Logo
শিরোনাম

নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সারা দেশে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ।

সোমবার সকালে বিআইডব্লিউটিএ’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘূর্ণিঝড়ের জন্য নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সমুদ্রে যে সকল জাহাজ যেখানে অবস্থান করছে, সেখান থেকে না সরতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

এদিকে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ক্রমশ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের বেশিরভাগ জেলায় ইতোমধ্যে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



কুয়াশায় নৌ চলাচলে বিঘ্ন

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

রাজধানীতে এখনও শীতের আমেজ অনুভূত হয়নি। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলে জেকে বসতে শুরু করেছে শীত, সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা। কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী মানুষের, বিশেষত চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের বেশি কষ্ট হচ্ছে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। শীতজনিত অসুখবিসুখ বাড়ছে। গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে। এদিকে ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ০৯ টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপটি বিরাজমান রয়েছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পায়ে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

চাঁদপুর : ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর ৪টায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় হরিণা ও নরসিংহপুর আলুবাজার ঘাটের ফেরি চলাচল। পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় সকাল ৯টায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। সোমবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী বলেন, রবিবার রাতে কুয়াশা বেড়ে যায়। ফলে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দুর্ঘটনা এড়াতে ভোররাত ৪টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।

রাজশাহী ব্যুরো : শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজশাহীসহ আশেপাশের অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। সোমবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে রাজশাহী অঞ্চলের আকাশ। দুপুর ১২টায় এই রিপোর্ট লেখার সময়ও রাজশাহীতে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে সড়ক-মহাসড়কে। সোমবার দিনের প্রথমভাগে রাজশাহীর শাহমখদুম বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট ওঠানামা করেনি। ঘন কুয়াশার কারণে নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে শ্রমজীবী মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। ঘনকুয়াশায় ফসলের ক্ষতি হবে কিনা-জানতে চাইলে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক উম্মে ছালমা জানান, মাঠে মাঠে আলু বীজ রোপনের কাজ করছেন চাষিরা। এক-দুদিনের কুয়াশায় তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে কুয়াশা ও ঠান্ডা আবহাওয়া দীর্ঘায়িত হলে আলু বীজ অঙ্কুরোদম হতে দেরি হবে।

ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের গ্রামাঞ্চল থেকে শহরের সড়কগুলো সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে পড়তে থাকে কুয়াশা। সেই সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা। শীত উপেক্ষা করেই শ্রমজীবীরা নিজ নিজ কাজে যাচ্ছেন। ঘন কুয়াশায় ধীরগতিতে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে সকল প্রকার যানবাহন।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও কার্যালয় স্থানীয় তাপমাত্রার হিসাব রাখে। এই দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার জন্য ৮০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি কিছু দপ্তর থেকে ১ হাজার কম্বল পেয়েছি। খুব শীঘ্রই বিতরণ করা হবে।

হিলি (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সেই সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীত উপেক্ষা করে কাজে নামছেন শ্রমিকেরা। সোমবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত রোদের দেখা মিলেনি।দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ ধরে দিনাজপুর জেলায় ১০ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠা-নামা করছে। সোমবার সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিন্ম ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।

