Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ভুট্টা তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

নওগাঁর রাণীনগরে ভুট্টা তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে জামিল প্রামানিক (২২) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত যুবক জামিল প্রামানিক উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত আজাদ প্রামানিকের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, জামিল সহ ৩ জন শ্রমিক মঙ্গলবার বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে ভবানীপুর মাঠে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে ভুট্টা তুলছিলেন। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতে জামিল গুরুত্বর আহত হলে তার সহপাঠী সহ স্থানীয় লোকজন জামিলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আরও খবর



ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়েছে সিলেট নগরী। আবারও সিলেটে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি একই গতিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলেও ঝড়ে আশঙ্কা রয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসের এসব তথ্য জানা যায়।

রোববার (৩১ মার্চ) রাতে সিলেট নগরে তাণ্ডব চালায় কালবৈশাখী ঝড়। এ সময় পড়ে শিলাবৃষ্টিও। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা দমকা হাওয়ায় অনেক বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর শিলাবৃষ্টিতে গাড়ির গ্লাস ও টিনের চাল ফুটো হয়ে যায়।

এদিকে সোমবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

প্রথম দিনের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে-চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও রাতে সামান্য কমবে।

নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে এসব অঞ্চলে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

দ্বিতীয় দিনে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়বে।

তৃতীয় দিনে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়বে।


আরও খবর



নওগাঁয় জাল সনদে চাকরির অভিযোগ উঠা সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় এর বাংলা বিষয় এর শিক্ষক মোছাঃ ময়না খাতুন এর বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি এই সনদ দিয়ে নিয়োগ নেওয়ার পর এক যুগ ধরে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। 

গত সোমবার "নওগাঁয় জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে বারো বছর চাকরির অভিযোগ" শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এর আগে ঐ শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদের কোন তথ্য নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসের রেজিস্ট্রারে না থাকায় অনুসন্ধানী এই সংবাদটি প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা। সেই সংবাদটি রাণীনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নজরে এলে তিনি ওই শিক্ষিকার সনদ গুলো যাচাইয়ের জন্য আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ সহ সকল কাগজপত্র উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য আজ বৃহস্পতিবার একটি চিঠি করেন।

চিঠি প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল কুমার সরকার।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকাশিত সংবাদটি আমার নজরে আসার পর আমি অভিযুক্ত শিক্ষককেসহ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে সকল প্রকার সনদ সহ অন্যান্য কাগজপত্র অফিসে জমা দিতে বলেছি। এরপর কাগজ পত্র যাচাইয়ের জন্য এনটি আর সিএ দপ্তরে প্রেরণ করা হবে। সেখান থেকে সনদ যাচাই প্রতিবাদ পাওয়ার পর পত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ২৩ বছর

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

রাজধানীর রমনা বটমূলে ২০০১ সালে ছায়নটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ। বিস্ফোরণ প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন অনেকে। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয় দুটি।

দুই মামলার তদন্ত ও বিচার কাজ একসঙ্গে শুরু হলেও ২৩ বছরেও বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হতে পারেনি বিস্ফোরক মামলাটি। কারণ হিসেবে সাক্ষী হাজির না হওয়া, প্রতি বছর একই যুক্তি দিয়ে আসছে রাষ্ট্রপক্ষ।

পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুলাহ আবু বলেন, সাক্ষীরা একবার সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ওই সাক্ষীদের সহজেই পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচার কাজ শেষ হওয়া উচিত।

হত্যা মামলাটি অবশ্য বিচারের প্রথম ধাপ পেরিয়েছে ১০ বছর আগে। এরপর হাইকোর্টে এসে আটকে গেছে। বিভিন্ন সময়ে আদালতে উঠলেও অন্তত ৪০০ বার পিছিয়েছে শুনানি।

এ বিষয়ে অ্যার্টনি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ওই বেঞ্চের একজন বিচারপতি আইনজীবী হিসেবে এই মামলায় কাজ করেছিলেন। তাই তিনি শুনানি করতে পারেননি। এ কারণে হয়ত কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এবার তার বেঞ্চে শুনানি হবে। আমরা প্রস্তুত আছি।

