Logo
শিরোনাম

অবৈধ পার্কিংয়ে নগরজুড়ে নৈরাজ্য, বাড়ছে যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মার্কেট আছে, গাড়ি আছে, কিন্তু নেই পার্কিং। ফলে সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা। এতে বাড়ছে যানজট ও জনদুর্ভোগ। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠছে শহরের পথঘাট, অলিগলি। সৃষ্টি হচ্ছে নানা প্রতিবন্ধকতা। নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে  হচ্ছে নগরবাসীকে। রাস্তা দখল করে পার্কিংয়ের কারণে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনাও। রাজধানীতে পার্কিং নৈরাজ্য দীর্ঘদিনের। দিন যতই যাচ্ছে, ততই এ সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে। বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, ঢাকায় ৩০ শতাংশ যানজটের জন্য দায়ী অবৈধ গাড়ি পার্কিং।

এ জন্য প্রতিবছর অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীতে অন্তত ১৫ হাজার বহুতল ভবনে নেই পার্কিং সুবিধা। ফ্ল্যাট অনুপাতে আরও লক্ষাধিক বহুতল ভবনে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা নেই। ফলে ব্যস্ত সড়কের উপর অবৈধভাবে বাড়ছে গাড়ি পার্কিং। এতে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এসব অবৈধ পার্কিং নগরবাসীর জীবনে বিষফোঁড়া হয়ে উঠছে। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ঢাকাবাসী। পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকায় যানবাহনের সংখ্যা আরও বাড়বে। এতে থমকে যাবে মানুষের চলাচল। সরকার কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে গাড়ি, কমছে সড়ক। 
রাজধানীর পার্কিং নৈরাজ্য কমাতে ২০০৭ সালে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল। তবে ২০২৩ সালে এসেও তা আলোর মুখ দেখেনি। হয়নি নীতিমালাও। বিভিন্ন সময় পার্কিং নৈরাজ্য নিয়ে একাধিক সংস্থা কাজ করার কথা বললেও, সমস্যার জটিলতা কমেনি। বরং এই সময়ে পার্কিং নৈরাজ্য বেড়েছে বহুগুণ। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর অধিকাংশ ভবনের নেই পার্কিং-এর ব্যবস্থা। বড় বিপণি বিতানগুলোতে পার্কিং ব্যবস্থা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এ ছাড়া সড়কের পাশেই গড়ে ওঠা মার্কেটগুলোতে রাখা হয় না পার্কিংয়ের সুবিধা। ফলে গাড়ির মালিকের ইচ্ছা ও চালকদের সুবিধার জন্য সড়ককেই বেছে নেন। ব্যস্ত ঢাকার বাণিজ্যিক এলাকা, কিংবা মার্কেটের সামনের রাস্তায় চোখে পড়ে অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের দৃশ্য। ফুটপাথ থেকে শুরু করে যেখানে সেখানে রাখা হচ্ছে এসব গাড়ি। সুবিধা মতো পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় যত্রতত্র গাড়ি রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন চালকরা। সড়ক দখল করে গড়ে তোলেন বাস কিংবা কার স্ট্যান্ড। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। বিশেষ করে অফিস সময়ে অসহনীয় যানজটের ভোগান্তির শিকার হতে হয় কর্মজীবীদের। ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ঢাকার রাস্তায় নতুন করে শতাধিক যানবাহন রাস্তায় নামে। ফলে সড়কে গাড়ি পার্কিং বেড়েই চলছে। এতে যানবাহন চলাচলের গতি কমে যাচ্ছে।

রাজধানীর কাওরান বাজার। সেখানেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়। অফিস থাকলেও সংস্থাটির কার পার্কিংয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। সড়কের উপর বেশ কয়েকটি খুঁটি বাসিয়ে পার্কিংয়ের জায়গা করে নিয়েছে সরকারের সেবাদাতা এ প্রতিষ্ঠানটি। শুধু সিটি করপোরেশনেই নয়। জনতা টাওয়ার থেকে পেট্রোবাংলা পর্যন্ত পুরো সড়কের উপর অবৈধভাবে পার্কিং করছে আরও ৯/১০ সরকারি প্রতিষ্ঠান। এতে প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগেই থাকছে। রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের দিলকুশা। ব্যাংকপাড়া হিসেবেও বেশি পরিচিত স্থানটি। সরজমিন গত মঙ্গলবার দুপুরে দেখা গেছে, এখানে প্রতিটি সড়কের অলিগলিতে রাখা হয়েছে ছোট বড় গাড়ি। গোটা বাণিজ্যিক এলাকায় যানজট লেগে আছে। এই এলাকায় অধিকাংশ বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে কোনো রকম পার্কিং সুবিধা ছাড়াই। হাতেগোনা কিছু নতুন ভবনে অপর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা রয়েছে। আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর তৈরি ফ্ল্যাটগুলোতে পার্কিং সুবিধা থাকলেও সেগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

