Logo
শিরোনাম

অবসরে ‘অযোগ্য’ রেফারি লাহোজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৪৪৭জন দেখেছেন

Image

ইয়াশফি রহমান :বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি শেষে লিওনেল মেসি তাকে রীতিমতো ‘অযোগ্য’ বলে বসেছিলেন। সেই রেফারি ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন এবার।

আর্জেন্টিনার সেই ম্যাচে লাহোজ ১৮টি হলুদ কার্ড ও একটি লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন। মেসিসহ ওইদিন হলুদ কার্ড দেখেন মার্কোস আকুনইয়া ও গনজালো মন্তিয়েল। যে কারণে দুই ফুলব্যাককে সেমিফাইনালে পায়নি আর্জেন্টিনা।

সেই ম্যাচে ফাউলের বাঁশিও বারবারই বাজিয়েছেন লাহোজ। যে কারণে ম্যাচের গতিতে বাঁধা এসেছে বারবার। সে কারণে মেসি ম্যাচ শেষে কোনো রকম রাখঢাক ছাড়াই তাকে ‘অযোগ্য’ বলে দিয়েছিলেন।

বলেছিলেন, ‘ফিফার এই বিষয়ে ভাবা উচিত। আপনি এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এমন রেফারিকে দায়িত্ব দিতে পারেন না। তিনি যোগ্য নন। ম্যাচের আগেই আমরা ভয় পেয়েছিলাম। কারণ আমরা জানতাম, তার স্বভাব কেমন!’

তাকে নিয়ে বিতর্ক সেখানেই থামেনি। সম্প্রতি লা লিগায় বার্সেলোনা খেলতে নেমেছিল এস্পানিয়লের বিরুদ্ধে। মেসির পুরনো ক্লাবের খেলাতেও দেখা গিয়েছিল মাতেউর কার্ডের মেলা। খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কার্ড দেখিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। হলুদ, লাল কিছুই বাদ যায়নি। এমনকি বাদ যাননি দলের কোচও। বার বার তাঁর সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গিয়েছিল ফুটবলারদের। বার্সা ও এস্পানিয়ল মিলিয়ে মোট ১২জনকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন মাতেউ। বার্সার জর্ডি আলবা ও এস্প্যানিয়লের ভিনিসিয়াস সুজাকে লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন তিনি। এস্পানিয়লের আর এক জন ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন মাতেউ। কিন্তু ভারের হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত বদল করেছিলেন তিনি। বার্সার কোচ জাভি ও রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলার রাফিনহাকেও হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন তিনি।

নিজের পরের ম্যাচে কোপা দেল রেতেও দেখা মিলেছে তার কার্ডের মেলার। লিনারেস দেপোর্তিভোর বিপক্ষে সেভিয়ার ম্যাচে দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেই ম্যাচের ১৫ মিনিটেই সেভিয়ার আর্জেন্টাইন কোচ হোর্হে সাম্পাওলিকে লাল কার্ড দেখিয়ে বসেন তিনি।

লাহোজের বিরুদ্ধে অভিযোগটা বার্সা ও এস্প্যানিয়লের ম্যাচ শেষেই এসেছিল। অভিযোগটা করেছিলেন দুই ক্লাবের ফুটবলাররা। তা আমলে নিয়ে লা লিগা ও কোপা দেল রের ম্যাচে তাকে দায়িত্ব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্পেনের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।

তার পরেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লাহোজ। জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের সাংবাদিক গাস্তন এদুল। 


আরও খবর



নওগাঁয় ভুটভুটি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর রানীনগর উপজেলার নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কে ভুটভুটি ও মোটরসাইকেল এর মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। নিহত মোটরসাইকেল চালক যুবক হলেন, জয়রুপ দত্ত আপন(২৬)। 

বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৮টার দিকে রানীনগর উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়কের খট্টেশ্বর সরদারপাড়া এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত মোটরসাইকেল চালক জয়রুপ দত্ত আপন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর চৌধুরীপাড়া গ্রামের বাদল দত্তের ছেলে। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুবক জয়রুপ দত্ত আপন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার। সে নওগাঁ শহরে একটি প্রিন্টিং প্রেসের দোকানে ডিজাইনার হিসাবে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে দোকানের কাজ শেষে রাণীনগর উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে আত্রাই উপজেলায় নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ৮টারদিকে জয়রুপ খট্টেশ্বর সরদারপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আত্রাইয়ের দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি ভুটভিটির সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল চালক সিটকে সড়কের উপর পড়ে গুরুতর আহত হোন। আর ভুটভুটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে রাণীনগর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল চালককে উদ্ধার করে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাণীনগর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আতাউর রহমান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মোটরসাইকেল চালক কে হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়।

সত্যতা নিশ্চিত করে,রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, দূর্ঘটনায় ভুটভুটি টি গভীর খাদে পড়ে যাওয়ায় এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আর ভুটভুটির ড্রাইভারকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। ভুটভুটি উদ্ধার সহ চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



আমের মুকুলের মৌ,মৌ সূগন্ধে মুখরিত গোটা ফুলবাড়ি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে ছোট একটি কবিতা দিয়ে শুরু করছি, বসন্ত এলো যে ধরায়,উদাসী কোকিলের সুর মন ভরায়, কৃষ্ণ চূড়ার রাজপথ সাজে, সঙ্গীতের কলতান কানে বাজে।ভ্রমরায় দল বেঁধে চলে, ফুল ফোটে কাননে,কাননে বৃক্ষে নতুন পত্র- পল্লব জাগে, সবকিছু অপরুপ লাগে।

সেই অপরূপ সাজে সেজেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার আম বাগান গুলো আমের মুকুলের সুগন্ধিতে মুখরিত উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের আম বাগান গুলো। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে পাড়া গায়ের আমের গাছগুলো কি অপরূপ সৌন্দর্য। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এবারে উপজেলায় প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে আম বাগান করা হয়েছে। ভালো ফলনের জন্য আম চাষিদের সাথে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে প্রতিনিয়ত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এবছর প্রায় ৯০শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে।এতে করে আম বাগান মালিকরা মনে করছেন বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি না হয় আর আবহাওয়া যদি অনুকুলে থাকে তাহলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন। এক একটি বাগানে নানান ধরনের আম রয়েছে যেমন: ফজলি, আম্রপালি,ল্যাংড়া,হারিভাঙ্গা, মল্লিকা, বারি-৪,দেশি ইত্যাদি।এ অঞ্চলের আম চাষি ও বাগান মালিকরা বাণিজ্যিক ভাবে লাভের আশায় এখন থেকে ভালো ভাবে আম বাগানের পরিচর্যায় মেতে উঠেছে।


উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের আম বাগান চাষি মোহাম্মদ আলী শেখ ও আবুল হোসেন শেখ জানান, দীর্ঘ তিন,চার বছর থেকে প্রায় ২০

বিঘা জমিতে আম্রপালি ও বারি-৪ আমের চাষ করে আসছি গত বছরের চেয়ে এবারে বেশি করে আমের মুকুল এসেছে তাই ভালো ভাবে পরিচর্যা করছি যাতে মুকুল গুলি ঝরে না যায় আশাকরি গতবারের তুলনায় এবার বেশি লাভবান হতে পারবো।

আম বাগান পরিচর্যা কারি শ্রমিক রফিক মিয়া ও জব্বার আলী জানান, আমের সিজন আসলে আমারা এ বাগানের পরিচর্যা করে থাকি এবারে সব গাছে মুকুল এসেছে সেই জন্য আগে থেকেই আমরা মুকুলে স্প্রে করছি যাতে মুকুল ঝরে না যায়।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন, জানান গত বছরের তুলনায় এবছর আমের মুকুল অনেক বেশি এসেছে এই মুকুল গুলি যাতে ঝরে না পরে সেই জন্য আম চাষিদের ছত্রাক নাশক ঔষধ স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।তিনিও আশা করছেন বৈরী আবহাওয়া বা বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি না হয় তাহলে এবারে কৃষকরা আমে ভালো লাভবান হবে বলে আমি মনে করছি।



