Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

নওগাঁয় স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু- প্রবাস ফেরত স্বামী আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রবাসী স্বামী বাড়িতে ফেরার মাত্র ৩ দিনের মাথায় স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার সহ নিহতের স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। রহস্যজনক এ গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বাগাচারা দক্ষিণপাড়া গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানিয় সুত্র জানায়, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের বাগাচারা দক্ষিণপাড়া গ্রামের ওসমান গণির ছেলে চঞ্চল হোসেন (৩৫) তার স্ত্রী শান্তনা পারভীন (৩২) ও একমাত্র সন্তান শিশু মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৩) কে নিজ বাড়িতে রেখে প্রবাসে পাড়ি জমান এবং মাত্র ৩ দিন পূর্বে (দেশে) নিজ বাড়িতে আসেন চঞ্চল হোসেন। প্রবাস থেকে দেশে ফেরার মাত্র ৩ দিনের মাথায় মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ভোররাতে চঞ্চল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন ডাক চিৎকার দিয়ে ওঠলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। এসময় প্রতিবেশীদের কাছে চঞ্চল হোসেন জানান, সোমবার দিনগত রাতের খাবার খেয়ে শিশু মেয়েকে সহ তারা স্বামী-স্ত্রী নিজ শয়ন ঘড়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম থেকে জেগে দেখতে পান শয়ন ঘড়ে সেলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় স্ত্রী সান্তনা পারভীনের ঝুলন্ত মৃতদেহ। এসময় স্বামীর পরিবার সান্তনা পারভীন গলায় ফাঁসদিয়ে আত্নহত্যা করেছে বলে দাবি করলেও স্বামী প্রবাস থেকে ফেরার মাত্র ৩ দিনের মাথায় গৃহবধূ সান্তনা পারভীনের  মৃত্যু রহস্যজনক বলে মনে করেন স্থানিয়রা। পরবর্তীতে নিহত সান্তনা পারভীনের পিতার বাড়ির লোকজন সহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌছার পর তাদের মাঝেও সন্দেহ দেখা দেয়। এসময় স্বজন সহ স্থানিয়দের মাঝে 'একই ঘড়ে স্বামী ও সন্তান থাকার পরও গৃহবধূ সান্তনা পারভীন গলায় ওড়নার ফাঁস দিলো' স্বামী চঞ্চল হোসেন জানতে পারলো না, আসলে সান্তনা পারভীন আত্নহত্যা করেছে কিনা তাকে হত্যা করে আত্নহত্যার প্রচার করা হচ্ছে এমন নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। এক পর্যায়ে স্থানিয়রা নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ কে খবর দেয়। খবর পেয়ে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ উত্তম কুমার বিস্বাস ও ফাঁড়ির এসআই এ এম ফারুক ঘটনাস্থলে পৌছে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অবগত করলে মহাদেবপুর সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জয়ব্রত পাল ও মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন প্রতিবেদক কে জানান, গৃহবধূ মৃত্যুর খবর পেয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করা সহ, প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট অন্তে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধূ সান্তনা পারভীনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং নিহতের স্বামী চঞ্চল হোসেন কে আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি রেগুলার মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন ওসি। 


আরও খবর



সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধে রিট

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ঢাকার বেইলি রোডসহ সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে রিটে গ্রিন কোজি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে দায়ীদের গ্রেপ্তার এবং আহত-নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

আজ রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।

গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লাগে। আগুনে ৪৬ জন নিহত হন। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয় কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলকে। পরে তাদের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে এসএসসি পরীক্ষার শেষ দিন কেন্দ্রে তাণ্ডব চালিয়েছে একদল পরীক্ষার্থী

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রহমান :ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে বিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা শেষে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা বৈদ্যুতিক পাখা, বাল্ব, শৌচাগারের দরজা, কমোডসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে। এতে লক্ষাধিক টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় ২০৩ নম্বর কক্ষে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৩২৪৫৯-২৩২৪৭৩ পর্যন্ত রোল নম্বরধারী ১৫ জন এবং উদ্বোধন বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৩২৬০৫-২৩২৬২৯ পর্যন্ত ১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।

