Logo
শিরোনাম

অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে বড় বিদ্রোহ হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বললেন, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে বড় ধরনের বিদ্রোহ হবে।

তিনি বলেছেন, দাতা সংস্থারা আমাদের যা বোঝান, আমরা সেটাকেই মেনে নিই। এভাবে অপচয় কতদিন চলতে পারে? এর পরিণতি আমরা সবাই জানি। এবার যদি সরকার ব্যর্থ হয়, তাহলে আরও বড় বিদ্রোহ হবে। অনেকে মনে করে, এটা (গণবিদ্রোহ) ‘ওয়ান টাইম এপিসোড’। আসলে তা নয়।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে এইচআর কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। ‘ফেডারেশন অব বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্স অর্গানাইজেশন (এফবিএইসআরও)’ এর আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, পাবলিক সেক্টরে দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য আমরা সাধারণত রাজনীতিবিদদের দোষ দিয়ে থাকি। কিন্তু তারা কাদের সহায়তায় করে? ব্যাংকগুলো যে ফাঁকা করেছে, এগুলো কি রাজনীতিবিদরা ভল্ট খুলে নিয়ে গেছে? এগুলোর সহযোগী কারা? এটা একটা গভীর সংকট।

ফাওজুল কবির বলেন, খুলনার রূপসায় আট হাজার কোটি টাকা খরচ করে একটা বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো গ্যাস নেই। পদ্মা রেল ব্রিজে ৪১ হাজার কোটি টাকা খরচ। শেষ মুহূর্তে সেখানে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ কমানো হয়েছে। রাজস্ব দেখলাম, লেখা আছে– বছরে ১৪০০ কোটি টাকা। ৬ মাসে দেখলাম আসছে মাত্র ৩৭ কোটি টাকা! এভাবেই প্রকল্প ‘জাস্টিফাই’ করা হয়েছে। এগুলো অপচয় ছাড়া কিছুই না। এগুলোর দায় শুধু রাজনীতিবিদদের না; এখানে সরকারি কর্মকর্তারাও জড়িত।

সাধারণ চাকরির জন্য বিদেশ থেকে লোক নিয়োগ দেওয়া হবে না জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি ও অভিজ্ঞদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশের সব সেক্টরে হিউম্যান রিসোর্স কম রয়েছে। তাই বিদেশিদের শুধু বড় পদের জন্য বিবেচনা করা হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহাবুবুল ইসলাম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ অব বাংলাদেশের (এপিইউবি) চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




তিব্বতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ৫৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

চীনের তিব্বতের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ভূমিকম্পে বহু বাড়িঘর ধসে পড়েছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এই ভূমিকম্পের ফলে আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে এবং এলাকা জুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি ঘটেছিল। চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল ছিল তিব্বতের ডিংরি কাউন্টি, যা নেপাল সীমান্তের কাছে অবস্থিত। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ১ জানালেও সিইএনসি ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে উল্লেখ করেছে।

সিসিটিভি, চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ডিংরি কাউন্টি ও এর আশপাশের এলাকায় শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে এবং এর এপিসেন্টারের কাছের অনেক ভবন ধসে পড়েছে। দুর্ঘটনার পর, এ অঞ্চলে একাধিক আফটার শক (পরাঘাত) অনুভূত হয়, যার মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল ৪ দশমিক ৪ মাত্রার পরাঘাত।

চীনের স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, স্থানীয় প্রশাসন দুর্ঘটনাস্থলে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ৬২ জন। তাছাড়া, ডিংরি কাউন্টি শহরতলিতে আরও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করতে লোক পাঠানো হয়েছে।

ডিংরি কাউন্টি তিব্বত অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু এলাকা, যেখানে প্রায় ৬২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। এটি মাউন্ট এভারেস্টের চীনা অংশে অবস্থিত। তিব্বত অঞ্চলে ভূমিকম্প একটি সাধারণ ঘটনা হলেও, গত ৫ বছরে এই অঞ্চলের ২০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আজকের ভূমিকম্পটি সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল।

এদিকে, নেপালেও ভূমিকম্পটির প্রভাব অনুভূত হয়েছে। কাঠমান্ডু এবং এভারেস্টের নিকটবর্তী লোবুচের এলাকার উচ্চ পর্বতমালায় কম্পন অনুভূত হয়, এবং ভূমিকম্প পরবর্তী আফটার শকও অনুভূত হয়।

