Logo
শিরোনাম

নতুন বাংলাদেশে গণ্ডগোল সৃষ্টিকারীদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে, সারা দেশের জন্য এটা খুব জরুরি। কতো ঘটনা ঘটে গেলো, সামনে আরও বহু ঘটনা ঘটবে। যাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা সহজে মেনে নেবে না। তারা না মানলে আমরা মানাবো। নতুন বাংলাদেশের ভেতরে যারা গণ্ডগোল সৃষ্টি করতে পারে তাদেরও নিশ্চিহ্ন করবো আমরা। নিজেদের দলে নিয়ে আসবো, না হলে আইনের কাছে সোপর্দ করে দেবো। এটা হলে আমরা তাড়াতাড়ি নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারবো বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আর্থিক সহায়তা দিতে শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ২১টি জুলাই শহীদ পরিবার ও সাত জন আহতের মধ্যে আর্থিক চেক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশটাকে আজ নতুন বাংলাদেশ বলতে পারছি, তাদের জন্য দেশ কী করতে পারে, তাতে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের জনগণের যে জবাবদিহি, আরেকটা পরিবর্তন, সেটা কোনও নিক্তি দিয়ে মাপা যায় না। আপনার ছেলে, সন্তান, ভাই ইতিহাসের স্রষ্টা। ইতিহাসের স্রষ্টাকে সাধারণ মাপকাঠি দিয়ে, টাকা-পয়সা দিয়ে মাপা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘যে বাংলাদেশকে আমরা নতুন বাংলাদেশ হিসেবে তৈরি করলাম, এটা যাতে সেভাবে রাখতে পারি। এটাকে হেলায় ফেলে দিলে হবে না। সে ক্ষেত্রে আমাদের সার্বক্ষণিক সাবধান থাকতে হবে, নজর রাখতে হবে। সেই দায়িত্ব আমাদের সবাইকে মিলে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাদের সন্তান হারালো তাদের শোকের পরিবর্তে কী আসবে সেটি আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সরকারের পক্ষ থেকে। এখানে দুটো বিষয়– একটি প্রাতিষ্ঠানিক, আরেকটি ব্যাক্তিগতভাবে। ব্যক্তির সঙ্গে আমরা কীভাবে সংযোগ স্থাপন করে দিয়ে যাবো সেটা করা। আজ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আপনারা সরকারের অংশ হয়ে গেলেন। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের কারণে মুক্তিযোদ্ধারা সব এক হয়ে গেছে, কেউ আর মুছতে পারবে না। আপনারা আজ এই মন্ত্রণালয়ের অংশ হয়ে গেলেন। জুলাই স্মৃতি পরিদফতর সৃষ্টি হয়েছে, আপনারা সরকারের কাঠামোর ভেতর ঢুকে গেছেন। যত কথা বলার, দাবি করার, সরকারের ভেতরে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটা করে দেওয়া হয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ‘সরকারিভাবে যা কিছুই করা হোক এটা কেউ মুছতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধারা অত ভাগ্যবান ছিলেন না। বহু বছর লেগেছে তাদের জন্য কিছু করতে, এটা দেয় তো ওইটা দেয় না, আস্তে আস্তে দিতে দিতে বহু বছর চলে গেছে। আমরা খুশি যে প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন করতে পেরেছি। সবকিছু না করতে পারলেও একটা জায়গা তো পাওয়া গেলো।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘একটা বিষয় ক্ষোভের মধ্যে এসে যায়। আমরা এবং আপনারা যদি দুইভাবে কথা বলি, এটা ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে না। আমরা এক। আপনাদের ত্যাগের কারণে আমরা এক হয়ে গেছি। যদি এই অভ্যুত্থান না হতো আপনার-আমার সাক্ষাৎ হওয়ার কোনও কারণ ছিল না। কীভাবে আপনাদের স্বীকৃতি দেওয়া দরকার সেই হিসেবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আজকে ‘‘আমরা’’ আর ‘‘আপনারা’’ হয়ে গেলে এই নতুন বাংলাদেশ হবে না, বিভেদ হয়ে গেলো। এই বিভাজন ভালো না।’