ওই কক্ষের ৪টি বৈদ্যুতিক পাখা, ৩টি বাল্ব ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়া, কক্ষ সংলগ্ন ওয়াশরুমে ৬টি শৌচাগারের দরজা, ফ্লাশ প্যান, কমোড ভাঙচুর করা হয়।

২০৫ নম্বর কক্ষে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৩২৪২৮-২৩২৪৪৩ পর্যন্ত রোল নম্বরধারী ১৬ জন এবং পৌর আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৪২৫১৪-২৪২৫২৮ পর্যন্ত ১৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই কক্ষের ২টি বৈদ্যুতিক পাখা এবং ২টি বাল্ব ভাঙচুর করা হয়।

পরীক্ষার্থীদের এমন তাণ্ডবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে জানতে চেয়েছেন, কক্ষ পরিদর্শক কি পরীক্ষার্থীদের কক্ষে রেখে উত্তরপত্র নিয়ে বের হয়ে গেছেন

বিদ্যালয়ের কর্মচারী (আয়া) মাকসুদা বেগম বলেন, পরীক্ষা শেষে রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখি, সব ভাঙাচোরা।

কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা এএসএম মাসুম বিল্লাহ। তবে, ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি নন জানান।

কেন্দ্র সচিব এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, আমি ছুটিতে আছি। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন মাসুম বিল্লাহ। ভাঙচুরের ঘটনা শুনেছি।


আরও খবর



জলদস্যুদের কবলে জাহাজ, মুক্তিপণ দেওয়া না হলে মেরে ফেলা হবে সবাইকে..সাঈদের স্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

ভারত মহাসাগরে জল-দস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের মধ্যে রয়েছেন নওগাঁর এ,এস,এম সাইদুজ্জামান সাঈদ। তিনি নওগাঁ জেলা শহরের আরজী নওগাঁ- শাহী মসজিদ ফিসারী গেট এলাকার আব্দুল কাইয়ুম এর ছেলে। ৩ ভাইয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয়।

গতকাল মঙ্গলবার ১২ মার্চ বিকেল ৩ টার দিকে সাইদুজ্জামান সাঈদ এর পরিবার জানতে পারেন ছেলে যে জাহাজে রয়েছে সেই জাহাজ টিই জল-দস্যুদের কবলে পড়েছে। পরে জাহাজ টি জল-দস্যুরা আটক করে সোমালিয়ায় তাদের সুবিধামত জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। এমন খবর শোনার পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার বাবা-মা। ছেলেকে ফেরত পেতে সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। বুধবার ১৩ মার্চ বিকেলে তাদের শহরের বাড়িতে গিয়ে সাইদুজ্জামান সাঈদের বাবা-মাকে ছেলের জন্য আর্তনাদ করতে দেখা যায়।

এসময় বাবা অবসর প্রাপ্ত প্রেফেসর আব্দুল কাইয়ুম বলেন, গতকাল বিকেল ৩টারদিকে জানতে পারি ছেলে যে জাহাজে রয়েছে সে জাহাজটি জল-দস্যুদের কবলে পড়েছে। তবে তাদের কোন সমস্যা হয়নি। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা তারা দিচ্ছে। এরপর রাত ১০টায় আমার ছেলের বউয়ের সাথে যোগাযোগ হয় ছেলের। তখন ঘরে বন্দী করে রাখার কথা জানান। জাহাজটি তাদের জিম্মায় নিয়েছে, তাদেরকে কিছু করতে দিচ্ছে না বলে জানান। এ খবর পাওয়ার পর থেকে সারারাত পরিবার এর কেউ ঘুমাইতে পারেনি। সারারাত আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছি ছেলের জন্য। ঘুম বিহীন রজনী কাটিয়েছি।

