

মঙ্গলবার ২০ মে ২০25
বুধবার ১৪ মে ২০২৫
আলহাজ্ব সুফি মিজানুর রহমান মহোদয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সকল সুন্নী রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবাদ ও বিবৃতি আশা করছি। সংক্ষিপ্ত তাফসীরসহ কুরআনে কারিমের বিশুদ্ধ বাংলা অনুবাদ "রুহুল কুরআন", ফার্সি ভাষায় লিখিত হাজার বছর আগের তাসাউফ দর্পন "কাশফুল মাহজুব" এর বাংলা অনুবাদ, হাদিস সংকলন, ৪০ হাদিস সহ অনেক কিতাব কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে জাতির খেদমতে উপহার, সিহাহ সিত্তাহ [হাদিসের বিশুদ্ধ ছয়টি গ্রন্থ]কে অধিকতর বিশুদ্ধ অনুবাদ, ব্যাখ্যা ইত্যাদি দিয়ে বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে তুলে ধরা, সত্যিকারের মুফতি তৈরির মানসে বছর মেয়াদি ইফতা কোর্স, আরবি ভাষা শেখানোর জন্য এরাবিক ল্যাংগুয়েজ সেন্টার, ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, ঢাকা ও চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক শাহাদাত-এ কারবালা মাহফিলের প্রধান পৃষ্ঠপোষকসহ বহু একাডেমিক এবং নন একাডেমিক, সামাজিক, মানবিক, দেশে - বিদেশে সর্বত্র নিজেকে বিলীন করে দিয়ে যে মহান খেদমতের আঞ্জাম দিচ্ছেন তা সত্যিই অতুলনীয় এবং এর দৃষ্টান্ত এ যুগে বিরল। পাশাপাশি শিল্প জগতে সততার সাথে বিপ্লব ঘটিয়ে চলছেন। অসংখ্য পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে চলছেন। তাছাড়া দেশে- বিদেশের ওলামা, পীর মাশায়েখদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলছেন। যেখানেই যান ৮৩তম বয়সে উপনীত হয়েও ছাত্রের মত কাগজ- কলম নিয়ে বসে পড়েন। এরকম নানান গুনের অধিকারী বিনয়ী একুশে পদকপ্রাপ্ত আলহাজ্ব মোহাম্মদ সুফি মিজানুর রহমান প্রতিহিংসার শিকার হবেন না তাতো হতেই পারেনা। যার কারণে জুলাই আন্দোলনে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী করা হলো উনাকে। ঢাকা আলিয়ার এক শিক্ষার্থীকে পতিত স্বৈরাচারের পালিত প্রশাসন ও সন্ত্রাসীরা আক্রমন করেছে, সেখানে এ রকম মহান মানুষের সম্পৃক্ততা কিভাবে সম্ভব? আল্লাহকে ভয় করুন। একমাত্র তিনিই যাকে ইচ্ছে ক্ষমতা দান করে ইজ্জত দান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেন। আমরা অনতিবিলম্বে সুফি সাহেবের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা অবলোকন করছি, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যেখানে উপদেষ্টা ও প্রশাসনের কিছু উগ্রবাদী ব্যক্তিবর্গের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে আমরা সন্দেহ পোষণ করছি। আমি বর্তমান সরকার ও প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, সুন্নী জনতা আপনাদের প্রতিপক্ষ নয়, তাদেরকে জোর করে প্রতিপক্ষ বানানোর পরিণাম ভালো হবে না। সুন্নীয়তের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত চলমান এই ষড়যন্ত্র বন্ধ নাহলে সুন্নী জনতা রাজপথে ফায়সালা করে ফিরবে। অবিলম্বে এই মামলা বানিজ্য বন্ধ করুন।
শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫
বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গুজরাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতভর রাজ্যের আহমেদাবাদ ও সুরাটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ওই বাংলাদেশিরা গ্রেপ্তার হয়েছে। শনিবার গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এই তথ্য জানিয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে কমপক্ষে ৮৯০ বাংলাদেশি ও সুরাটে ১৩৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাটে এখন পর্যন্ত এটিই বৃহত্তম অভিযান বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।
