Logo
শিরোনাম

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা :

সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা RSTP ২০২৫-এর কাজ চলছে। মেট্রোর ৬টি লাইন নিয়ে নতুন প্রস্তাব থাকছে RSTP- তে। নতুন এলাকা যুক্ত করতে সব মেট্রো লাইনের এক্সটেনশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এতে নতুন মেট্রো লাইন না করারও প্রস্তাব আসতে পারে।

.

জানতে চাইলে সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা RSTP প্রকল্প পরিচালক রবিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেট্রোরেলের সবগুলো লাইনেরই অলটারনেটিভ চিন্তা করছি। MRT লাইন-৫ এর নর্থ ও সাউথ যেগুলো হচ্ছে, সেগুলোর এক্সটেনশন (সম্প্রসারণ) হতে পারে। যেগুলো এখনো হয় নাই, সেগুলোর মডিফিকেশন (পরিবর্ধন) হবে। মেট্রোতে নতুন এলাকা যুক্ত করার জন্য রুট বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। MRT লাইন-২ এবং লাইন-৪ এখনো হয়নি। সেগুলো নতুন এবং ভালো কোনো অ্যালাইনমেন্টে করা যায় কি না, যাতে বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে। এসব পরিকল্পনা সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (RSTP) থাকবে।’

.

বর্তমানে RSTP- র চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। এই প্রতিবেদন-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে,MRT লাইন- ৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল কাজ অনেক আগেই শেষ। বর্তমানে ট্রেন চলছে। এটি কমলাপুর পর্যন্ত বাড়ানোর কাজ চলমান আছে। তবে নতুন করে উত্তরা থেকে টঙ্গী এবং টঙ্গীর পরে গাজীপুর পর্যন্ত লাইন-৬-এর রুট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হতে পারে RSTP- তে।

.

MRT লাইন-৫ নর্দান রুট হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত। ২০২৩ সালে ৪ নভেম্বর এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এদিকে RSTP তে এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুট হেমায়েতপুর থেকে এক্সটেনশন করে নবীনগর বা বাইপাইল পর্যন্ত এবং ভাটারা থেকে জলসিঁড়ি বা ভুলতা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব থাকতে পারে।

.

MRT লাইন-৫ সাউদার্ন রুট গাবতলী-আফতাবনগর পশ্চিম পর্যন্ত ১৩.১০ কি.মি. পাতাল এবং আফতাব- নগর সেন্টার থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত ৪.১০ কি. মি. উড়াল মোট ১৭.২০ কি.মি. দীর্ঘ এবং ১৫টি স্টেশন (পাতাল ১১টি এবং উড়াল ৪টি) বিশিষ্ট মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং নকশা সম্পন্ন হয়েছে। বিনিয়োগ প্রকল্পের DPP (খসড়া) অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন। বর্তমানে প্রকল্পের ক্রয় নথি প্রস্তুতির কাজ চলছে। এদিকে RSTP তে MRT লাইন-৫ সাউদান রুটের কোনো পরিবর্তন নাও হতে পারে। তবে এটার ফেজিং এবং প্রায়োরিটি কী হবে, সেটা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়।

.

গাবতলী থেকে- মোহাম্মদপুর-নিউমার্কেট-গুলিস্তান-কমলাপুর-সাইন -বোর্ড হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সদর পর্যন্ত সম্ভাব্য মেইন লাইন এবং গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ব্রাঞ্চ লাইন সমন্বয়ে উড়াল ও পাতাল মিলিয়ে প্রায় ৩৫ কি.মি. দীর্ঘ MRT লাইন-২ নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করতে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা খোঁজা হচ্ছে। এদিকে RSTP তে MRT লাইন-২-এর অলটারনেটিভ (বিকল্প) অ্যালাইনমেন্ট করা হয়েছে। তাতে এই লাইনটি পুরান ঢাকার দিকে যাবে অর্থাৎ বংশাল, লালবাগ ও বাবুবাজার ব্রিজ এলাকা দিয়ে যেন যায়, সেই প্রস্তাব রাখা হতে পারে RSTP তে।

