Logo
শিরোনাম

অবাধ সুস্ঠু নির্বাচনের রুপ‌রেখা‌ দি‌বে জাতীয়পার্টি - জিএম কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক,কুমিল্লা :

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করছিনা । মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি হতে পারি,পা‌কিস্থানীরা ও বৃটিশের যা করেছিলো তাই করছি।

 জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, জাতীয়পার্টি মনে করে অবাধ সুস্ঠু নির্বাচন বর্তমান সংবিধান অনুয়ায়ী হবে । তার বিস্তারিত বিবরণ জাতীয়পার্টি দিবে যদি সরকার চায়। 

সরকারের সমালোচনা করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন- সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে,  শ্রীলংকা যে কাজ করেছে বাংলাদেশও তাই করে‌ছে।  বড় প্রকল্পের জন্য যে লোন নেয়া হয়েছে তা অনেক বেশি। বড় লোন নিয়ে শ্রীলংকা দিতে পারে নাই। যার জন্য শ্রীলংকা দেওলিয়া হয়ে গেছে।দেশ দেওলিয়া হয়ে গেছে। বাংলাদেশের বড় প্রকল্পের বিনিয়োগ বেশি। কয়েকদফা সময় বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারছেনা। ফলে রির্জাভ থেকে লোনের টাকা দিতে হচ্ছে। 

শনিবার বিকালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্ত‌ব্যে আওয়ামীলীগ ও বিএন‌পির সমা‌লোচনা ক‌রে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন- ৩২বছর আওয়ামীলীগ ও বিএনপি দুটি জামিল সরকার এদেশকে শেষ করে দিয়েছে। লুটপাট, দূনীর্তি এমন কোন কাজ নেই এই দুটি দল করেনি। 

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতি,এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া,কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ আলমগীর কবির মজুমদার। 

সম্মেলনে কেন্দ্রিয় ও জেলার নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য দেন।এসময় কুমিল্লার দক্ষিণ জেলার  ১০‌টি উপজেলা জাতীয়পা‌র্টি,দল‌টির ৪ পৌরসভার অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সম্মেলনে উপস্থিত হন।

সম্মেলন শেষে জাতীয়পার্টির মহাসচিব জেলা জাতীয়পার্টির আহবায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমকে সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি হুমায়ুন মুন্সিকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, উবায়দুল কবির মোহনকে সাধারণ সম্পাদক করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয়পার্টির কমিটি ঘোষনা করেন।।


আরও খবর



রাণীনগর-আত্রাইয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার এই দুই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পৃথক পৃথকভাবে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। 

 নওগাঁর রাণীনগরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। এরপর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এতে স্থানীয় এমপি,উপজেলা প্রশাসন,থানাপুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,উপজেলা আওয়ামীলীগ, জাতীয় পাটি, বিএনপি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,রাণীনগর প্রেস ক্লাব এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করে।

এর পর সকাল ৮টায় রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের অনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন এমপি এ্যাড: ওমর ফারুক সুমন। সেখানে কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের এমপি এ্যাড. ওমর ফারুক সুমন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ দুলু। এছাড়া রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ওবায়েদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জারজিস হাসান মিঠু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা বেগম ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং উপজেলার সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অপর দিকে আত্রাইয়েও একই কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সূর্যদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়। পরে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং সকাল ৮ টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক।

পরে সকাল ১১ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা,যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,স্থানীয় এমপি এ্যাড. ওমর ফারুক সুমন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অঞ্জন কুমার দাস,আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুল ইসলাম,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী নিপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল,জেলা পরিষদের সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল,প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাযহারুল ইমলাম,সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহেল রানা,যুব উন্নয়ন অফিসার এস এম নাসির উদ্দিন,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন,সিনিয়র মৎস্য পলাশ চন্দ্র দেবনাথ,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোকসান হ্যাপি,গণমাধ্যমকর্মীরাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক আবৃতি প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে শ্রী নিরাঞ্জন উড়াও নামে এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ বছর এর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আসামীর সামনে এ রায় ঘোষণা করেন নওগাঁ জেলা ও দায়েরা জজ মোঃ আবু শামিম আজাদ। এ মামলাটি রাষ্ট্র পক্ষের হয়ে পরিচালনা করেন, সরকারী কৌসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম সারোয়ার হোসেন।

দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী নিরাঞ্জন উড়াও নওগাঁর পোরশা উপজেলার বরবারিয়া গ্রামের শ্রী যোগেশ্বর উড়াও এর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার বরবারিয়া গ্রামের রামেশ্বর চন্দ্র (৫৫) গত ২০২২ ইং সালের ১ আগস্ট নিজের জমিতে আইল কাটার কাজ করছিলেন। এমতাবস্থায় প্রতিবেশী নিরঞ্জন উড়াও এর লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হোন রামেশ্বর চন্দ্র। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একই দিন তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ আগস্ট রামেশ্বর চন্দ্র মারা যান। এ ঘটনায় ঐ দিন রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। এই ঘটনার তদন্ত শেষে নিরঞ্জন উড়াওয়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৬ মে দণ্ডবিধি- ১৮৬০ এর ৩০২/২০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে আদালতে জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখিত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামি নিরঞ্জন উড়াও কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন অনাদায়ে তাকে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।


আরও খবর



"হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) মানুষের অন্তর জয় করেছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন,"সুফিরা জ্ঞানের গরিমা দিয়ে নয় ; তাদের সুন্দর ব্যবহার, চরিত্র, নম্রতা, বিনয় ও হেকমতের মাধ্যমে মানুষের অন্তর জয় করতে পেরেছেন বলেই, কোটি কোটি মানুষ তাদের মাধ্যমে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসেছে। অন্য ধর্মের মানুষরা পবিত্র কুরআন বা ইসলাম সম্পর্কে জানতো না ; কিন্তু সুফিদের প্রতি প্রবল আকর্ষণের কারণে তারাও সুফিদের জীবনাচরণ ও ধর্মকে গ্রহণ করেছিলো। যুগে যুগে সুফিদের মাধ্যমেই ইসলামের খেদমত হয়েছে। সুফিরা অন্ধকার হৃদয়কে আলোকিত করতে পারেন। কারণ তারা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত। বাহ্যিক জ্ঞানের চেয়ে অপ্রকাশ্য জ্ঞান অনেক বেশি মহিমান্বিত। সুফিরা সেই জ্ঞানে জ্ঞানী। হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) ছিলেন বিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুফি। সমগ্র বিশ্বে যেমন তার সম্মান মর্যাদার সাথে বিচরণ ছিলো, তেমনি বাংলাদেশের আনাচে কানাচে তিনি আল্লাহ্ ও নবীপ্রেমের ঢেউ তুলেছেন। অভাবী, অসহায়, দরিদ্র মানুষকে তিনি পরম মমতায় বুকে জড়িয়েছেন। তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনেছেন।

স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসাই ছিলো তার দর্শন। এভাবে তিনি মানুষের অন্তর জয় করেছেন বলেই তার হাতে হাত রেখে হাজারো মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছেন। আবার অজস্র প্রাণে তিনি নবীপ্রেমের আলো জ্বেলেছেন। মানবতার জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। ইসলাম, সুফিবাদ, তরিকা ও মানবতায় তার অনন্য অবদানের জন্যই তিনি মহাকালকে জয় করতে পেরেছেন।"

২৯শে মার্চ, ২০২৪ মিরপুর-১ মাইজভাণ্ডার মইনীয়া খানকাহ্ শরীফে হুযুর গাউসুল ওয়ারা, হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা শাহ্সুফি সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রিয় নবিজী, (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তার বংশধরগণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম পেশ শেষে ফিলিস্তিনের জনগণসহ দেশ ও বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনায় মুনাজাত করা হয়।


আরও খবর



নেতানিয়াহুর গাজা নীতি ছিল ‘ভুল’: বাইডেন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা নীতি ছিল ভুল ছিল বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার প্রচারিত এক সাক্ষাতকারে এমন মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এছাড়া গাজায় এখন শুধু যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধ করারও আহ্বান জানান বাইডেন।

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা এবং গাজার অভ্যন্তরে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এটি ছিল নেতানিয়াহুর ক্ষেত্রে বাইডেনের সবচেয়ে কড়া সমালোচনা। খবর এএফপির

নেতানিয়াহুর যুদ্ধ পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাইডেন ইউএস স্প্যানিশ ভাষার টিভি নেটওয়ার্ক ইউনিভিশনকে বলেন, আমি মনে করি তিনি যা করছেন তা ভুল। আমি তার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একমত নই।

গাজায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক দাতব্য সংস্থায় গত সপ্তাহে চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর ড্রোন হামলায় সাতজন নিহত হওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এটি ছিল একেবারে গর্হিত কাজ। এটা নিয়ে নেতানিয়াহুর সাথে বাইডেনের উত্তেজনাপূর্ণ ফোনালাপ হয়েছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় আরও সাহায্য সরবরাহের সুযোগ করে দিতে ইসরায়েলের উপর চাপ বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরব, জর্ডান এবং মিসরের সাথে কথা বলেছেন এবং তারা খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে

বাইডেন বলেন, গাজার লোকদের চিকিৎসা ও খাদ্যের চাহিদা পূরণ না করার কোনো অজুহাত নেই। এটা এখনই করা উচিত।

গাজায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাহায্য কর্মী ইসরায়েলের হামলায় নিহত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দেওয়ার পর বাইডেনের এমন সাক্ষাতকার তার ইসরায়েল নীতির নাটকীয় পরিবর্তনকে নির্দেশ করে।

