Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

নওগাঁয় তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ এর উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেছেন ৫ আগস্টে পাওয়া নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে তরুণদের পজেটিভ ভূমিকার কোন বিকল্প নেই। আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ এর ধারক ও বাহক। তাই তরুণদের সঠিক পথে পরিচালনা করতে পরিবারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের ভূমিকা অনেক। একজন তরুণকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সমাজের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তরুণ বয়সটি খুবই সাংঘাতিক সময়। এই বয়সে যদি ভুল করে কারোও পা পিছলে যায় তাহলে সেই তরুণকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা খুবই কষ্টসাধ্য। তাই তরুণ বয়সে যেন কোন ভাবেই কারো পাল্লায় পড়ে নিজেকে নষ্ট করা না হয় সেই বিষয়ে নিজেদের প্রতি খেয়াল রাখতে এবং গুরুজনসহ বড়দের প্রদান করা আদেশ-নিষেধগুলো মেনে চলতে তরুণদের প্রতি আহব্বান জানান নওগাঁ জেলা প্রশাসক। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষে নওগাঁয় শুরু হওয়া তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে একথাগুলো বলেন তিনি। সোমবার নওগাঁ সার্কিট হাউজ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁর নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার, বিপিএম।

এরপর বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমীর উদ্যোগে নওগাঁ শহরে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যানের মধ্যে আলোচনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা, রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুজ্জামান শাহ, নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসানুর রহমান, মৌসুমী'র মনিটরিং অফিসার আব্দুর রউফ পাভেল প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের অনুপ্রেরনায় উজ্জিবিত হয়ে আগামী বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে পজেটিভ ভাবনা নিয়ে তরুণদের অংশ গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত জেলা জুড়ে জুলাই বিপ্লবের চিত্র প্রদর্শনী, ক্রীড়া ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সফল ও গুনিজন সংবর্ধনা, দুর্নীতি বিরোধী ও পরিবেশ বিষয়ক সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির শীর্ষে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি থেকে এপ্রিল) মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ এখন শীর্ষে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস (OTEXA) এই তথ্য জানিয়েছে। তাদের সর্বশেষ হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ২৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৬২১ কোটি ৮০ লাখ) ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬৫ শতাংশ বেশি।

চীন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ—এই তিন দেশ মূলত মার্কিন বাজারে বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। ভিয়েতনাম এ বছর ৫০৮ কোটি ৯১ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। বছরে প্রবৃদ্ধির হার ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীন থেকে পোশাক আমদানি হয়েছে ৪৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের। প্রবৃদ্ধি মাত্র শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ।

তবে প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে উজ্জ্বল। এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ২৯৮ কোটি ৩১ লাখ ডলারের পোশাক। প্রবৃদ্ধির হার ২৯.৩৩ শতাংশ—যা ভিয়েতনামের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।

রপ্তানি প্রবৃদ্ধির তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০.৩০ শতাংশ। এরপর রয়েছে ইন্দোনেশিয়া (১৫.৬০ শতাংশ), পাকিস্তান (১৯.৭৯ শতাংশ) এবং কম্বোডিয়া (১৯.৫৭ শতাংশ)।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে এমন প্রবৃদ্ধির পেছনে আছে কয়েকটি কারণ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—নিয়মিত উৎপাদন, প্রতিযোগিতামূলক দাম, এবং গুণগতমান রক্ষা।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশের এই সাফল্য বাজারের চাহিদা, মান বজায় রাখা এবং দাম নিয়ে কৌশলগত সিদ্ধান্তের ফল। তবে এই ধারা বজায় রাখতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শুধু স্বল্পমেয়াদি সুবিধায় নির্ভর করলে ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ আসতে পারে।


আরও খবর

পেঁয়াজ উৎপাদনে আশার খবর

রবিবার ০৬ জুলাই ২০২৫

ঢাকায় ক্রমাগত বাড়ছে সবজির দাম

শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫




ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি যে কারণে হয়ে থাকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫ |

Image

ডা. মো. তালহা চৌধুরী

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথিতে স্নায়ুর ক্ষতি হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ঘটতে পারে, বিশেষ করে যদি দীর্ঘ সময় ধরে তার রক্তে শর্করার মাত্রা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না হয়। এটি অসাড়তা, ঝনঝন, ব্যথা এবং পেশি দুর্বলতাসহ বিভিন্ন উপসর্গের কারণ হতে পারে। প্রায়ই পায়ে শুরু হয় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে অগ্রসর হতে পারে। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির চিকিৎসার লক্ষ্যÑ লক্ষণগুলো উপশম করা, স্নায়ুর ক্ষতির অগ্রগতি ধীর করা এবং অন্তর্নিহিত ডায়াবেটিস পরিচালনা করা।

প্রকারভেদ : ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি বিভিন্ন ধরনের। প্রতিটি ধরন স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এবং নির্দিষ্ট উপসর্গ সৃষ্টি করে। এ ধরনগুলোর অন্তর্ভুক্ত হলো-

পেরিফেরাল স্নায়ুরোগ : এটি সবচেয়ে সাধারণ ফর্ম এবং এটি হাত-পায়ের স্নায়ুকে প্রভাবিত করে, বিশেষ করে পায়ে।

অটোনমিক নিউরোপ্যাথি : এ ধরনের স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, যা হজম, হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপের মতো অনিচ্ছাকৃত ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি : ডায়াবেটিক অ্যামিওট্রফি নামে এটি পরিচিত। এটি ঊরু ও নিতম্বকে প্রভাবিত করে এবং পেশি দুর্বলতা ও ব্যথা হতে পারে।

ফোকাল নিউরোপ্যাথি : এতে নির্দিষ্ট স্নায়ু বা স্নায়ুর গোষ্ঠীতে হঠাৎ এবং প্রায়ই গুরুতর দুর্বলতা বা ব্যথা হয়। এটি সাধারণত শরীরের একদিকে প্রভাবিত করে এবং বিভিন্ন অংশে ঘটতে পারে।

উপসর্গ : অসাড়তা এবং টিংলিং, জ্বলন্ত বা শ্যুটিং ব্যথা, পেশির দুর্বলতা, সংবেদন হারানো, অতি সংবেদনশীলতা, ভারসাম্য সমস্যা, হজমের সমস্যা, প্রস্রাবের সমস্যা, যৌন কর্মহীনতা, রক্তচাপের পরিবর্তন, পা, ত্বকের সমস্যা।

আমাদের করণীয় : রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ডায়াবেটিসের ওষুধ, যেগুলো সামঞ্জস্য করতে পারে বা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে, এমন ইনসুলিন আপনার চিকিৎসক লিখে দিতে পারে। সুষম খাদ্য খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার অপরিহার্য উপাদান। ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথা উপশমকারী, যেমন- অ্যাসিটামিনোফেন বা ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস। প্রেসক্রিপশনের ওষুধ যেমন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস (যেমন- অ্যামিট্রিপটাইলাইন, ডুলোক্সেটাইন), অ্যান্টিকনভালসেন্ট (যেমন- গ্যাবাপেন্টিন, প্রিগাবালিন) বা ওপিওড ওষুধ (আসক্তির আশঙ্কার কারণে সাবধানে ব্যবহার করা হয়)।

শারীরিক থেরাপি পেশি শক্তি এবং সমন্বয় উন্নত করতে, ব্যথা কমাতে এবং সামগ্রিক গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া সাময়িক চিকিৎসা হিসেবে ওভার-দ্য-কাউন্টার ক্রিম বা প্যাচযুক্ত ক্যাপসাইসিন (মরিচ থেকে প্রাপ্ত) স্থানীয় ব্যথা থেকে সাময়িক উপশম দিতে পারে। ট্রান্সকিউটেনিয়াস ইলেকট্রিক্যাল নার্ভ স্টিমুলেশন থেরাপিতে এমন একটি যন্ত্রের ব্যবহার জড়িত যা স্নায়ুর প্রান্তে বৈদ্যুতিক আবেগ সরবরাহ করে, সম্ভাব্য ব্যথা উপশম প্রদান করে। এছাড়া জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। এজন্য নিয়মিত পায়ের যত্ন নিন এবং জটিলতা রোধ করতে পা পরিষ্কার ও ময়েশ্চারাইজ করুন। ধূমপান নিউরোপ্যাথির লক্ষণগুলো আরও খারাপ করতে পারে, জটিলতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বেশি অ্যালকোহল সেবন নিউরোপ্যাথির লক্ষণগুলো বাড়িয়ে তুলতে পারে।

