Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ এর উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেছেন ৫ আগস্টে পাওয়া নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে তরুণদের পজেটিভ ভূমিকার কোন বিকল্প নেই। আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ এর ধারক ও বাহক। তাই তরুণদের সঠিক পথে পরিচালনা করতে পরিবারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের ভূমিকা অনেক। একজন তরুণকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সমাজের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তরুণ বয়সটি খুবই সাংঘাতিক সময়। এই বয়সে যদি ভুল করে কারোও পা পিছলে যায় তাহলে সেই তরুণকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা খুবই কষ্টসাধ্য। তাই তরুণ বয়সে যেন কোন ভাবেই কারো পাল্লায় পড়ে নিজেকে নষ্ট করা না হয় সেই বিষয়ে নিজেদের প্রতি খেয়াল রাখতে এবং গুরুজনসহ বড়দের প্রদান করা আদেশ-নিষেধগুলো মেনে চলতে তরুণদের প্রতি আহব্বান জানান নওগাঁ জেলা প্রশাসক। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষে নওগাঁয় শুরু হওয়া তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে একথাগুলো বলেন তিনি। সোমবার নওগাঁ সার্কিট হাউজ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁর নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার, বিপিএম।

এরপর বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমীর উদ্যোগে নওগাঁ শহরে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যানের মধ্যে আলোচনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা, রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুজ্জামান শাহ, নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসানুর রহমান, মৌসুমী'র মনিটরিং অফিসার আব্দুর রউফ পাভেল প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের অনুপ্রেরনায় উজ্জিবিত হয়ে আগামী বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে পজেটিভ ভাবনা নিয়ে তরুণদের অংশ গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত জেলা জুড়ে জুলাই বিপ্লবের চিত্র প্রদর্শনী, ক্রীড়া ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সফল ও গুনিজন সংবর্ধনা, দুর্নীতি বিরোধী ও পরিবেশ বিষয়ক সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা


আরও খবর



কানাডায় থাকার আশা ভঙ্গ! ফিরে যেতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গানের কথার সঙ্গে মিল রেখে দিয়ে যদি শুরু করি তাহলে বলা যায় "এ কানাডা এখন তো আর সে কানাডা নেই"

হ্যাঁ, এটাই সত্যি। একটা সময় ছিল মানুষ নানাভাবে কানাডায় এসেছেন। বিশেষ করে বৈধভাবে আসার একটা মাধ্যম ছিল  স্টুডেন্ট ভিসা। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এসেছেন সারা বিশ্বের স্টুডেন্টরা। তারমধ্যে বাংলাদেশ থেকে আসা স্টুডেন্টের সংখ্যাও কম নয়। 

এই স্টুডেন্টরা আগে যারা এসেছেন তাদের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়াটা সহজ ছিল। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া সহজ ছিল। তারপর পিআরও পেয়ে যেতেন সহজে। তারপর সিটিজেন হয়ে যেতেন নির্দিষ্ট সময়ে। তারপর তাদের বাবা-মা স্পন্সর ভিসায় এসে এখানে নাগরিকত্ব পেয়ে যেতেন। কিন্তু এখন উল্টে গেছে পাশার দান। বলতে পারেন এখন প্রায় সবকিছুর রুলস কঠিন হওয়া বা পাল্টে যাওয়া, CRS পয়েন্টস বেশি হওয়া, PGWP এ কড়াকড়ি সব মিলিয়ে গোন্ডগোল বেঁধে গেছে। এখন আর পিআর পাওয়া সহজ হচ্ছে না। আবার স্টুডেন্টদের বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব আবেদনের সুযোগও স্থগিত করা হয়েছে।

এসব অসুবিধার আওতায় পড়েছেন অসংখ্য স্টুডেন্ট। যারা এখানে এসে পড়ালেখা শেষ করেছেন ডিপ্লোমা বা পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের কথা বলছি তারা CRS পয়েন্টস মিট না হওয়া ও ওয়ার্ক পারমিট শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আর কানাডায় থাকা সম্ভব হচ্ছে না। চলে যেতে হবে বাড়িতে। এমন সংখ্যা অসংখ্য। এ বছরেই দেশে ফিরে যেতে হবে বারো লক্ষ বা তার বেশি স্টুডেন্টকে। আর যারা বর্তমানে পড়াশোনায় চালু আছেন তাদের তো আরো সমস্যা। তাদের তো ওয়ার্ক পারমিট পাওয়াতেই নানা বাঁধা হবে নতুন রুলসে। সবার জন্য ইজি হবে না। 