এদিকে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইলতুত মিশ আকন্দ বলেন, হাসপাতালে বাড়ছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন বর্হি বিভাগ হতে ১৫০ থেকে ১৬০ জন রোগী সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বদলগাছী (নওগাঁ) : নওগাঁর বদলগাছীতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত পড়ছে জনজীবন। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলে মেলেনি সূর্যের দেখা।সোমবার সকালে বদলগাছী আবহওয়া অফিস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে। ঘন কুয়াশার জন্য গাড়ির হেড লাইট জালিয়ে রাস্তার যানবাহন চলাচল করছিলো। লোক সমাগম বেড়েছে চা দোকানে।স্থানীয় বয়স্ক কৃষক পলাশ বলেন, শীতের কারণে আজ ক্ষেতে যেতে পারিনি। ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া কষ্টকর। আমাদের মতো বয়স্কদের কাছে শীত বেশি মনে হয়। বরো ধানের বীজতলা তৈরি এবং চারা গজানো নিয়ে বিপাকে আছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহান জানান, এ রকম কুয়াশা ও ঠান্ডা আর কয়কদিন থাকলে বোরো ধানের বীজতলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঠান্ডাজনিত রোগের ব্যপারে জেলা সিভিল সার্জন ড. নজরুল ইসলাম জানান, শীতে শিশুদে ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব আলম জানান, বদলগাছীতে শীতের প্রকোপ একটু বেশি। ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তার সঙ্গে শীতার্তদের জন্য গরম কাপড় বরাদ্দের ব্যপারে কথা বলেছি। আমরা দ্রুতই ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের জন্য গরম কাপড় বিতরণ করবো।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার শীত আর ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দুপুর পর্যন্ত সূর্য্যের দেখা মেলেনি। ক্ষেত খামারের মজুররা পড়েছেন বিপাকে। চরাঞ্চলের বাসিন্দারা শীতে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শহরের ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে।

সদর উপজেলার চরবনবাড়িয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৫১) বলেন, ঠান্ডা বাতাস ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে বেগুন ও কাচা মরিচ খেতের পরিচর্য়া করতে হচ্ছে। কাওয়াকোলা ইউনিয়নের কাটাঙ্গা চরের নৌকার মাঝি হানিফ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে নদী দিক ঠিক রাখা যায় না। অনেক সময় দিক ভুল হয়ে নৌকা চরে গিয়ে আটকে যায়। এই ঘাট থেকে শহরের মতি সাহেবের ঘাটে যেতে আগে সময় লাগতো ৪০ মিনিট। এখন সময় লাগে প্রায় ২ ঘন্টা। বড় বাজার,হকার্স মার্কেট, নিউ মার্কেট এলাকার পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। পুরান কাপড় কিনতে আসা রিক্সা চালক জ জব্বার আলী (৬০) বলেন, কঠিন ঠান্ডা পড়েছে ভাই, পেটের জ্বালায় রিক্সা নিয়ে বের হতে হচ্ছে।

কালাই (জয়পুরহাট) : উত্তরের জেলাগুলোর মধ্যে জয়পুরহাটেও শীতের প্রকোপ বেড়েই চলছে। সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলোর মধ্যে এ জেলাতেও গত তিনদিন ধরে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। দিনের বেলায় যেমনতেমন রাতের বেলায় ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। গত দুইদিন যেমনতেমন সূর্য্যের দেখা মিললেও আজ সোমবার একেবারেই দেখা মেলেনি। রাস্তায় হেড-লাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। শীতের প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। বিপাকে পরেছে স্বল্প আয়ের অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

বদলগাছী আবাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আজ সোমবার জয়পুরহাটসহ পার্শ্ববর্তী নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দুইদিন গত শনিবার ও রবিবার তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ এবং ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দুইদিন ঘন কুয়াশার মধ্যে রোদের দেখা মিললেও সোমবার সকাল থেকেই সূর্য়ের দেখা মেলেনি। সাথে উত্তরের হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।

এ অবস্থায়ও থেমে নেই স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর কর্ম। পরিবারের জন্য এমন কনকনে শীত উপেক্ষা করে ঘরের বাহিরে ছুটতে হচ্ছে তাদের। প্রয়োজনের তাগিদে শীত নিবারনের কাপড় ছাড়াই কোনোমতে বাড়ির বাহিরে এসে তারা নিজ কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কে যাত্রীবাহি বাস চালক কেরামত আলী বলেন, কুয়াশার কারনে দিনের বেলায় হেড লাইট জালিয়ে ধীর গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। আর ঠান্ডায় যাত্রীও কম। এ অবস্থা চলতে থাকলে অল্পদিনের মধ্যে গাড়ী চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