দিলকুশায় সাধারণ বীমা টাওয়ারে ২০০৬ সালে পার্কিং ব্যবস্থা চালু করা হলেও সেখানে গাড়ি উঠছে না। অথচ ব্যস্ত সড়কের দুপাশে হাজার হাজার গাড়ি দিনভর পার্ক করে রাখা হয়েছে। ৩৭তলা সিটি সেন্টারেও প্রায় সাড়ে ৫শ গাড়ি পার্ক করার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেও গাড়ি উঠছে না। পল্টন-মতিঝিল রুটে চলছে মেট্রোরেল নির্মাণকাজ। এতে দুইদিকে সরু হয়ে গেছে সড়ক। এই সরু সড়কের ওপর রাখা হয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি। এতে গণপরিবহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। তৈরি হচ্ছে যানজট। শাপলা চত্বর থেকে নটরডেম কলেজ পর্যন্ত সড়কেরও একই চিত্র। সড়কের কোথাও নেই তিল পরিমাণ খালি জায়গা। গাড়ি সড়কের ওপর রেখেই এসব স্থানে খোশগল্পে মেতে উঠেছেন চালকরা। সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, ফুলবাড়িয়া, গুলিস্তান, মগবাজার, ফার্মগেট, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, মেয়র আনিসুল হক সড়ক, বনানী, গাবতলী, টেকনিক্যাল, মিরপুর ১ ও ১০ নম্বর, ধানমণ্ডি, গুলশান, বাড্ডা, নতুনবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর বাস রাখার কারণে নগরবাসীর অশান্তির শেষ নেই।

সূত্রে জানা যায়, পার্কিং নৈরাজ্য কমাতে ২০০৭ সালে মহাপরিকল্পনা হাতে নেয় সিটি করপোরেশন। সেটিকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ওই সময়ে ডিএসসিসির আরবান প্ল্যানিং বিভাগ একটি খসড়াও তৈরি করে। রাজধানীর পার্কিং স্পটগুলোতে কত সংখ্যক গাড়ি পার্কিং করা যায় তাও নির্ধারণ করা হয়। তখন সিদ্ধান্ত হয় নির্ধারিত স্থানে পার্কিং করবে গাড়ি। দিতে হবে টোল। টোল আদায় কর্মীদের অনুমতি ছাড়া রাস্তার পাশে কেউ গাড়ি পার্কিং করতে পারবে না। তখন আশা করা হয়, এতে গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে ফিরে আসবে শৃঙ্খলা, কমে যাবে যানজট। তবে নানা জটিলতায় পার্কিং নিয়ে মহাপরিকল্পনা আটকে যায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সিটি করপোরেশন, রাজউক, ঢাকা ওয়াসা, সওজ, রেলওয়েসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো পার্কিং স্পেস বাড়াতে উচ্ছেদে নামে। সড়ক সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা এবং বহুতল ভবনের কার পার্কিং স্পেস অবমুক্ত করা হয়। তখন বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং মলে পার্কিং স্পেস ছেড়ে দেন ভবন মালিকরা। অনেক মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডে বাণিজ্যিক কাজে ভাড়া দেয়া স্থাপনা ভেঙে ফেলেন। পরে সরকার পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় সব চিত্র। ফের পার্কিং স্পেস ও আন্ডারগ্রাউন্ড বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ফজলে রেজা সুমন বলেন, আমাদের দেশে পার্কিং নৈরাজ্য কমাতে কোনো গাইডলাইন নেই। প্রতিটি রোডে পার্কিং ব্যবস্থা রাখতে হয়। সেটা আমাদের দেখে নেই। গণপরিবহনের চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি। যা মোটেও কাম্য নয়। আমরা বারবার বলে আসছি- প্রতিটি সড়কে পার্কিং ব্যবস্থা রাখা হোক। প্রয়োজনে এর জন্য একটা চার্জ নিতে পারে সরকার। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এসব আমলে নিচ্ছেন না। তিনি বলেন, ঢাকায় গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য জায়গা প্রয়োজন ২৫ শতাংশ। অথচ আছে মাত্র ৮ শতাংশ। সেটাও দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাপরিকল্পনার বিকল্প কিছু নেই। ঢাকায় প্রতিটি ভবন নির্মাণকালে গাড়ি পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা রাখা হচ্ছে কিনা সিটি করপোরেশন ও রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়াতে হবে। এ ছাড়া রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে গড়ে তুলতে হবে পরিকল্পিত পার্কিং ব্যবস্থা। পার্কিং নৈরাজ্যের সঙ্গে জড়িত সুবিধাভোগীদের লাগাম টানতে হবে। সড়কে কিংবা ফুটপাথে গাড়ি রাখলে তার মালিক ও চালকদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তাহলেই পার্কিং নৈরাজ্য কমে আসবে।

ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন বলছে- নগরীর ভেতরে পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত স্থান নেই। এ ছাড়া বাসের রুট পারমিটেও চরম নৈরাজ্য চলছে। অবৈধ পার্কিং ঠেকাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শিগগিরই পার্কিং নৈরাজ্য বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বলছে, যারা সড়কে গাড়ি নামান, তারা অনুমোদন নেয়ার সময় নিজস্ব পার্কিং জোন দেখান। যদিও পরে সেসব স্থানে গাড়ি পার্কিং করা হয় না। ফলে সড়কের ওপর অবৈধভাবে পার্কিং করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেন। গাড়ি রেখে যারা সড়ক দখল করবে বিআরটিএ আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরও খবর

মেট্রোরেলের সময়সূচি পরিবর্তন

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব

মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫




প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাব জমা দিলো চার সংস্কার কমিশন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে চার কমিশন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কমিশন প্রধানরা এসব প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রতিবেদন জমা দেওয়া কমিশনগুলো হলো- ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন।

এসব কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি মাসেই এ আলোচনা শুরু হতে পারে। সংস্কার প্রস্তাব এবং এগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য হলে সংলাপ থেকে একটি রূপরেখা আসতে পারে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



নওগাঁয় মাদক বিরোধী প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

'নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে' স্লোগানে নওগাঁয় তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে মাদক বিরোধী প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে নওগাঁ শহরের পুরাতন কালেক্টরেট চত্বর মুক্তমঞ্চে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন এর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল।

এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক লোকমান হোসেন, জেলা কালচারাল অফিসার তাইফুর রহমান, জেলা সরকারি গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান এসএম আশিফ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, জেলা ডিবেট ক্লাবের সভাপতি তানজিম বিম বারী, রিফাত বিন রাজীব ও রাশবদ আনজুম তন্ময় সহ অন্যরা। মর্ডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন, নওগাঁ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম।

আয়োজকরা জানান, বির্তক প্রতিযোগীতা প্রথম পর্যায়ে চারটি স্কুল অংশ নিয়ে নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং নওগাঁ জিলা স্কুল বাছাই করা হয়। এরপর চুড়ান্ত পর্যায়ে ‘ক্রীড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিমুখিতাই তরুণ তরুণিদের মাদকাসক্তির প্রধান কারণ’ বিষয়ে পক্ষে নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিপক্ষে নওগাঁ জিলা স্কুলের মধ্যে বিকর্ত হয়। বিপক্ষে নওগাঁ জিলা স্কুল বিজয় এবং রানাস আপ হয় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় ফরহান সাদিক। শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও পুরস্কার তুলে দেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৪.১ শতাংশে নামবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ১ শতাংশে নামতে পারে। এই অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য সংকটের মুখোমুখি হবে দেশের অর্থনীতি।

আজ শুক্রবার বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্যে মন্দা, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং ঋণসেবা ব্যয়ের চাপসহ অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা কারণ এই সংকটের জন্য দায়ী। কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী ধাক্কা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রধান চালিকাশক্তি তৈরি পোশাকশিল্প। কিন্তু ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানি আয় হ্রাস পাচ্ছে। দেশের মূল্যস্ফীতি ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে এবং টাকার অবমূল্যায়নের ফলে আমদানি ব্যয় বেড়েছে।