আমার ফেসবুকের মেইন আইডিতে ফ্রেন্ডলিস্টের একজন ছোট ভাই আছে। ২০২০ সালে সে এসেছিল টরন্টোতে। সে আমাকে মাঝেমাঝে মেসেজ দিত। তার একটা কথা আমার মনে আছে। একদিন আমার এক খাবারের পোস্ট দেখে সে বলেছিল "আপু, আমাকে খাওয়াবেন?" তখন আমি তাকে চিকেন বিরিয়ানি ও অন্যান্য অনেক কিছু রান্না করে দিয়ে এসেছিলাম। তখন সে বলেছিল "আপু, আপনি আমার জন্য যা করেছেন, আমার আপন বোনও সেটা করত না।"

যাই হোক, সেই ছেলে তো পড়া শেষ করে তিন বছরের ওয়ার্ক পারমিটে ছিল। টরন্টোতে একটা ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্টে কাজ করত। তারপর সে অন্টারিও থেকে অন্য প্রভিন্সে মুভ হয়েছিল যদি ভিসা পেতে সুবিধা হয় সেইজন্য। সেখানে গিয়েও সে একটা রেস্টুরেন্টে কাজ নিয়েছিল। 

অনেক দিন তার খবর জানতাম না। ফেসবুকে তার ছবি দেখে তাকে মেসেজ দিয়ে বললাম, তুমি কি পিআর পেয়েছ? 

সে বলল " না আপু। আমার হবে না মনে হচ্ছে। আমার ফিরে যেতে হবে।"

তারপর তার কাছে তো অনেক কিছু  শুনলাম। সে বলল, টরন্টো থেকে অন্য প্রভিন্সে গিয়ে তার সবচেয়ে বড়ো ভুল হয়েছে। ওখানের রেস্টুরেন্ট তাকে কোনো রকম হেল্প করে নি। তারপর সেখানে একটা কার না হলে চলাই যায় না। একটা কার কিনতে হয়েছে। যার জন্য তার খরচ হয়েছে মাসে $600 cad করে। যেটা টরন্টোয় থাকলে তার খরচ হতো না।

আমি জিজ্ঞেস করলাম তার কতো খরচ হয়েছিল সেটা উঠেছে কিনা আর কিছু জমাতে পেরেছে কিনা।

সে বলল, তার পড়ার টিউশন ফি বাবদ খরচ হয়েছে $39 cad. যার অর্ধেক সে আসার আগে ও বাড়ি থেকে শোধ করেছে। আর বাকিটা চাকরি করে দিয়েছে। পড়া+অন্যান্য খরচ সবকিছু  মিলিয়ে সে চাকরি করে ওঠাতে পেরেছে। 

আমি জানতে চাইলাম কিছু কি জমাতে পেরেছ? সে বলল, "জি আপু। $30 cad জমাতে পেরেছি সব খরচের বাইরে। তারমানে ধরেন ২৫ লাখ টাকার মতো হবে। খারাপ কী! আমি তো মনে করি এই অর্থ দিয়ে সে দেশে একটা বিদেশি রেস্টুরেন্ট চালু করতেও পারবে। আরো অনেক স্টুডেন্ট আছে যাদের থাকার সম্ভাবনা নেই, তারা এখন শুধু  ইনকাম করে টাকা জমানোর চেষ্টা করছে। তবে কেউ কেউ হয়তো এতোটা পারছে না। 

সেই ছেলে বলছে, "আপু, কানাডায় এসে অনেক কিছু শিখেছি। এতেই আমি হ্যাপি। দেশে থাকলে তা পারতাম না।" এখন তার ভবিষ্যৎ ভাবনায় অন্য পরিকল্পনা। সে জানাল, সে জার্মানির দিকে মুভ হবে। সেখানে ব্যাচেলর ডিগ্রি করে মাস্টার্সও করবে। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা রাখলে জার্মানিতে টিউশন ফি লাগে না বলে সে জানাল।