প্রায় দুই যুগ ধরে চলা এই হামলার বিচার শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ জানান শিল্পীরা।

সঙ্গীতশিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, আমাদের দেশের কিছু লোক আছেন, যারা বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঁকা চোখে দেখেন। তবে এ ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ রায় যাতে পাই, সেই প্রত্যাশা করি।

২০১৫ সালে হত্যা মামলার রায়ে মুফতি হান্নানসহ মোট আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাদের মধ্যে বিএনপি সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ ৪ আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয় অন্য আরেকটি মামলায়।


আরও খবর



"বাবাভাণ্ডারী (কঃ) দুঃখী-ভাবী-অসহায়দের আশ্রয়স্থল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত লক্ষ লক্ষ আশেকানে মাইজভাণ্ডারীদের সরব অংশগ্রহণে মহান ২২শে চৈত্র, গাউসুল আযম, ফানাফিল্লাহ্, বাকাবিল্লাহ্, শেখে ফায়াল, ইউসুফে সানী, জামালে মোস্তফা, হুজুর গাউসুল আযম, শাহ্সুফি সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (কাদ্দাসাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ) এর ৮৭তম পবিত্র ওরশ শরীফ মাইজভাণ্ডার শরীফসহ সারা বিশ্বে মহাসমারোহে উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে 'আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া' পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, জীবনী মুবারক আলোচনা, জিয়ারত, ওয়াজ মাহ্ফিল, ইফতার ও সাহরী আয়োজনসহ ৩ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করেছে। ৫ এপ্রিল, ২০২৪ মাইজভাণ্ডার শরীফে ইফতারের পূর্বে এবং সাহরীর পূর্বে আলোচনা ও মুনাজাত পরিচালনা করেন, বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর প্রপৌত্র, মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। তিনি বলেন, "গাউসুল আযম হযরত সৈয়দ আহমদউল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ) আখেরী জামানার ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে যুগোপযোগী এবং স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি প্রেমের অনন্য এক তরিকা, 'তরিকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়া' প্রবর্তন করেছেন। মাইজভাণ্ডারী তরিকা মূলত ক্বাদেরিয়া তরিকার অনুসরণে প্রবর্তিত হয়েছে। বাংলাদেশে 'ক্বাদেরিয়া' তরিকার মূল দায়িত্ব পালন করছেন হযরত সৈয়দ আহমদউল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)। তারই স্নেহধন্য ভ্রাতুষ্পুত্র ইমামুল আউলিয়া, হুযুর গাউসুল আযম হযরত সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এ মহতী তরিকাকে পূর্ণতা দান করেছেন। তিনি গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর সুশোভিত বাগানের শ্রেষ্ঠ প্রষ্ফুটিত গোলাপ। যার সৌরভ আজ বিশ্বজুড়ে। তার মাঝে খিজিরি বেলায়তের ঐশ্বর্য বিরাজমান। তিনি শরীয়তের জ্ঞানে যেমন পারদর্শী ছিলেন, তেমনি প্রবল কষ্ট-সাধনা-রিয়াজতের মাধ্যমে মারেফাতের সীমাহীন খনি অর্জন করেছেন। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর সুউচ্চ, দুর্গম পাহাড়ে, বনে জঙ্গলে, নির্জনে মহান আল্লাহ্ তায়ালার ধ্যানে নিমগ্ন ছিলেন। তার নূরানী রূপের আলো, আধ্যাত্নিক শক্তি, মানবিকতা, উদারতা, স্নেহ-ভালোবাসার প্রভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে স্থান পেয়েছেন। আজও জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অজস্র মানুষ বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে নবীপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন, আল্লাহ্ তায়ালা ও ইসলামকে জানছেন। বিচ্ছিন্ন জনপদেও তিনি ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছেন।