আরও খবর



নওগাঁয় র‌্যাবের অভিযানে ৩টি শুটারগান ও গুলিসহ এক শীর্ষ ডাকাত আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় একাধীক মামলার আসামী শীর্ষ ডাকাত সানোয়ার হোসেনকে (৫৩) কে ৩টি শুটারগান ও গুলিসহ হাতেনাতে আটক করেছে র‌্যাব।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে জানানো হয়, নওগাঁর

ধামইরহাট উপজেলার দিলালপুর এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে অভিযান অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত সানোয়ার হোসেন  ধামইরহাট উপজেলার দিলালপুর গ্রামের ওছমান আলীর ছেলে।

র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান আরো বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস অভিযানিক দল মঙ্গলবার ভোর রাতে দিলালপুর গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শীর্ষ ডাকাত সানোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়। এ সময় তার দেয়া তথ্য মতে লুকিয়ে রাখা ৩টি ওয়ান শুটারগন ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান র‌্যাব কর্মকর্তা।

অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান আরো জানান, সানোয়ার হোসেন দীর্ঘ দিন থেকে বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ ভাবে ডাকাতি করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৭টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি বেশি সময় ধামইরহাট এলাকার বাহিরে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় আত্নগোপনে থাকতেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আটককৃত শীর্ষ ডাকাত এর সঙ্গীদের ও আটক করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

নওগাঁর ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজ্জামেল হক কাজী জানান, র‌্যাবের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইনে থানায় একটি মামলা হলে মঙ্গলবার বিকালে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



স্বাধীনতা দিবসে কৃষকের যে উপহার

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ২৬জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কৃষক মোঃ হাবিবুর রহমান বেগুনি (পার্পল লিফ রাইস) ও ফাতেমা এবং ন্যাশনাল ১ ধানের প্রজাতির ধান চারা দিয়ে ফসলের মাঠে এঁকেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আর জাতীয় স্মৃতিসৌধ।


ঢাকার আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের রায় পাড়া গ্রামে মো.হাবিবুর রহমান তার নিজের ফসলের মাঠে সবুজ ও বেগুনি রঙের (পার্পল লিফ রাইস) ধানের চারা দিয়ে তৈরি করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আর জাতীয় স্মৃতিসৌধ। আবহমানকাল থেকে সবুজ রঙের ধান গাছ দেখে এসেছে বাংলার কৃষক, কিন্তু সবুজ ও বেগুনি রঙের সংমিশ্রণে ব্যতিক্রমী এ ধান চাষ দেখতে ভিড় করছে মানুষ। প্রতিদিনই দূর-দুরান্ত থেকে ধানের সৌন্দর্য দেখতে আসছেন অনেকে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিগন্ত মাঠজুড়ে সবুজ আর সবুজ। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় সবুজের মাঠে মাঝখানে বেগুনি রঙ। সবুজ ধানের বেষ্টুনির কাছে গেলে মনে হয় বেগুনি রঙের জায়গাটুকু কোনো আগাছা বা বালাই আক্রান্ত ধান। কিন্তু না, এটি এমন একটি ধানের জাত, যার পাতা ও কান্ডের রং বেগুনি। যেভাবে তৈরি করেছে দেখে নয়ন জুরায়ে যায় বাংলার স্বাধীনতার প্রতীক জাতীয় পতাকা। আবার পাশের আরেকটি ক্ষেতে দেখা যায় সবুজ ধান ও বেগুনি ধানের মিশ্রনে বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ।


