Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় গৃহবধূর শরীরে আগুন, অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন সেই গৃহবধূ

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় যৌতুকের জন্য স্বামীর দেওয়া কেরোসিনের আগুনে দগ্ধ হয়ে ফজিলাতুন নেছা (২৪) নামে এক গৃহবধূ টানা ৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যু বরণ করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গত ২৭ আগস্ট সকালে  সদর উপজেলার ভবানীপুর মধ্যেপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলাতুন নেছা সদর উপজেলার কোমইগাড়ী সাকিদার পাড়ার ফজলুর হোসেনের মেয়ে এবং একই উপজেলার ভবানীপুর মধ্যেপাড়া গ্রামের আতোয়ার রহমানের ছেলে গোলাম রাব্বানীর স্ত্রী। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বাবা ফজলুর হোসেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, পারিবারিকভাবে চার বছর আগে সদর উপজেলার ভবানীপুর মধ্যেপাড়া গ্রামের আতোয়ার রহমানের ছেলে গোলাম রাব্বানীর সাথে বিয়ে হয় ফজিলাতুন নেছার। কিন্তু  বিয়ের কিছুদন পরই পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে গোলাম রাব্বানী। বিষয়টি তার স্ত্রী জানতে পেরে নিষেধ করলে পরকিয়া করবেন না বলে যৌতুক বাবদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। এরপর থেকেই স্ত্রী ফজিলাতুন নেছাকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিলেন তার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা। এ অবস্থায় গত ২৭ আগস্ট সকালে আবারো তাকে যৌতুকের টাকা নিয়ে আসার জন্য বলা হয়। এসময় টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে লাঠি দিয়ে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করেন স্বামী গোলাম রাব্বানী। একপর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার পরিবারের সদস্যদের জোকসাজশে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁর স্বামী গোলাম রাব্বানী। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে প্রথমে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর ৮ দিন পর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

এদিকে এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা ফজলুর হোসেন বাদী হয়ে গোলাম রাব্বানীসহ তার পরিবারের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে স্বামী গোলাম রাব্বানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল হক বলেন, ঐ গৃহবধূ মারা যাওয়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ ঘটনায় থানায় পূর্বেই একটি মামলা হওয়ার পর তার স্বামীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু ওই গৃহবধূ মারা গেছেন এজন্য থানায় দায়ের করা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়ে যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



এলপিজির দাম ১২ কেজিতে বাড়ল ৩৫ টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) নতুন এ দর ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে

সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ৪২১ টাকা। তার আগের মাসে ছিল ১ হাজার ৩৭৭ টাকা

ঘোষণায় বলা হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১২১ টাকা ৩২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে

এছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৭ টাকায় ৪৯ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে

এছাড়া অটোগ্যাসের মূল্য প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬ টাকা ৮৪ পয়সা

এখন প্রতি মাসে এলপি গ্যাসের দাম বাজার অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এ দাম নির্ধারণ করে


আরও খবর

কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




সংসদ থেকে উধাও প্রায় এক কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পরই গণভবন ও জাতীয় সংসদে ব্যাপক লুটপাট হয়। এই লুটপাটে জাতীয় সংসদ থেকে দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত মিলে প্রায় এক কোটি টাকা হারিয়ে গেছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়

এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনের সার্বিক পরিস্থিতি অবহিতকরণ সম্পর্কিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ভারপ্রাপ্ত সচিব জেবুন্নেসা করিম সভাপতিত্ব করেন। সভায় জাতীয় সংসদ ভবনের বিভিন্ন অনুবিভাগ প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন এবং নিজ নিজ অনুবিভাগের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তারা জরুরি ভিত্তিতে কিছু মেরামত কাজ করানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন

সংসদ সচিবালয় জানায়, দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত মোট ৯০ লাখ টাকা (আনুমানিক) পরিমাণ অর্থ হারিয়ে যায়। নগদ এই অর্থ ফেরতের লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে অবহিতকরণ সভায়

সংসদ ভবনের বিভিন্ন কার্যালয়, অধিশাখা ও শাখার হারানো ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামালের তালিকা প্রস্তুত করে স্ব স্ব অনুবিভাগ প্রধানের কাছে দাখিলেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়

সংসদ থেকে আরও জানানো হয়, সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবন (মানিক মিয়া ও নাখাল পাড়া), পুরাতন এমপি হোস্টেল, মন্ত্রী হোস্টেল, সচিব হোস্টেল ও সংসদ ভবন আবাসিক এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা এবং উপরোক্ত এলাকার ভাঙা, হারানো ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত ৩টি কমিটি গঠিত হয়

কমিটিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্তূপীকৃত মালামাল সরেজমিন পরিদর্শন করে শপথকক্ষে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া জাতীয় সংসদ ভবনে ক্ষতিগ্রস্ত কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ইন্টারনেট সংযোগ, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, লাইন ও সেটসমূহ জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানায় সংসদ সচিবালয়