গুজরাটে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের এই মন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি বলেছেন, ‘‘অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। গুজরাটের এই মন্ত্রী বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।
হর্ষ সাংঘভি বলেন, শিগগিরই ওই বাংলাদেশিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘তারা ভারতে ও গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য যে জাল নথি ব্যবহার করতেন, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে যারা তাদের জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার ২০ মে ২০25
রবিবার ১৮ মে ২০২৫
নিউজটা চোখের সামনে বার বার আসতেই স্ক্রল করে চলে যাচ্ছি ভয়ে আতংকে। চাইছি না দেখতে, একদমই না, তবুও সামনে আসছে। কি এক ভয়াবহ অস্থিরতা কাজ করছে মনে। সপ্তম শ্রেনির বাচ্চা, হ্যাঁ সপ্তম শ্রেনি! সবে প্রাইমারি পাশ করেছে। এখনও নিজ হাতে তুলে ভালোমতো খাবার খাওয়ার বয়স হয়নি, এখনও একটু ধমকালে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদার বয়স। মায়ের আঁচলে মুখ গুজে থাকার বয়সটাও যে পেরোয়নি এখনও। অথচ এই বয়সী কজন বাচ্চা তারই বয়সী এক সহপাঠিকে মেরে ফেললো!! তাও আবার ক্লাসে সামনের বেঞ্চে বসার মতো সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাঁটিতে। কিভাবে সম্ভব! এইটুকু বাচ্চা, বলা যায় মুখে এখনও দুধের গন্ধই রয়ে গেছে।
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার হামিদচর, কর্ণফুলীর চর। সেই চরে কাদায় মাখামাখি হয়ে উপুড় হয়ে পরে আছে রাহাত। বন্ধুরা খেলতে ডেকে এনে মেরে ফেলেছে। প্রতিদিনের মতো বন্ধুদের সাথে খেলার জন্য কত খুশি হয়েই না বাড়ি থেকে বের হয়েছিলো। ভালো ক্রিকেট খেলতো ছেলেটা, সামনের সিজনে অনুর্দ্ধ ১৪ ক্রিকেটের জন্য বাছাইও হয়েছিলো৷ কিন্তু জানতেই পারেনি সে যে আর ফিরবে না, হাতে আর কখনো উঠবে না শখের ব্যাট বল। না জানি বাড়ি ফেরার জন্য, বাঁচার জন্য কতই না কান্নাকাটি করেছে। মায়ের কাছে যেতে চেয়েছে। অথচ প্রতিদিন একই সাথে বসা, টিফিন ভাগ করে খাওয়া, আড্ডা মজার খুনসুটির বন্ধুরাই তাকে বাঁচতে দিলো না। মৃত্যুর আগে বন্ধুদের না জানি কতটা হাতেপায়ে ধরেছে। কিন্তু এইটুকু বাচ্চাদের মনে কেন এতটুকুও দয়া হয়নি। একটা জলজ্যান্ত মানুষ, এবং তাদেরই বন্ধুকে মেরে ফেললো! এত পাষাণ! এই বয়সেই! অথচ মায়ের চোখ রাঙানো দেখলেও ভয়ে চুপসে থাকার কথা এ বয়সীদের। কিন্তু কি দুঃসাহস! কি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে এরা!!
আচ্ছা, এমন ভয়ংকর কি একদিনে হয়েছে? মোটেই না৷। এর জন্য আমরা দায়ী। বাচ্চাকে ভালো ছাত্র হওয়ার দৌড়ে নামিয়ে ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষাটা দিচ্ছি না। মায়ের সাথে যেদিন প্রথম তর্ক করেছিলো, বাবার পকেট থেকে যেদিন না বলে ৫ টা টাকা নিয়েছিলো, দেরিতে বাসায় ফিরেছিলো, কোচিং প্রাইভেটের কথা বলে পার্কে ঘুরেছিলো, বন্ধুর সাথে ঝগড়া করে এসেছিলো, শিক্ষকের সাথে বেয়াদবি করেছিলো, শাসনটা আমরা শক্ত করে তখন শুরু করিনি। ছোট মানুষ বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে বলে মেনে নেই৷ ছোট বাচ্চা বুদ্ধি হয়নি বলে চোখের খেয়ালটাও করি না। কিন্তু ভুল আমাদের এখানেই। বাচ্চাকে চোখে চোখে রাখার আর কোন বিকল্প নেই। তিতা হলেও সত্য যে, আপনার বাচ্চা তা নয় যা সে আপনাকে দেখায়। এই একটা কথা মাথায় রেখে সতর্ক থাকা উচিত।
কষ্টে, ভয়ে, আতংকে শরীরটা কেমন ঠান্ডা হয়ে আসছে নিউজটা পড়ে। ঠিক এই বয়সী শত শত ছেলে আছে ,,,,আৎকে উঠি আমি ,,,মন শুধু এটুকুই বলছে, বাবা তোরা মানুষ হ, ভালো মানুষ। ভালো ছাত্র না হলেও ক্ষতি নেই......
