Logo
শিরোনাম

নতুন গিলাফে আবৃত কাবা শরিফ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

পবিত্র কাবা শরিফের কিসওয়া বা গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে। মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববি পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) এশার নামাজের পর নতুন গিলাফে আবৃত করা হয়েছে কাবা শরিফকে। খবর সৌদি প্রেস এজেন্সির।

আগে হজের সময় অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে হাজিদের সমবেত হওয়ার দিন কাবার গিলাফ পরিবর্তন করা হতো। কিন্তু গত বছর হজের সময় ঐতিহ্য অনুযায়ী ৯ জিলহজ তারিখে গিলাফ পরিবর্তন করা হয়নি। এবারও সেই ধারা অক্ষুণ্ন রাখা হলো।

সৌদি আরবের সরকার হিজরি সনকে গুরুত্ব দিয়ে গিলাফ পরিবর্তনের কথা বলেছে। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশটিতে মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। নতুন বছরের চাঁদ দেখা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করা হলো পবিত্র কাবা ঘরের গিলাফ।

এটি একটি ঐতিহাসিক পরম্পরা। এই কাজটি আগে হজের দিন করার রীতি থাকলেও গত বছর থেকে ১ মহররম হিজরি নববর্ষের প্রথম প্রহরে করা হচ্ছে।

আরবি নান্দনিক ক্যালিগ্রাফিতে খচিত কালো গিলাফে ঢাকা পবিত্র এ কাবা। কাবার এ কালো গিলাফকে কিসওয়া বলা হয়। যা কাবা শরিফকে অপার্থিব গভীর ভালবাসায় জড়িয়ে রেখেছে। যা প্রতিবছর পবিত্র হজের পর মহররম মাসে পরিবর্তন করা হয়।

বিশেষভাবে তৈরি এই গিলাফে প্রতি মিটারে দশ ধাপে লাগানো হয় ৯৯০০ সুতা। সৌদি আরবের উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. নাসের বিন আলি আল-হারেসির তথ্য থেকে জানা যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়ে পবিত্র কাবা শরিফে গিলাফ ব্যবহৃত হতো না।

কাবা শরিফের গিলাফের বাইরের কালো কাপড়ে স্বর্ণমণ্ডিত রেশম সুতা দিয়ে দক্ষ কারিগর দিয়ে ক্যালিগ্রাফি করা হয়। এরপর ঝারনিখ কালি দিয়ে প্রথমে কাপড়ে ক্যালিগ্রাফির আউটলাইন দেয়া হয়, তারপর কারিগররা হরফের ভেতর রেশম সুতার মোটা লাইন বসিয়ে স্বর্ণের সুতা দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে হরফ ফুটিয়ে তোলেন।

কাবা শরিফের গিলাফ নির্মাণে যেসব জিনিসপত্র প্রয়োজন সেগুলো তৈরির বিশেষ কারখানা মক্কার উম্মুল জুদ এলাকায় অবস্থিত। নতুন গিলাফ তৈরি করতে দরকার হয় ১২০ কেজি সোনার সুতা, ৭০০ কেজি রেশম সুতা ও ২৫ কেজি রুপার সুতা। গিলাফটির দৈর্ঘ্য ১৪ মিটার এবং প্রস্থ ৪৪ মিটার।


আরও খবর



কাকরাইলে সাদপন্থিদের বড় জমায়েত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

তাবলিগ জামায়াতের একাংশ দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন। আগামী ৭ ডিসেম্বর তারা সমাবেশ করবেন। শুক্রবার জুমার নামাজের আগে তারা এ ঘোষণা দেন।

এর আগে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকেই কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে অবস্থান নেন সাদপন্থিরা। এ কারণে ভোর থেকে ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

সাদপন্থিদের ব্যাপক সমাগমে কাকরাইল মসজিদের আশপাশের রাস্তায় যানচলাচল সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে রমনা ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার পথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, কাকরাইল মসজিদে নির্ধারিত অবস্থানের সময় শেষ হওয়ায় সুরাপন্থিরা সকালে মসজিদ থেকে সরে যান।