আরও খবর



সংস্কার, দাবি, দুর্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তিন দিন পর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস পূর্ণ হলো।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েই কঠিন ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলাসহ নানা চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়েছে সরকারকে। পাশাপাশি জুডিসিয়াল ক্যু, প্রশাসনিক ষড়যন্ত্র, সংখ্যালঘু ইস্যু, আনসার বিদ্রোহ, পাহাড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয় এই সময়ে। ধৈর্যের সঙ্গে এসব পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে সরকার।

গত মাসে জাতিসংঘে ড. ইউনূসের উপস্থিতি বিশ্বে বাংলাদেশকে অনন্য মর্যাদার আসনে নিয়ে যায়। বিশ্বনেতারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহযোগিতারও প্রতিশ্রুতি দেন তারা। বাংলাদেশ প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি পায়।

বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী মহলের হাত ধরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে লাখো কোটি টাকা পাচার হয়ে যাওয়ায় ভঙ্গুর অর্থনীতি নিয়ে যাত্রা করে ড. ইউনূসের সরকার। তবে প্রবাসী আয়ের পালে হাওয়া লাগায় অর্থনৈতিক দুরাবস্থা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় রয়েছে সরকার। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি সরকার।

শিক্ষাঙ্গনেও অস্থিরতা পুরোপুরি কাটেনি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ক্লাস পরীক্ষা চালু হলেও এখনো অনেক প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা রয়ে গেছে। শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে আছেন পতিত সরকারের অনুগতরা।

অন্যদিকে, যত্রতত্র বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নেমে পড়ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, যার কারণে অস্থিরতা রয়েছে রাষ্ট্রে। এসব বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগও নেই সরকারের। অনেকে সরকারকে অস্থিরতায় ফেলতে এমন করছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায় একটি গোষ্ঠী। অস্থিরতা রয়েছে পোশাকখাতেও। এখনও পোশাকখাতে শৃঙ্খলা ফেরানো যায়নি। বিক্ষোভে বন্ধ রয়েছে অসংখ্য পোশাক কারখানা।

ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। এতদিন ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে একতরফা পেয়ে আসছিল, এখন দেওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে ভারতকে। সম্প্রতি ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। ভারতে অনীহার কারণে বহু বছর ধরে ঝুলে ছিল বিষয়টি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্রিয় করতে নানামুখী পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যে।

অন্যদিকে, বন্যায় মাঠঘাট ডুবে যাওয়ায় উৎপাদন কমে যাওয়ায় উচ্চ দ্রব্যমূল্যে ভুগছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া অস্থিরতা রয়েছে জনপ্রশাসন, পুলিশ, ব্যাংক ও শিক্ষাখাতে। পুরোপুরি পুনর্গঠন করা যায়নি বিচার বিভাগ। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, কল-কারখানা অচলায়তন, বন্যাসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ মোকাবিলা করতে হচ্ছে সরকারকে। এসব মোকাবিলা করে ড. ইউনূস সরকারকে পুরোপুরি সফল হতে সময় লাগছে।

অভিযোগ রয়েছে, পুরোনো সরকারের আমলারা সরকারকে ঠিকমতো সহযোগিতা করছেন না। এ ছাড়া পদোন্নতি ও দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রতিনিয়ত সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে সরকারি চাকরিজীবীরা। অন্যদিকে প্রশাসনের লোকদের দুর্নীতির অভিযোগও সামনে আসছে। যা সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে। বেহাল আর্থিক খাতও। বিশেষ করে খেলাপি ঋণের ভারে জর্জরিত ব্যাংকিং খাত। এ ছাড়াও তারল্য সংকট, সুশাসনের অভাবসহ একাধিক সমস্যায় ভুগছে অনেকগুলো ব্যাংক।

প্রধান উপদেষ্টাসহ এ সরকারের সদস্যসংখ্যা ২১। উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার দুজন বিশেষ সহকারী, একজন আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত আছেন। মানবাধিকার, অর্থনীতি, প্রশাসন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলাসহ নানা ক্ষেত্রে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত, পদক্ষেপসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।


ক্ষমতা গ্রহণের পর গত দুই মাসে প্রশাসনের শীর্ষপদে ব্যাপক রদবদল করেছে সরকার, যা এখনও চলমান আছে। আর্থিকখাতসহ বেশকিছু ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে সংস্কার উদ্যোগ। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে তাদের জায়গায় বসানো হয়েছে প্রশাসক। এদিকে কর্মবিরতি ও হামলার ভয় কাটিয়ে আবারও মাঠে ফিরেছে পুলিশ।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে শুরু করে নানা পদে বসানো হয়েছে নতুন কর্মকর্তাদের। দুর্নীতিবাজ অনেক কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। অনেককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে, অনেককে করা হয়েছে ওএসডি। পরিবর্তন করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতও।

