Logo
শিরোনাম

ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুল রাহমান বলেছেন, ‘আলেম ওলামা ও ইসলামী দলগুলোর মাথার উপর কেউ যেন কাঠাল ভাঙ্গতে না পারে এ জন্য ঐক্যের বিকল্প নাই। সব ইসলামী দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না।’  আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মজলিসের দ্বাদশ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

জামায়াতে আমির আরও বলেন, ‘সামনের বাংলাদেশ চলবে চব্বিশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া তরুণদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী। নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল থাকবে ঐক্যবদ্ধ।’   জামায়াতে ইসলাম ছাড়াও খেলাফত মজলিসের সাধারণ পরিষদের দ্বাদশ অধিবেশনে অংশ নেন বিএনপি, জামায়াত, এবিপার্টি, ইসলামি আন্দোলনসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা।   সকাল ৯টার মধ্যেই অধিবেশন স্থলে সারাদেশ থেকে আগত কয়েক হাজার খেলাফত মজলিস ও অন্যান্য দলের প্রতিনিধিরা সমবেত হন। অধিবেশন উদ্বোধন করেন খেলাফত মজলিসের উপদেষ্টা ও সাবেক আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক। সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের মুহতারাম আমির, মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।


আরও খবর

চলতি বছরই হতে পারে নির্বাচন

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সাত হাজার অভিবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই বলে রেখেছিলেন, দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসে এসেই তিনি অবৈধ অভিবাসী তাড়ানো শুরু করবেন। আদতে তিনি করছেনও তাই।

গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ৭ হাজার ২৬০ জন নথিবিহীন অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন ও কাস্টমসবিষয়ক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।

এদের মধ্যে ৫ হাজার ৭৬৩ জনকে কারাগারে রাখা হয়েছে। শিগগিরই তাদের নিজ নিজ দেশ কিংবা কিউবার গুয়ান্তানামো কারাগারে পাঠানো হবে। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আইসিই।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউইয়র্ক সিটি, ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যের শিকাগো এবং ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এই নথিবিহীন অভিবাসীদের।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই ধর্ষণ, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতি যৌন সহিংসতা, বন্দুক ও মাদকসংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বলে শনিবারের এক্সবার্তায় জানিয়েছে আইসিই।


আরও খবর

টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বেড়েছে শীতের তীব্রতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চগড়ে ফের ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নেমেছে। তাপমাত্রার এ ওঠানামায় বেড়েছে শীতজনিত রোগ। শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় জ্বর, সর্দি, কাঁশিসহ শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ঘরে ঘরেই আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা শতকরা ৯৯ ভাগ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ।

জানা যায়, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতোই হালকা কুয়াশা ভেদ করে রোদ উঠেছে। শীতের কারণে আয় রোজগার কমেছে নিম্নআয়ের মানুষদের। ঠিকমতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন, তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। এই মেঘলা দিনে রয়েছে কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস। আবার রোদ উঠলেও সকালে কনকনে শীত হাড় কাঁপাচ্ছে। এমন শীতে পরিবারের কেউ না কেউ জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

এ বিষয়ে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ বলেন, দুদিন তাপমাত্রা বাড়ার পর আজকে আবার তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রির ঘরে এসেছে। এ তাপমাত্রায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। গতকাল সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় মাছ আহরণ দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর সাপাহারে ব্র্যাক এডাপটেশন ক্লিনিক এর জলবায়ু অভিযোজিত মাছ চাষ কর্মসূচির অধীনে 'মাছ আহরণ দিবস' অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার ৮ জানুয়ারি সকাল সাডরে ৯টায় কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণকারী মহজিদ পাড়া গ্রামের মৎস্যচাষী আব্দুর রহমানের পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরার মাধ্যমে এই মৎস আহরণ দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

পরবর্তীতে মহজিদ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণকারী সকল মৎস্যচাষীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রোগ্রাম হেড জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি তৈসিফ আহমেদ কোরেশী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফাতেমা তুজ-জোহরা।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এডাপটেশন ক্লিনিক এরিয়া ম্যানেজার ডাঃ মোঃ জিল্লুর রহমান, সেক্টর স্পেশালিষ্ট কৃষিবিদ মোঃ মহিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক প্রধান শিক্ষক মহজিদ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নওগাঁর সাপাহার উপজেলা বরেন্দ্র অঞ্চল হওয়ায় অধিক খরা প্রবন। জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষ এই এলাকার জন্য একটি টেকসই সমাধান হতে পারে এই লক্ষ্যে এডাপটেশন ক্লিনিক এর সহযোগিতায় প্রাথমিক পর্যায়ে ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি সাইজের পোনা ছাড়া হয়েছিল যা মাত্র ৪ মাসেই বাজারজাত করা সম্ভব হয়েছে। এর সাফল্য হিসেবে ৪০,০০০ হাজার টাকার পোনা মাছে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছে মাছচাষীগণ।


আরও খবর



বাজারে চালের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। নিজস্ব মজুদেও ঘাটতি নেই। স্থানীয় উৎপাদনেও ঘাটতি নেই। আমরা আমনের ভরা মৌসুম পার করছি। ঠিক এই মুহূর্তে বাজারে এই দামের কোনো যৌক্তিক কারণ আমরা দেখছি না। এটার কারণ আমরা খোঁজার চেষ্টা করছি, বোঝার চেষ্টা করছি। আমাদের কাছে এটা অযৌক্তিক মনে হচ্ছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে দাম নেমে আসবে।

বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বেগুনবাড়ি দীপিকার মোড়ে দেশব্যাপী স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বশিরউদ্দীন বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে বিশেষ করে নাজিরসাইল ও মিনিকেট, এই দুইটা চালের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা লেভেলে যে ধরনের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তার থেকে পাইকারি লেভেলে দামের বৃদ্ধিটা অনেক বেশি।

তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে যে আমদানিকে উদারীকরণ করতে পারি। আলুর ক্ষেত্রেও আমরা উদারীকরণ করেছি। আলুর দাম ব্যাপকভাবে নেমে এসেছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, সাময়িক মজুদদারীর ঘটনা ঘটছে। বাণিজ্য উদারীকরণের জন্য গতকাল আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ টিসিবির চেয়ারম্যানাকে নিয়ে বসেছি। বাজারের সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার জন্য আপাতত আমদানিকেন্দ্রীক ব্যবস্থা নিচ্ছি। ব্যাপক আমদানি প্রস্তুতি চলছে। আমদানি ব্যাপকতার ফলে স্থানীয় বাজারে দামের হ্রাস ঘটবে। যারা মজুদ করছেন তারা ভোক্তাদের কষ্টের সাময়িক মুনাফা করছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টিসিবির চেয়রাম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবালসহ টিসিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো দু-তিন মাস লাগবে

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সাত দিনের মধ্যে দুইবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দেশ। আর গত ৯০ দিনে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও তীব্র মাত্রার ৫০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। গত ১৫ বছরে ১৫০টির বেশি ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।

বিশ্বে ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় আছে ঢাকা। বাংলাদেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবুও কোনো সরকারই এ দুর্যোগে ক্ষতি কমাতে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট-বড় মাত্রার এসব ভূমিকম্প সামনের বড় মাত্রার ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছে। আর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের চেয়ে সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

এদিকে গত ৭ জানুয়ারি রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে তিব্বতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই ভূমিকম্পে তিব্বতের পাশাপাশি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতও কেঁপে ওঠে। প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনে অবস্থানের কারণে প্রায়ই এই অঞ্চল কম্পিত হচ্ছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ভূকম্পনের সক্রিয় এলাকায় অবস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছোটোখাটো কম্পন দেশটিতে আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা নির্দেশ করে। এ ছাড়াও দুর্যোগ সূচকে বিশ্বের ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকা। সবশেষ বাংলাদেশে বড় ধরণের ভূমিকম্প হয়েছে ১৯১৮ সাল। এর কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশের মধ্যে এবং যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আতঙ্কেই মারা যান ছয়জন। গত ৭৫ বছরে বাংলাদেশে বড় ধরনের কোনো ভূমিকম্প হয়নি, ফলে শিগগিরই একটি বড় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত ও মিয়ানমার টেকটোনিক প্লেট গেছে। গত শত শত বছর এসব প্লেটে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। ফলে এই প্লেটে সঞ্চিত হয়েছে দীর্ঘদিনের শক্তি। হঠাৎই এটি ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। আর এ মাত্রার ভূমিকম্প হলে লাখ লাখ প্রাণহানির সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে ঢাকা। বুয়েট ও সরকারের একটি যৌথ সমীক্ষায় দেখা যায়, সাড়ে সাত মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকার ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে। যেখানে তৈরি হবে সাত কোটি টন কংক্রিটের স্তূপ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেন্ট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘৭ মাত্রার ভূমিকম্প যদি সীমান্ত এলাকায় হয় তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে। ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে কারণ ঢাকার ভবনগুলো বেশিরভাগ ঝুঁকিপূর্ণ।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘আমাদের দেশের আশপাশ দিয়ে তিনটি টেকটোনিক প্লেট গেছে। যেগুলোর সংযোগস্থল সীমান্তের আশপাশে। আমাদের অবস্থান ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটে, আমাদের উত্তরে হিমালয় পড়েছে ইউরেশিয়ান প্লেটে আর আমাদের পূর্বে হচ্ছে মিয়ানমার মাইক্রো প্লেট। সবগুরো প্লেটই আমাদের কানেক্টেড এবং সক্রিয়। এগুলোর মুভমেন্ট আছে। প্লেটগুলো প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার মুভমেন্ট করে। অর্থাৎ, আমার প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মুভমেন্ট করছি। একইভাবে পুরো পৃথিবীও মুভ করছে।’

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছে শুধু ইক্যুইপমেন্টস আছে। শুধু ইক্যুইপমেন্টস দিয়ে হবে না। কারণ, ভবন মেরামত না করলে ভবন চাপা পড়ে মানুষ মারা যাবেই। এছাড়া গ্যাস-বিদ্যুতের অপরিকল্পিত লাইন ঢাকা শহরে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