Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ জন, ১১ জন আহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার 

নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের মহাদেবপুর উপজেলাধীন পিড়ামোড় নামক স্থানে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিকআপ চালক সহ ২ জন নিহত হয়েছেন। এদূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরো ১১ জন।

মর্মান্তিক এসড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বিকাল পনে ৩ টারদিকে। 

নিহত দু'জন হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর ইউনিয়ন এর জয়পুরডাঙ্গাপাড়া (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের মৃত সমসের আলীর ছেলে ও পিকআপ চালক হারুন অর রশিদ হারুন ওরফে বাঘা (৪৬) ও পিকআপ এর যাত্রী বগুড়া জেলার দুপচাচিয়া উপজেলার সারপুকুর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে মজিবর রহমান (৬০)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্প্রতিবার বিকাল পনে ৩ টারদিকে মহাদেবপুর থেকে ঢাকা গামী (বগুড়া 'ন' ১১-১৫৫৪) নম্বর পিকআপ ঘটনাস্থলে পৌছালে এসময় নওগাঁ থেকে দিনাজপুরগামী 

(ঢাকা মেট্রো 'ব' ১৫-৪৭০৩) নম্বর দ্বীন ইসলাম পরিবহন নামে যাত্রীবাহীবাস অপর একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দূর্ঘটনাস্থলে পিকআপ এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এসময় দূর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত মহাদেবপুর উপজেলার বিশিষ্ঠ ধান ব্যবসায়ী সাহজান ওরফে জামান স্থানিয়দের সহযোগীতায় গুরুতর আহত ৮ জনকে উদ্ধার পূর্বক নিজস্ব প্রাইভেটকার যোগে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানিয় চৌমাশিয়া নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ও মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম দ্রুত দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে পিকআপ এর সামনে আটকে পড়া চালকের মৃতদেহ উদ্ধার সহ আহত ৩-৪জনকে উদ্ধার পূর্বক চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক মজিবর রহমানকে মৃত ঘোষনা করেন। 

আহতদের মধ্যে আরও ৫/৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ইতি মধ্যেই ২ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অন্যান্য গুরুতর আহতদের স্বজনরা এখনো হাসপাতালে না আসায় তাদের এখানেই (নওগাঁ সদর হাসপাতালে) ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নওগাঁ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ রাকিব হোসেন।

দূর্ঘটনায় ২ জন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ প্রতিবেদককে জানান, খবর পেয়ে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ দূর্ঘটনাস্থলে এসেছি। তিনি আরো জানান, সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের খবর পেয়ে ইতি মধ্যেই মহাদেবপুর সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জনাব জয়ব্রত পাল সহ জেলার উদ্ধতন কর্মকর্তা দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। এব্যাপারে আইনানুগ পক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 


আরও খবর



গজারিয়ায় নির্মাণাধীন কোম্পানি রির্মাকে এক শ্রমিকের অপমৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল :

মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় বাউশিয়া এলাকায় নির্মাণাধীন রিমার্ক এইচ.বি. লিমিটেডে নামে প্রসাধনী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে মেশিন চাপায় এক শ্রমিকের অপমৃত্যু হয়। জানা যায় এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

খোজঁ নিয়ে জানা যায়, দূর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের নাম কাউসার হোসেন (২২)। সে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাই'র উপজেলার চান্দহর গ্রামের মোনাফ হোসেনের ছেলে। ঘটনায় আহত অন্য শ্রমিকের নাম রবিউল (২১)।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ২৭ মে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এমন ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠানটির নিচ তলায় ফেস ওয়াশ তৈরির মেশিনে কাজ করছিলেন মেশিনটির এসিস্ট্যান্ট অপারেটর কাউসার হোসেন। সূত্র আরও জানায়, মেশিনটি কিছুদিন আগে কোম্পানিতে আনা হয় সেজন্য এটিকে স্থায়ীভাবে প্রতিস্থাপিত করা হয়নি। মেশিনটির নিচে চাকা আছে যার মাধ্যমে এটিকে সুবিধামতো জায়গায় নিয়ে কাজ করা যায়। অপারেটর কাউসার মেশিনটিকে টেনে  সামনে আনতে চাইলে পেছনের চাকা উপরে উঠে যায় এবং অর্তকিত মেশিনটি তার উপর এসে পরে। তাৎক্ষনিক তার মাথা থেতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রবিউল নামে আরো এক শ্রমিক আহত হয়।


আহত শ্রমিকদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রথমে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রিমার্ক কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা তৌহিদ হোসেন বলেন, ঘটনাটির সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময়ের। আমরা অফিস শেষ করে ইতিমধ্যে ঢাকাতে চলে এসেছি তবে মুঠোফোনে এরকম একটা খবর পেয়েছি। শুনেছি দুর্ঘটনায় একজন শ্রমিক নিহত ও একজন আহত হয়েছে। 

বিষয়টি সম্পর্কে মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল হাসান বলেন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



মোখার সরাসরি মনিটরিং করছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১১১জন দেখেছেন