এদিকে রাজস্ব ঘাটতির কারণে বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ কমে গেছে। গ্রামীণ অর্থনীতি দুর্বল হওয়ায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী আরও বেশি সংকটে পড়ছে।

সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশ সরকারের জন্য কয়েকটি সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে আছ রাজস্ব ব্যবস্থায় সংস্কার, রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনা, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি কার্যকর করা, অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্দরমিত গিল বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। নীতিনির্ধারকদের উচিত দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, যাতে অর্থনীতির গতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা যায়। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং রাজস্ব বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে স্বল্পমেয়াদে সংকট মোকাবিলায় জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ প্রয়োজন।


আরও খবর



২০২৫ হবে গুম-খুন ও গণহত্যার বিচারের বছর

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

২০২৫ সালকে গুম, খুন এবং গণহত্যার বিচারের বছর হিসেবে ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এক বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ২০২৫ সাল হবে আওয়ামী লীগ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বছর। বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংগঠিত গুম, খুন এবং জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার এই বছরেই সম্পন্ন হবে।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাজুল ইসলাম আরও বলেন, মূল ভবনে প্রধান বিচারপতির সম্মতির পর বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোর বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। বিশেষ করে— ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তও চলছে।

তিনি আরও জানান, হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে ট্রাইব্যুনাল তার বিচারের কাজ চালিয়ে যাবে।

এছাড়া, ৫ আগস্টের চানখারপুলে পাঁচজনকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবল সুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার ও দুই বিচারপতির নেতৃত্বে শুনানি শেষে ১২ জানুয়ারি সুজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




বার্লিনে চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক বাংলাদেশের বিধান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মনির হোসেন :

ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হচ্ছে ৭৫তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এই উৎসবে জুরি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে থাকছেন চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরু। ফিপ্রেসি জুরি হিসেবে উৎসবের প্যানারোমা বিভাগের বিচারক থাকবেন,তিনি বলেন,উৎসবে অংশ নিতে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়বেন তিনি।এর আগে বিধান রিবেরু ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে ফিপ্রেসি জুরি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিলেন। 

বিধান বলেন, ‘চলচ্চিত্রকে ভালোবাসার জায়গা থেকে চলচ্চিত্র দেখা। এ ধরনের উৎসবে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে চলচ্চিত্র সম্পর্কে অন্য মানুষের মতামত জানা যেমন যায়, তেমনি নিজের মতামতকেও ঝালাই করে নেওয়া যায়। এত বড় উৎসবে আমি যখন যাচ্ছি, এর মাধ্যমে নিজের যেমন অংশগ্রহণ হচ্ছে, ঠিক তেমনি বাংলাদেশেরও প্রতিনিধিত্ব করছি। এটা একটা বড় ব্যাপার এই কারণে যে বাংলাদেশ থেকে একজন চলচ্চিত্র সমালোচক বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে, জুরি হিসেবে কাজ করছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। আমি মনে করি যে এটা আমার জন্য আনন্দের, ভালো লাগার ব্যাপার। তবে দেশের মানুষ কীভাবে দেখে, সেটা অবশ্য আমি জানি না।’

বিধান রিবেরু আরো বলেন এ ধরনের উৎসবে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগতভাবেও লাভবান হয়ে থাকেন। 

তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রজগতে নতুন যেসব ছবি আসছে, বিশ্বের খ্যাতনামা সব নির্মাতাদের, একেবারে ক্ল্যাসিক ঘরানার ছবি, সেসব ছবির প্রথম প্রদর্শনী হয় এ ধরনের বড় সব উৎসবে। সবার আগে এসব ছবি জুরি হিসেবে দেখার একটা সুযোগ তৈরি হয়। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, এ বছর ফিপ্রেসি ১০০ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক বড়মাপের চলচ্চিত্র নির্মাতাও বেরিয়ে এসেছে ফিপ্রেসি পুরস্কারের মাধ্যমে। এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে আগামীতেও ভালো ও প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র নির্মাতারা উঠে আসবেন—যা কোনো একদিন হয়তো আমিও বলতে পারব। ফিল্মের প্রতি যেহেতু আমার ভালোবাসা আছে, এতে করে আমারও একধরনের সন্তুষ্টি ঘটে।


আরও খবর

সকাল সকাল দেশ ছাড়লেন তাহসান-রোজা

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