Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ভাতিজার হাতে চাচা খুন, খুনী ভাতিজা আটক

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর নিয়ামতপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরধরে ভাতিজার হাতে আরশেদ আলী (৫৫) নামে এক চাচা খুন হয়েছে। এঘটনাটি ঘটেছে সোমবার উপজেলার পানিহাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘাতক ভাতিজা নুর হাবিব ওরফে সুমন (৩১) কে আটক করে থানা নিয়ে যায়। জানা যায়, আরশেদ আলী ঐ এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের মেজ ছেলে আর অভিযুক্ত ভাতিজা নুর হাবিব সুমন নিহতের বড় ভাই নুর আলমের ছেলে। ঘটনার পরে নুর হাবিব সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিবার ও থানা সূত্রে জানা যায়, পরিবারের সকলে একই বাড়িতে বসবাস করেন। সোমবার সকাল ৮টার দিকে আশেদ আলী গরুকে পানি খাওয়াচ্ছিলেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত ছিলেন। চাচা আশেদ আলী তাকে কোন এক বিষয়ে কাজের কথা বললে রাগান্বিত হয়ে পেছন থেকে হাঁসুয়া দিয়ে উপর্যুপরি মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এসে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়েগেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মনিরুল ইসলাম তালুকদার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, কি কারণে এমন ঘটনা ঘটালো তা আমরা বুঝতে পারছি না। তবে সুমনের মনের ভেতরে ক্ষোভ থাকতে পারে। নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সংবাদ তথ্য সংগ্রহকালে এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



৩০টি বড় অর্থপাচার মামলার প্রস্তুতি

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দেশ থেকে বিদেশে পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারে চলতি বছরের মধ্যে ৩০টি বড় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার লিটিগেশন ফান্ড সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর।

লন্ডনের খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ডিএলএ পাইপার এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। সেখানে বিশ্বখ্যাত লিটিগেশন ফান্ডিং প্রতিষ্ঠান ও তদন্ত কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ১০ থেকে ১৩ জুন লন্ডনে চার দিনব্যাপী সরকারি সফর সম্পন্ন করেছেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন, যা দেশের সম্পদ পুনরুদ্ধার কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্স প্রবাহ সহজীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গভর্নর মূলত প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে লন্ডনে যান। তবে তিনি স্বতন্ত্রভাবে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে সহায়ক হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, গোলটেবিলে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল ওমনি ব্রিজওয়ে, বেঞ্চওয়াক ক্যাপিটাল, আলভারেজ অ্যান্ড মার্সাল এবং ইউনিটাস গ্লোবাল।

অংশগ্রহণকারীরা দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশীয় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে চুক্তি (এনডিএ) স্বাক্ষর করে ঋণ খেলাপি ও পাচার হওয়া সম্পদের তথ্য বিনিময় শুরু করার ওপর জোর দেন, যাতে আন্তর্জাতিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ত্বরান্বিত করা যায়।

গভর্নর ড. মনসুর আলোচনায় বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক চায় এই মামলাগুলোর মাধ্যমে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ ফেরত আনতে। তিনি প্রস্তাব করেন, যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরের মতো প্রধান অর্থপাচার গন্তব্য দেশে মামলা পরিচালনার জন্য একটি স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি) গঠন করা যেতে পারে, যা সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রভাব থেকে রক্ষা করবে।

গভর্নরের এই ঘোষণাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শুধু দেশের আর্থিক খাত নয়, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নতুন একটি মাত্রা ছুঁতে যাচ্ছে।

এ সফর ও রাউন্ড টেবিল আলোচনার পর আন্তর্জাতিক লিটিগেশন ফান্ডিং ও তদন্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ১১ জুন গভর্নর ড. মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) পরিদর্শন করেন এবং আইএসিসিসি প্রধান ড্যানিয়েল মারফিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে গভর্নর বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ পুনরুদ্ধার টাস্কফোর্সের সঙ্গে আইএসিসিসির চলমান সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং ১১টি অগ্রাধিকার সম্পদ পুনরুদ্ধার মামলায় গঠিত যৌথ তদন্ত দলের (জেআইটি) কারিগরি সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাজ্যে প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ১৭০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ এবং সম্প্রতি বেক্সিমকো গ্রুপের শায়ান রহমান ও শাহরিয়ার রহমানের ৯০ মিলিয়ন ডলার সম্পদের জব্দকরণ বাংলাদেশের সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার একটি বড় অর্জন। গভর্নর আশা প্রকাশ করেন, এই পদক্ষেপ অন্যান্য অর্থপাচার গন্তব্য দেশগুলোকেও অনুপ্রাণিত করবে।

