Logo
শিরোনাম

অলিগলিতে টহল বাড়ানো হবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বললেন, অপরাধ প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা জোরদার করতে মহানগরীর অলিতে-গলিতে মোটরসাইকেল টহল আরও বাড়ানো হবে।

রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ফেব্রুয়ারি (২০২৫) মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমজানের শুরুতে ছিনতাইয়ের গতি বৃদ্ধি পেলেও পুলিশি তৎপরতায় তা অনেকাংশে কমে এসেছে। তিনি পুলিশের সফলতা ধরে রাখতে আরও আন্তরিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানান এবং বলেন, "সহায়ক পুলিশরাও পুলিশের মতো গ্রেফতার ক্ষমতা প্রয়োগ করবে, থানাগুলো তাদের সহায়তা করবে।"

নগরীর নিরাপত্তা জোরদার নিয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, জিডি এন্ট্রির এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ রেসপন্স করবে এবং ঘটনাস্থলের ফ্ল্যাশ রিপোর্ট প্রদান করবে। মহানগরীর অলিতে-গলিতে মোটরসাইকেল টহল আরও বাড়ানো হবে। গ্রেফতারি ও সাজা পরোয়ানা কার্যকরে জোর দেওয়া হবে। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে মহানগরবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।

ঈদকে কেন্দ্র করে বিশেষ সতর্কতা

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ছিনতাইকারী গ্রেফতার হওয়ায় মহানগরীর ছিনতাই পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, "ছিনতাইকারীদের কোনও নির্দিষ্ট পেশা নেই, তাই তারা ঈদকে কেন্দ্র করে অপরাধে জড়াতে পারে। বিশেষ করে গাবতলী ও মহাখালী এলাকায় ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বাড়তে পারে, এ বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক থাকতে হবে।"

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, "ঈদের সময় অনেক বাসা ও মার্কেট খালি থাকবে, বিশেষ করে স্বর্ণের দোকানগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। রাত্রিকালীন টহল বাড়িয়ে চুরির ঘটনা প্রতিরোধ করতে হবে।"

অস্থিরতা ঠেকাতে পুলিশের প্রস্তুতি

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম বলেন, বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে কিছু গোষ্ঠী রাস্তায় নেমে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, পুলিশকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

ডিএমপির অপরাধ পর্যালোচনা

সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন, যেখানে ডাকাতি, চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, উপ-পুলিশ কমিশনাররা, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনাররা, সহকারী পুলিশ কমিশনাররা ও সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি)।

ডিএমপি কমিশনার সকল কর্মকর্তাকে ঈদকে ঘিরে নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন এবং নগরবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল চীন

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চীনের পণ্যের উপর ১০৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যা কার্যকর হয়েছে বুধবার (৯ এপ্রিল)। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের উপর শুল্কহার বাড়িয়েছে চীন। এবার মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে দেশটি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে। জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা সমস্ত পণ্যের উপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেছে।

ট্রাম্পের নতুন শুল্ক কার্যকরের পর ইউরোপীয় শেয়ারবাজারগুলো নিম্নমুখী ছিল, এখন মার্কিন আমদানিতে চীনের ৮৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার পরে তা আরও হ্রাস পেয়েছে। ইউকে তালিকাভুক্ত বৃহত্তম সংস্থাগুলোর এফটিএসই ১০০ সূচক আজ পর্যন্ত ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। এছাড়া জার্মান, ফ্রান্সের সুচকও নেমে গেছে।

এর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল ‘মুক্তির দিন’ হিসাবে আখ্যা দিয়ে চীনের পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর আরোপিত ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্কের অংশ হিসাবেই চীনের ওপর-ও তখন ওই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু এর আগে গত মার্চেও চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে চীন। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। চীনের এমন শুল্ক আরোপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ট্রাম্প।

চীনের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। তিনি ঘোষণা করেন, যদি চীন ৮ এপ্রিলের মধ্যে মার্কিন পণ্যের ওপর থেকে ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তবে ৯ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরও অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।

অবশেষে, চীনের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার ফলে ট্রাম্প ৯ এপ্রিল থেকে ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পোস্টে এই পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন এবং চীনকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শোষক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন অনেক লাভবান হচ্ছে, যা আগে চীনসহ অন্যান্য দেশগুলো থেকে শোষণ করা হতো। তেল, সুদের হার ও খাদ্যের দাম কমার পাশাপাশি কোনো ধরনের মূল্যস্ফীতি না থাকার বিষয়টিও ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন।

এবার চীনের পাল্টা শুল্ক আরোপ বাণিজ্যযুদ্ধকে আরও গভীর করে তুলতে পারে। এই লড়াই দুটি দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, কারণ দুটি দেশই একে অপরের প্রধান বাণিজ্যিক সঙ্গী।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানা চালু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতরে বেশ বড় ছুটি পেয়েছেন দেশের পোশাক শ্রমিকরাও। ঈদের আগে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন-বোনাস নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও ঈদ কাটিয়ে তারা ফিরেছেন কর্মস্থলে। ছুটি শেষে দেশের তৈরি পোশাক খাতের কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়েছে। দেশের ৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানা ঈদের ছুটি শেষে চালু হয়েছে।