পুঁজিবাজারের অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালী করতে গঠন করা হয় একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কালাকানুন বাতিল করার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে সইও করা হয়েছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার বিরল সুযোগ পেয়েছেন। নানা কারণে প্রধান উপদেষ্টার এ সফরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে গণতন্ত্র, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের যে ভাবমূর্তি সংকট ছিল, এ সফরে সেটি কাটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিও তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।


চার দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ ১২টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান।এছাড়াও বিশ্বব্যাংক, জাইকা, আইএমএফ, ইউএসএইড, এডিবিসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সহযোগিতা দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) সরকারের রাজস্ব আদায় আগের অর্থবছরের তুলনায় ১১ শতাংশ কম হয়েছে। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। রেমিট্যান্সের প্রবাহও বেড়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার যাত্রা শুরু হয়েছে দুর্গম পথের মধ্য দিয়ে। দুই মাসে সরকার এই পথ কতটা পাড়ি দিতে পেরেছে, তার মূল্যায়ণ স্বাভাবিকভাবেই জনগণ করবে।


আরও খবর



আশুলিয়ায় সংঘর্ষে শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় সিপিবির নিন্দা

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সাভারের আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। আজ সোমবার সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান। পাশাপাশি সংলাপের মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে শিল্পে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের শোষণ-নির্যাতন করা হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার না দিয়ে গণতন্ত্রের চর্চা করতে দেওয়া হয়নি। অনেক কারখানায় বকেয়া বেতন না দিয়ে অতীতের ন্যায় দমন-পীড়ন চালিয়ে শ্রমিকদের বিক্ষুব্ধ করা হয়েছে। আইনভঙ্গকারী মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে শ্রমিক ছাঁটাই, শ্রমিক নির্যাতন, এমনকি গুলিবর্ষণ করে ‘শিল্প সম্পর্ক’ নষ্ট করে উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সংকটাপন্ন করা হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে শিল্পে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অর্থবহ সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে সিপিবি। বিশেষ করে কারখানাভিত্তিক দ্বিপক্ষীয় বা ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে যুক্তিযুক্ত সমাধানের দাবি জানান দলটির নেতারা।

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে জুলাই-আগস্টের ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার বিজয়’ দীর্ঘদিন ধরে চরম বৈষম্যের শিকার শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের মধ্যেও অধিকার আদায়ের সংগ্রাম জোরদার করার সাহস জুগিয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অতিসত্বর ন্যায়সংগত সমাধান করতে হবে। তা না করলে সম্প্রতি পরাজিত অগণতান্ত্রিক শক্তি তো বটেই, এমনকি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিও এ পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারে। এতে দেশ আরও ভয়ানক বিপদের সম্মুখীন হতে পারে, যা কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।

বামপন্থী দলটি শ্রমিক হত্যার বিচার, হতাহতদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে।


আরও খবর



বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের অবনতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের অবনতি হয়েছে। গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮১ তম, স্কোর ছিল ১৯। তবে এ বছর ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪ তম, স্কোর ১৯ দশমিক ৪। বাংলাদেশে ক্ষুধার মাত্রা মধ্যম পর্যায়ে। এই সূচক প্রকাশ করেছে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স। তবে ২০১৬ সালের তুলনায় এবছর ক্ষুধার মাত্রা কমেছে বাংলাদেশে, তখন স্কোর ছিল ২৪ দশমিক ৭।

সূচক বলছে, ক্ষুধার মাত্রা উচ্চমাত্রায় থাকলেও বাংলাদেশ ক্ষুধা নিরসনে ভালো করছে। তবে এখনও ১১.৯ শতাংশ মানুষ অপুষ্টির শিকার। আর ২ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু তার পঞ্চম জন্মদিনের আগেই মৃত্যুবরণ করে। অপুষ্টির কারণে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর বয়স অনুপাতে উচ্চতা বাড়ছেনা আর ১১ শতাংশ ৫ বছরের কমবয়সী শিশুর উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বাড়ছে না বলেও উল্লেখ করা হয় সূচকে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৫৬তম। নেপালের অবস্থান ৬৮ তম। এরপরেই রয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের অবস্থান ১০৫ আর পাকিস্তানের অবস্থান ১০৯ তম।

এ বছরের ক্ষুধা সূচক বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষুধার মাত্র গুরুতর কারণ এই অঞ্চলে রয়েছে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অপুষ্টি। দক্ষিণ এশিয়ার ২৮২ মিলিয়ন মানুষ অপুষ্টির মধ্যে আছে।

এছাড়া বিশ্বের ৬টি দেশে বুরুন্ডি, শাদ, মাগাগাস্কার, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান ও ইয়েমেনে ক্ষুধার মাত্রা উদ্বেগজনক। ৩৬টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা রয়েছে গুরুতর পর্যায়ে। ২২টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা একেবারেই নিম্ন পর্যায়ে আছে।


আরও খবর