কথা হয় পুনট এলাকার চায়ের দোকানদার আক্কাস আলীর সাথে। তার দোকানের উপরে কয়েকটি টিনের ছাউনি আর চারদিকে খোলা। অনবরত তাকে পানি নাড়াচড়া করতে হচ্ছে। পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসে তার শরীর হিম হয়ে ওঠেছে। আক্কাস আলী বলেন, একদিন দোকান বন্ধ থাকলে সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে। পরিবারের তাগিদে এমন শীতে আমাকে দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে। যখন কুলাতে পারছিনা তখন খড়কুটা জালিয়ে শীত কাটাচ্ছি।

পাঁচশিরা বাজারে অটোভ্যান চালক বালা মিয়া বলেন, হারকাপানো এই শীতে সবাই ঘরে রয়েছে, আমাকে পেটের দায়ে ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হতে হয়েছে। ভ্যান চালিয়ে সারাদিনে যেটুকু পাই, তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। শীত নিবারনের গরম কাপড় কি দিয়ে কিনবো। শুনতে পাচ্ছি অনেকেই কম্বল আবার কেউ জ্যাকেট পেয়েছে। কই আমি সারাদিন রাস্তায় পড়ে আছি, কেউ একটি কম্বল বা জ্যাকেটও দেয়নি আমাকে।


আরও খবর



নওগাঁয় নিখোঁজের ৮দিন পর এক শিক্ষার্থীর অর্ধগলিত মৃতদেহ খন্ড উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর পত্নীতলার মুংরইল গ্রামের একটি ধান ক্ষেতের ভেতরের গর্ত থেকে মোস্তাফিজুর রহমান (১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার দুপুর পর স্থানীয়রা ধান ক্ষেতের ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাড় ও নাড়ি-ভুড়ি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পত্নিতলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার করেন। 

নিহত শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান পত্নীতলা উপজেলার মুংরইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও মধইল বি এল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

নিহত পরীক্ষার্থীর খালু মহব্বত আলী জান বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যার সময় আমার ভায়রার ছেলে মাগরিবের নামাজ পড়তে গ্রামের একটি মসজিদে যায়। নামাজ পড়ে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। দীর্ঘ সময় পরেও সে বাড়িতে না আসায় তার পরিবারের লোকজন মসজিদে খোঁজ নেন। সেখানে গিয়ে তাকে না পেয়ে সকল আত্মীয় স্বজনের বাড়ি খোঁজখবর করতে থাকেন। এ পর্যন্ত তাকে কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পরেন। এরমধ্যে আজ দুপুরের পর স্থানীয়রা মাঠের মধ্যে কয়েকটি হাড় ও নাড়ি-ভুড়ি ছড়িয়ে থাকতে দাখেন। এরপর তারা সেখানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ধান ক্ষেতের ভেতরে একটি গর্ত দেখতে পায়। সেখানের মাটি সরিয়ে দেখে একটি অর্ধগলিত মৃতদেহ রয়েছে। এ খবর পেয়ে আমার ভায়রা ও শালিকা গিয়ে তার পড়নের শার্ট ও লুঙ্গি দেখে তাদের ছেলের মৃতদেহ বলে সনাক্ত করে। এব্যাপারে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুল বলেন, এ সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে এসেছি। এখানে নিহতের হাড়গোড় পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আইনি প্রকৃয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাইজভান্ডার দরবার শরীফের পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, ইসলাম মানুষকে ইনসানে কামেল বা পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয়। তিনি বলেন, সচ্চরিত্র তখনই অর্জিত হয়, যখন ক্রোধশক্তি ও খায়েশ শক্তিকে সমতার পর্যায়ে রাখা হয়। কেননা, কঠোরতা কখনও ক্রোধ থেকে এবং কখনও তীব্র লালসা থেকে উৎপন্ন হয়, কিন্তু নম্রতা সচ্চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। সে ব্যক্তি সহনশীল নয়, যে জুলুমের সময় চুপ থাকে, এরপর সক্ষম হলে প্রতিশোধ নেয়; বরং সহনশীল তাকেই বলা হয়, যে জুলুমের সময় সহ্য করে এবং সক্ষম হলে ক্ষমা করে। তিনি আরো বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী (সা.) বিজয়ীবেশে মক্কায় প্রবেশ করলে কুরাইশদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি বিজিত শত্রুদের প্রতি কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার করেননি। হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, প্রকৃত মুসলমান ওই ব্যক্তি যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট থেকে লোকজন নিরাপদ থাকে এবং যার নির্যাতন থেকে মানুষ নিরাপদ তাকে মুমিন বলে। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় বসবাসরত আদিম পৌত্তলিক, ইহুদি এবং নবদীক্ষিত মুসলিম তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে, দল-মত নির্বিশেষে মদিনা সনদের মাধ্যমে একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক সম্পর্ক, মদিনার নিরাপত্তার প্রশ্ন এবং মদিনার অর্থনীতি সচল রাখার বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। সে সময় কারও কোনো অধিকার বিন্দুমাত্র ভূলুণ্ঠিত হয়নি। সব নাগরিক সমান অধিকার পেয়েছে। রাসুল (সা.)-এর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে তৎকালীন সমাজের গোত্রগুলোর অন্তর্কলহ, রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের অবসানসহ নৈরাজ্যমুক্ত, মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বস্তুত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুপস্থিতিতে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়, গৃহযুদ্ধেও রূপ নেয়। তিনও দেশের এই ক্লান্তিকালে মব জাস্টিস, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এ সমস্ত ধ্বংসাত্মক বিশৃঙ্খল পন্থা পরিহার করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। একই সাথে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিকারী সম্প্রীতি বিনষ্টকারী উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি কঠোর হওয়ারও আহ্বান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। 