মাইজভাণ্ডার শরীফকে গাউসুল আযম ক্বেবলা ক্বাবা (কঃ) ও গাউসুল আযম বাবাভাণ্ডারী (কঃ) দুই সমুদ্রের মিলনস্থলের মত মহাকাব্যিক স্থানে পরিণত করেছেন। বাবাভাণ্ডারী (রাঃ) এদেশের মাটি-মানুষের আবেগ-ভালোবাসার সাথে মিশে আছেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে এ দেশের মানুষের সকল মুক্তি সংগ্রামে এবং অগ্রযাত্রায় তার অবদান অনস্বীকার্য। বাবাভাণ্ডারী (রাঃ) অভাবী, দুঃখী, শোষিত-বঞ্চিতদের আশ্রয়স্থল ; সুখ-দুঃখের সাথী। তিনি মানুষের অন্তরে স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার শিখা জ্বেলেছেন, নবীপ্রেমের জোয়ার এনেছেন, আহলে বাইতগণের মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের পতাকাকে উড্ডীন করেছেন। তার বেলায়তের প্রভাব বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকে নি। কারণ গাউসুল আযম কোন নির্দিষ্ট স্থানের জন্য শুভাগমন করেন না। তিনি সকলের। বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর জীবনাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমাদেরকে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। আল্লাহ্ ও রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আহলে বাইতগণের এর ভালোবাসায় জীবন সাঁজাতে হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, খলিফাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

দোজাহানের বাদশাহ্  হুযুরপুর নূর, আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তফা, প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং সম্মানিত আহলে বাইতে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাতু সালাম নিবেদন শেষে মাহ্ফিলের সমাপনী মুনাজাতে বিশ্ববাসীর কল্যাণে প্রার্থণা করেন শাহ্সুফি সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর



ঈদে সেমাই খাওয়ার প্রচলন শুরুর অজানা তথ্য!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশে সেমাই ছাড়া ঈদ উদযাপন কল্পনা করা যায় না তবে মজার বিষয় হচ্ছে, ঈদের সাথে সেমাইয়ের এই যোগসূত্র কিন্তু খুব পুরনো নয় তবে ইতিহাস বলে সেমাইয়ের প্রচল নিয়ে আছে ভিন্ন রকম মত

ঈদুল ফিতরের সঙ্গে সেমাইয়ের সম্পর্কটা কীভাবে তৈরি হলো তার হদিস পাওয়াটাও একটু কঠিন বাঙালির সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসে গ্রন্থে যেটুকু পাওয়া যায় তার মধ্যে সেমাইয়ের কথা কোথাও উল্লেখ নেই তবে ফিরনির কথা আছে নবাব আলিবর্দী খাঁর খাদ্য তালিকায় খিচুড়ির উল্লেখযোগ্য অবস্থান ছিল সেমাইয়ের বিষয়ে উল্লেখ পাওয়া যায় না মোগল রসুইঘরেও সুতরাং সেমাই মোগলাই খাবারের মধ্যে পড়ে না 

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যেও বেশ কিছু খাবারের নাম পাওয়া যায় কিন্তু সেমাইয়ের কথা কোথাও নেই হিন্দু কবিদের রচনাতে তো নেই মুসলমান কবির রচনাতেও নেই সেমাইয়ের দেখা পাওয়া যায় না মোগলদের রন্ধনশালাতেও অর্থাৎ সেমাই মোগলাই খানার মধ্যে পড়ে না অথচ সম্রাট বাবর এসেছিলেন যে আফগানিস্তান থেকে সেই আফগানিস্তানে এখনো সেমাই চলে তবে ভিন্ন নামে আগেও নিশ্চয় চলতো সেখানে সেমাইকে বলেসেমিরা