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার কী বিতাড়িত করা গেছে? তাদের ভয়ে থাকার জন্য কি এই বাংলাদেশ গড়লাম আমরা? তাদের জয় করতে হবে, সোজা রাস্তায় আনতে হবে। এই দেশে চলতে হলে এভাবে করতে হবে, মারপিট করে হবে না। সে আমাকে পিটাবে, আমি তাকে পেটাবো, এই পিটাপিটি আর শেষ হবে না। তাদের বোঝাতে হবে তোমাদের রাস্তা ভুল। তোমরা মাফ চাও, বিচারের কাজ তো চলছেই। অনেকেই তাৎক্ষণিক বিচার চায়, এখানে মুশকিল হলো তাৎক্ষণিক এই জিনিস হয় না। তাৎক্ষণিক হতে হলে অবিচার হয়ে যায়। মূল বিষয় হল সুবিচার হতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচারের কাজ চলতে থাকুক, যারা অপরাধী পুলিশের কাছে দিয়ে দাও। যথেষ্ট সাক্ষী-প্রমাণসহ তুলে দিতে হবে, অবিচার যেন না হয়। আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম বলেই সংগ্রাম হয়েছে। আমরা যদি নিজেরা অবিচারে নেমে যাই তাহলে তফাৎ থাকলো কী। আমরা অবিচারে নামবো না। যারা অপরাধী তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করবো। যারা অপরাধী নয় পুলিশের হাতে দেওয়ার মতো, তাদের মানুষ করবো। আমরা একযোগে যত তাড়াতাড়ি পারি এটাকে একটা সুন্দর দেশ বানাবো। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। যারা অপরাধী নয় তাদের সৎপথে নিয়ে আসতে হবে এ দেশে থাকার জন্য, একতার জন্য। আমরা যারা এখানে বসে আছি তারা যেন আলাদা না হয়ে যাই। দুঃখের কথা বলবো, কিন্তু বিবাদ সৃষ্টি যেন না হয়।


আরও খবর



কানের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী জুরি প্রধান হলেন জুলিয়েট বিনোশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

সিনেমা দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ উৎসব হলো কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। প্রতিবছর ফ্রান্সের কান শহরে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৩ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত এই উৎসবের ৭৮তম আসর বসতে যাচ্ছে। এবারের আসরে জুরি বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পেলেন ক্যারিয়ারে অস্কারসহ একাধিক পুরস্কারজয়ী বিখ্যাত ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশ। 

এই দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কান চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয় নারী জুরি সভাপতি হিসেবে ইতিহাস গড়লেন জুলিয়েট বিনোশ। এটিকে এই ফরাসির জন্য অনেকটা বৃত্তপূরণের মতো ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কেননা আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে ১৯৮৫ সালে আন্দ্রে টেশিনের রেন্ডেজ-ভাউস প্রিমিয়ারের মধ্য দিয়ে কানে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। এ জন্য ২০১০ সালে কানে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতা এই ফরাসি প্রায়ই বলে থাকেন, আমি কান ফেস্টিভ্যালে জন্মগ্রহণ করেছি।


জুলিয়েট বিনোশ তার ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে
এমিলি ব্রোন্টেজ উদারিং হাইটস, চকলেট, দ্য ইংলিশ পেশেন্ট, ড্যান ইন রিয়েল লাইফ এবং সার্টিফায়েড কপির মতো সিনেমায় অভিনয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন। কানে জুরিপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


এক বিবৃতিতে এই ফরাসি অভিনেত্রী বলেন,
১৯৮৫ সালে প্রথমবারের মতো যখন আমি এই ফেস্টিভ্যালে আসি, তখন ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তায় ভুগছিলাম। কখনো কল্পনাই করতে পারিনি, ৪০ বছর পর জুরি সভাপতির মতো সম্মানসূচক ভূমিকায় আসতে পারব। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব, বিশেষাধিকার এবং এভাবে সম্মান জানানোয় কান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।


গত বছরের আসরটিতে জুরি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন
বার্বি সিনেমার পরিচালক গ্রেটা গারউইগ। জুলিয়েট তার কাজেরও প্রশংসা করেন। সবশেষ ২০২৪ সালে উবার্তো পাসোলিনির মুক্তিপ্রাপ্ত দ্য রিটার্ন সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গেছে এই ফরাসি অভিনেত্রীকে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্ধোধন

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

এম.পলাশ শরীফ,নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের  মোরেলগঞ্জ উপজেলার নব্বইরশি বাস ষ্ট্যান্ডে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।  বুধবার বিকেলে এ উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়য়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মু: আ: আউয়াল হাওলাদার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো: মিছবাহ উদ্দিন, বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ মমিনুর ও বাগেরহাট ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো: আশেকুজ্জামান, মোরেলগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ বদরুদ্দোজা।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন যৌথভাবে তৃণমূল পর্যায়ে ইসলামি জ্ঞানের চর্চা ও গবেষণা কার্যক্রমের প্রসারে ২০২৩-২০২৫ সালে প্রায় ১৬ কোটি টাকা অর্থ ব্যায়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদর নব্বইরশি বাস ষ্ট্যান্ডে নান্দনিক এ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।  

  সরকারিভাবে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩য় তলা বিশিষ্ট এই ভবনটি নির্মিত হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সময় সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর

রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




অস্থির চালের বাজার

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

শুল্কছাড়ের চাল আমদানি, আমনের ভরা মৌসুম বাজারে চালের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। তাতেও দেশের মানুষের খাদ্যের প্রধান উপকরণ চালের দামের অস্থিরতা কমেনি। উল্টো ব্যবসায়ী ও মিলার সিন্ডিকেটের কারসাজিতে চালের বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে সরু চাল সর্বোচ্চ ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে মৌসুমেও চাল কিনতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন ভোক্তা।

বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে সরু চালের কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। সরু চাল ছাড়াও মধ্যবিত্তের একমাত্র ভরসার মোটা জাতের চালের দামেও লেগেছে বাড়তি দামের হাওয়া। ব্যবসায়ীদের দাবি, যদিও বিগত বছরগুলোতে এ সময়ে চালের দাম কম ছিল। কিন্তু বাজারে চালের সংকট না থাকলেও মিলপর্যায়ে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা দাম বাড়িয়েছে মিলমালিকরা। ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এর প্রভাবে চালের বাজারে দামের অস্থিরতা বেড়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, চালের দামের ব্যবধান গড়েছে অন্তত ৮ থেকে ১০ টাকা। ১০ থেকে ১৫ দিন আগে প্রতি কেজি সরু চালের দাম ছিল ৭৫ টাকা, যা বর্তমানে ৮২ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরু চালের পর সব থেকে বেশি দামের পরিবর্তন হয়েছে নাজিরশাইল চালের। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ছিল ৭০ থেকে ৭৮ টাকা। তবে গতকাল তা ৭৬ থেকে ৮৬ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ প্রতি কেজি নাজিরশাইলের দাম বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা।

চালের পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, কয়েকটি মাফিয়া কোম্পানির কবজায় দেশের চালের বাজার। গেল তিন মাসের কয়েক দফায় এসব গ্রুপের কারসাজিতে প্রতি বস্তা সরু জাতের চালের দাম বেছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের চালের পাইকারি ব্যবসায়ী ও নোয়াখালী রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী শাওন আহমেদ বলেন, বর্তমানে বাজারে চালের কোনো সংকট নেই। একদিকে আমদানি করা চালের সরবরাহ বেড়েছে। অন্যদিকে কোম্পানিগুলোর মজুদ রয়েছে পর্যাপ্ত। তবুও কেন চালের দাম বাড়ছে এর কোনো উত্তর নেই।

এদিকে আগে থেকেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মধ্যবিত্তের চাহিদার শীর্ষে থাকা মোটা জাতের চাল। ভরা মৌসুমে ব্রি-২৮, স্বর্ণা, ও পাইজাম জাতের চালের দাম কমার কথা থাকলেও এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, গুটি স্বর্ণা চাল কিনতে ক্রেতাদের খরচ করতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা। এ ছাড়া বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি পুরনো আটাশ ৬৫, পাইজাম ৬০, কাটারিভোগ ৮৫, বাসমতী ৯৪ থেকে ৯৮, পোলাওর চাল ১২০ থেকে ১২৫ ও আমন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত বছর নভেম্বরে চাল আমদানির ওপর ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর রেখে বাকি আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে এনবিআর। তবুও আমদানি করা চালের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। আমদানি করা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার ওপর।

শান্তিনগর বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা মাহবুব হোসেন জানান, বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮২-৮৫ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগেও ৭৫ টাকা ছিল। নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০-৮৬ টাকা, যা আগে খুচরা পর্যায়ে ৭০-৭৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া মোটা চালের মধ্যে প্রতি কেজি স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা, যা আগে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি মাঝারি আকারের চালের মধ্যে বিআর ২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগেও ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের সরকারি সংস্থাগুলো যে স্তরে অভিযান পরিচালনা করার কথা সে স্তরে তারা অভিযান পরিচালনা করছেন না। দায়সারাভাবে নামমাত্র খুচরা বাজারগুলোতে অভিযান চালায় সংস্থাগুলো। ফলে কারসাজি করা ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা লুটে ফুলেফেঁপে উঠছে। অন্যদিকে বরাবরই দেশের কৃষক ও ভোক্তা ঠকে আসছেন। দ্রুতই এ সংস্কৃতির প্রতিকার করা জরুরি।

এ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজার গড়ার দায়িত্ব মূলত প্রতিযোগিতা কমিশনের। কিন্তু তাদের কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে তারা নিজেরাই বাজার থেকে হারিয়ে গেছে। সরকারের বাজার মনিটরিং সংস্থাগুলোর তদারকি নিয়ে সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, বাজারে একাধিক সংস্থা তদারকি করে। কিন্তু ভোক্তা এ থেকে কোনো সুফল পাচ্ছে না। পণ্যের দাম বাড়লেই কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু যে স্তরে কারসাজি হয়েছে, সেই স্তরে মনিটরিং হয় না। ফলে অসাধুরা এ সুযোগে ভোক্তাকে বেশি করে নাজেহাল করে তোলে। 


