Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় শত্রুতার বিষে মরল নারী উদ্যোক্তা'র পুকুরে চাষকৃত ৮ লাখ টাকার মাছ

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার কসবা কুয়ানগর গ্রামের 'হাড়িচৎকার' নামে একটি পুকুরে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট (বিষ) দিয়ে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা শনিবার ৫ অক্টোবর সকালে ঐ পুকুরের মাছগুলো মরে ভেসে ওঠে। কসবা কুয়ানগর গ্রামের নারী মাছ চাষি নারী উদ্যোক্তা নাজমিনা বেগমের মালিকানাধীন পুকুরে মাছ নিধনের এ ঘটনাটি ঘটে।

মাছ চাষী নারী উদ্যোক্তা নাজমিনা বেগম বলেন, 


বাড়ির পাশে কসবা মোড় সংলগ্ন 'হাঁড়িচৎকার' নামের পুকুর ব্যাক্তি মালিকানাধীন দুই বিঘার এ পুকুরে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছিলাম। শনিবার সকালে পুকুরে মাছের খাবার দিতে গিয়ে দেখি পুকুরে থাকা রুই, কাতলা ও তেলাপিয়া সহ বিভিন্ন জাতের মাছ মরে ভেসে উঠেছে তা দেখে আমি দিশাহারা হয়ে পড়েছি। আমি স্বামী হারা বিধবা নারী উদ্যোক্তা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এই পুকুরে মাছ ছেড়েছিলাম। রাতের অন্ধকারে কে বা কাহারা আমার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করার কারণে মাছ গুলো মরে যাওয়ায় আমি সর্বশান্ত এবং ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। মাছ চাষি নারী উদ্যোক্তা নাজমিনা বেগম আরো বলেন, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা শত্রুতা করে আমার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছেন। এতে আমার প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে ক্ষতি হয়েছে।

এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর



বৈশ্বিক অগ্রগতির অপরিহার্য শর্ত নারীর অধিকার

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অপরিহার্য শর্ত হলো নারীর অধিকার। তিনি বলেন, নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

তারেক রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন। বিশ্বব্যাপী মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠা গুরুত্ব পায়। এ দিবসটি নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনে সচেতনতা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশে এ দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারী সমাজের অগ্রগতি সাধিত হলে জাতির সামগ্রিক বিকাশ সম্ভব হবে। এ সত্যটি উপলব্ধি করেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সেটির ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়ার সরকার এ দেশের নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ নারী সমাজের অশিক্ষার অন্ধকার ঘুচিয়ে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য অনেক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির হার ৯৭ শতাংশে উন্নীত হয়। ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা হয় এবং স্কুলে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠিত হয়। মেয়েদের জন্য দুটি নতুন ক্যাডেট কলেজ ও তিনটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় চট্টগ্রামে এশিয়ার ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বেগম খালেদা জিয়ার সরকার একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে এবং উচ্চ শিক্ষা উৎসাহিত করার জন্য ব্যক্তি খাতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়। যাতে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।

তারেক রহমান আরও বলেন, দেশের মানুষকে দ্রুততম সময়ে সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একটি পৃথক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৩ সালের ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা লাভে আগ্রহী করে তুলতে বেগম খালেদা জিয়া সরকার ১৯৯৩ সালে শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চালু করে। পল্লি অঞ্চলে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা অবৈতনিক করা হয় এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রীদের জন্য দেশব্যাপী একটি উপবৃত্তি কর্মসূচি চালু করা হয়। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদের সম্পৃক্ত করার কারণে তাদের মধ্যে আত্মপ্রত্যয় জেগে উঠে। একই সঙ্গে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পায়। নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সমান সুযোগে সমাজের অগ্রগতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। বদলে যাওয়া বিশ্বের কর্মপরিবেশে নারীর সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আজকের এই শুভ দিনে আমি নারী সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাই। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল থিম ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন’-এর সফলতা কামনা করছি।


আরও খবর



ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

ধর্ষক নামের যত নিকৃষ্ট প্রাণী আছে, তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

৯ মার্চ সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে জামায়াত আমির বলেন, মাগুরার সেই আট বছরের মেয়ে শিশুর ধর্ষক ও ধর্ষণের সহযোগিতাকারীদের অপরাধ এক ও অভিন্ন। এদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত চাই।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এরকম ধর্ষক নামের আরও যত নিকৃষ্ট প্রাণী আছে, যে যেখানেই থাকুক তাদেরকে পাকড়াও করে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

এ সময় ধর্ষকদেরকে বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বসহ সমাজের সচেতন নাগরিকদেরকে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। ধর্ষকদেরকে ঘৃণা করুন ও সামাজিকভাবে বয়কট করুন।


আরও খবর



কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সাথে ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ইতালি ব্যুরো :

ইতালির বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে ভেনিসের কমিউনিটিকে অন্যতম বড় কমিউনিটি হিসেবে গণ্য করা হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের হিসাবে এ কমিউনিটির সদস্য সংখ্যা এখন ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে।