এ বিষয়ে রমনা জোনের ডিসি গণমাধ্যমকে জানান, জুবায়েরপন্থিরা চার সপ্তাহ অবস্থান করেছিলেন। আজ তারা অবস্থান ছেড়ে দিয়েছেন। এখন দুই সপ্তাহ অবস্থান করবেন সাদপন্থিরা।

তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন কোনো অবনতি না ঘটে, সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আজ শান্তিপূর্ণভাবে বের হয়ে যান জুবায়েরপন্থিরা, তারপর সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশ করেন সাদপন্থিরা।

জুমার নামাজের আগমুহূর্তে রাস্তা থেকে সারে যান অবস্থানকারীরা। এর আগে তারা ৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের নভেম্বরে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্যে রূপ নেয়। এরপর ৭ বছর ধরে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদের এক অংশে জুবায়েরপন্থিরা ৪ সপ্তাহ ও সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।


আরও খবর



নভেম্বরে ডেঙ্গু কেড়ে নিলো ১৭৩ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

কোনোভাবেই কমছে না দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ। মৃত্যুর পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি মাসে (নভেম্বর) ডেঙ্গুতে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চলতি বছরে এক মাসে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া নভেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯ হাজার ৬৫২ জন।

চলতি বছরের মাসিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১৪ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে এক হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ৩৩৯ জন, মার্চে পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৩১১ জন হাসপাতালে, এপ্রিলে দুই জনের মৃত্যু এবং ৫০৪ জন হাসপাতালে, মে মাসে ১২ জনের মৃত্যু এবং ৬৪৪ জন হাসপাতালে, জুনে আটজনের মৃত্যু এবং ৭৯৮ জন হাসপাতালে, জুলাইতে ১২ জনের মৃত্যু এবং দুই হাজার ৬৬৯ জন হাসপাতালে, আগস্টে ২৭ জনের মৃত্যু এবং ছয় হাজার ৫২১ জন হাসপাতালে, সেপ্টেম্বরে ৮০ জনের মৃত্যু এবং ১৮ হাজার ৯৭ জন হাসপাতালে, অক্টোবরে ১৩৪ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯১ হাজার ৪৬৯ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮৭৯ জন। মারা গেছেন ৪৮৮ জন। নিহতদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০৮ জন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৮৯ জন মারা গেছেন। বাকিরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় মারা গেছেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর

ঢাকায় জিকা ভাইরাস শনাক্ত

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪




বাড়ছে শীতের প্রকোপ, দিনাজপুরের তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রিতে

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে শীতের প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। কার্তিক মাসের শুরুতে এই অঞ্চলে শীতের আমেজ অনুভূত হতে শুরু করে। মাঝরাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চারপাশ কুয়াশার পর্দায় মোড়ানো থাকে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

মহাসড়কে ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে বিভিন্ন যানবাহনকে। কাজের তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া অনেকেই গায়ে জড়িয়েছেন হালকা শীতের পোশাক। সন্ধ্যার পর থেকেই মৃদু হিমেল বাতাস আর হিম কণা আভাস জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। তবে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়লেও শীতের তীব্রতা সেভাবে নেই।

দিনাজপুর শহরের রামনগর এলাকার ইজিবাইকচালক সাগর ইসলাম বলেন, কয়েকদিন থেকেই হালকা হালকা শীত অনুভব হচ্ছে। গত কয়েকদিন থেকে আজ সকালে কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে গেছে। বেশিদূর দেখা যাচ্ছে না। যদিও বা ঠান্ডা নেই সেভাবে। শীত এলে ঠান্ডা আর কুয়াশায় আমাদের গাড়ি চালানো একটু কষ্টকর হয়ে যায়।