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




ওলামা লীগের সদস্য সচিব এখন ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কৌশলে কমিটিভুক্ত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রভাব বিস্তার ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। তাছাড়া বিভিন্ন প্রোগ্রামে সুশীল সমাজের ব্যক্তি হিসেবে অংশগ্রহণ করে অস্তিত্ব বহাল রাখছেন।তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৬মার্চ) ২৫ সদস্য বিশিষ্ট ঝালকাঠি জেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কাজী মাওলানা মোহা. আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এ কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কানাঘুষা শুরু হয়। কমিটিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী ওলামা লীগের ঝালকাঠি জেলা কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা নেয়ামত উল্লাহকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা ছাইদুর রহমান বলেন, জেলা ওলামা দলের কমিটি করার পূর্বে বিভিন্নভাবে উপজেলা পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছি।

তাদের দেয়া মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে নামের চূড়ান্ত তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। তারা সেই কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। নেয়ামতের নাম কমিটির মধ্যে কিভাবে রইলো বা ঢুকলো সেটা বুঝতে পারছি না। তাকে এ কমিটি থেকে বাদ দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। অপরদিকে গত ১ মার্চ ক্যাবের সুলভ মূল্যের বাজার “প্রশান্তি” পরিচালনায় বেশ কয়েজন আওয়ামী লীগ নেতাকে সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করার অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে যুবদলের এক নেতা প্রতিবাদ করলে সেখানে হুলুস্থুল কাণ্ড বাধে। পরে ফ্যাসিবাদের দোসররা সেখান থেকে কৌশলে কেটে পড়ে। এছাড়া গত বুধবার ঝালকাঠি এলজিইডির হিসাব রক্ষকের দুর্নীতি-অনিয়মের বিচার দাবিতে করা মানববন্ধনে অন্যান্য ঠিকাদারদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী আ. হাকিমও অংশ নেন। তিনি ব্যানারে ছাত্রদলের শীর্ষ পদের এক নেতার পাশে দাঁড়িয়ে অবস্থান জানান দেন। আ. হাকিম নাচন মহল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সুনির্দিষ্ট পদধারী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নলছিটি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের ভাগিনা। ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পরে অনেকেই বিভিন্ন ছদ্মবেশে অবস্থান নিয়েছে। সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন কমিটিতে ঢুকছে। বিএনপি কারো যথেচ্ছ দল না, যার মনে চাইবে আসবে আবার যার মনে চাইবে যাবে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নীতি-নির্ধারকদের আরো কঠোর হয়ে ভূমিকা নেয়ার অনুরোধ জানান তারা। জেলা বিএনপির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন জানান, বিএনপিতে কোন অনুপ্রবেশকারীর স্থান হবে না। সঠিক তথ্যের অভিযোগ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



গণতান্ত্রিক শক্তিকে সজাগ থাকতে হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বললেন, গণতন্ত্রকে যাতে আর কেউ কঠিন শৃঙ্খলে বন্দি করতে না পারে সে জন্য স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শক্তিকে সার্বক্ষণিক সজাগ থাকতে হবে। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনের অবিস্মরণীয় একটি অধ্যায় উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি এই দিনে সব শহীদকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। একুশে ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা।

এই দিনেই সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেকেই জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাদের এই মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রথম সোপান। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। বায়ান্ন সালের ২১ ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত পথ ধরেই এ দেশের সব গণতান্ত্রিক এবং স্বাধিকারের সংগ্রাম তীব্র হয়ে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা। তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে নানাভাবে আধিপত্যবাদী শক্তি আমাদের ভাষা, সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালানোর ষড়যন্ত্র করে আসছে মহলবিশেষের তাবেদারির জন্য, যাতে আমরা বিশ্বসমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারি। কিন্তু এ দেশের মানুষ সব সময় স্বৈরাচার এবং দেশি-বিদেশি কুচক্রীদের অদম্য সাহসে প্রতিহত করে এসেছে। এ দেশের মানুষকে যাতে আটকে রাখতে না পারে এ জন্য ন্যায়বিচার, মানবিক সাম্য তথা প্রকৃত গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও চিরস্থায়ী করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্রকে যাতে আর কেউ কঠিন শৃঙ্খলে বন্দি করতে না পারে সে জন্য স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শক্তিকে সার্বক্ষণিক সজাগ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে একুশের অম্লান চেতনা আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের শিকড় অনুসন্ধান তথা আত্ম অন্বেষায় ভাষাচেতনার স্ফূরণ ঘটে। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয়তাবাদ ও ঐক্যের অনুভূতি জাগ্রত করে। আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় গোটা বিশ্বে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আমি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন আয়োজিত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।’

বাণীতে বায়ান্নর ভাষাশহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান তারেক রহমান। ভাষাসৈনিকদের শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানান এবং তাদের পরিবারের সুখ, শান্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।


আরও খবর