MRT লাইন-১ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯.৮৭২ কি. মি. পাতাল লাইন এবং নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৬৯ কি. মি. উড়াল লাইন। এই লাইনের নির্মাণকাজ ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে। RSTP তে MRT লাইন-১-এর রুট বাড়িয়ে গাজীপুর পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হতে পারে। তবে গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত BRT করিডোর যদি কোনো কারণে না হয় বা বাদ যায়, তাহলে MRT লাইন-১ বা লাইন-৬ দুটোরই গাজীপুর পর্যন্ত এক্সটেনশনের সুযোগ আছে।


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




দায়িত্ব পালন অসম্ভব হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

উপদেষ্টা পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।  উপদেষ্টা পরিষদের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড ও অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

এতে বলা হয়, ‘শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার ওপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।’

শনিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে এই অনির্ধারিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পেতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে কোনোভাবে এপ্রিল ফুলের শিকার হওয়ার জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

তারা বলেছেন, এ বছরের ডিসেম্বরে কেবল একটি দল নয়, দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথাটি এপ্রিল ফুল হতে পারে। সে সময় শিক্ষার্থীদের সাধারণ পরীক্ষা থাকে, আবহাওয়া নির্বাচনের পরিবেশের অনুকূল থাকে না। সুতরাং রাজনৈতিক ও গণদাবি মেনে ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোট নেতারা এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে জোটের নেতারা বলেন, এপ্রিলে নির্বাচন মানে রমজানের কিছুদিন পর। সুতরাং রমজানে নির্বাচনের কাজ করার সুযোগ নেই। আবহাওয়ার অবস্থাও থাকবে অনিশ্চিত। একদিকে কালবৈশাখী, একদিকে চৈত্রের খরা। পাশাপাশি সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কাকে খুশি করার জন্য অধ্যাপক ইউনূস ডিসেম্বর থেকে সরিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন করতে চাইছেন।

এর আগে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিক্কেই ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। তিনি এও বলেছেন, যারা এ সিদ্ধাদের বিরোধিতা করবে, তাদের প্রতিহত করা হবে।

১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, এ বক্তব্য স্পষ্টত সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি দিতে পারেন না। ড. ইউনূস প্রধান হিসেবে নিজের যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছেন। দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনার প্রথম দাবিদার দেশের মানুষ। দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, কাদের দিয়ে ব্যবস্থাপনা করা হবে। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রশ্ন উঠল, আদৌ প্রফেসর ইউনুস বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা।

নেতারা বলেন, ঈদের পর তার বক্তব্যের বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন কিনা, সে বিষয়টিও দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন, আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব। দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও নানাভাবে বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা চাই দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের চাওয়া তিনি পূরণ করবেন।

এদিন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপির) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন।


আরও খবর



নওগাঁয় ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি নিজের জমি সুরক্ষিত করি'' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও নওগাঁয় ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গনে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জেলার প্রতিটি ভূমি অফিসে আগামী ৩ দিন ব্যাপী বিশেষ ভূমিসেবা প্রদান, বিনামূল্যে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ ও ডিজিটাল সেবা সম্পর্কে সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হবে। এমন আয়োজন স্বচ্ছতার সঙ্গে ভূমি সেবা প্রতিটি মানুষের দ্বারে পৌছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ভূমি সেবা প্রাপ্তি সম্পর্কে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে সচেতনতার ব্যাপক অভাব রয়েছে। আগে সেবা প্রাপ্তির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে তবেই যে কোন সরকারি অফিসে গিয়ে হয়রানী ছাড়াই সহজেই সেবা পাওয়া সম্ভব হবে। আর ভূমি সেবা নিতে আসা অধিকাংশ মানুষরাই জানেন না ডিজিটাল ভূমি সেবা সম্পর্কে। আর এই সব মানুষরা যখন ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমি সংক্রান্ত সেবা নিতে আসেন তখন অনেক ভূমি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই সব সেবা গ্রহিতাদের একটি বিষয় একাধিকবার বলতে নারাজ। তিনি আরও বলেন, অনেক মানুষই ভয়ে তৃতীয় পক্ষের দালালদের কাছে গিয়ে হয়রানীর শিকার হোন এবং অর্থ খোয়া দেন। আগে তথ্য জানতে এবং অপরকে জানাতে হবে। আর এই জন্য প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের ভূমি সেবা সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সেবা নিতে আসার প্রতি মানুষদের সাথে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে একটি বিষয় একাধিকবার ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিয়ে ভূমি সেবার তথ্যগুলো সম্পর্কে সচেতন করার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি। নওগাঁ জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ সোহেল রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইবনুল আবেদীন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার সালমান হাবিব, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গনমাধ্যমকর্মী, সেবা গ্রহিতা, সুধীজনরা।

শেষে জেলা প্রশাসক সেবা গ্রহিতাদের মাঝে ভূমির খাজনা আদায়ের রশিদ, খারিজের রশিদ, নামজারির রশিদ এবং ভূমি অধিগ্রহণের অর্থের চেক প্রদান করেন। 


আরও খবর



নিরাপত্তা নিশ্চিতে দূরপাল্লার বাসে সিসি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দূরপাল্লার বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। বাসে ডাকাতি, ছিনতাই ও নারী যাত্রীদের হয়রানি ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

কেন্দ্রীয় মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলমের সই করা চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। জেলা ও কোম্পানি পর্যায়ের পরিবহন মালিকদের শাখা কমিটিগুলোকে এ নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দূরপাল্লার বাসে যাত্রীদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই এবং বিশেষ করে নারী যাত্রীদের লাঞ্ছনার ঘটনা বেড়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যাও উদ্বেগজনক। এসব অপরাধ রোধে বাসে সিসি ক্যামেরা ও গতি নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (স্পিড গভর্নর) স্থাপন অত্যন্ত জরুরি।

গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মালিক সমিতিকে চিঠি দিয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকেও বিষয়টি বাস্তবায়নে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, আগামী ১ জুনের মধ্যে প্রত্যেক দূরপাল্লার বাসে এসব ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে। কেউ নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্ট বাস মালিকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিসি ক্যামেরা ও স্পিড গভর্নর ছাড়া কোনো বাসকে সিরিয়াল না দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




মানবিক করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

রাখাইনে মানবিক সহযোগিতায় জাতিসংঘের করিডর প্রস্তাবনা নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি এবং হবেও না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, রাখাইনের ৯০ শতাংশ ভূখণ্ড আরাকান আর্মির দখলে থাকায় জান্তা সরকারের সমান্তরালে তাদের সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে। আরাকান আর্মিও প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

খলিলুর রহমান বলেন, আমরা আরাকান আর্মিকে সরাসরি বলে দিয়েছি কোনো রকম এথনিক ক্লিনজিং আমরা মেনে নেব না। আরাকানের অবস্থা যত দিন অস্থিতিশীল থাকবে, ততদিন পর্যন্ত প্রত্যাবাসনের (রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন) আলোচনা সম্ভব হবে না।

মিয়ানমারের আরাকান সীমান্তে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, দ্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, মানবিক করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি এবং কথা হবেও না। মানবিক চ্যানেল আমরা দেব কী দেব না, এটা আমাদের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত। মানবিক চ্যানেল নিয়ে আমেরিকা বা চীন কারও থেকেই বাংলাদেশের ওপর কোনো চাপ নাই। মানবিক চ্যানেল তৈরি হলে তার পুরো দায়বদ্ধতা থাকবে জাতিসংঘের ওপর। বাংলাদেশ শুধু বর্ডারে নিরাপত্তা দেবে।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দ্বৈত নাগকরিত্বের অভিযোগের বিষয়ে খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ছাড়া আমার আর অন্য কোনো নাগরিকত্ব নাই। আমি পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থেকেছি। তবে আমার সেখানকার পাসপোর্ট নাই।

তিনি বলেন, বিদেশে থাকলেই যদি নাগরিকত্ব হয়ে যায়, তাহলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়েও সে কথা বলা যায়। তাই এ ধরনের কথা না বলাই ভালো।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