কৃষক মো.হাবিবুর রহমান বলেন, বেগুনি রঙের ‘পার্পল লিফ রাইস’ নামের এ ধান চাষে তিনি আগ্রহী হয়ে এ ধানের বীজ সংগ্রহের অনেক চেষ্টার পর, স্থানীয় এক বীজের দোকানদারের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করেছেন।


তিনি আরো বলেন, ধানের ফলন কী রকম হবে, তা দেখার পর ভবিষ্যতে আবাদ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আর দেশের প্রতি ভালবাসা আর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে কষ্ট হলেও এঁকেছি জাতীয় পতাকা আর জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ধান দিয়ে পতাকা আর স্মৃতিসৌধ অংকন করায় প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছে আমার ক্ষেতে এসে। অনেক কৃষক এই ধান চাষ করতে বীজ চেয়েছে বলেও জানান তিনি।


চারদিকে বিস্তৃত সবুজ ধানক্ষেতের মধ্যে বেগুনি রঙের এই ধানগাছ দেখে থমকে যায় পথচারীরা। তারা জানার চেষ্টা করে এটি কোন জাতের ধান বা ধানের এমন অবস্থা কী করে হলো? অনেকেই এ সৌন্দর্যের ছবি তুলে। কেউ কেউ তুলে সেলফিও।


পথচারী যুবক বাবুল হোসেন বলেন, ‘এত সুন্দর করে ধানের আবাদ করায় এ কৃষককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরাও এ ধরনের চাষ করব। আমি ছবি তুলে রাখছি। একটি সেলফিও নিলাম।


স্থানীয় শিমুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ.বি.এম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ বলেন, ‘দেশের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে এ কাজ কোনো ভাবেই করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ধানক্ষেতটি দেখলে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়।


’সাভার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহমেদ বলেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে লালন করে কৃষক মো.হাবিবুর রহমান বেগুনি (পার্পল লিফ রাইস) জাতের ধান দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা লাল বৃত্ত এবং ন্যাশনাল ১ জাতের ধান দিয়ে পতাকার সবুজ অংশ অংকন করেন। পাশের আরও একটি ধান ক্ষেতে এই দুই জাতের ধান দিয়ে একেঁছেন জাতীয় সৃতিসৌধ। তার এই আবাদি জমিতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সৃতিসৌধ অংকনে সাভার উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সার্বিক সহযোগিতা, পরামর্শ ও তত্ত্বাবধান করে আসছে। এই ধানের পুষ্টিমান বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ চালের ভাত খেতেও সুস্বাদু। এই ধান ডায়াবেটিস রোগীদের বেশ উপকারী। ফলন ভালো হলে উৎপাদিত ধানগুলো বীজ আকারে রাখা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে ধানের আবাদ বৃদ্ধির চিন্তা করা হচ্ছে।’


আরও খবর



চতুর্থ ধাপে ৪০ হাজার গৃহহীন পাচ্ছেন ঘর

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন উপজেলায় চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের কাছে ঘর হস্তান্তর করবেন। এর মধ্য দিয়ে দরিদ্রদের কাছে সরকারের হস্তান্তর করা ঘরের সংখ্যা দাঁড়াবে দুই লাখ ১৫ হাজার ৮২৭। এর আগে প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সব উপজেলায় একযোগে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের কাছে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন। এরমধ্যে তিনি সরাসরি তিনটি উপজেলায় উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। উপজেলা তিনটি হলো গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্প।

এদিন প্রধানমন্ত্রী দেশের সাতটি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করবেন। এর আগে তিনি পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। গৃহ হস্তান্তরের পর দেশে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত জেলার সংখ্যা দাঁড়াবে ৯ এবং উপজেলার সংখ্যা হবে ২১১। এসব জেলা ও উপজেলায় নদীভাঙন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা অন্য কোনো কারণে কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন হয়ে পড়লে তাদের চিহ্নিত করে জমির মালিকানাসহ ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করবে সরকার।


আরও খবর