মা কোহিনুর বেগম বলেন, এখন আল্লাহর উপর ভরসা রাখছি আমরা। আল্লাহ যেন সুস্থ্য ভাবে আমার ছেলে সহ জাহাজের সবাইকে সবার মায়ের বুকে ফিরিয়ে দেয়। এছাড়াও আমরা প্রধানমন্ত্রী ও কোম্পানির কাছে অনুরোধ জানাবো তারা যেন খুব তাড়াতাড়ী ব্যবস্থা নেয়। মা হিসেবে এটাই আশা। এসময় দেশবাসী সবার কাছে সন্তানের জন্য দোয়া চান তিনি।জাহাজ টিতে আটক সাইদুজ্জামান সাঈদ এর স্ত্রী মান্না তাহরিন বলেন, সর্বশেষ গতকাল রাত সাড়ে ১০টারদিকে তার স্বামীর সাথে কথা হয়। তখন তিনি তাকে জানান, তারা সবাই ভালো আছেন, ইফতার করেছেন এবং সবাইকে এক রুমে রাখা হয়েছে। এরপর সকাল সারে ১০টায় দিকে জাহাজের আরেক জন আমাকে ভয়েস মেসেজ দিয়ে রেখে দেন সবাই ভালো আছেন। সেহরি খেয়ে সবাই এক রুমেই ঘুমাচ্ছেন। তবে মুক্তিপণ যত তাড়াতাড়ি দেওয়া হবে ততো তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে। মুক্তিপণ দেওয়া না হলে একে একে মেরে ফেলা হবে। এটা শোনার পর আরো বেশি আমরা চিন্তায় আছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের এক বছর বয়সী এক মেয়ে আছে। বাচ্চাটা অনেক ছোট এখনো বুঝতে শিখেনি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে একটাই আবেদন আমার স্বামী সহ জাহাজের সবাইকে সুষ্ঠুভাবে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। 


আরও খবর



আত্রাইয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার কাশিয়া বাড়ী বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে প্রায় অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আত্রাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন কুমার দাসকে সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

নওগাঁ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান বলেন,রক্তদহ লোহাচুড়া বিলের পানি আত্রাই গুড় নদীতে নিস্কাশন প্রকল্পের আওতায় কাশিয়াবাড়ী বাজার ¯øুইচ গেট এলাকায় জমি অধিগ্রহন করা হয়। অধিগ্রহনকৃত জমিতে স্থানীয়রা অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন দোকানপাঠসহ অবকাঠামো গড়ে তোলেন। জমি দখল মুক্ত করতে কয়েক বছর ধরে নোটিশ দিয়েও কোন লাভ হয়নি। চলতি মাসে আরো দুই দফা নোটিশ দিয়ে এবং বুধবার মাইকিংয়ের মাধ্যমে দখল মুক্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও দখলদাররা সরে না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত  ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রায় অর্ধশত দোকানপাঠসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানে অন্যদের মধ্যে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হায়দর আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আত্রাই থানাপুলিশ অংশ নেয়।


