Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় দু'জনের যাবজ্জীন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে পালাক্রমে গণধর্ষণের মামলায় দু'জন যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম ও ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, নওগাঁর পোরশা উপজেলার সুরানন্দ গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে সাকিল (২৪) ও আলাদিপুর গ্রামের রবুর ছেলে আব্দুল আলীম (৩০)। রায়ের সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২১ সালের ৮ মার্চ রাতে ১৪ বছর বয়সী স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে সুরানন্দ গ্রামের হাবিবুল্লাহ শাহ্ এর আম বাগানের দো-চালা ঘরে নিয়ে যায় সাকিল। সেখানে সাকিল ও আব্দুল আলীম ঐ ছাত্রীকে জোর পূর্বক পলাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরে ছাত্রী নিজেই থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেলে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। শুনানি শেষে আজ ১০ জন সাক্ষীর বক্তব্যের ভিত্তিতে আদালত দু'জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। এসময় জরিমানার টাকা ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। 

এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামী পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।


আরও খবর



সেনানিবাসে আশ্রয় গ্রহণকারী প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর অবস্থান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সেনানিবাসে আশ্রয় গ্রহণকারীদের প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে সেনাবাহিনী। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর কতিপয় কুচক্রী মহলের তৎপরতায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। ফলশ্রুতিতে, সরকারি দপ্তর, থানাসমূহে হামলা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর আক্রমণ এবং ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মব জাস্টিস, চুরি, ডাকাতিসহ বিবিধ বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।

এ ধরনের সংবেদনশীল ও নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের মনে নিরাপত্তাহীনতার জন্ম নেয়। এমতাবস্থায় ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষার্থে কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। উদ্ভূত আকস্মিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করার চাইতে তাদের জীবন রক্ষা করা প্রাধান্য পেয়েছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার-পরিজনসহ (স্ত্রী ও শিশু) সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।

এতে বলা হয়, ‘সেসময়ে শুধু মানবিক দায়বদ্ধতার কারণে আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয় প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। পরিস্থিতি উন্নয়ন সাপেক্ষে, আশ্রয় গ্রহণকারীদের বেশিরভাগই ১/২ দিনের মধ্যেই সেনানিবাস ত্যাগ করেন এবং এর মধ্যে ৫ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ/মামলার ভিত্তিতে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।

এতে বলা হয়, ‘সেনানিবাসে অবস্থানকারী ও আশ্রয় প্রার্থীদের ব্যাপারে গত ১৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আইএসপিআর আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং একই দিনে ১৯৩ জন ব্যক্তিবর্গের একটি তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্য ব্যতীত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়- যা ছিল একটি মীমাংসিত বিষয়। সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থী এসব ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষার্থে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাময়িক আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।

আইএসপিরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তৎকালীন বিরাজমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে আশ্রয় প্রার্থীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় গ্রহণকারী ৬২৬ জন ব্যক্তিবর্গের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্যসহ) এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির সাথে সংযুক্ত করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় সকলকে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সাথে জাতির পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।’


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




মাভাবিপ্রবিতে টেক্সটাইল ক্লাবের উদ্যোগে “Tex Quiz – 01” অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি ‎:

‎মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে “Tex Quiz – 01” শীর্ষক একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে টেক্সটাইল ক্লাব।‎

‎সোমবার (২৬ মে) দুপুর ২টায় বিভাগের নির্ধারিত কক্ষে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে টেক্সটাইল বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে আয়োজনটি অত্যন্ত উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।

‎প্রতিযোগিতাটি দুইটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত ছিল — সিনিয়র ও জুনিয়র। প্রতিটি ক্যাটাগরি থেকে সেরা তিনজন করে মোট ছয়জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। কুইজে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ শাখা যেমন— স্পিনিং, উইভিং, নিটিং, ডাইং, ফিনিশিং ও গার্মেন্টস সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হয়।

‎অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণী পর্বে বিভাগের সকল শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