এনসিএ সফরের পর গভর্নর লন্ডনে আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ডিএলএ পাইপার আয়োজিত একটি গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। আলোচনায় ওমনি ব্রিজওয়ে, বেঞ্চওয়াক ক্যাপিটাল, আলভারেজ অ্যান্ড মার্সাল এবং ইউনিটাস গ্লোবালসহ বহু বৈশ্বিক তদন্ত ও লিটিগেশন ফান্ডিং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে চলতি বছরের মধ্যে ৩০টি বড় মামলা চালাতে ১০০ মিলিয়ন ডলারের লিটিগেশন ফান্ডিং সংগ্রহের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে গোপনীয়তা চুক্তি (এনডিএ) সই করে তথ্য বিনিময় ও সম্পদ শনাক্তকরণের কাজ শুরুর আহ্বান জানান।

গভর্নর এই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলোতে মামলার জন্য একটি স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি) গঠন করা হলে তা সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের ঝুঁকিও কমাবে।


আরও খবর



বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের ভিসা বন্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিশ্বব্যাপী সব মার্কিন দূতাবাসে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা সাক্ষাৎকার অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে । বুধবার (২৮ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয় এ তথ্য।

এ বিষয়ে দূতাবাসগুলোতে স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এতে পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত এই বিরতি কার্যকর থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, ভিসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ভেটিং বাড়ানো হবে। ফলে এটি দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজ বলছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের স্মারকলিপিতে গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন দূতাবাসগুলোকে ভিসা প্রার্থী শিক্ষার্থীদের নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে যাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইতোমধ্যে নির্ধারিত আছে, তাদের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বাধা নেই বলেও জানানো হয়।

স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি বলেন, দেশে কে আসছে তা যাচাই করার প্রক্রিয়াটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, আর আমরা এটি অব্যাহত রাখব।

সিদ্ধান্তটি এমন সময় আসলো, যখন আমেরিকার কিছু অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে ট্রাম্পের বিরোধ তুঙ্গে। ট্রাম্প মনে করেন এই প্রতিষ্ঠানগুলো খুবই বামপন্থী। সেইসাথে তিনি অভিযোগ করেন, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী সক্রিয়তাকে মদদ দিচ্ছে। সেইসাথে, ইহুদি বিদ্বেষের বীজ রোপণের পাশাপাশি, বৈষম্যমূলক ভর্তি নীতিও বাস্তবায়ন করছে।

বর্তমানে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে চান, তাদের আগে নিজ দেশে অবস্থিত আমেরিকান দূতাবাসে সাক্ষাৎকার দিতে হয়। এবার সেটিই মূলত বন্ধ করলো ট্রাম্প প্রশাসন।

অপরদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাদের বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ তুলেছে। এর মধ্যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্পের ক্রোধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এর আগে, গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক ছাত্রদের ভর্তি বা বিদেশি গবেষকদের নিয়োগ দেয়ার জন্য হার্ভার্ডের যে ক্ষমতা ছিল, তা বাতিল করে। সেইসাথে প্রত্যাহার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির আনুমানিক ১০০ মিলিয়ন ডলার ফান্ড।

বিশ্লেষকগণ মনে করছেন, যদি এই পদক্ষেপ অনুমোদিত হয়, তবে এটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলোর এক-চতুর্থাংশেরও বেশি শিক্ষার্থী বিদেশি। আর অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের তহবিলের বড় একটি অংশের জন্য এই বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করে। কারণ তারাই মূলত উচ্চ টিউশন ফি প্রদান করে।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে১৬ আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদকসহ আওয়ামীপন্থী ১৬ জন আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিল করেছে বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিমুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে সদস্যপদ বাতিলের সুনির্দিষ্ট কারণ কিংবা সমিতির গঠনতন্ত্রের কোন ধারায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।