তিব্বত ও নেপালে ভূমিকম্পের কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা চলছে। এই ভূমিকম্পকে কেন্দ্র করে আরও তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের কাজ চলছে, এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে। সূত্র: এএফপি


আরও খবর



২০২৫ হবে গুম-খুন ও গণহত্যার বিচারের বছর

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

২০২৫ সালকে গুম, খুন এবং গণহত্যার বিচারের বছর হিসেবে ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এক বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ২০২৫ সাল হবে আওয়ামী লীগ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বছর। বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংগঠিত গুম, খুন এবং জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার এই বছরেই সম্পন্ন হবে।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাজুল ইসলাম আরও বলেন, মূল ভবনে প্রধান বিচারপতির সম্মতির পর বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোর বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। বিশেষ করে— ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তও চলছে।

তিনি আরও জানান, হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে ট্রাইব্যুনাল তার বিচারের কাজ চালিয়ে যাবে।

এছাড়া, ৫ আগস্টের চানখারপুলে পাঁচজনকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবল সুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার ও দুই বিচারপতির নেতৃত্বে শুনানি শেষে ১২ জানুয়ারি সুজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত চাইলেন টিউলিপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক নিজের বিষয়ে মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ড ওয়াচডগে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া একাধিক ফ্ল্যাটে বসবাস করেছেন– এমন অভিযোগ ওঠার পর এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লাউরি ম্যাগনাসের কাছে লেখা এক চিঠিতে টিউলিপ মন্ত্রিত্বের কোনো বিধি লঙ্ঘন করেছেন কি না সে বিষয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

চিঠিতে টিউলিপ লিখেছেন, গত কয়েক সপ্তাহে আমি গণমাধ্যমের বিষয়বস্তু হয়েছি, যার অনেক কিছুই সঠিক নয়। যেখানে আমার আর্থিক ও আমার পরিবারের বাংলাদেশের সাবেক সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উঠে এসেছে।

আমি একদম স্পষ্ট যে আমি কিছু ভুল করিনি। যাইহোক, সন্দেহ এড়ানোর জন্য আমি চাই আপনি স্বাধীনভাবে এগুলো নিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠা করবেন।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে লন্ডনের কিং’স ক্রস এলাকায় অবস্থিত ২ শয্যাকক্ষের একটি ফ্ল্যাট ২০০৪ সালে টিউলিপ সিদ্দিককে আবদুল মোতালিফ নামের এক ডেভেলপার উপহার দিয়েছিলেন বলে জানানো হয়। মোতালিফ বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী এবং টিউলিপের খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা) দিয়ে ২০০১ সালের জানুয়ারিতে ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন আবদুল মোতালিফ। বেশ সস্তাতেই পেয়েছিলেন তিনি, কারণ একই বছর আগস্ট মাসে সেই ফ্ল্যাটটির পার্শ্ববর্তী আরেকটি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা)।

যুক্তরাজ্যের ইলেক্টোরাল রোল ডেটার তথ্য বলছে, ২০০৪ সালে উপহার হিসেবে পাওয়ার পর কিং’স ক্রসের সেই ফ্ল্যাটটিতে কয়েক বছর ছিলেন টিউলিপ। এরপর তার অন্য ভাই-বোনরা ছিলেন আরও বেশ কয়েক বছর। বর্তমানে ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছেন টিউলিপ। সেখান থেকে বাৎসরিক ৯০ হাজার পাউন্ড (১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা) উপার্জন হচ্ছে তার।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ পর্যন্ত লেবার পার্টির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্য শাখার ‘লবিং ইউনিট অ্যান্ড ইলেকশন স্ট্র্যাটেজি টিম’-এ সংশ্লিষ্ট ছিলেন তিনি। তার নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রেও এ সংশ্লিষ্টতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

