Logo
শিরোনাম
দুই প্রতিষ্ঠানকে ৭০হাজার টাকা জরিমানা

নোয়াখালীতে ২হাজার ৩৫০ লিটার তেল জব্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

 অনুপ সিংহ, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা শাখা ভোজ্যতেল (সয়াবিন তেল) বাজারে বেশি মূল্যে বিক্রির আশায় মজুদ করা ২ হাজার ৩৫০লিটার তেল জব্দ করেছে।

এ ঘটনায় এনএস ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার টাকা ও নিউ ভাই ভাই স্টোরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে জব্দকৃত তেলগুলো সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে খুচরা মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।  

শুক্রবার (১৩ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চৌমুহনী বাজারের বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহকারি পরিচালক মো. কাউছার মিয়া।

অভিযানকালে চৌমুহনীর কালিতলা রোড এবং ডিবি রোড এলাকার দু’টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৩৫০ লিটার বোতলজাত তেল উদ্ধার করা হয়। ওই বিক্রেতারা বেশি দামের বিক্রির আশায় মজুদ করে বাজারে তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। পরে বাজারের সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বোতলের খুচরা মূল্যে তেলগুলো বিক্রি করা হয়। প্রতি লিটার ১৬০টাকা এবং ৫ লিটার বোতল ৭৬০টাকা। অভিযানে সহযোগিতা করেন বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলার সহকারি পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। তিনি জানান, ভোজ্যতেলের বাজার তদারকি, নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সকাল থেকে চৌমুহনীর বিভিন্ন স্থানে ভোজ্যতেল মজুদকারিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তিনি বলেন, বাজারে তেলের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।


আরও খবর



ভূমিদস্যু নাজিমের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মানিকদি এলাকার ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।এলাকার বিভিন্ন মানুষের নামে ভূয়া হয়রানী মুলক মামলা করে নানান ভাবে হয়রানি করে এই নাজিম ।

আবুল ফজল নামের এক ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের উপর দিয়ে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার ও ১৫০ ফুট চওড়া মিরপুর ডিওএইচএসগামী সড়ক নির্মাণের ফলে মাটিকাটা মানিকদি এলাকার রাস্তার দুপাশের জমির মূল্য বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় এ এলাকার জমির ওপর বহু মামলার আসামি ভূমিদস্যু নাজিমের দৃষ্টি পড়ে। জোয়ার সাহারা মৌজার সিএস ও এসএ-৬১০, ৬১১, ৬১২, ৬১৩, ৬১৪, আরএস-৫৬১, ৫৬২ ও ৫৬৫ এবং মহানগর-৩৪৩০১, ৩৩৯০৪, ৩৩৯১১, ৩২২৪৮ ও ৩২২৮৯ দাগের প্রায় ১০ বিঘা সম্পত্তির রেকর্ডিয় মালিক এ এলাকার প্রায় ১০০ নিরীহ ব্যক্তি। তাদের নেই কোনো শিক্ষা, নেই কোনো অর্থ, নেই কোনো শক্তি। তাদের এ দুর্বলতার সুযোগে নাজিম মানিকদি এলাকায় কিছু রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় গড়ে তোলে এক বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী।

মানিকদি এলাকার ১০ বিঘা সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য নাজিম উদ্দিন জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার ভুয়া দলিল পর্চা দেখিয়ে মেজর জেনারেল থেকে শুরু করে প্রায় অর্ধশত অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও নানা প্রকার পেশাজীবীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে জমির শেয়ার ও ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে সংগ্রহ করে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। জোর করে এসব জমি দখল করে নানা প্রকার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৫০টির অধিক মামলা রয়েছে। নিরীহ মানুষের জমিতে নিজ নামে মসজিদ ও কবরস্থান নির্মাণ করে ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে নিজ দখলে নেওয়া হয়। মানুষের জমি এলাকার চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে মসজিদের সাইন বোর্ড লাগিয়ে শত শত পরিবারকে জিম্মি করে জমি বিক্রি করার জন্য চাপ দিতে থাকে। জমির মালিকরা নিরুপায় হয়ে নাজিম উদ্দিনসহ ৬৬ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেন। বিচারক ওই জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ, বেদখল, হস্তান্তর, অবৈধভাবে নির্মাণ থেকে নাজিম গংকে বিরত থাকতে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন। এর পরও তিনি তার অবৈধ দখল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাজিম বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অসহায় হয়ে পড়েছে। এলাকার কেউ এদের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে চায় না। কোনো মামলা হলেও নিরপেক্ষ সাক্ষীর অভাবে জনগণ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