সদস্যপদ বাতিল হওয়া আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পিপি আবদুল মান্নান রসুল, সাবেক সহসভাপতি মঞ্জুর হোসেন ও তাঁর পুত্র মোর্শেদ কামাল, সাবেক জিপি তপন কুমার রায় চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এপিপি এম আলম খান কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এপিপি আ.স.ম. মোস্তাফিজুর রহমান (মনু), সাবেক সভাপতি মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব জি.কে মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এপিপি সঞ্জয় কুমার মিত্র, মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, কার্তিক চন্দ্র দত্ত, সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর শামীম, তানজিলা হক, মো. আবুল বাশার এবং জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এস. এম. রুহুল আমীন রিজভী।

সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে কার্তিক চন্দ্র দত্ত বলেন, "আমাদের আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ অন্যায় ভাবে বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ  করবো।"

এ বিষয়ে সমিতির ভর্তি বিষয়ক সম্পাদক আক্কাস সিকদার বলেন, “শুধু আওয়ামীপন্থী নয়, আরও প্রায় ৩০ জনের সদস্য পদ বাতিল নিয়ে সভায় প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে কিন্তু সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়নি। সাধারণ সভা ছাড়া আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি এভাবে বিপুল সংখ্যক  সদস্যদের পদ বাতিল করতে পারে না।  এ বিষয়টি সাধারণ সভায় আলোচনার কথা ছিল। তাছাড়া ভিজিলেন্স উপকমিটির মতামত ব্যতিত কারো বিরুদ্ধে  শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যায়না।'  

সমিতির নির্বাহী সদস্য ও যুবদল নেতা আনিসুর রহমান খান বলেন, “চিঠিতে যেটা বলা হয়েছে, যে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা সত্য নয়। কার্যনির্বাহী কমিটিতে এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা সাধারণ সভায় বিষয়টি তোলার পরামর্শ দিয়েছিলাম।”

অন্যদিকে, সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শহর বিএনপির সভাপতি মো. নাসিমুল হাসান বলেন, "আমরা জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে উল্লেখিত ১৬ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। কমিটির প্রতিবেদনে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁদের বিভিন্ন অন্যায় কর্মকাণ্ডসহ আইনজীবীদের মারধর, মামলা হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক তাঁদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

সদস্যপদ বাতিল নিয়ে ঝালকাঠি আইনজীবী মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, বিষয়টি রাজনৈতিক প্রভাবিত এবং গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে নেওয়া হয়েছে। 


আরও খবর



মনেপড়ে চরমোনাই এর পীর সাহেব (রহঃ) কে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী, শিক্ষক ও কলামিষ্ট :

ফিলিস্তিনের মুসলমানদের যে অবস্হা, যেভাবে তাদের উপর  নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে তাতো গভীর উদ্বেগের বিষয়।  আমরাতো বাংলাদেশী। ছোট একটি দেশ  ।  অবশ্য আমাদের দেশের সরকার প্রধান ফিলিস্তিনের নির্যাতিত  মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের সুচিকিৎসা এবং বিভিন্ন ভাবে সহযেগিতার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এবং ফিলিস্তিনে নির্যাতন- নিপীড়ন বন্ধ করার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই আমাদের সরকারকে। তবে  যারা ক্ষমতাধর রাষ্ট্র, যারা অনেক শক্তিশালী,  যারা এ সমস্ত বিষয়গুলো ফায়সালা করতে পারেন, তারা কিন্তু নিশ্চুপ। কোন আওয়াজ তাদের নেই।  যেভাবে নিরপরাধ মানুষগুলো মারা হল, কারো যেন মাথা ব্যাথা নেই।

মানে যারা ভূত ছাড়াতে পারবেন, অলরেডি  তারা যেন ভূতের দ্বারা আক্রান্ত। কেউ মানবতার পক্ষে কথা বলছেন না। সবাই যেন তেলো মাথায় তেল দিচ্ছেন। অনেকেই ইসরাইলের পক্ষে।  তারা বিভিন্ন সময় অহেতুক কাজে তাদের  দ্বীল কেঁদে উঠলেও মুসলমান মারার সময় একটুও যেন তাদের মনটা কাঁদে না।

আমাদের জাতিসংঘ  এর ভুমিকা  থাকে একদম নিরব।   বিশেষ  করে মুসলমান মারার সময় তারা যেন ঘুমে বিভোর থাকেন।তাদের কাজ-কারবার  দেখে মনেহয়না বিশ্বে কিছু ঘটে যাচ্ছে। যেটা খুবই দুঃখজনক।