বুধবার ০৭ মে ২০২৫
শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫
সোনারগাঁও প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অস্ত্রসহ আলী আকবর খান(৩০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত যুবক মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার খানের ছেলে ।গ্রেফতারকৃত যুবক একজন মাদকাসক্ত ও উচ্ছৃঙ্খল ছিলো এবং প্রায় সময় মাদকের টাকার জন্য তার বাবার ওপর নির্যাতন করতো বলে জানায় তার পরিবার।
শুক্রবার (৯ মে) দিবাগত রাত পৌঁনে তিনটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ অংশের মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় ঢাকাগামী লেনে গাড়ি তল্লাশিকালে একটি মোটরসাইকেলসহ পুলিশ তাকে আটক করে। এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে ৮ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি বিদেশী রিভলবার উদ্ধার করে পুলিশ।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন"মহাসড়কে চেকপোস্ট করার সময় একটি মোটরসাইকেল আরোহী যুবককে সন্দেহ হলে তার দেহ তল্লাশি করে ৮ রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার উদ্ধার করে পুলিশ।তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম শেষে শনিবার বিকেলে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার ১৭ মে ২০২৫
শনিবার ১৭ মে ২০২৫
আতোয়ার রহমান মনির, লক্ষ্মীপুর :
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর এলাকার বানাতুল দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা আর মাদ্রাসায় যায় না। প্রতিদিনের পথে বখাটেদের উৎপাত, উত্ত্যক্ততা আর শারীরিক হয়রানিতে জর্জরিত হয়ে শেষ পর্যন্ত শিক্ষাপথ ত্যাগে বাধ্য হয়েছে সে।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ—বখাটেপনার ঘটনা বারবার জানানো হলেও প্রশাসন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা থেকেছেন নির্বিকার। তাদের এই নীরবতা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
মুক্তার বাবা মনির হোসেন বলেন, "ঘটনার কথা জানালেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবংজনপ্রতিনিধিরা গুরুত্ব দেননি। বরং সমঝোতার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন মেয়েটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।"
মুক্তা জানায়, "প্রতিদিন ভয় নিয়ে বের হই। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ছেলে আমার পথ আটকায়, মোবাইল নম্বর চায়। না বললে টানাহেঁচড়া, ভিডিও করা আর তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। একদিন কিছু পথচারী এগিয়ে না এলে কী হতো জানি না।"
একজন সাবেক ছাত্রী জানান, তিনিও এবং তার বান্ধবী একইরকম হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। "সেই সময়েও কেউ কিছু করেনি," বলেন তিনি।
বিএনপি নেতা খোরশেদ ঢালী বলেন, “এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এলাকায় এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বরাবরই নিষ্ক্রিয়। এখন সময় এসেছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার।”
রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঞা বলেন, “এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খান বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে এলাকায় এবং মাদ্রাসাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হবে।”
লক্ষ্মীপুর জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, “এই ঘটনাটি শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রশাসন নিরপেক্ষ হলে অবশ্যই বিচার হতো, কিন্তু প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।”
ব্র্যাকের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৬৪ শতাংশ স্কুলগামী মেয়ে পথে উত্ত্যক্তের শিকার হয়। শিশু অধিকার ফোরামের মতে, ২০২৪ সালে দেশে দেড় হাজারের বেশি কিশোরী হয়রানির শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৩৮% ঘটেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে।
মুক্তার এই ঘটনা যেন হাজারো মেয়ের অব্যক্ত কষ্টের প্রতিচ্ছবি। মুক্তা আজ শুধুই একজন ব্যক্তি নয়—প্রতীক হয়ে উঠেছে সেই সব কণ্ঠের, যারা ভয়ে থেমে যায়, অপমানে হারিয়ে যায় শিক্ষার পথ থেকে।
এখনই সময়—প্রশাসন, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনার। প্রয়োজন কঠোর শাস্তি, যাতে আর কোনো মুক্তাকে স্কুল ছাড়তে না হয়।
শনিবার ১৭ মে ২০২৫
শনিবার ১৭ মে ২০২৫