অবৈধ উপায়ে ভূমিদস্যু নাজিম হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি গড়েছেন। এর মধ্যে জোয়ার সাহারা মৌজায় প্রায় ২০ বিঘা জমি যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বাউনিয়া মৌজায় ১০ বিঘা জমি যার বাজার মূল্য ১৫ কোটি টাকা। মিরপুর ডিওএইচএস-এ ৪০০০ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট আছে যাহার বর্তমান বাজার মূল্য তিন কোটি টাকা। মিরপুর ডিওএইচএস রোডে সিটি কাবাব-এর ৫ কাঠা জমি, যার বাজার মূল্য প্রায় ছয় কোটি টাকা। লাল মিয়ার টেক মানিকদি এলাকায় ৫ কাঠা জমির ওপর বহুতল ভবন, যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তিনটি প্লট ও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় সাত কোটি টাকা। গ্রামের বাড়িতে প্রায় ৮০ বিঘা সম্পত্তি রয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। দুবাইতে তার স্বর্ণের দোকানে বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা। মালয়েশিয়ায় রয়েছে তার দুটি দোকান ও একটি তেলের পাম্প, বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ প্রায় পচিশ কোটি টাকা। পূর্বাচল পাতিরা মৌজায় তার রয়েছে ১০ বিঘা জমি, যার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। নাজিমের এসব অবৈধ অর্থ লেনদেন হয় দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে।

নাজিম তার কিশোর গ্যাংদের দিয়ে রাতের আঁধারে কাউসার ও ইয়াবা মনিরের মাধ্যমে অন্যের জমি দখল করে তা ভুয়া দলিল করে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন।

রাতের আঁধারে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অন্যের জমিতে জোর করে বালু ভরাট করে নাজিমের সাইনবোর্ড লাগালেই মালিক পরিবর্তন হয়ে যায়। একদিকে সাধারণ শেয়ার ক্রেতাদের ঠকিয়ে নিজে অর্থের পাহাড় গড়ে চলেছেন, অন্যদিকে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও ভূমিদস্যুতার একটা বড় অংশ টাকা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বরাদ্দ দিয়ে নাজিম পুরো এলাকাকে ক্রমেই অস্থিতিশীল করে তুলছেন। ভাইসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নামে শুধু ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০টি সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও জোর করে জমি দখলের মামলা রয়েছে। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ ১৫০ সেনাসদস্যের সমবায় সমিতির কেনা জমি নাজিম বাহিনী জোর করে দখল করে নিয়েছে। এ ছাড়া মানুষকে অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় হত্যা, গুমসহ নানা ভয়ভীতি দেখালে ৫০টি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নাজিম বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অনেকে।

মানিকদি এলাকার ভুক্তভোগী গার্মেন্ট ব্যবসায়ী রেজাউল ও ক্যাপ্টেন জহির বলেন, আমরা আমাদের পেনশনের টাকা নাজিমের কাছে দিয়ে বিপদে পড়েছি। তার অত্যাচারে আমরা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। নাজিম বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান তারা।


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে সারাদেশ

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শফিউল আলম, স্টাফ রিপোর্টার :

সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

সুনামগঞ্জ-১(জামালগঞ্জ,তাহিরপুর,মধ্যনগর ও ধর্মপাশা) আসনের কমিউনিষ্ট পার্টি ও বিএনপি থেকে তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেনের প্রথম  জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকায়। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রথম  জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুলিশের একটি চৌকুস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। 

জানাযায় মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ আওয়ামীলীগ বিএনপি জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠনের কয়েক হাজার নেতৃবৃন্দ একাকার হয়ে জানাযায় অংশগ্রহন করেন। 

 এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন,জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী,প্রমুখ। 

উল্লেখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন  বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী সন্তান আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহি রেখে যান। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সুনামগঞ্জের ট্যাকেরঘাট সাব সেক্টরের সহকারী অধিনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বে দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে কমিউনিষ্ট পার্টি থেকে সুনামগঞ্জ-১ আসনে  সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৩ সালের ১৫ই অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপিতে যোগদান করেন। পরে ১৯৯৬ সালে ঐ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে এবং ২০০২ সালে তিনি আবারও মোট তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

