত্রদের উপর গুলি করে, রামদা দিয়ে কুঁপিয়ে, রড হাতুড়ি দিয়ে পিঠিয়ে লাশ গুম করার হুকুম দেয়া হয়।

হুকুম পেয়ে আ’লীগের সন্ত্রাসীবাহিনী ছাত্রদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। রামদা, রড, হকিস্টিক, পেট্রোল-বোমা, ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় একটি ভীতিকর পরিস্থিতিরি সৃষ্টি করা হয়। এমনকি এ সময় অবৈধ পিস্তল দিয়েও হামলা চালায় নিরীহ ছাত্রদের উপর। এতে করে অসংখ্য ছাত্র ও জনতা মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হন। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এ হামলার হাত থেকে বাঁচতে লুকিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেও রক্ষা পাননি শিক্ষার্থীরা। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস ও ওসি খালেদা চৌধুরী নিজ হাতে শর্টগান দিয়ে গুলি করে পা ঝাঝড়া করে দেন। প্রানে বাঁচার জন্য অপর আহত রিপন একটি বাসায় সিএনজির পেছনে লুকিয়ে পড়লেও ওসি খালেদ চৌধুরী তাকে লক্ষ্য করে তার পায়ে গুলি করে পা ভেঙ্গে দেন। তাদের চিৎকার শুনে কিছু গণমাধ্যমকর্মীরা এগিয়ে এসে তাকে একটি রিক্সায় করে হাসপাতালে পাঠান। সেখানেও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা চিকিৎসা নিতে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট পাঠানো হয়। 


এভাবে গত ৪ই আগস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশের কিছু অসাধু কর্মী শিক্ষার্থী ও সাধারন জনগনের উপর নির্মম অত্যাচারে মেতে উঠে। এ সময় অসংখ্য শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ পথচারী সাধারন জনতাও মারাত্মকভাবে জখম প্রাপ্ত হন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান বাদী হাফিজ আহমদ ।


এ ব্যাপারে বাদীর আইনজীবী মোশাহিদ আলম জানান, আদালতের বিচারক নির্জন মিত্র মামলাটি গ্রহণ করে সুনামগঞ্জ সদর থানাকে এফ আই আর এর  জন্য নির্দেশ  দিয়েছেন।

আরও খবর



স্বস্তি ফেরেনি নিত্যপণ্যের বাজারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে যেন স্বস্তি ফিরছে না কিছুতেই একদিকে দাম কমলে অন্যদিকে শুরু হয় বাড়ানোর পাঁয়তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ে বরাবরই ভোক্তাদের অভিযোগ থাকলেও নানা অজুহাত নিয়ে বিক্রেতারাও থাকেন সদা প্রস্তুত গত সপ্তাহেও বাজারে মাছ-মাংসের দাম কিছুটা কম ছিল কিন্তু কয়েকদিনের ব্যবধানে আজ বাজারে দেখা দিয়েছে অস্বস্তি

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা করে, যা গত সপ্তাহেও ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। বিক্রেতাদের দাবি, সম্প্রতি বৃষ্টি বন্যার কারণে ফসল, মাছ মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বাজারে কমে গেছে পণ্যের সরবরাহ। ফলে দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী

বাজার দেখা যায়, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। খাসির মাংস ১০৫০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকায়

অন্যদিকে মাছের বাজারে পাঙাশ, তেলাপিয়া ছাড়া আর কোনো মাছেই তেমন স্বস্তির খবর পাওয়া যায়নি। বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ ১৭০-১৮০ টাকা তেলাপিয়া ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-২৭০ টাকা, কার্প জাতীয় মাছ ৩০০ টাকা, চাষের শিং ৩৫০-৪০০ টাকা, সাগরের পোয়া ৪০০-৬৫০ টাকা বাইলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকায়

মধ্যবাড্ডা এলাকার গরুর মাংস বিক্রেতা শান্ত মিয়া বলেন, আজকের বাজারে গুরুর মাংস বিক্রি করছি ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা। কলিজা বিক্রি করছি ৭৮০ টাকা করে। এছাড়াও গরুর পায়া ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত জোড়া। তবে কেউ কেউ ৭৫০ টাকায়ও বিক্রি করছে। বিষয়টা আসলে নির্ভর করে মাংসের মানের ওপর

এদিকে মুরগির মাংস বিক্রেতা মনসুর আলী বলেন, গত কয়েকদিনে তুলনায় আজ ব্রয়লার মুরগির দামটা একটু বেশি। গত সপ্তাহেও ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আজকে ১৮০ টাকা। বাজারে মুরগির চাহিদা বেশি, কিন্তু সে অনুযায়ী সাপ্লাই নেই। শুনেছি বন্যার কারণে অনেক খামারির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যে কারণে সেই চাপটা এসে পড়েছে বাজারে

তিনি আরও বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মাংসের চাহিদাটা একটু বেড়ে যায়। বাজারে যদি সেই পরিমাণে সরবরাহ না থাকে তাহলেই দাম বেড়ে যায়। এখানে আমাদের কিছুই করার থাকে না

বাজার করতে আসা মাহমুদুল হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি কিন্তু আমাদের আয় তো বাড়েনি। ২টা টিউশনি করিয়ে আগে যা পেতাম, এখনো তাই পাই। কিন্তু যেভাবে সবকিছুর দাম বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো মানুষদের কিছুই কিনে খাওয়ার উপায় নেই


আরও খবর