আরও খবর



অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রকে চাঁদাবাজীর মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুরে জায়গাঁ-জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্র মিনহাজ (১৩) কে প্রধান আসামী ও তার কলেজ পড়ুয়া ভাই মোরসালিন (১৭) কে দ্বিতীয় আসামী এবং দুই শিক্ষার্থীর  বাবাকে ৩নং আসামী করে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে নওগাঁ কোর্টের নোটিশ জারী কারক মোঃ আবু সাঈদ ও তার স্ত্রী কম্পিউটার অপারেটর শারমিন সুলতানার বিরুদ্ধে। এঘটনায় ঐ দু'জন শিক্ষার্থীর বাবা মোঃ মতিউর রহমান প্রধান বিচারপতি ও জেলা দায়েরা জজ বরাবর বুধবার লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালতে দুই শিক্ষার্থী জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত মিনহাজ এর কলেজ পড়ুয়া বড় ভাইকে জামিন দিলেও অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী ছাত্র মিনহাজ এর জামিন না মঞ্জুর করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ কোর্টে নোটিশ জারী কারক হিসেবে কর্মরত মোঃ আবু সাঈদ ও কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা সম্পর্কে আমার ভাতিজা ও ভাতিজা বউ । তারা স্বামী-স্ত্রী নওগাঁ কোর্টে চাকুরী করার সুবাদে ক্ষমতার অপ-ব্যবহার ও দাপট দেখিয়ে আমাকে সহ আমার স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া দুই ছেলেকে হত্যার হুমকি সহ ভঁয়ভিতি দেখিয়ে ও একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হুমকির মুখে রেখে জোর পূর্বক আমাদের জায়গাঁ-জমি দখল করে আসিতেছে। এমনকি নোটিশ জারী কারক আবু সাঈদ তার ভাই, বোন ও মাকে বাদী করে গত ৪ বছরে অগ্নি সংযোগ, স্বর্ণলংকার লুটপাট, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজী, চুরি সহ নানা মিথ্যা অভিযোগ তুলে নওগাঁ  আদালত ও মহাদেবপুর থানায় মোট ৬ টি মামলা দায়ের করে হয়রানী করছে। আমি সিএনজি চালানোর পাশাপাশি গ্রামে বাড়ির পাশে ছোট দোকান ও কৃষি কাজ করে পরিবার নিয়ে জীবন-যাপন করি সর্বশেষ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আমি আমার কলেজ পড়ুয়া বড় ছেলে মোঃ মোরসালিন এবং আমার ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছোট ছেলে মিনহাজ কে সাথে নিয়ে জমিতে আইল দেওয়ার কাজ করা কালে আবু সাঈদ তার স্ত্রী, ভাই, শ্যালক সহ পরিবারের লোকজন নিয়ে হঠাৎ করেই জমিতে এসে আমাদের এলোপাথারী ভাবে মারপিট শুরু করেন। মারপিটে দুই শিক্ষার্থী সহ তাদের বাবা ৩ জন আহত হলে এসময় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতেও বাধা দেন বলেও উল্লেখ করা হয় অভিযোগে। আরো উল্লেখ করা হয়, ঘটনার খবর পেয়ে নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে আবু সাঈদ তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশের সহযোগীতায় স্থানিয়রা আহত দুই শিক্ষাথী ও তাদের বাবাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, আমার ছেলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ৪ দিন নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। এঘটনায় আবু সাঈদ তার মা সকিনাকে বাদী করে ফের চাঁদাবাজী, শ্লীলতাহানী, চুরি সহ আরো ধারা যুক্তকরে আবারো মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

এব্যাপারে অভিযোগকারী মতিউর রহমান বলেন, আবু সাঈদ ও তার স্ত্রী বিচারিক আদালতে কর্মরত থাকায় তারা ক্ষমতার অপ-ব্যবহার করে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানী করে যাচ্ছে। তারা আমার স্কুল পড়ুয়া নাবালক ছেলে ও কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের নামে মিথ্যা মামলা করেছে বলে এলাকাবাসী গণ-স্বাক্ষর করে দিয়েছেন, যা আমি মাননীয় প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার চাই। এব্যাপারে আবু সাঈদ এর বক্তব্য নেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হলেও সে গ্রামে না থাকায় (তার ভাইয়ের দেওয়া মতে মুঠোফোন নাম্বারে ফোন দিলেও অপর কেউ মুঠোফোন রিসিভ করায়) আবু সাঈদ এর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারী তারিখের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, জায়গাঁ-জমি নিয়ে বিরোধের জেরধরে দুই শিক্ষার্থীকে মারপিট করা হলেও পরে আমরা শুনছি যে ঐ ঘটনায় নাকি মারপিটের শিকার দুই শিক্ষার্থীকেই আসামী করে চাঁদাবাজীর মামলা করা হয়েছে যা সঠিক নয় বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।    


আরও খবর