পরবর্তীতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সাতগাঁও শাহাপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানযার ইমামতি করেন মাওলানা শায়খ বাহাউদ্দীন। জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।


আরও খবর



দেশে ৪.৫ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি পায় না

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশের প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ এখনও নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী দূষণের কারণে দেশে পানির সঙ্কট আরও বাড়ছে নদীর পানি ব্যবহৃত না হওয়ায় প্রতি বছর মাটির নিচ থেকে ৮৬ ভাগ পানি তুলতে হচ্ছে তারা জানান, উন্নত দেশ হতে হলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপও কমাতে হবে আবার শতভাগ মানুষের পানির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

জীবন ধারণের জন্য যে পানি প্রয়োজন, তা ক্রমেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পানি আমাদের জীবনের একটি বিশেষ উপাদান। পানির অপর নাম জীবন। জন্মের পর থেকে পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য আমরা নানাভাবেই পানির ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে আমাদের দেশে সুপেয় পানি পাওয়া অনেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। সুপেয় পানি ছাড়া জীবন রক্ষা নয়, তাই পানিই মৃত্যু ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠছে।


পৃথিবীর তিন-চতুর্থাংশই পানি। তবুও বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির জন্য আমাদের অনেক বেগ পেতে হয় তা সকলের জানা। ভূপৃষ্ঠের ৭০.৯% অংশ জুড়ে পানির অস্তিত্ব রয়েছে। পৃথিবীতে প্রাপ্ত পানির ৯৬.৫% পাওয়া যায় মহাসাগরে। তবে পৃথিবীর পানির মাত্র ৩ ভাগ মিস্টি পানি আর ৯৭ ভাগ লবনাক্ত পানি। পানির প্রাচুর্যের কারণে অধিকাংশ মানুষই সচেতন কিংবা অসচেতনভাবেই পানি অপচয় করে থাকে। যদি পানির একটি ট্যাপ থেকে প্রতি সেকেণ্ডে এক ফোটা করে পানি পড়ে তবে বছরে তিন হাজার গ্যালন পানি অপচয় হবে। এক গ্যালন পানির ওজন ৮.৩৪ পাউণ্ড। মাত্র ৫ মিনিটে একটি শাওয়ার থেকে ১০ থেকে ২৫ গ্যালন পানি ব্যবহার করা যায়। আর গোসল করতে প্রায় ৭০ গ্যালন পানির প্রয়োজন হয়।


বিশ্বজুড়েই নিরাপদ পানির সমস্যা রয়েছে। বিশ্বে প্রতি ৪ জন মানুষের একজন নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ এখনো নিরাপদ পানি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাড়িতে নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধা পায় না ৬১ শতাংশ মানুষ। সারাবিশ্বের ২ বিলিয়ন মানুষ এখনো নিরাপদ পানীয় জলের অভাবে রয়েছেন। ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে আছেন এবং ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মানুষ মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্যমতে, বিশ্বে প্রায় ৭৭ কোটিরও বেশি মানুষ তাদের বাড়ির আশপাশে নিরাপদ পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আর প্রতিবছর অনিরাপদ পানি ও দুর্বল পয়োনিষ্কাশনের জন্য প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়।


পানি একটি অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। পৃথিবীর মধ্যে যে প্রাকৃতিক সম্পদ আছে তার মধ্যে ভূগর্ভস্থ পানি অন্যতম। ভূগর্ভস্থ পানি দৃশ্যমান নয়, কিন্তু এর প্রভাব সর্বত্র বিদ্যমান। ভূগর্ভস্থ পানি আমাদের সুপেয় পানির সবচেয়ে বড় উৎস। ভূগর্ভস্থ পানি পানীয় জল সরবরাহ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, কৃষিকাজ, শিল্প ও বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখে। এদিকে, মানুষের পানির চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ায় ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে। পৃথিবীর পানির মাত্র ৩ ভাগ স্বাদু পানি। আর বিশ্বব্যাপী স্বাদু পানির ৭২ শতাংশই ব্যবহৃত হয় কৃষি কাজে।