বিজিএমইএ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী, সংগঠনভুক্ত ২ হাজার ১০৪টি সক্রিয় কারখানার মধ্যে ২ হাজার ৯২টি কারখানা চালু রয়েছে। ঈদের ছুটিতে রয়েছে মাত্র ১২টি, যা মোট কারখানার মাত্র ০.৫৭ শতাংশ।

অঞ্চলভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় ৮৫৪টি কারখানার মধ্যে ৮৫১টি খোলা রয়েছে; সাভার-আশুলিয়া ও জিরানী এলাকায় ৪০৩টির মধ্যে ৩৯৯টি খোলা; নারায়ণগঞ্জে ১৮৮টির মধ্যে ১৮৬টি এবং ডিএমপি এলাকায় ৩২১টির মধ্যে ৩২০টি চালু রয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩৩৮টি কারখানার মধ্যে ৩৩৬টি খোলা রয়েছে।

খোলা কারখানার অনুপাতে শতকরা হারে গড় হিসেবে ৯৯ শতাংশের বেশি কারখানা চালু রয়েছে। সবচেয়ে বেশি খোলা রয়েছে ডিএমপি এলাকায় (৯৯.৬৯%), এরপর নারায়ণগঞ্জ (৯৮.৯৪%), চট্টগ্রাম ও গাজীপুর-ময়মনসিংহ (৮৮.৮%) এবং সাভার-আশুলিয়া (৮৮%)।


আরও খবর



অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে রোহিঙ্গা শিশুরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা মানুষের মধ্যে ৫২ শতাংশই শিশু। আর এদের মধ্যে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীর সংখ্যা বেশি। আর প্রতিবছর ক্যাম্পে প্রায় ৩০ হাজার শিশুর জন্ম হয়। শিশুদের অভিভাবকরা বলছেন বাংলাদেশে জন্ম নিলেও তাদের সন্তান মিয়ানমারের নাগরিক। তারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব ফেরত দেবার দাবি জানান।

২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে কক্সবাজার আসেন মোহাম্মদুর রহমান। ছোট্ট একটি ঘরে পরিবারের ৫ জনকে নিয়ে থাকেন। কক্সবাজারেই জন্ম হয়, তিন শিশুর। কিন্তু তাদের নেই কোনো নাগরিকত্ব। ১৯৮২ সালে মিয়ানমার এক আইনের মাধ্যমে ১৩৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব না দিয়ে করে রাষ্ট্রহীন।

মোহাম্মদুর রহমান বলেন, আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা এখন ৫ জন। আমার তিন সন্তানের জন্ম বাংলাদেশে। আমার বাচ্চারা কোনো দেশেরই নাগরিক না।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বলছে, ২০১৭ সালের পর থেকে ১০ লাখ ৩ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে। এরমধ্যে শিশু ৫২ শতাংশ ও প্রাপ্ত বয়স্ক ৪৪ শতাংশ। শিশুদের মধ্যে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীর সংখ্যা বেশি। শরণার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশন জানায়, প্রতিবছর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার শিশুর।

ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা বলছেন, তাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব ফেরত দেয়া হোক। এমনকি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা একাধিক শিশুর বলছে তারা নিজের দেশে ফিরে যেতে চায়। অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছে, সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবার কোন সুযোগ নেই বলেও মত গুতেরেসের ।


আরও খবর



উখিয়ায় পাহাড়ের মাটি পাচার! দুই রেঞ্জের যৌথ অভিযানে ড্রাম ট্রাক জব্দ

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ ও ইনানী রেঞ্জের যৌথ অভিযানে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে বন-বিভাগ।

গতকাল রবিবার(১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে রত্নাপালং এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

বন বিভাগ জানান, "উখিয়া রেঞ্জ ও ইনানী রেঞ্জের যৌথ টহলে রাত পৌনে তিনটার দিকে রত্নাপালং ঝাউতলা এলাকায় একটি ডাম্পারের দেখা মেলে। পাহাড়ের মাটি পাচারকালে ধাওয়া করলে পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ডাম্পারটি রেখে পালিয়ে যান চালক। পরে সেখান থেকে ডাম্পারটি জব্দ করে উখিয়া রেঞ্জ কার্যালয় হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে।"