ভারতের অনেক অঞ্চলে অবশ্য সেমাই রান্নার প্রকরণ দুই রকম এক হলো নামকিন সেমিয়া অর্থাৎ তা নোনতা স্বাদের অন্যটা হলো সেভিয়া ক্ষির বা দুধ সেমাই নামকিন সেমিয়া নিয়ে আমার কোনো কথা নেই কথা বলতে গেলে নুডল্, স্প্যাগেটি, চাওমিন ইত্যাদি খাদ্য চলে আসবে আমার কথার বিষয় খাওয়া শেষে মুখ মিষ্টি করার মিষ্টান্ন নিয়ে মিষ্টান্ন হিসেবে সেমাইয়ের ব্যাপারটা কিন্তু বহুজাতিক মিষ্টি স্বাদ চেহারার সেমাই পাওয়া যাবে গ্রিসে নাম কাতাইফি বাংলাদেশে ঘি দিয়ে ভেজে যে দমের সেমাই তৈরি হয়, প্রায় সেরকমই সেমাইয়ের দেখা পাওয়া যাবে আফ্রিকার সোমালিয়াতে নাম কাদ্রিয়াদ 

প্রচলিত বাংলা অভিধানে সেমাই শব্দটাকে কোথাও বলা হয়েছে হিন্দি, কোথাও দেশি তবে ভাষাতত্ত্বের পণ্ডিত সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন গ্রিক শব্দ সেমিদালিস থেকে বাংলা সেমাই শব্দের উৎপত্তি আমরা যে সেমাই খাই তার রন্ধন-প্রণালী স্বাদ গ্রিস না অন্য কোনো দেশের তার সুলুকসন্ধান কেউ দিতে পারেননি তাই অনেক পণ্ডিত আবার সেমাই শব্দের উৎস সন্ধানে অন্য পথ ধরেছেন

জানার আগ্রহ নিয়ে শব্দের পথ ধরে ইতিহাসের দিকে এগোনো যায় বহু পথ আর শব্দের অর্থ দিয়ে খোলা যায় অতীতের অনেক ইতিহাসের দরজা এদিকে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় সেমাই শব্দের বুৎপত্তি নির্দেশ করে দেখিয়ে দিয়েছেন, সেমাই শব্দের গায়ে গ্রিসের গন্ধ থাকলেও সেমাই দ্রব্যটা আসলে ভারতীয় ভারতের অনেক রাজ্যেই সেমাই নানাভাবে খাওয়া হয় এছাড়া উপমহাদেশের মুসলমান-মাত্রই ঈদের দিনে সেমাই খায় অন্যদিকে পাকিস্তানেও সেমাই ছাড়া ঈদ কল্পনা করা যায় না

বাংলাদেশে এখন প্যাকেটজাত সেমাইয়ের ছড়াছড়ি মেশিনে বানানো এই সেমাই বাহারি সব প্যাকেটে পাওয়া যায় মজার কথা হলো, এই যে প্যাকেটজাত কিংবা বোতলজাত ইত্যাদি শব্দের যে (জাত) তার অর্থ হলো রক্ষিত, সঞ্চিত ইত্যাদি প্যাকেটজাত মানে প্যাকেটে রক্ষিত শব্দটা আরবি থেকে আসা শব্দের জাত চেনা সত্যিই মুশকিল কারণ এই জাত শব্দটার আবার বাংলা অর্থ সম্পূর্ণ আলাদা

৮০ থেকে ৯৫ বছর আগে সুদূর মফঃস্বল বা গ্রামে প্যাকেটজাত রেডিমডে সেমাই পাওয়া যেতো না শহরে পাওয়া যেতো কিনা তা জানা নেই ঈদের বেশ দিন আগে থেকেই গ্রামের নারীদের হাতে তখন তৈরি হতো আদি অকৃত্রিম ঈদের সেমাই বাড়িতে বাড়িতে সেমাই তৈরির ধুম পড়ে যেতো মা-খালা-চাচি-ফুপিরা মাটির কলসি উপুড় করে হাতের অপূর্ব সৃজন ক্ষমতা দক্ষতায় আটা-ময়দার লেই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নতুন কেনা কুলোয় নামাতেন নরম সুতো ক্রমাগত সুতো নেমে তৈরি হতো সেমাইয়ের স্তূপ আর এভাবেই তৈরি হতো হাতে বানানো সেমাই তবে বর্তমানে সেমাই দুই প্রকারের খিল সেমাই বা তার সেমাই আরেকটা হলো লাচ্চা বা লাচ্চি সেমাই


আরও খবর

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