২রা ডিসেম্বর (সোমবার) রাতে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর নামা বাজার সানিকুল ইসলাম সানির বালুর মাঠে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরাম বেলাব উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএসপি চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ ধন মিয়া প্রধান ও জনাব মোঃ মকবুল হোসেন মেম্বারের সভাপতিত্বে মাহফিলে উদ্বোধক ছিলেন নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ কাউসার কাজল (এম.এ)। কোরআন সুন্নাহর আলোকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন, রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১ মসজিদ-এ গাউছুল আজমের খতিব মাওলানা মুফতি মাকসুদুর রহমান, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় পরিষদের বিভাগীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী, খাদেম মাওলানা হাফেজ খাজা বাহাউদ্দীন মাইজভান্ডারীসহ আরো অনেকেই। এসময় বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


পরে সালাতু সালাম শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও নিপিড়ীত মানবতার মুক্তি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম ও বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর

রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহ

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার পূর্ব গোমদন্ডী গ্রাম। পিতাঃ শ্রী চণ্ডীচরণ শীল। বঙ্গের কবিগানের ভূবনে কিংবদন্তির নায়ক, মরমী গানের ধারায় মাইজভাণ্ডারী গানের সফল সংযোজক, একুশে পদকে ভূষিত, কবিয়াল রমেশ শীল শুধু মাইজভাণ্ডারী গানের গীতিকারই ছিলেননা; তিনি ছিলেন একাধারে গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী। তিন শতাধিক মাইজভাণ্ডারী গান রচনা করে তিনি এই জগৎকে আশ্চর্যরকম ভাবে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন। শুধু সংখ্যার বিচারে নয়; গুণগত বিচারেও এগুলো উচ্চমার্গীয়, অনেকগুলোই কালোত্তীর্ণ। এতদিন মাইজভাণ্ডারী গান ছিল মূলত সাধনসঙ্গীত। রমেশ শীল তাঁর ব্যাপক কবিয়াল পরিচিতি এবং সৃজনশীল প্রতিভার পরশে মাইজভাণ্ডারী গানে এক নতুন ভাব-জোয়ারের সৃষ্টি করে সাধনসঙ্গীতকে নিয়ে আসেন লোকসঙ্গীতের কাতারে; জনপ্রিয় করে তোলেন যুগপৎ দরবারে ও সুধীমহলে। এ ক্ষেত্রে শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের অবদানের সাথে তাঁর অনেকাংশে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