এখানে কমিউনিটি ভিত্তিক রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আঞ্চলিক, ধর্মীয়সহ বহু সংগঠন রয়েছে। একই সাথে রয়েছে প্রবাসী সাংবাদিকদের সার্বজনীন সংগঠন ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব। সুষ্ঠু এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে এ সংগঠনটির জন্ম হয়। কমিউনিটির সকল ভালো কাজের সাথে এ সংগঠনটি আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা পলাশ রহমান। 


তিনি বলেন, চলতি বছরে ভেনিসের স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশী কমিউনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকলে রাজনৈতিকভাবে আমাদের অবস্থান আরো দৃঢ় হবে। একই সাথে সত্যিকারের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসী সাংবাদিক এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। 

প্রেসক্লাবের সভাপতি এস কে এম ডি জাকির হোসেন সুমনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ সোহেলের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে বক্তৃতা করেন উপদেষ্টা আমিনুল হাজারী, সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান উজ্জ্বল, অর্থ সম্পাদক জুম্মান অনিক মাতবর ও আনোয়ার হোসেন রানা।

কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,  ভেনিস বাংলা স্কুল উপদেষ্টা বিল্লাল হোসেন ঢালী, রফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত নাগরিক কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার, কিশোর খন্দকার, শাহাদাত হোসেন,  শরিফুল আলম মৃধা, যুবদল সভাপতি আকবর খান, সাধারণ সম্পাদক ফকরুল চৌধুরী, ও ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন।

সভাপতির বক্তৃতায় জাকির হোসেন সুমন উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

উপদেষ্টা আমিনুল হাজারী বলেন, সমাজের সব ধরনের সংগঠনে মতভিন্নতা, বিভেদ থাকে। এগুলোকে গুরুত্ব যারা দেয় তারা অসংগঠনিক মানুষ। তাদের এড়িয়ে কমিউনিটির ঐক্য ধরে রাখতে হবে।

ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, ভেনিস বাংলা স্কুলের নির্বাহী কমিটির সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ার, মাস্টার হাকিম শেখ, প্রমূখ।

বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন হাফেজ আব্দুস সালাম এবং কোরআন তেলাওয়াত করেন মোবারক হোসেন।


আরও খবর

রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে চায়

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




পতিত স্বৈরাচারের বিপুল বিনিয়োগে দেশে নৈরাজ্য

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পতিত স্বৈরাচার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, সম্প্রতি নারীদের ওপর যে জঘন্য হামলার খবর আসছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ এর যে স্বপ্ন আমরা দেখছি তার সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা এই ‘নতুন বাংলাদেশে’ নারী-পুরুষ সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা আমাদের সব শক্তি প্রয়োগ করে এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।

দেশের সব মানুষকে নিয়ে নারীবিরোধী শক্তির মোকাবিলা করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নারীবিরোধী যে শক্তি মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাকে আমরা দেশের সকল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্যই মোকাবিলা করব। তাছাড়া, আমাদের সমাজে এখনও এমন বহু মানুষ আছে যারা নিপীড়িত নারীদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে তাদের খাটো করে দেখে, অবজ্ঞার চোখে দেখে। অথচ নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হলে, বৈষম্যহীন, সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে নারীর পাশে দাঁড়ানোর, তাদেরকে সমর্থন জানানোর, কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সমাজে নারীকে খাটো করে দেখার এই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। তা না হলে আমরা জাতি হিসেবে এগোতে পারব না।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীরা বিভিন্ন সময়ে আমাকে তাদের সংগ্রাম ও আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, নারীদের অংশগ্রহণ ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া তা সম্ভব হবে না। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নারীদের সাথে পুরুষদেরও সহযোদ্ধা হয়ে কাজ করতে হবে।

সমাজে নারীদের ন্যায্য স্থান প্রতিষ্ঠার জন্য পুরুষদেরকে উৎসাহী সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ‘নতুন বাংলাদেশ’-এ আমরা আমাদের প্রত্যাশী পরিবারকে নতুনভাবে গড়তে চাই। যেটা সব বাবা-মা’র, ভাই-বোনের নিশ্চিত ও স্বীকৃত অধিকারের পরিবার।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনও অনেকক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুঃস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ নানান ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।


আরও খবর



৪০ দিনের ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে টানা ৪০ দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আজ (২ মার্চ) থেকে এ ছুটি শুরু, আগামী ৮ এপ্রিল খুলবে এসব প্রতিষ্ঠান। এ ছুটি সরকারি ও বেসরকারি সব পর্যায়ে স্কুলের জন্য প্রযোজ্য।

শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পবিত্র রমজান মাস, শুভ দোলযাত্রা, স্বাধীনতা দিবস, জুমাতুল বিদা, শবেকদর ও ঈদুল ফিতরের ছুটি ২ মার্চ শুরু হবে। ছুটি শেষ হবে ৮ এপ্রিল। পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে ২ মার্চ। ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ শুক্র ও শনিবারের ছুটি থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সর্বশেষ ক্লাস হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। সে হিসাবে টানা ৪০ দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, ছুটির ঘোষণা দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে ছুটির নোটিশ টানানো হয়েছে। চলতি বছরের রমজান, ঈদুল ফিতরের ছুটির সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার ছুটি মিলে যাওয়ায় লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে ক্লাস নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে, সেসব প্রতিষ্ঠানে টানা দুই মাস ১০ দিন ছুটি থাকবে।


আরও খবর