
রোকসানা মনোয়ার : অবৈধ ও অনিবন্ধিত ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধে আজ থেকে আবারও কঠোর অভিযান চালাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, প্রথম দফায়
অভিযান পরিচালনা শেষেও এখনও অসংখ্য অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়ে
গেছে। আজ থেকে আবারও কঠোর অভিযান পরিচালনা
করব। যেভাবে তিন মাস আগে অভিযান পরিচালনা করেছি, এখনও সেভাবেই হবে।
এখন থেকে ৩ মাস আগে অবৈধ হাসপাতালগুলোতে অভিযান
পরিচালনা করেছি। তখন বলেছিলাম তিন মাস পর সাংকবাদিকদের অবহিত করব। সে সময়ে সর্বমোট
১৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লাইসেন্সবিহীন বা অবৈধ কোনো
হাসপাতালে যদি বৈধ কোনো চিকিৎসকও চিকিৎসা সেবা দিতে যান, তাহলে তিনিও
অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। তাদের কোনো দায় আমরা নেব না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, গত ২৬শে মে
সারা দেশে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে মোট ১৬৪১টি
প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। অভিযানে সেগুলোকে জরিমানা করে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার
৮৬৭ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নতুন লাইসেন্সের জন্য
পরিদর্শনের অপেক্ষায় আছে ১৯৪৬টি প্রতিষ্ঠান। লাইসেন্স নবায়নের জন্য পরিদর্শনের
অপেক্ষায় আছে ২৮৮৭টি প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, লাইসেন্সের বর্তমান অবস্থা
পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে যে,
সময় দেয়ার পরেও কিছু কিছু
প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স করছে না এবং কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের আবেদনও করছে না।
এমনকি তারা লাইসেন্স ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। বারবার সতর্ক
করার পরও কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশোধন না করার ফলে আবেদন
পেন্ডিং অবস্থায় আছে। এজন্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্সের অবস্থা আরও
তরান্বিত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে
অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি।