Logo
শিরোনাম

অধিনায়কত্ব নিতে ‘পুরোপুরি প্রস্তুত’ তাইজুল

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্তকে দায়িত্ব দেওয়া হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। তার অধীনেই আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার কথা ছিল টাইগারদের। তবে এর আগেই নেতৃত্ব থেকে সরে দাড়াচ্ছেন শান্ত।

জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে চলমান সিরিজের পরই অধিনায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন তিনি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শেষ টেস্টে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে দেখার কথা ছিল। সাধারণত অধিনায়ক বা প্রধান কোচই ম্যাচ শুরুর আগের দিন আসেন সংবাদ সম্মেলনে। তবে চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার গুঞ্জনের মাঝে সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল ইসলাম আসায় প্রশ্ন জেগেছেটাইগারদের লাল বলের ক্রিকেটের পরবর্তী অধিনায়ক কী তিনি হচ্ছেন। তাইজুলের ভাষ্যে, নেতৃত্ব নিতে প্রস্তত তিনি।

চট্টগ্রাম টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে টেস্টের অধিনায়ক হতে চান কি না ভবিষ্যতে, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি তার ১০ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার বলেন, যেহেতু ১০ বছর খেলেছি, পুরোটাই তৈরি।

শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি এখনও শুনিনি, এটা আমার পার্টও না। এ বিষয়ে সঠিক জানি না। ক্যাপ্টেন কে হবেএ রকম টিম মিটিং কখনই হয়নি। আমি জানিই না ভাই এ বিষয়ে।

সিরিজের মাঝে অধিনায়ক ছাড়ার ইস্যু খেলার মধ্যে প্রভাব ফেলে নাকি। গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নে ৩২ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার বলেন, এটা টিম গেম। টিম কী করে ভালো থাকবে এটাই ইম্পরট্যান্ট। প্রভাব হয়তো কেউ কেউ নিতে পারে, কেউ কেউ নির্ভার থেকে নিজের কাজ করে যেতে পারে। আমি সব সময় নির্ভার থেকে নিজের কাজ করার চেষ্টা করি।

দলে এসব যখন ঘটে জানি না কে কীভাবে নেয়, সবার মানসিকতা একরকম না। প্রশ্নটা গভীর, এটার উত্তর আসলে আমার কাছে নেই, এটাই সত্যি। ম্যানেজমেন্ট বা বোর্ডের মিটিংয়ে আমি বা খেলোয়াড়রা থাকে না। কোচ ক্যাপ্টেন কে হচ্ছেএটা আসলে আমাদের পার্ট না।

সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে ১০ বছরের ক্রিকেটের জীবনের অভিজ্ঞতা দলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, আমার কাছ থেকে আপনি কতটা নিচ্ছেন এটা গুরুত্বপূর্ণ। হোক টিমমেট বা দেশের জনগণ। মাঠে যখন বিভিন্ন পরিস্থিতি আসে, ফিল্ড পজিশন বা ব্যাটারকে সেটআপ এগুলো মাঝে মাঝে আমি বলে থাকি। ক্যাপ্টেনও জিজ্ঞেস করে। আমি চেষ্টা করি ভূমিকা রাখার।


আরও খবর



মার্চে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১১.৪৪ শতাংশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ আয় করেছে ৪.২৫ বিলিয়ন বা ৪২৫ কোটি ডলার, যা আগের বছরের মার্চের চেয়ে ১১.৪৪ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালের মার্চে পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৩.৮১ বিলিয়ন বা ৩৮১ কোটি ডলার।৭ এপ্রিল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বাংলাদেশ রপ্তানি খাতে প্রশংসনীয় উন্নতি করেছে। মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৭.১৯ বিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ের ৩৩.৬১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১০.৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি।

বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের প্রধান ভিত্তি হিসেবে পরিচিত তৈরি পোশাক খাত (আরএমজি) পূর্বের মতোই শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৮৪ শতাংশ বেশি।

শুধু মার্চ মাসেই এই খাতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩.৪৫ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের মার্চে ছিল ৩.০৭ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে ১২.৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।


আরও খবর



পাচারের ২৫ বিলিয়ন ডলার ফেরাতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল অর্থ দেশে ফেরত আনতে ব্যাপক প্রচেষ্টা জারি রেখেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার তীব্র বিক্ষোভের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। হাসিনার আমলে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক অভিজাতদের বিদেশে পাচার করা বিপুল সম্পদ অনুসন্ধানে অভিযান শুরু করেছেন ড. আহসান এইচ মনসুর।

‘বাংলাদেশ আপ এগেইনস্ট টাইম টু ফাইন্ড স্টোলেন বিলিয়নস: সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অনলাইন আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটির ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিটকে (আই-ইউনিট) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে আহসান মনসুর বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল অর্থ দেশে ফেরত আনার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন।

বাংলাদেশের ১১টি প্রভাবশালী পরিবারকে টার্গেট করে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করে আল জাজিরা বলছে, প্রভাবশালী এসব পরিবারের বিরুদ্ধে গত এক দশক ধরে বৃটেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে কোটি কোটি ডলার পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। যাদের সম্পদের সন্ধানে ১১টি বিশেষজ্ঞ দলও গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রশ্নবিদ্ধ এ সম্পদের পরিমাণ আঁতকে ওঠার মতো। ১১টি পরিবারের মধ্যে একটির বিরুদ্ধেই ১৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে একটি ব্যাংক থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ আমানতই তুলে নিয়ে গেছে তারা। ফলত ব্যাংকটি প্রায় ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।

আহসান মনসুর, আইএমএফ-এর সাবেক অর্থনীতিবিদ। পাচারকৃত অর্থ দ্রুত উদ্ধার করা নিয়ে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন। কেননা, দ্রুত সন্ধান না পেলে বেশিরভাগ অর্থ হাওয়া হয়ে যেতে পারে।

আল জাজিরাকে তিনি বলেছেন, আমরা জানি সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, সম্পদের পরিমাণ কমে যেতে পারে। আহসান মনসুরের সন্ধান কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ব্রিটেন। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া আনুমানিক ২৫ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ উদ্ধার এবং জব্দ করার জন্য ইতোমধ্যেই ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কমনওয়েলথ দফতর এবং লন্ডনের আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশ।

আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, উল্লিখিত পরিবারগুলোর অনেকেরই এখানে বহু সম্পদ রয়েছে, বিশেষ করে লন্ডনে।

তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো আমরা এই সচেতনতা তৈরি করতে চাই যে, বিশ্ব থেকে চুরি হওয়া সম্পদের প্রিয় হচ্ছে ব্রিটেন। আর বাংলাদেশ সেই দেশগুলোর মধ্যে একটি যেখান থেকে এখানে প্রচুর চুরি হওয়া সম্পদ এসেছে।

এর আগে আল জাজিরার আই-ইউনিটের এক খবরে প্রকাশ করা হয়েছে যে, হাসিনার সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর একারই লন্ডন এবং দুবাইতে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থের সম্পদ রয়েছে। আই-ইউনিটের ওই খবরটি গত বছর প্রকাশ করা হয়। ব্রিটেনে সাইফুজ্জামান এবং তার পরিবারের ৩৬০টির বেশি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই লন্ডনে। বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোমধ্যেই সাইফুজ্জামানের ৪০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে এবং তাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর সাইফুজ্জামানের বিদেশে থাকা সম্পত্তি দ্রুত জব্দ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যেন সেগুলো বিক্রি করতে না পারে।

যদিও সাইফুজ্জামানের দাবি হচ্ছে আগের সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ‘ডাইনি হান্ট’ শুরু করা হয়েছে। তার সম্পদ বৈধভাবে উপার্জন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক যখন এসব সম্পদ জব্দ করার দিকে মনোনিবেশ করেছে তখন আহসান মনসুর চাচ্ছেন, ব্রিটেন এবং অন্যান্য জায়গায় এসব অভিজাত পরিবারের কোটি কোটি ডলার পাচারে সহায়তাকারী আইনজীবী, ব্যাংকার এবং এস্টেট এজেন্টদেরও তদন্তের আওতায় আনা হোক।

মনসুর বলেছেন, আইন লঙ্ঘন করে অপরাধীদের পুনর্বাসনে সহায়তা করছে এমন এজেন্ট বা ব্যাংক অপারেটর সংখ্যা অনেক। এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

গভর্নর জানিয়েছেন, পাচারকৃত অর্থের নিয়ন্ত্রণ পেতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তিনি স্বীকার করেছেন যে, কর্তৃপক্ষের কাজের মাত্রা এবং জটিলতা নিয়ে লড়াই করার কারণে অর্থ উদ্ধার কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে। তবে বৃটেন সরকার এক্ষেত্রে সহায়তা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এসব অপরাধী চক্রের মূল হোতার বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য বিদেশে অর্থ পাচারে সহায়তাকারীদের সঙ্গে দর কষাকষি করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এমনকি হারিয়ে যাওয়া অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরিকল্পনাও রয়েছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তনের পর পাচারকৃত কোটি কোটি ডলার উদ্ধারের কার্যক্রম পরিচালনা জটিল হয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) তহবিল স্থগিত করে দেওয়ার ফলে বাংলাদেশে যে তদন্তকারী সংস্থা কাজ শুরু করার কথা ছিল তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের পূর্ণ শক্তিতে ঢাকায় থাকার কথা ছিল। তাদেরকে ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়েছে। তবে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আর আসতে পারেনি। যা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।