বাংলার লোক সঙ্গীতকে পল্লী ও শহর অঞ্চলে সমান তালে পরিচিত ও জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের (১৯০১-১৯৫৯) যে অবদান, মাইজভাণ্ডারী গানকে মাইজভাণ্ডারী পরিমণ্ডলের পাশাপাশি সুধী-সমাজে পরিচিত ও জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে রমেশ শীলের অবদান প্রায় অনুরূপ। এ প্রসঙ্গে ফোকলোর বিশেষজ্ঞ ডক্টর ওয়াকিল আহমদের মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য-

আধ্যাত্মিক ভাবধারায় রচিত মাইজভাণ্ডারের গান বাংলা লোক সংগীতের সখা-চারণকবি রমেশ শীল ছিলেন এ ধারার প্রধান রূপকার ও প্রচারক। মাইজভাণ্ডারের গান মূলত আধ্যাত্মিক হলেও এতে সমাজচেতনা অনুপস্থিত নয়: প্রতীক ও রূপকের ভাষায় সমাজের সমালোচনাও প্রকাশ পায়। আমার মনে হয়, এই কারণে মাইজভাণ্ডারের গান বাংলার সাংস্কৃতিক জগতে স্থায়ী আসন লাভ করবে।১

আমাদের ধারণা, রমেশ শীলের ঐতিহাসিক অবদানের কথা স্মরণ রেখেই শেষোক্ত মন্তব্যটুকু সংযুক্ত করা হয়েছে।

এতদিন মাইজভাণ্ডারী গান ছিল মাইজভাণ্ডার দরবার ভিত্তিক। রমেশ শীল একে দরবারি মজলিস থেকে বের করে এনে সাধারণ শ্রোতার কাছেও পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ ক্ষেত্রে লালন সঙ্গীত-সাধক অমূল্য শাহের সাথেও তাঁর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অমূল্য শাহ লালন সঙ্গীতকে তাল-মাত্রায় ফেলে গাইবার নিয়ম প্রবর্তন করেছিলেন, রমেশ শীলও অনুরূপ মাইজভাণ্ডারী গানকে তাল-মাত্রায় ফেলে গাইবার পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। রমেশ শীলের মাইজভাণ্ডারী গানগুলো উচ্চমার্গীয় সাধন সঙ্গীত হিসেবে রচিত হয়েও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। রমেশ শীলের মাইজভান্ডারী গানকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজ জীবনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও দ্বন্দ্বের একটি প্রবহমান গতিধারার যথার্থ চিত্রও খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আমাদের ধারণা।

মাইজভাণ্ডারী তরিকার উদার, মানবিক, অসাম্প্রদায়িক বক্তব্যে আকর্ষিত হয়ে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোকজনও মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রতি ঝুঁকে পড়ে। মাইজভাণ্ডারী পরিমণ্ডলে এরকম উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন- খ্রিষ্টান মাইকেল পেনারু, বৌদ্ধ ধনঞ্জয় বড়ুয়া, হিন্দু সম্প্রদায়ের গুরুদাস ঠাকুর ও কবিয়াল রমেশ শীল। রমেশ শীল শুধু ঝুঁকে পড়েননি, মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা ও পীরমাহাত্ম্য বর্ণনা করে আধ্যাত্মিক উচ্চমার্গীয় সঙ্গীতও রচনা করেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবেও মাইজভাণ্ডারী পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলেন, তাঁর গানসমূহ দারুণভাবে সমাদৃত হয়েছিল। কিন্তু সাধারণভাবে অনেকে এটি সহজভাবে নিতে পারেনি। 

চট্টগ্রামের অভিজাত মুসলমান সম্প্রদায়েরই একটা অংশ রমেশ শীলকে, এমনকি রমেশ শীলের কারণে মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকাকেও তীব্রভাবে সমালোচনা করেছে-