চিকিৎসা : আপনি নির্দিষ্ট যেসব লক্ষণ অনুভব করেন, তার ওপর নির্ভর করে চিকিৎসক অতিরিক্ত চিকিৎসার সুপারিশ করতে পারেন।

নিয়মিত পর্যবেক্ষণ : নিউরোপ্যাথির অগ্রগতি নিরীক্ষণ করতে এবং প্রয়োজন অনুসারে আপনার চিকিৎসা পরিকল্পনা সামঞ্জস্য করতে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে নিয়মিত চেক-আপ বজায় রাখা অপরিহার্য।

লেখক : কনসালট্যান্ট, ফ্যামিলি মেডিসিন, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল

চেম্বার : আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০, ঢাকা

হটলাইন : ১০৬৭২, ০৯৬৭৮৮২২৮২২


আরও খবর



জটিল রোগাক্রান্তদের হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

২০২৬ সালে পবিত্র হজ পালনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। এতে ১২ অক্টোবরের মধ্যে হজে যেতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ৯ নভেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

তবে এবার মেডিকেল ফিটনেস (শারীরিক সুস্থতা) ছাড়া কেউ হজে অংশ নিতে পারবেন না। এর মধ্যে হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতা, লিভার সিরোসিস, নিউরোলজিক্যাল বা মানসিক সমস্যা, কেমোথেরাপি/রেডিওথেরাপি নেওয়া ক্যানসার এবং ঝুঁকিপূর্ণ অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এই ধরনের একটি রোডম্যাপ হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), হজ এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো পাঠিয়েছে।

সৌদি আরবের বরাত দিয়ে রোডম্যাপে বলা হয়েছে, হজ এজেন্সিগুলোর আগামী বছর হজে সর্বোচ্চ দুটি সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করার সুযোগ থাকবে। সব ধরনের চুক্তি এবং অর্থ প্রদান ‘নুসুক মাসার’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে। এর বাইরে কোনো অর্থ দেওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। কুরবানির অর্থও এই প্ল্যাটফর্মে জমা দিতে হবে। এছাড়া হজযাত্রীদের খাবারসংক্রান্ত চুক্তি করতে হবে সৌদি ক্যাটারিং কোম্পানির সঙ্গে। একই সঙ্গে তাঁবু, সেবা প্যাকেজ এবং পরিবহণ খরচ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশে জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হজের নিবন্ধন করতে পারবেন না বলে জানানো হয়।

আরো জানা যায়, ১০ জুলাই হজ কোটা ঘোষণা করবে সৌদি সরকার। ২৬ জুলাই থেকে ‘নুসুক মাসার’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্যাম্পসংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষণ ও অর্থ স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। ৯ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত চলতি হজ মৌসুমের ব্যবহৃত ক্যাম্পগুলো আগামী হজ মৌসুমের জন্য পুনর্ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। এছাড়া প্যাকেজ, আবাসন, পরিবহণ চুক্তি, এয়ারলাইন্স নির্ধারণসহ ফ্লাইট সূচি চূড়ান্ত করতে হবে ২৪ আগস্টের মধ্যে।

একই সঙ্গে হজযাত্রীদের তথ্য নুসুক মাসারে আপলোড এবং গ্রুপ গঠন শুরু করতে হবে। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁবু ভাড়া ও মাশায়ের প্যাকেজ বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠাতে হবে। ৪ জানুয়ারির মধ্যে সেবা সংস্থার সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি এবং ফ্লাইট সূচি নির্ধারণ করতে হবে। ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে মক্কা-মদিনার হোটেল ও পরিবহণসংক্রান্ত অর্থ স্থানান্তর প্রক্রিয়া, যা চূড়ান্ত করতে হবে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়া শুরু হবে ৮ ফেব্রুয়ারি এবং চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রা শুরু হবে ১৮ এপ্রিল।