বাস্তুতন্ত্রের অবক্ষয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য কাজে ব্যাপকভাবে পানি ব্যবহারের কারণে কৃষিকাজে পানির প্রাপ্যতা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।বাংলাদেশে কৃষি, শিল্প ও গৃহস্থালি কাজগুলো মূলত ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। পানির স্তর নিচে নেমে গেলে নিরাপদ পানীয় জল নাগালের বাইরে চলে যাবে। দেশে ভূগর্ভস্থ পানির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদী ভাঙন রোধ, ভূমি পুনরুদ্ধার, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যা দেশের জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।


দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলা প্রলয়ের পর এই সংকট আরো তীব্র হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পানির উৎসগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এখনো পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরতে পারেনি। দেশের উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে লবণাক্ত পানিতে সয়লাব হচ্ছে জনপদ। এতে পরিবেশ ও বসতি ধ্বংসের পাশাপাশি সুপেয় পানির সংকট তীব্র হয়ে উঠছে। উপকূলের মাটি ও পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ক্রমে সংকুচিত হচ্ছে বিশুদ্ধ পানির উৎস। লবণাক্ততার এই আগ্রাসন শুধু ভূ-উপরিস্থ পানি নয়, ভূগর্ভস্থ উৎসেও ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে নানা রোগ-ব্যাধি এ অঞ্চলের জনস্বাস্থ্যকে হুমকিতে ফেলছে। উপকূলে বিশুদ্ধ পানির কষ্ট প্রকট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এলাকার নলকূপের পানি লবণাক্ত ও আর্সেনিক। নিত্যব্যবহার্য কাজে লবণাক্ত পানি ব্যবহারের কারণে ছড়িয়ে পড়ছে রোগব্যাধি। পেটের পীড়া, অ্যালার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নারী, শিশু থেকে বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষ। বিশুদ্ধ পানির জন্য গ্রামের বাসিন্দাদের ছুটতে হচ্ছে দূরদূরান্তে।


বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এর প্রভাবে বিশুদ্ধ পানির উৎসগুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বনজঙ্গল ধ্বংস করার ফলে প্রকৃতি ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে। গত অর্ধ শতাব্দী জুড়ে পৃথিবী থেকে কার্বনের উৎক্ষেপন বেড়ে গেছে কয়েকগুণ, বেড়েছে উষ্ণতা। সেই সাথে শিল্প ও রাসায়নিক বর্জ্য দূষণ সৃষ্টি করছে নদী এবং সাগরে। বিশ্বের সকল দেশেই বিশুদ্ধ পানি সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বেড়িবাঁধ ভাঙন, অধিক বৃষ্টি ও অনিয়মিত বৃষ্টি, খরা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে দেশের দক্ষিণ উপকূল খাদ্য ও কৃষি উৎপাদনে চরম সংকটে পড়েছে। তাছাড়া অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষের কারণে লবণাক্ততার মাত্রা আরও বাড়ছে। অনাবৃষ্টি আর খরায় দেশের প্রাণীকুল, ফসলের ক্ষেতে পড়ছে বিরুপ প্রভাব।


জীবজগতে পানির প্রভাব অপরিসীম। পানি ছাড়া পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতো না। একজন মানুষ পানি ছাড়া গড়ে মাত্র তিন দিন বেচে থাকতে পারে। মানুষের অপরিহার্য প্রয়োজনীয় পদার্থ হল পানি। তাই পানির আরেক নাম জীবন। তবে পানি হলেই হবে না, সেটা হতে হবে বিশুদ্ধ পানি। বিশুদ্ধ পানির প্রধান উৎস ভূগর্ভস্থ নলকূপের পানিতে  আর্সেনিকের উপস্থিতি বাড়ছে। দেশের ৬১ জেলার নলকূপের পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। আর্সেনিক আক্রান্ত পানি ব্যবহার করলে মানবদেহে মারাত্মক রোগ হতে পারে।


ভুগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র হচ্ছে দিন দিন। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে নিঃসন্দেহে। শুধু তাই নয়, ভূগর্ভস্থ পানির উৎসও দিন দিন সংকোচিত হচ্ছে। এছাড়া, শুষ্ক মওসুমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপে পানি ওঠে না। বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব দেখা দেয়। নদ-নদী, পুকুর-ডোবা, জলাশয়, হাওর-বাওর, খাল-বিল শুকিয়ে যায়।

