শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ
নওগাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সরগরম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ শতভাগ ফিরে এসেছে বলে বিদ্যালয় গুলোর প্রধান শিক্ষকগন জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন ও শেষে বৈষম্য বিরোধী সরকার পতনের একদফা দাবীর চলমান আন্দোলনে নিরাপত্তার কারণে তৎকালীন হাসিনা সরকারের বন্ধ করে দেওয়া বিদ্যালয় গুলো আবারও গত ৬ আগষ্ট খোলার নির্দেশ দিলে ৬,৭,৮ আগষ্ট নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সকল বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সংখ্যা ছিল একেবারেই নগন্য। দেশের এই সংকট মহুর্তে অবিভাবকগন তাদের ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে সহস পেত না ফলে বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা একেবারে কমে গিয়েছিল। এর পর দেশের চলমান পরিস্থিতি ক্রমে অগ্রগতি হওয়ায় ও অন্ত:বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়ায় অবিভাকদের মনের সংকট ক্রমেই কেটে যেতে শুরু করে এবং তাদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে শুরু করে। বর্তমানে উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় প্রত্যেকটি স্কুল শিক্ষার্থীর সমাগমে বেশ আগের মতই সরগরম হয়ে উঠেছে। সাপাহার রাজ্যধর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ও আলহেলাল ইসলামী একাডেমী এন্ড কলেজ এর শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান যে, দেশের চলমান পরিস্থতিতে অবিভাবকগন প্রথম দিকে তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পেলেও পরবর্তীতে তারা দেশের তরুন সমাজের উদ্যোগে দেশকে এগিয়ে নিতে দেখে খুশি হয়ে গত ৯ আগষ্ট হতে তাদের ছেলে মেয়েদের র্নিদিধায় বিদ্যালয়ে পাঠাতে শুরু করে এবং বর্তমানে শত:স্ফ্রত ভাবে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে থাকে। বর্তমানে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৭% থেকে ৯৮% শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলার বৃহত বিদ্যাপিঠ আলহেলাল ইসলামী একাডেমী এন্ড কলেজে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ শাখায় ১ হাজার ৭শ' ৪৬ জন। মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক হতে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ৮শ' ৮৮ জন এবং রাজ্যধর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাক প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ৬শ' ১৮ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে বলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন জানিয়েছেন।