‎টেক্সটাইল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “এই ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের বাস্তব জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে এবং তাদের মধ্যে পেশাগত মনোভাব গড়ে তোলে।”

‎টেক্সটাইল ক্লাবের সভাপতি সাকিব বলেন,Tex Quiz – 01 আয়োজনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের বাইরের জ্ঞান চর্চার সুযোগ করে দিয়েছি। তারা খুব উৎসাহ নিয়ে অংশ নিয়েছে, যা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করতে চাই, যাতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।

‎টেক্সটাইল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাকিব বলেন, “শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই আমাদের সাফল্যের মূল ভিত্তি। আমরা চাই তারা নিয়মিতভাবে এ ধরনের স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করুক।

‎টেক্সটাইল ক্লাবের সহ-সভাপতি মো. হ্নদয় হোসেন বলেন,“Tex Quiz – 01 ছিল আমাদের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা। অংশগ্রহণকারীদের ব্যাপক সাড়া আমাদের ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আয়োজনের জন্য উৎসাহিত করেছে।”

‎উল্লেখ্য, টেক্সটাইল ক্লাব বস্ত্র প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশ, পেশাদারিত্বের উন্নয়ন, উদ্যোক্তা মনোভাব গড়ে তোলা এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় টেক্সটাইল পেশাজীবীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংযোগ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।


আরও খবর



‘দাঁড়িপাল্লা’ ফেরত পাচ্ছে জামায়াত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৪ জুন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রতীকের বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিয়ে নিয়েছি। একই প্রজ্ঞাপনে ২০০৮ সালে দলটিকে প্রতীকসহ নিবন্ধন দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতীক কোনো দলকে দিলে সেটি সেই দলের জন্য সংরক্ষিত থাকে আরপিও অনুযায়ী। দলটি প্রতীকসহ নিবন্ধন পাবে।

ডিএসসিসি নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণ বিশদভাবে দেখা হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা রেফারেন্সগুলোও দেখেছি। আমরা মনে করি, গেজেট প্রকাশ করার মধ্যে ইসি তার কাজ সম্পন্ন করেছে।

এর আগে, আজ আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় জামায়াতে ইসলামীকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।


আরও খবর



৯ দিনে ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও কয়েক হাজার রোগী আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশেও সম্প্রতি পাওয়া যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগী। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি মাসের প্রথম ৯ দিনে ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা এখনই আতঙ্কিত না হয়ে জরুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।

সোমবার (৯ জুন) রাতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, আবহাওয়ার কারণে মানুষ জ্বর, সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট পরিবর্তিত হয়েছে, যার ফলে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে আগের মতো উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি যেমন- হাত ধোয়া, মাস্ক পড়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, এগুলো মেনে চললে করোনা থেকে সুরক্ষা থাকা সম্ভব।

তিনি বলেন, করোনার সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়েও সচেতন হতে হবে। একসঙ্গে দুটি ভাইরাসে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। সুতরাং, আমাদের প্রতিরোধের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। লক্ষণ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। যাদের অন্যান্য রোগ আছে, তারা করোনা আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বিশেষ করে বয়স্ক যারা তাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য জটিল রোগ আছে, তারা আক্রান্ত হলে জটিলতা তৈরি করতে পারে। এজন্য এখনই সচেতন হতে হবে।

গত দুই সপ্তাহ ধরে দেশে নতুন করে করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগের দিন চার জনের নমুনা পরীক্ষায় তিন জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে শনাক্ত বেড়েছে প্রায় ৬৭ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ছয় জন।

এদিকে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক ব্যবহারে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে একজনের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, করোনায় মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি পুরুষ। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ৪ জুন এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট বিশেষ করে অমিক্রনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ হতে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণরত নাগরিকদের জন্য দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমান বন্দরের আইএইচআর ডেস্কগুলোতে সার্ভেল্যান্স জোরদার এবং রিস্ক কমুনিকেশন কার্যক্রম জোরদার করতে সচেতনতামূলক এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া হয়৷

সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনায় বলা হয়, বারবার প্রয়োজন মতো সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে (অন্তত ২০ সেকেন্ড), নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে, অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না, হাঁচি-কাশির সময় বাহু, টিস্যু ও কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখতে হবে।

দেশে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থল, নৌ ও বিমান বন্দরগুলোতে আইএইচআর (আইএইচআর ২০০৫) স্বাস্থ্য ডেস্কগুলোতে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করা, দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে থার্মাল স্কান্যার বা ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করা, চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান মাস্ক, গ্লোভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখা।

জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়৷

সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে বলা হয়— অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন। প্রয়োজন হলে আইইডিসিআর-এর হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে (০১৪০১-১৯৬২৯৩)। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে রেল, মেট্রোরেলে মাস্ক ছাড়া যাতায়াত না করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



বদহজম হলে কী করবেন

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এই ঈদে কোরবানির গরুর মাংস দিয়ে বিভিন্ন পদের রেসিপি তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ঘরের রাঁধুনিরা। এই সময়ে মজাদার খাবারে মুখের রুচি বেড়ে যায়। খাওয়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। বেশি গরুর মাংস খাওয়ায় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায়ও ভুগতে হয়। ফলে ঈদে গরুর মাংস খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে অনেক বেশি। তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে সুস্থ থাকার জন্য।

অতিরিক্ত গুরুর মাংস খেয়ে বদহজম, পেটে ফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? তাহলে জেনে নিন আপনার কি করতে হবে-

১/ পেট ফাঁপার সঙ্গে পেট ব্যথায় ভুগছেন? তাহলে কুসুম গরম পানিতে আধা কাপ লেবুর রস মিশিয়ে খান। ব্যথা কমে যাবে।

২/ বদহজমের জন্য কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করলেও উপকার পাবেন। এছাড়া বদহজমের জন্য এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।

৩/ গ্যাসে সমস্যা হলে মাংস খাওয়ার পর এক টুকরা আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খান। পেটে গ্যাস জমবে না।

৪/ দুই কাপ পানিতে এক টুকরা আদা কুচিয়ে জ্বাল দিয়ে এক কাপ পরিমাণ করে এতে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন। বদহজমের জন্য এটি ভালো কাজ করে।

৫/ কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন।

৬/ দুই কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ দারচিনি গুঁড়া দিয়ে জ্বাল দিন। পানি কমে অর্ধেক হলে নামিয়ে রাখুন। এরপর এ পানিতে কিছু মধু মিশিয়ে গরম গরম দিনে দুবার পান করুন।

৭/ কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান। পেট ফাঁপা কমে যাবে।

৮/ কোষ্ঠকাঠিন্য হলে, রাতে ঘুমানর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।

সতর্কতা-

১/ ঈদে কোরবানির গরুর মাংস ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করতে হবে। রান্না করা মাংস বারবার জ্বাল দিয়ে বেশি দিন না খাওয়াই মঙ্গলজনক।

২/ রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে তার মাংস খেলে মাংসে থাকা জীবাণু দেহে বিষ উৎপন্ন করে। যা নানা ধরনের রোগের সৃষ্টির কারণ হতে পারে।

৩/ ২৫ এর বেশি বয়সী যাদের রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা ২০০-এর বেশি, তাদের রেড মিট বা লাল মাংস না খাওয়া ভালো।

৪/ বেশি তাপে মাংস রান্না করলে মাংসে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ লবণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ধীরে ধীরে রান্না করা উচিত।

৫/ যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই গরুর মাংস এড়িয়ে যেতে হবে। এবং বেশি খেলে তাদের ক্যান্সার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৬/ মাংস অস্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা হলে মাংস থেকে ফিতা কৃমির সৃষ্টি হয় যা থেকে পেট ব্যথা, মাথা ধরা, খিঁচুনিত, পেট খারাপ ও জ্বর হতে পারে।


আরও খবর