হোয়াইট হাউস গত সপ্তাহে বলেছিল, নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে বাইডেন হুমকি দিয়েছিলেন যে, গাজায় বেসামরিক নাগরিক হত্যা বন্ধ না করলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে আর নিঃশর্ত সহায়তা দেবে না। গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামে একটি বেসরকারি সংস্থার সাত কর্মীকে নিহত হওয়ার পর বাইডেন সেই হুমকি দিয়েছিলেন।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। নির্বিচার ও বর্বর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত আরও অন্তত ৭৬ হাজার। উত্তর ও মধ্য গাজার অধিকাংশ এলাকায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে ঈদ এসেছে ফিলিস্তিনিদের জীবনে।


আরও খবর



তরমুজের ব্যাপক দরপতন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর আড়তে তরমুজ রাখার জায়গা পাচ্ছেন না কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এতে বাধ্য হয়ে ট্রাক ও ট্রলারে রেখেই চলছে তরমুজ বিক্রির চেষ্টা। তবে তরমুজ কেনার পাইকার কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তিন দিন ধরে আড়তে তরমুজের সরবরাহও বেড়ে গেছে। এতে দাম নেমে এসেছে অর্ধেকের নিচে।

সরেজমিনে মুক্তারপুর তরমুজ আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ১২টি আড়তের সামনে তরমুজের স্তূপ। আড়তগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। আড়তগুলোর সামনে রয়েছে তরমুজ ভর্তি ১০টি ট্রাক। পাশের ধলেশ্বরী নদীতে ৬টি ট্রলার ভর্তি তরমুজ। এসব ট্রলার ও ট্রাকে কয়েক লাখ টাকার তরমুজ রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। রাতে ট্রলার ও ট্রাক থেকে তরমুজ নামাতে দেখা গেলেও তরমুজ কেনার পাইকার তেমন দেখা যায়নি।

আড়তে তরমুজ নিয়ে আসা কৃষক ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৪-৫ দিন আগে বরিশাল বিভাগে সামন্য শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টি হলে তরমুজ সাধরণত নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া প্রতিদিনই কম বেশি ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। তাই কৃষক শিলা বৃষ্টির ভয়ে জমি থেকে তরমুজ কেটে বিক্রির চেষ্টা করছেন। এতে বাজারে প্রচুর পরিমাণ তরমুজের সরবারহ বেড়েছে। যার কারণে দাম অনেক কমে গেছে।

এই আড়তে তরমুজ বিক্রি করতে আসা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কৃষক আরিফ হোসেন বলেন, চার দিন আগে আমাদের এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এখন প্রতিদিনিই ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। তাই নষ্ট হওয়ার ভয়ে জমি থেকে তরমুজ কেটে এই আড়তে নিয়ে আসছিলাম। দুই দিন ধরে ঘাটে ট্রলার ভিড়িয়ে বসে আছি। বেচাবিক্রি তেমন নেই। আগে যে তরমুজ ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এখন তা ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দামে তরমুজ বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হবে।

একই এলাকার অপর চাষি মিজান হাওলাদার বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে জমি থেকে তরমুজ সব তুলে ফেলছি। এখন আড়তে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করতে পারছি না। সবকিছুর দাম বেশি। এ বছর তরমুজ লাগানোর মৌসুমে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তরমুজের চারার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই তরমুজের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। যে তরমুজ উৎপাদন করতে আমাদের ১২০-১৫০ টাকা খরচ হয়েছে, এখন তা ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাহিন এন্টার প্রাইজের মালিক আলমগীর কবির বলেন, গত শনিবার থেকে তরমুজের দাম অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। কৃষকরা বলছে শিলাবৃষ্টির কারণে তারা তরমুজ জমি হতে তুলে নিয়ে আসছে। আড়তে প্রচুর তরমুজের আমদানি হয়েছে, কিন্তু ক্রেতা আগের চেয়ে কমছে। যার কারণে দাম অনেক কমলেও পাইকাররা সেভাবে আসছে না।

মুক্তারপুর আড়ত সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক বলেন, তরমুজের অবস্থা খুবই খারাপ। একটি ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের তরমুজ আড়তে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ৪ দিন আগেও যা ৫০০ টাকায় বিক্রি হতো। শিলাবৃষ্টির কারণে কৃষক সব তরমুজ কেটে একসঙ্গে আড়তে নিয়ে আসছেন, যার কারণ আমরা আড়তে তরমুজের জায়গা দিতে পারছি না। আমার এখানে ১২টি আড়তের প্রত্যেকটি তরমুজে ভরপুর জায়গা দেওয়ার স্থান নেই। তরমুজ প্রচুর থাকলেও সেভাবে পাইকার নেই।

 


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