অভিযানে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা( সহকারী বন সংরক্ষক) মো. শাহিনুর ইসলাম, ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফিরোজ আল আমিন, ভালুকিয়া বিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান,ইনানী সদর বিট কর্মকর্তা কামরুল হাসান পাটোয়ারী, দোছড়ি বিট কর্মকর্তা ইমদাদুল হাসান ও জালিয়াপালং বিট কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান সহ স্টাফবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় একটি সুত্র জানান, পাহাড়ি মাটি গুলো উপজেলার রাজা পালং ইউনিয়নের তুতর বিল এলাকার মৃত নাছির উদ্দিনের পুত্র আবদুল হাকিম (৩৫) এর মালিকানাধীন ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে উপজেলার রাজা পালং তুতর বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে মকবুল মিস্ত্রীর পুত্র আবুল হাশেম (৪০) দখলীয় বন বিভাগের পাড় থেকে এখন স্কুলের পূর্ব পাশে ( ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি) মৃত ছৈয়দ আলম মেম্বারের পুত্র নুরুল আলম (৬৫) দখলিয় ভিটে থেকে স্কুলের উত্তর পাশে চলাচলের উত্তর পাশের মৃত খুইল্যা মিয়ার পুত্র ছৈয়দ আলম মিস্ত্রী (৫০) ও নুরুল আলম (৩৫) এখই এলাকার নজির আহম্মদের পুত্র আলী হোছন (৪৫) এই চারটি স্থান থেকে নিয়মিত পাহাড় কেটে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বন বিভাগের জায়গার মাটি মাটি গুলো পাচার করছে। 


আরও খবর



লাখো ভক্ত জনতার অংশগ্রহণে শেষ হল বাবাভাণ্ডারীর ৮৯তম ওরশ শরীফ

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সৃষ্টির কল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেয়াই হচ্ছে হযরত বাবাভাণ্ডারী’র জীবন দর্শন’

-বাবাভাণ্ডারী’র প্রপৌত্র ও বিএসপি চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী :

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান ও বাবাভান্ডারীর প্রপৌত্র রাহবারে শরিয়ত ও ত্বরিকত হজরত শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা, পরকল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া ও মানুষের সেবায় সর্বদা প্রস্তুত থাকাই হচ্ছে হজরত বাবা ভাণ্ডারীর জীবন দর্শন। তিন দিনব্যাপী ওরশ শরীফের সমাপনী দিবসে শনিবার (০৫ এপ্রিল) আন্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজ ভাণ্ডারীয়াসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া শরিফ, রওজায় গিলাফ চড়ানো, ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প, রক্তদান, ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়, মাদকের বিরুদ্ধে গণসচেতনার লক্ষ্যে র‍্যালিসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা লাখো ভক্ত-জনতার অংশগ্রহণে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ত্বরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার পূর্ণতাদানকারী হযরত গাউছুল আজম শাহ্সুফি মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভাণ্ডারীর (ক.) ৮৯ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ মহাসমারোহ উদযাপিত হয়েছে। রাতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত আশেকানদের উদ্দেশে বিশেষ নসিহত ও বিশ্বশান্তি, নিপীড়িত মানবতার মুক্তি এবং দেশবাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের সাজ্জাদানশীন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান, বাবাভান্ডারীর প্রপৌত্র রাহবারে শরিয়ত ও ত্বরীকত হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (মাজিআ)। তিনি বলেন, আল্লাহ পাকের মহান ওলীগণ মানুষকে ইসলামের সহজ-সরল সঠিক পথই দেখান। আল্লাহ পাকের সেরা সৃষ্টি মানুষ। আর মানুষের সেবা ও কল্যাণ করাই সবচেয়ে বড় ইবাদত। মানুষের প্রতি দরদী ও কর্তব্যনিষ্ঠ হয়ে হযরত বাবাভাণ্ডারী (ক.) আল্লাহ পাকের যোগ্য প্রতিনিধিত্বের দায়িত্বই পালন করেন। তিনি ছিলেন মহান আল্লাহর রহমান নামের গুণাবলীর উজ্জ্বল প্রতীক। মানুষের সেবার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথই দেখিয়েছেন তিনি। সৃষ্টির প্রতি ভালবাসা, পরকল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেয়া ও মানুষের সেবায় সর্বদা প্রস্তুত থাকাই হচ্ছে হযরত বাবাভাণ্ডারীর জীবন দর্শন। তিনি আরো বলেন, আত্মকেন্দ্রিকতা, স্বার্থান্ধতা ও ভোগল্পিসাই আজ পৃথিবীতে যতো অশান্তি-হানাহানির মূল কারণ। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে ত্যাগের পথ ধরতে হবে।

গণকল্যাণে নিজেদের ব্যাপৃত রাখতে হবে। এটাই হচ্ছে বাবা ভাণ্ডারীর শিক্ষা। হজরত গাউছুল আজম বাবা ভান্ডারী (ক.) আর্তমানবতা ও গণকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রেখে অবিস্মরণীয় কর্মকীর্তির স্বাক্ষর রেখে পৃথিবীতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন বলে হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মাজিআ) উল্লেখ করেন। ওরশ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন- মইনীয়া যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা শাহজাদা সৈয়দ মেহবুব এ মইনুদ্দীন আল হাসানী, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শাহজাদা সৈয়দ মাশুক এ মইনুদ্দীন আল হাসানী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজ ভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব খলিফা অ্যাডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজ ভাণ্ডারীয়ার মহাসচিব আলহাজ মোহাম্মদ আলমগীর খান মাইজ ভাণ্ডারী, বিএসপির ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, মাওলানা মুফতি বাকিবিল্লাহ আজহারী, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ কেরামত আলী মাইজভাণ্ডারী, আনজুমান চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি খলিফা আলহাজ বোরহান উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক খলিফা কাজী মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।


আরও খবর