পিকআপের চালক রবিউল ইসলাম বলেন, পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুর যাচ্ছি। পিকআপের মাল নিয়ে সকাল ৮টায় বের হয়েছি প্রায় এক ঘণ্টায় দিনাজপুর শহরে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা হয়ে গেলেও এখনো পৌঁছাতে পারিনি। রাস্তা দেখা যাচ্ছে না তাই ধীর গতিতে গাড়ি চলাচল করতে হচ্ছে।

কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, শীত আর ঘুন কুয়াশা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি। বেশি কুয়াশা হলে আলুর গাছের ক্ষতি হতে পারে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শনিবার সকাল ৯ টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল উত্তর দিক থেকে ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছিতে ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আভাস

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

আবহাওয়ার চক্র অনুযায়ী এখনো শীতপূর্ব মৌসুম চলছে। কিন্তু এর মধ্যেই দেশের অনেক অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। এমন অবস্থায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। দেশের উত্তরাঞ্চলে এই শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে সরকারি সংস্থাটি।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সারাদেশে শীতের অনুভুতি কিছুটা বাড়তে পারে। এ সময় দেশের কোনো কোনো অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমানের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। রাতের শেষ থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আর দেশের অন্যত্র সামান্য হ্রাস পেতে পারে দিনের তাপমাত্রা। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। রাতের শেষ থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।



আরও খবর



এখন দরকার নানারকম শীতের পোশাক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শীতের পোশাক অবশ্যই ফ্যাশনেবল এবং আরামদায়ক হতে হবে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ ও শপিংমলে পাওয়া যাচ্ছে নানা ডিজাইনের শীতের পোশাক

শীতের পোশাক সুতি কাপড়ের, ফ্লানেল কাপড়ের হলে শিশুরা পরে খুব আরাম পায়। তাই তাদের শীতের পোশাকের নিচে বিশেষ করে উলের পোশাকের নিচে পাতলা সুতি কাপড়ের পোশাক পরিয়ে দেওয়া উচিত। তবে হালকা শীতে শিশুকে খুব মোটা কিংবা খুব বেশি গরম কাপড় পরানো উচিত নয়। বেশি গরম কাপড় পরালে গরমে ঘেমে ঠাণ্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে

শপিংমলে পাবেন নানা রং, নকশা আর মোটিফের শীতের পোশাক। মেয়েশিশুর শীতের পোশাকে রয়েছে দারুণ সব ডিজাইনের ছোঁয়া। ফুল, লতাপাতা, কার্টুন চরিত্র, নানা উপকরণ ব্যবহার করে শিশুদের শীতের পোশাকগুলো করা হয়েছে আকর্ষণীয়। তবে এসব পোশাকের বোতাম এবং আলাদাভাবে বসানো উপকরণে শিশুদের নরম ত্বকে ব্যথা পাচ্ছে কি না সেদিকটিও খেয়াল রাখতে হবে। শিশুরা রঙিন পোশাক পছন্দ করে। শিশুদের জন্য পাবেন ডেনিমের বর্ণিল রঙের প্যান্ট ও হুডি।  হুডি ছাড়া রেকসিন, চামড়ার লং জ্যাকেটও আছে। তবে স্কুলে যাওয়ার জন্য শিশুর শীতের পোশাক কিনলে তা খুব বেশি কালারফুল হওয়া উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে কালো, নীল, সাদা রংগুলো বেছে নিতে পারেন। কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য রঙিন আর নকশা করা শীতের পোশাক কিনতে পারেন।

রকম-সকম

বিভিন্ন মার্কেটে এবার শীতের পোশাকে জিন্সের ফ্রক, স্কার্ট, উলের সেট, বেবিকিপার, রেকসিনের জ্যাকেট, ওভারকোট, কার্ডিগান, উল ও ক্যাশমেয়ার বেশি চোখে পড়ছে। এ ছাড়া শিশুদের বৈচিত্র্যময় মাফলার, নতুন ডিজাইনের কানটুপি এসেছে । ছোট ছোট মাফলারে নানারকম ঝুল বেশ আকর্ষণীয় করে তুলেছে পোশাকগুলোকে। সুতির স্কার্ফও আরামদায়ক ও আকর্ষণীয় শিশুর জন্য। এ ছাড়া আছে ডোরেমন, স্পাইডারম্যান, ব্যাটম্যান, হ্যারি পটার, আয়রনম্যান, পোকেমন কার্টুনের ডিজাইন করা আকর্ষণীয় শীত পোশাক।