এজন্য আমাদেরই একজন প্রাণপ্রিয় নেতা। যিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের আধ্যাত্মিক রাহবার এবং রাজপথের লড়াকু সৈনিক ছিলেন, তিনি চরমোনাই এর মরহুম পীর সাহেব ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং আপোষহীন সংগ্রামী নেতা সৈয়দ মোহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ, পীর সাহেব চরমোনাই। তিনি একবার বক্তৃতায়  বলেছিলেন, আমাদের মুসলিম জাতিসংঘের প্রয়োজন। যে সংঘটি  নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে কথা বলতে পারে। মুসলিমদের সুবিধা- অসুবিধার কথা তুলে ধরতে পারে।

আজকের এই ক্রান্তিকালে সৈয়দ মোহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ, এর কথা বড্ড স্মরণ হয়। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর যে ভাবে জুলুম চলে আসছে, তাতে মুসলিম জাতিসংঘ গঠন সময়ের দাবী। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভাবে ঐ সকল জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন।

সৈয়দ ফজলুল রহ, একজন মুখলিস পীর  এবং বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। যিনি আমাদের দেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে বহু চিন্তা করেছিলেন। তাঁর সেই প্রস্তাব  সেই সময়ে ব্যাপকভাবে সমর্থন পেয়েছিল।  তিনি যদিও আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর চিন্তা- চেতনা, তাঁর রাজনৈতিক দর্শনগুলো যেন অমর হয়ে রয়েছে। সত্যিকারার্থে  বর্তমান পরিস্হিতিতে সকল মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যদি মজলুমদের পক্ষে কথা বলে, তাহলে জালিমেরা  এত্ত সাহস পায় না। কিছুটা হলেও তারা নমনীয় হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভাবে কোন তীব্র প্রতিবাদ  না আসায় তাদের আস্ফালন বেড়েই চলেছে।

এজন্য মুসলিম দেশগুলো একত্রিত হয়ে ঐসকল জালিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নচেৎ মুসলমানদের উপর  থেকে নির্যাতনের খড়গ  নেমে যাবে না।

সাময়িক ভাবে হয়ত ইসরাইল পিছু হটেছে। যুদ্ধ বিরতী এখন। কিন্তু  ওদের তো ওয়াদা ঠিক থাকেনা। আবারও কখন ওরা মুসলিমদের উপর তেড়ে আসবে না এটার কোন গ্যারান্টি নেই। এজন্য বিশ্ব নেতাদের ঐকবদ্ধ হয়ে  একটা সুরাহা করা উচিত।

বিশ্ব মুসলিমের এই ক্রান্তিকালে তাইতো বড্ড স্মরণ হয় সৈয়দ ফজলুল করীম রহ, ( পীর সাহেব চরমোনাই) এর কথা। বারবার মনেপড়ে।  তাঁর চিন্তা- চেতনা ছিল আসলেই প্রশংসনীয়। তিনি মুসলিমদের কথা ভেবে ছিলেন নিঃস্বার্থ ভাবে।  এজন্য তিনি যেন আমাদের হৃদয়ে গেঁথে আছেন। 

সৈয়দ ফজলুল করীম রহ, একজন আপোষহীন বলিষ্ঠ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তাঁর রাজনীতি ছিল যেন বে- মেছাল। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে এদেশে রাজনীতি করেছেন।  যার কারণে তাঁর সুনাম - সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল দেশ থেকে দেশান্তরে। বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া রুপসা থেকে পাথুরিয়া  এক  নামে যিনি ছিলেন সবার প্রিয়। সেই মহান ব্যক্তি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের কথা ভেবেছেন। বিশ্ব মুসলিমের শান্তি- নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেছেন সব সময়। 

তাঁর বড় এক   সুচিন্তা  ছিল মুসলিম জাতিসংঘ। মুসলিমগণ এক হয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বললে  কোনদিন আর মুসলিমদের উপর এভাবে নির্যাতন নেমে আসবেনা।  বিশ্বে যত মুসলিম রাষ্ট্র আছে সকলেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করা সম্ভব। মুসলমানেরা একতাবদ্ধ না হয়ে কখনো এই ধরনের অমানবিক নির্যাতন বন্ধ হবে না।

আল্লাহতায়ালা সেই মহান মনিষীকে ক্ষমা করুন। জান্নাতুল ফিরদাউসে সুউচ্চ মাকাম দান করেন। আমিন


আরও খবর



সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির শঙ্কা, বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এই অবস্থায় দেশের আট বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালক থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