যাই হোক, এটাই হলো জীবনের মান বোঝার উপযুক্ত পরিকল্পনা। কোনো বাঁধাতেই জীবনকে কোনো এক নির্দিষ্ট আঙ্গিকে আটকে রাখতে হয় না। মুভ অন হতে হয়। যেটা চাওয়া হয় সেটা না পেলে খুশি হয় না মন। তাই বলে হতাশায় যেন মন আচ্ছাদিত না হয় তাই ঐ ছেলের মতো বলতে হবে আমি যা পেয়েছি বা শিখেছি তাতেই আমি খুশি। চেষ্টা তো সবাই করেছে। 

অসংখ্য স্টুডেন্ট এখন মেন্টালি রেডি। ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টের সংখ্যা বেশি। এমনকি আমার বেসমেন্টে থাকা স্টুডেন্টদের সবার হয়তো হচ্ছে না। তাতে তারা মোটেও বিচলিত না। বরং বলেছে, আমরা দেশে ফিরে যাব। পিআর হলেও থাকতাম না। 

তারা রেডি টু গো ব্যাক টু দ্যা কান্ট্রি। আমি বলব, সবাই ব্যাকে না, সামনে এগিয়ে যেতে হবে। হয়তো সামনের কিছু জীবনের জন্য আরো ভালো, আরো মসৃণ হবে ইনশাআল্লাহ।


আরও খবর



নওগাঁয় ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মগলিশপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে এই ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ৫টি ক্যাটাগরিতে অংশ নেই ২৪ টি ঘোড়া। 

এ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন, হালিমা আক্তার, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন, মজিবর রহমান ও তৃতীয় কামরুল হাসান। যুব সমাজকে মাদক থেকে বিরত রাখতে ও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার রীতি ফিরিয়ে আনতে এবং গ্রামের সাধারণ মানুষদের বাড়তি বিনোদন দিতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা। এ প্রতিযোগিতা দেখতে দুপুর থেকে আশে পাশের এলাকাগুলো থেকে সব বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশু আসতে থাকে। বিকেলে মাঠে হাজারো মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়। ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে মোঃ রাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় ও মোহাম্মদ মিলন হোসেনের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথির পক্ষে উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাশমত আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, মোঃ আঃ সাত্তার নান্নু, মোঃ শহিদুল ইসলাম সাগর, মোঃ আক্কাস আলী, মোঃ আবুল কালাম আজাদ স্বপন, দুলাল হোসেন, আবুল কালাম সাবেক, মোজাফফর হোসেন, আমিনুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান টিক্কা, মাহফুজ আলম, শামীম আহম্মেদ, আইনুল হক, আবুল কালাম দুলাল, ইফতে খারুল আলম ইপু, মহসিন রেজা যুগ্ম, মর্জিনা আক্তার, বিদ্যুৎ হোসেন, উপজেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের আহবায়ক নুরুদ্দিন নরু প্রমুখ।


আরও খবর



বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বায়ুদূষণের দিক দিয়ে আজ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা। দূষণ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার ঢাকার বাতাসের মান ‘বিপজ্জনক’।

সংস্থাটি জানিয়েছে, আজ সকালে ঢাকার বায়ু মান সূচকের (একিউআই) স্কোর ছিল ৩৭৪। দ্বিতীয় স্থানে আছে মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুন। সকালে সেখানকার একিউআই রেকর্ড করা হয় ২১৬। আর তৃতীয়স্থানে আছে ভারতের দিল্লি। বিশ্বের অন্যতম জনবহুল এ শহরের রবিবার সকালের বায়ু মানের স্কোর ছিল ২১৫। এ দুটি শহরের বাতাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলে জানিয়েছে আইকিউএয়ার।

উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই ঢাকা বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহরের শীর্ষে অথবা দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় সাধারণ মানুষ বায়ুজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।


আরও খবর



জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এলো ২১৮ কোটি ডলার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহে যে উল্লম্ফন দেখা গিয়েছিল জানুয়ারিতে এসে সেটি কিছুটা ভাটা পড়েছে।  জানুয়ারিতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার গত অর্থবছরের একই মাসে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল সে হিসাবে গত মাসে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র দশমিক ৪১ শতাংশ