এ বিষয়ে হজ অধিশাখার যুগ্ম সচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সৌদি সরকারের নির্দেশনা আমরা যথাযথ অনুসরণ করব। হজের প্রাক-নিবন্ধন করার আগে সিভিল সার্জন কর্মকর্তার কর্তৃক শারীরিক সুস্থতার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অবহিত করব।


আরও খবর

মহররম মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল

বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫




মেঘনা নদীর বুকে নৌযানের বিচরণ ষোলআনী সৈকত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

ঢাকা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানায় মেঘনা নদীর পাড় ঘেঁষা ষোলআনী প্রজেক্ট বর্তমানে ষোলআনী সৈকত (Sholoani Saikat) নামে পরিচিত। এই স্থানটি আগে দৌলতপুর নামে পরিচিত ছিল। নদী ভাঙ্গন রোধ করতে মেঘনা নদীর পাড়ে সিসি ব্লক দিয়ে বাধ নির্মাণের ফলে এই স্থানটির সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পায় এবং তা প্রকৃতিপ্রেমীদের আকর্ষণ করে। ঢাকা থেকে দূরত্ব কম হওয়ার কারণে বাইকারদের কাছে এই স্থান অতি অল্প সময়ে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

 

প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ষোলআনী সৈকতের মনোরম পরিবেশে মেঘনা নদীর বুকে নৌযানের বিচরণ, অসীম নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেসে বেড়ানো, অপূর্ব সূর্যাস্তের সৌন্দর্য কিংবা ভরা জোছনার মোহনীয় রূপ উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া এখানে নৌকা ভাড়া করে মেঘনার বুকে ভেসে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

কিভাবে যাবেন

ষোলআনী সৈকতে যেতে চাইলে রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান থেকে গজারিয়া পরিবহন, দাউদকান্দি অথবা গৌরিপুরগামী বিআরটিসি বাসে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড আসতে হবে। ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজিতে চড়ে প্রথমে রসুলপুর নেমে অন্য এক সিএনজিতে ষোলআনী স্ট্যান্ড পৌঁছে পায়ে হাটা দূরত্বে অবস্থিত ষোলআনী সৈকতে যাওয়া যায়। এছাড়া চাইলে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি রিজার্ভ নিয়েও সরাসরি ষোলআনী সৈকত আসা যায়।

গুলিস্তান থেকে ভবেরচর পর্যন্ত গজারিয়া পরিবহনের ভাড়া জনপ্রতি ৭০ টাকা এবং বিআরটিসি এসি বাসের ভাড়া ১১০ টাকা। ভবেরচর থেকে রসুলপুর পর্যন্ত লোকাল সিএনজি ভাড়া জনপ্রতি ২০ টাকা। রসুলপুর থেকে ষোলআনী পর্যন্ত লোকাল সিএনজি ভাড়া জনপ্রতি ২০ টাকা। আর ভবেরচর হতে ষোলআনী সৈকত পর্যন্ত সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া ২০০ টাকা।

কোথায় খাবেন

স্থানীয় হোটেলে বিভিন্ন দেশীয় মাছ ও নানা পদের ভর্তা দিয়ে খেতে পারবেন।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে মাস্ক-স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

দেশজুড়ে করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষভাবে কেন্দ্রগুলোতে মাস্ক পরা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সোমবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত এক জরুরি নির্দেশনায় এসব কথা বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। একইসঙ্গে কেন্দ্রের প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে কেন্দ্রের ভেতরে ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং পরীক্ষা শুরুর আগে মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, পরীক্ষা কক্ষের আসন বিন্যাস যথাযথভাবে বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী করতে হবে। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেডিকেল টিম সক্রিয় রাখতে হবে এবং সিভিল সার্জন বা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। একইসঙ্গে জনসচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে হবে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে অভিভাবকদের ভিড় বা জটলা এড়াতে প্রচারণা চালাতে হবে।

নির্দেশনায় পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। বোর্ডের ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে ২৬ জুন এবং চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ১১ থেকে ২১ আগস্ট।



আরও খবর