Image

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার সার্বিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি মনিটরিং করছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার (১৪ মে) সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




দক্ষিণ এশিয়ায় কম ঋণ বাংলাদেশের

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশের উন্নয়নে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা সব মিলিয়ে ৭ হাজার ২২৯ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ১০৫ টাকা ধরে হিসাব করলে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ এই পরিমাণ অর্থ বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের ঋণ আছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ঋণ দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এর মধ্যেই সংস্থাটি বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় জিডিপি অনুপাতে সবচেয়ে কম ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ।

নানা আলোচনার মধ্যেই আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। এই ঋণপ্রাপ্তির পর উন্নয়ন সহযোগীদের কার কাছে কত ঋণ বাংলাদেশের, তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন, কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৬০০ কোটি ডলার, যা জিডিপির ৩৯ শতাংশ। বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচ ঋণদাতার মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক ১ হাজার ৮১৬ কোটি ডলার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ১ হাজার ৩২৮ কোটি ডলার, রাশিয়া ৫০৯ কোটি ডলার, জাপান ৯২৩ কোটি ডলার ও চীন ৪৭৬ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে।

চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক অনুষ্ঠানে আইএমএফের বরাত দিয়ে জানানো হয়, বর্তমানে জিডিপি অনুপাতে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিবেশীদের তুলনায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে জিডিপি অনুপাতে ৮৩ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ নিয়েছে ভারত। আর নেপাল নিয়েছে ৪৯ দশমিক ০৯ শতাংশ, পাকিস্তান ৭৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ, মালদ্বীপ ১২৬ দশমিক ৪১ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ১৩০ দশমিক ৫২ শতাংশ ও ভুটান জিপিডি অনুপাতে ঋণ নিয়েছে ১৩০ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

সেই অনুষ্ঠানে ঋণনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে ভ্যাট ও আয়কর থেকে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সে সময় টিপু মুনশি বলেছিলেন, আমাদের সবাইকে ইনকাম ট্যাক্স ও ভ্যাট দেয়ায় উৎসাহিত করতে হবে। যাদের ইনকাম ট্যাক্স দেওয়ার সক্ষমতা হয়েছে, তারা ট্যাক্স দেবেন এবং পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ভ্যাট দেবেন। তবেই দেশের উন্নয়ন আরও বৃদ্ধি পাবে।

দেশের উন্নয়নে রাজস্ব অতি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই রাজস্ব বাড়াতে ইনকাম ট্যাক্স ও ভ্যাট দিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অনুপ্রাণিত করতে হবে। তবেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের স্মার্ট হয়ে কাজ করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভ্যাট ও ট্যাক্স যথাযথভাবে দিতে হবে। এমনকি ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো মামলা ও সমস্যায় পড়লে আমরা সহযোগিতা করব।

এদিকে ঘুষ-দুর্নীতি কমিয়ে রাজস্ব আদায়ে গতি আনতে এনবিআরকে দুই ভাগ করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর রাজস্ব আদায়ে গতি আনতে হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ভেঙে দুই ভাগ করতে হবে। এক্ষেত্রে রাজস্ব আহরণ এবং রাজস্ব সম্প্রসারণ নামে আলাদা দুটি বিভাগ গঠন করা যেতে পারে।

বর্তমানে বাংলাদেশের কর জিডিপি অনুপাত ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় জিডিপি অনুপাতে কর আদায়ে বাংলাদেশের নিচে রয়েছে একমাত্র শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ৭ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ছিল ৫৫৮ ডলার, যা ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৪৮২ ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশের মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫৭ ডলার। গত অর্থবছরে দেশের মোট বৈদেশিক ঋণ ছিল ৯৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ৪১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সরকার রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা মেট্রোরেল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং কর্ণফুলী টানেলসহ বিদেশি অর্থায়নে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য বৈদেশিক ঋণ প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তারপরেও বাংলাদেশ এখনো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সরকারি খাতের ঋণ ও জিডিপি অনুপাতের সীমার নিচেই আছে। জিডিপির ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ নেওয়ায় কোনো ঝুঁকি নেই।

 

 


আরও খবর



স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। এর পেছনে রয়েছে অনেক সংগ্রামের ইতিহাস। যার নেতৃত্বে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পিতার নেতৃত্বে জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আমি রাষ্ট্রপতি হয়েছি।

তিনি বলেন, আপনারা কেউ চাকরি করছেন, কেউ রাজনীতি করছেন। সবাই স্বাধীনভাবে নিজ নিজ পেশা বেছে নিতে পেরেছেন। নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই আমাদের সবার দায়িত্ব হবে বঙ্গবন্ধু যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সারাজীবন জেল জুলুম ও অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন তা পূরণে নিরলস প্রয়াস চালানো।

মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে মাঠে পাবনা নাগরিক সমাজের আয়োজনে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমি এই পাবনা শহরে প্রতিরোধ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট আমাকে গ্রেপ্তার করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেনা ক্যাম্পে আমাকেসহ আরো অনেককে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা তিন মাস ধরে চলে অসহ্য-অমানবিক নির্যাতন। দীর্ঘ তিনটি বছর কারাভোগের পর ১৯৭৮ সালে আমি মুক্তি পাই। এরপর আমি বিচারক হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দিই। এ সময় আমি সাধ্যমতো দেশের জন্য কাজ করেছি। আমি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। পরবর্তী সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বভার আমাকে দেওয়া হয়েছিল। এটা ছিল এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমার দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কানাডার আদালতে বিশ্ব ব্যাংকের সেই অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হয়। এই চাপ মোকাবিলায় আমার প্রতি পাবনাবাসীসহ দেশবাসীর দোয়া ছিল বলেই এই কঠিন কাজ আমি সফলভাবে শেষ করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমি ভেসে আসিনি, একেবারে রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি। পাবনার রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া পেয়েছি। আমাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। চরম অত্যাচারিত হয়েছি আমি। আমাকে রাতের আঁধারে তুলে নেওয়া হয়েছে। হাতকড়া পরানো হয়েছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে। রাজপথে সক্রিয় হয়ে আমি বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাকশালের পাবনার জয়েন্ট সেক্রেটারি হয়েছিলাম।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ১৪ বছরের নানা অগ্রগতি ও পূর্বের অবস্থা মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রাদায়িক চেতনা ধ্বংস করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনা আবার ফিরে এসেছে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারকে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। অনেক মন্ত্রী আমার কাছে এসে বিশ্ব ব্যাংকের দাবি মেনে নিতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি রাজি হইনি। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু আমি শক্ত হাতে তা মোকাবিলা করেছি। এ সময় রাষ্ট্রপতি আগামী সেপ্টেম্বরে পাবনা-ঢাকা রুটে সরাসরি ট্রেন চালু করার ঘোষণা দেন। সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। ধাপে ধাপে পাবনাবাসীর সকল দাবি পূরণের আশ্বাস দেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপ্রতি সাহাবুদ্দিন পাবনাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমার আগমন ঘিরে পাবনায় যে এইভাবে আয়োজন হবে তা কল্পনাও করিনি। পাবনাবাসীর এই উচ্ছ্বাসের ঋণ আমি কীভাবে শোধ করবো? আমি চির কৃতজ্ঞ। এই আয়োজন আমি জীবনেও ভুলবো না। পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের স্মৃতিবিজড়িত এ ঐতিহাসিক মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনাদের এতো ভালোবাসা ও সম্মান পেয়ে আমি আবেগাপ্লুত-আনন্দিত। ঢাকার বাইরে প্রথম সফরেই নিজ জন্মস্থান পাবনায় আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতি হব- এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ভাগ্য আজ আমাকে রাষ্ট্রপতির পদে বসিয়েছে। আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসা ছিল বলেই আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আপনাদের ভালোবাসাকে সঙ্গী করেই রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই। এজন্য আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।


আরও খবর



১২ মে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘পাঠান’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান অভিনীত পাঠান সিনেমা ৫ মের পরিবর্তে আগামী ১২ মে মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেশের সিনেমা হলে। দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য ইতোমধ্যে সেন্সর বোর্ড থেকে আনকাট ছাড়পত্রও পেয়েছে সিনেমাটি।

শাহরুখ-দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত এ সিনেমাটি দেশে মুক্তি পেলেও সব প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে না। কেবল যেসব সিনেমা হলে নারী টয়লেট ভালো রয়েছে, সেসব হলেই সিনেমাটি মুক্তি দেয়া হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সিনেমাটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের অনন্য মামুন।

তিনি বলেন, সিনেমা হলে নারী টয়লেট ভালো থাকার বিষয়টি আমাদের প্রথম শর্ত। আমরা চাই আবারও নারী দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে ফিরে আসুক।

এদিকে জানা গেছে, দেশে ৩২টি সিঙ্গেল স্ক্রিন ও মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি দেয়া হবে পাঠান। সিনেমাটি মুক্তিতে প্রথম শর্ত নারী টয়লেট থাকতে হবে। পরিচালক অনন্য মামুন বলেন, পাঠান সিনেমা নিয়ে ইতোমধ্যে দর্শকের মধ্যে অন্যরকম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষদেরও আগ্রহ রয়েছে। অনেকে সিনেমাটি নেয়ার জন্য সাউন্ড সিস্টেম ঠিক করাসহ সংস্কার সম্পন্ন করে নিচ্ছে। আশা করছি তারা নারী টয়লেটও করে নেবে।

জন আব্রাহাম ও ক্যামিও চরিত্রে হাজির হওয়া সালমান খান অভিনীত সিনেমাটি ইতোমধ্যে হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করেছে। বিশ্বজুড়ে পর্দায় মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি ওটিটি প্লাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমেও মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এবার বাংলাদেশে মুক্তির জন্য নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা।


আরও খবর

কান উৎসব মাতিয়ে তুললেন সানি লিওন

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