গত বছর আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারে পতন হওয়ার পর থেকে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল সর্বশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেও প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস তথা জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ২৭ শতাংশেরও বেশি রেমিট্যান্স কম আসায় জানুয়ারি শেষে প্রবৃদ্ধি ২৩ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে হাজার ৫৯৬ কোটি ডলার বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে দেশে ১২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল সে হিসাবে চলতি অর্থবছরে প্রবাসীরা দশমিক শূন্য বিলিয়ন ডলার বেশি পাঠিয়েছেন এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ

জানুয়ারিতে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে ডলারের দর নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কড়াকড়ি ছিল না। বেশি দর দিয়ে হলেও ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পেরেছে। কিন্তু জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত দরে রেমিট্যান্স কেনার জন্য বেশ কঠোর ছিল। কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা কমে গেছে।

ব্যাংকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেলে হুন্ডির বাজার জমজমাট হয়ে ওঠে। রাজধানীর মতিঝিল কারওয়ান বাজার এলাকার একাধিক মানি এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা জানান, জানুয়ারিতে মানি এক্সচেঞ্জগুলোয় ডলারের চাহিদা বেশ তীব্র ছিল। বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা হাতে করে যে ডলার নিয়ে গেছেন, তা শেষ হয়ে এসেছে। এখন দেশ থেকে নতুন করে টাকা নিচ্ছেন। কারণে হুন্ডির বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে


আরও খবর

আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো দু-তিন মাস লাগবে

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বার্লিনে চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক বাংলাদেশের বিধান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মনির হোসেন :

ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হচ্ছে ৭৫তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এই উৎসবে জুরি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে থাকছেন চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরু। ফিপ্রেসি জুরি হিসেবে উৎসবের প্যানারোমা বিভাগের বিচারক থাকবেন,তিনি বলেন,উৎসবে অংশ নিতে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়বেন তিনি।এর আগে বিধান রিবেরু ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে ফিপ্রেসি জুরি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিলেন। 

বিধান বলেন, ‘চলচ্চিত্রকে ভালোবাসার জায়গা থেকে চলচ্চিত্র দেখা। এ ধরনের উৎসবে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে চলচ্চিত্র সম্পর্কে অন্য মানুষের মতামত জানা যেমন যায়, তেমনি নিজের মতামতকেও ঝালাই করে নেওয়া যায়। এত বড় উৎসবে আমি যখন যাচ্ছি, এর মাধ্যমে নিজের যেমন অংশগ্রহণ হচ্ছে, ঠিক তেমনি বাংলাদেশেরও প্রতিনিধিত্ব করছি। এটা একটা বড় ব্যাপার এই কারণে যে বাংলাদেশ থেকে একজন চলচ্চিত্র সমালোচক বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে, জুরি হিসেবে কাজ করছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। আমি মনে করি যে এটা আমার জন্য আনন্দের, ভালো লাগার ব্যাপার। তবে দেশের মানুষ কীভাবে দেখে, সেটা অবশ্য আমি জানি না।’

বিধান রিবেরু আরো বলেন এ ধরনের উৎসবে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগতভাবেও লাভবান হয়ে থাকেন। 

তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রজগতে নতুন যেসব ছবি আসছে, বিশ্বের খ্যাতনামা সব নির্মাতাদের, একেবারে ক্ল্যাসিক ঘরানার ছবি, সেসব ছবির প্রথম প্রদর্শনী হয় এ ধরনের বড় সব উৎসবে। সবার আগে এসব ছবি জুরি হিসেবে দেখার একটা সুযোগ তৈরি হয়। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, এ বছর ফিপ্রেসি ১০০ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক বড়মাপের চলচ্চিত্র নির্মাতাও বেরিয়ে এসেছে ফিপ্রেসি পুরস্কারের মাধ্যমে। এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে আগামীতেও ভালো ও প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র নির্মাতারা উঠে আসবেন—যা কোনো একদিন হয়তো আমিও বলতে পারব। ফিল্মের প্রতি যেহেতু আমার ভালোবাসা আছে, এতে করে আমারও একধরনের সন্তুষ্টি ঘটে।


আরও খবর

আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু ?

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মুক্তি পেল অনুদানের দুই সিনেমা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