 গত চার দশকে দেশের জলাভূমি কমেছে কমপক্ষে ৬৫ লাখ হেক্টর। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত দেশের ৭০ ভাগ জলাভূমি কমেছে। শুকিয়ে যাচ্ছে নদ নদীও। সারাদেশে কমপক্ষে আট হাজার কিলোমিটার নদীপথ ইতোমধ্যেই হারিয়ে গেছে। এককালের খরস্রোত নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে ।


বাংলাদেশ নদীমাতৃক ও কৃষি নির্ভর। দেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নে সঠিক ও পরিকল্পিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের জীবন রক্ষায় সকলের জন্য অঙ্গীকার হওয়া উচিত বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তায় নদ নদী, হাওর,খাল, বিল, জলাশয়, পুকুর-ডোবা  ভরাট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। পানি যাতে দূষিত না হয় সেই উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি পানিকে আর্সেনিকমুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রাখতে হবে।

ভূ-গর্ভস্থ পানির উত্তোলন কমিয়ে ভূ-পৃষ্ঠের পানি গৃহস্থালীসহ অন্যান্য কাজে যাতে সর্বাধিক ব্যবহার করা যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। সমুদ্র ও নদ-নদীকেও দূষণের কবল থেকে মুক্ত করতে হবে। শিল্প ও রাসায়নিক বর্জ্য যাতে নদী এবং সাগরে না ফেলা হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে।পানির অপচয় রোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন। যেন সবার জন্য বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্তি সহজলভ্য হয়।


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে সারাদেশ

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে শ্রী নিরাঞ্জন উড়াও নামে এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ বছর এর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আসামীর সামনে এ রায় ঘোষণা করেন নওগাঁ জেলা ও দায়েরা জজ মোঃ আবু শামিম আজাদ। এ মামলাটি রাষ্ট্র পক্ষের হয়ে পরিচালনা করেন, সরকারী কৌসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম সারোয়ার হোসেন।

দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী নিরাঞ্জন উড়াও নওগাঁর পোরশা উপজেলার বরবারিয়া গ্রামের শ্রী যোগেশ্বর উড়াও এর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার বরবারিয়া গ্রামের রামেশ্বর চন্দ্র (৫৫) গত ২০২২ ইং সালের ১ আগস্ট নিজের জমিতে আইল কাটার কাজ করছিলেন। এমতাবস্থায় প্রতিবেশী নিরঞ্জন উড়াও এর লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হোন রামেশ্বর চন্দ্র। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একই দিন তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ আগস্ট রামেশ্বর চন্দ্র মারা যান। এ ঘটনায় ঐ দিন রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। এই ঘটনার তদন্ত শেষে নিরঞ্জন উড়াওয়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৬ মে দণ্ডবিধি- ১৮৬০ এর ৩০২/২০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে আদালতে জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখিত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামি নিরঞ্জন উড়াও কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন অনাদায়ে তাকে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নেতানিয়াহুর অনুমোদন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির নতুন আলোচনার অনুমোদন দিয়েছেন। কাতারের রাজধানী দোহা ও মিসরের রাজধানী কায়রোতে এই আলোচনা হবে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) নেতানিয়াহুর দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চেয়ে তোলা প্রস্তাব পাস হয়। ওইদিন এই প্রস্তাবে ভেটো দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দোহায় অবস্থানরত আলোচনাকারী দলকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন নেতানিয়াহু।

মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার পরেরদিন মঙ্গলবার জানায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তবে যুদ্ধরত দুই পক্ষ এবং মধ্যস্থতাকারীরা এ ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য জানায়নি।

নেতানিয়াহুর দপ্তর আরও জানিয়েছে, তিনি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নেয়ার সঙ্গে নতুন আলোচনা নিয়ে কথা বলেছেন। তবে বার্নেয়া নিজে দোহা অথবা কায়রোতে যাবেন কিনা সেটি স্পষ্ট করেনি তারা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি প্রাণ হারান।

এরপর ওইদিন থেকেই গাজায় বর্বর হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় এক লাখ মানুষ।

৭ অক্টোবর ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি আরও ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে আসেন হামাসের যোদ্ধারা। যারমধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী চলা যুদ্ধবিরতিতে ছেড়ে দেয় তারা।

ইসরায়েলের বিশ্বাস হামাসের কাছে এখনো ১৩০ জিম্মি রয়েছে। যারমধ্যে ৩৩ জন ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন।

সূত্র: এএফপি


আরও খবর