আছে হুডি

আজকাল বাজারে শিশুদের জন্যও হুডিযুক্ত পোশাক পাওয়া যায়। তাই শিশুদেরও এমন পোশাক কিনে দিতে পারেন। বিশেষ করে যে শিশুরা আলাদা টুপি ব্যবহার করতে চায় না তাদের জন্য এমন পোশাকই সেরা

সাহেবি পোশাক

 বাজারে বিক্রি হচ্ছে স্যুট-কোট । এসবের সঙ্গে টাইও কিনতে পাবেন। মেয়ে শিশুদের জন্য পাবেন ব্লেজার

শার্ট ও জ্যাকেট

 শীতের বাজারে বিভিন্ন বয়সের জন্য রয়েছে শার্ট ও জ্যাকেট। ফুলহাতা শার্ট, সোয়েট শার্ট কিংবা পোলো শার্ট যেমন পাবেন আবার পাবেন জিনসের তৈরি জ্যাকেট।

সোয়েটার

এ সময় বিভিন্ন ধরনের সোয়েটার পাবেন। বিভিন্ন রঙের যেমন- লাল, বেগুনি, কমলা, গোলাপি সোয়েটার পাবেন ওদের জন্য

লেগিংস ও ট্রাউজার : শীতে লেগিংসও ট্রাউজার কিনে দিতে পারেন। বাজারে ফুল দিয়ে ডিজাইন করা রঙিন লেগিংস পাওয়া যাচ্ছে

টুপি এবং মোজা : বাজারে এখন রংবেরঙের টুপি আর মোজা পাওয়া যাচ্ছে। চাইলে এ সময়ে বাজার থেকে পা-ঢাকা জুতাও কিনে দিতে পারেন

কোথায় পাবেন

শীতের পোশাক কিনতে পারেন বসুন্ধরা সিটিমল, যমুনা ফিউচার পার্ক, রাপা প্লাজা, সানরাইজ প্লাজা, আড়ং, ইস্টার্ন প্লাজা, পলওয়েল মার্কেট, গুলশান পিংক সিটি, কর্ণফুলী গার্ডেনসহ বিভিন্ন শপিংমলে। তবে একটু কম দামে ভালো মানের শীতের পোশাক কিনতে চাইলে যেতে

পাবেন আজিজ সুপার মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, ঢাকা কলেজের বিপরীতে, নিউমার্কেট, গাউছিয়াসহ বিভিন্ন মার্কেটে। গুলশান-১, নিকেতনের ‌বেবি ব্লু অর পিংক বার্ড দোকানটিতে পাবেন শিশুদের মোজা আর পা ঢাকা জুতার খোঁজ।

দরদাম :  সোয়েটার পাওয়া যাবে ২০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে, রেকসিনের জ্যাকেট পাওয়া যাবে ৮০০ -২০০০ টাকার মধ্যে, চামড়ার জ্যাকেট ১৫০০-৪০০০ টাকা, জিন্সের জ্যাকেট পাওয়া যাবে ৪০০ - ১৫০০ টাকার মধ্যে, কানটুপি ১০০-৪০০ টাকা, মাফলার ৬০-২০০ টাকা, হুডি জ্যাকেট ২০০-১৫০০ টাকা, হাত ও পা মাজার সটের দাম পড়বে ১৫০ -৩০০ টাকার মধ্যে, ডেনিমের প্যান্ট ৩০০ -১০০০ টাকার মধ্যে


আরও খবর

শীতে বিয়ের কনের স্কিন কেয়ার রুটিন

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪

নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখার উপায়

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