নয়া সুন্নি


নয়া এক ফেরকায়ে বাতেল হায় জাহের


বানাতে হোঁ মুসলমানো-কো কাফের।


নয়া সুন্নি নয়া উনকো আকিদা


আজব সুন্নি সুনিদা হাম নাদিদা।


পুরানে সুন্নিও ছে হেঁ ওয়ো বেজার


কমিউনিষ্ট আওর সেকুলারকা মদদগার।


আজব সুন্নি গজব উনকা তরিকা


রমেশ শীল ভি হায় উনকো এক খলিফা।


শুধু মুসলমান সম্প্রদায়ের একাংশ নয়, রমেশ শীল স্ব-সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেও বিদ্রূপাত্মক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। মাইজভাণ্ডার যাওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁকে 'একঘরে' করে রাখা হয়েছিল। তীব্র মনোদুঃখে রমেশ শীল রচনা করেন নিম্নোক্ত গানটি-


আমার প্রাণে খোঁজে মাইজভাণ্ডার।

নিন্দা করলে কি ক্ষতি আমার।


নিন্দুকেরা নিন্দা করুক, 

নিন্দা করা স্বভাব তার।।

কিসে হারাম হল তাল,

তালে লোহা পিটে বানায় দা ছুরি কোদাল,

তালে মাটি পিটে কুলাল ভাণ্ড বাসন হয় তৈয়ার।।

দেখ খোদার তৈয়ার ঢোল, 

দুনিয়াময় চামড়া ছানি ভিতরে তার খোল, 

নানা শব্দে বাদ্য বাজে শুনতে লাগে চমৎকার।।

শুন যত বন্ধুগণ, 

নিন্দুকেরে তোমরা কভু ভেবনা দুশমণ, 

তারা ত্বরিকতের ধোপার মতন ধুয়ে করুক পরিষ্কার।।

খাদেম রমেশের বাণী, 

প্রাণ দিয়েছি পীর কদমে যা করেন তিনি,

ঐসব নিয়ে টানাটানি করা আমার কি দরকার।। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রমেশ শীল শুধু মাইজভাণ্ডারী গানের গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীই ছিলেন না, মাইজভাণ্ডার পরিমণ্ডলের অনেকের বিশ্বাস, রমেশ শীল ছিলেন মাইজভাণ্ডারের ফয়েজপ্রাপ্ত একজন খলিফাও। 


আরও খবর

সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহ

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা চার্লস

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা সরকারি সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করতে পারেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় উপমহাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন। রাজা তৃতীয় চার্লস ক্যানসার থেকে ধীরে ধীরে সেরে ওঠায় শিগগিরই এই সফরে বের হতে পারেন। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটেনের রাজার সফরের পরিকল্পনাকে তার শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঠিক কবে নাগাদ ব্রিটিশ রাজা ও রানির এই সফর শুরু হতে পারে, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য জানায়নি ডেইলি মিরর।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তৃতীয় চার্লস সব ধরনের সফর বাতিল করতে বাধ্য হন। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে পুনরায় তার সফর শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী বিশ্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ব্রিটেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশটির একটি সূত্র বলেছে, ‘‘রাজা এবং রানির জন্য এই ধরনের সফরের পরিকল্পনা করাটা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের একটি সফর শুরুর কথা রয়েছে; যা বিশ্ব মঞ্চে ব্রিটেনের জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এই সময়ে ব্রিটেনের জন্য রাজা এবং রানিই জুতসই রাষ্ট্রদূত।’’

ডেইল মিরর বলছে, রাজ সফরের জন্য সম্ভাব্য আয়োজক দেশগুলোর সাথে আলোচনার করতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর ভারত সফর বাতিল করার পর রাজা ও রানিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটিতে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। গত মাসে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে সাক্ষাৎ করেছিলেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়া গত মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ‘‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’’ স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেন যুদ্ধ ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে শেষ’’ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।

২০০৬ সালে ক্যামিলাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েলসের যুবরাজ হিসেবে এক সপ্তাহের জন্য পাকিস্তান সফর করেছিলেন চার্লস। সেই সময় শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের কাছে পৌঁছাতে আমার প্রায় ৫৮ বছর লেগেছে। তবে এটা যে চেষ্টা করার অভাবে নয়, তা আমি বলতে পারি।’’


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