আরও খবর



আমরা কখনোই বলিনি নির্বাচনের পরে সংস্কার

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বলেছি নির্বাচনের জন্য একটি সুষ্ঠু অবাধ মিনিমাম যে সংস্কারগুলো করা দরকার সেগুলো করতে হবে। আমরা কখনোই বলিনি আগে নির্বাচন পরে সংস্কার। এটা ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আমরা বলেছি নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ন্যূনতম যে সংস্কার করা দরকার সেটা করতে হবে। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে টার্গেট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আওমী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, জাকের পার্টিসহ সব রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক জনগণের সঙ্গে। আর যারা এসেছেন সংস্কারের জন্য তারা জ্ঞানী মানুষ, পন্ডিত লোক, বিশাল ডিগ্রিধারী। তাদেরকে আমরা শ্রদ্ধা ও সম্মান করি কিন্তু তারা যদি জনগণের বাইরে গিয়ে কিছু করে আমরা সেটিকে সমর্থন করতে পারব না।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য। এই যে আমরা ভয়ে থাকি রাজনৈতিক দলগুলো স্বৈরাচার হয়ে ওঠে। তাহলে তো আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে। এখানে স্বৈরাচার হয়ে উঠলে জনগণই তাদেরকে বের করে দেয়। সুতরাং এটার জন্য জনগণের কোনো দোষ নেই। গণতন্ত্র সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা।


আরও খবর



নওগাঁয় গাছকাটা নিয়ে বিরোধে চাচাত দুই ভাইয়ের মৃত্যু, আটক ১০ জন

প্রকাশিত:শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় বিরোধপূর্ন জমি থেকে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দু’ পক্ষের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় দু' জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দু'জন সম্পর্কে চাচাত ভাই। এসংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত পক্ষে আরও ১০ জন।

গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে।

নিহত দু'জন হলেন, ডাঙ্গাপাড়া গ্রাম এলাকার মৃত উছির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫২) ও তার সম্পর্কে চাচাত ভাই একই এলাকার মৃত আফছের আলীর ছেলে আজিজুল রহমান (৪৮)। 

স্থানিয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, ঐ এলাকার সাইফুল ইসলাম ও লালচানের বুধরিয়া এলাকায় পাশাপাশি জমি রয়েছে। সাইফুল ইসলামের বাবা তাদের জায়গাতে গাছ লাগালে জমিজমা মাপজোকে মেহহনি গাছ লালচানদের জমির মধ্যে পড়ে। গাছ সাইফুলের বাবা লাগানোর সুবাদে উভয় পক্ষের সম্মতিতে সাইফুল গত বুধবার মেহগনি গাছ কাটলে এনিয়ে দু' পক্ষের লোকজনের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেইজেরে বৃহস্পতিবার সাইফুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে লালচান তার অংশ বেড়া দিয়ে ঘিরে নিতে বলেন। এসময় সাইফুল ব্যাস্ত আছেন জানালে লালচান, কাশেম হাজীসহ তাদের পক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র লাঠি- হাসুয়া নিয়ে হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই শরিফুল ইসলাম এর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত হোন অন্তত পক্ষে আরো ১০-১১ জন।আহতদের মধ্যে আজিজুল রহমানকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়। সর্বশেষ তথ্যমতে রাজশাহীতে ২ জন ও স্থানিয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কয়েক জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দু' জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান জানান, ঐ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।


আরও খবর



ইরানে ‘বোমা হামলার’ হুমকি ট্রাম্পের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, তেহরান যদি তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সমঝোতায় না আসে, তাহলে দেশটির ওপর বোমা হামলা ও শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তাদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

ট্রাম্প বলছেন, 'তারা যদি চুক্তিতে না আসে, তাহলে বোমা হামলা হবে। তবে একটা সম্ভাবনা আছে যে, যদি তারা চুক্তি না করে, তাহলে আমি তাদের ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করব, যেমনটা চার বছর আগে করেছিলাম।'

এর আগে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ২০১৮ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন। ওই চুক্তির আওতায় ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি বাতিল করার পর ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয়, ফলে দেশটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম আরও বাড়ায়।

তেহরান এখন পর্যন্ত কোনো সমঝোতায় রাজি হয়নি। ইরানের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাঠানো এক চিঠির জবাব দেওয়া হয়েছে, যা ওমানের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। চিঠিতে ট্রাম্প নতুন একটি পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

পশ্চিমা দেশগুলো ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির গোপন পরিকল্পনার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। তারা বলছে, দেশটি যে মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, তা বেসামরিক পারমাণবিক শক্তির প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি।

তবে ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং কেবল জ্বালানি উৎপাদনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।


আরও খবর