তবে কোনও নির্বাচনী হলফনামায় ফ্ল্যাটটির বিষয়ে উল্লেখ করেননি টিউলিপ। হলফ নামায় তিনি যুক্তরাজ্যের হাইগেট এবং হ্যাম্পস্টেড এলাকার ফ্ল্যাটের ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন। ৭০ বছর বয়সী আবদুল মোতালিফ বর্তমানে পূর্ব লন্ডনে মুজিবুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে থাকেন। মুজিবুল ইসলাম আওয়ামী লীগের একজন সাবেক এমপির সন্তান।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। মুজিবুল ইসলাম স্বীকার করেছেন, তিনি ফ্ল্যাটটি ২০০১ সালে কিনেছিলেন। কিন্তু আর কোনও তথ্য জানাননি তিনি।

লন্ডনের ভূমি রেজিস্ট্রি রেকর্ডে দেখা যায়, ২০০৪ সালের নভেম্বরে তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটটির একক মালিক হন টিউলিপ সিদ্দিক। আর তখন তিনি কেবল লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছিলেন এবং তার কোনও উপার্জন ছিল না। ফ্ল্যাটটির কোনও মর্টগেজও ছিল না এবং এর কোনও দামও উল্লেখ ছিল না। এর ফলে ফ্ল্যাটটি যে কেনা হয়নি এবং তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল, সেটির প্রমাণ মিলেছে। ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারির এই ঘটনায় যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর পদত্যাগের চাপ জোরাল হয়েছে।

ব্রিটেনের টরি এমপিরা দাবি জানিয়ে বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক যদি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে না পারেন, তাহলে তার মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।


আরও খবর



১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশে চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৮ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৬ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ডলার বা এক হাজার ১৮৪ কো‌টি টাকা। রেমিট্যান্সের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ডিসেম্বরে দেশের প্রবাসী আয় রেকর্ড তিন বিলিয়ন ডলার ছুঁবে বলে প্রত্যাশা খাত সংশ্লিষ্টদের।

১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি ডিসেম্বরের মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৪ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৬ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

৮ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৭৬ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ৬১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

এর আগে, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর স্বাভাবিক হতে শুরু করে পরিস্থিতি। এরই ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

এ ছাড়া, গত সেপ্টেম্বরে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে। অক্টোবরে আসে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। আর সবশেষ নভেম্বরে আসে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।


আরও খবর



উগ্রবাদ নির্মূলে আলেম-ওলামা ও পীর-মাশায়েখগণকে এগিয়ে আসতে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম, কোন ধর্মেই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের স্থান নেই। জঙ্গীরা ইসলামকে দুনিয়ার সামনে এক নিষ্ঠুর ধর্ম হিসেবে উপস্থাপনের ষড়যন্ত্র করছে। চরমপন্থীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মসজিদের ভিতরেও জিহাদ শব্দের ভুল ব্যাখ্যা করে। যারা জঙ্গীবাদ ও উগ্রবাদী কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত তারা নিজেরা ধর্মের অর্থ জানে না, কোরআনের অর্থ জানে না; জানে না জিহাদের অর্থও। অন্ধকারের এই অপশক্তিকে প্রতিরাধ করতে দেশের ধর্মপ্রাণ আলেম-ওলামা ও পীর-মাশায়েখবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সকল ধরণের প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারকেও আনতে হবে সরকারের নজরদারির আওতায়। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে নরসিংদী রায়পুরা আদিয়াবাদ উত্তর, আদিয়াবাদ দরবার শরিফে হযরত শাহসুফি খাজা আব্দুল আউয়াল শাহ্ চিশতী (রহঃ)'র ১৯ তম বার্ষিক ওরস শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। তিনি আরও বলেন, জঙ্গীবাদ আধিপত্যবাদীদের রাজনৈতিক ও প্রভুত্ব কায়েমের হাতিয়ার। জঙ্গিবাদ নির্মূলে প্রতিহিংসা ও একে অপরের উপর আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্ধকারের অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, জঙ্গীবাদী কর্মকান্ড শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বে ঘটছে। বরং বিশ্বে তা বেশি হারেই ঘটছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা, মানবতা বিরোধী শক্তি, প্রকৃত ধার্মিকতার বিরোধিতা, ধর্মীয় উগ্রবাদের প্রভাব ও মাদ্রাসা শিক্ষার একটি অংশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবে দেশে জঙ্গীবাদ প্রসারিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে মাহফিলে আলোচক ছিলেন, মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, হাফেজ মাওলানা মুফতি মাকসুদুর রহমান মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ কেরামত আলী মাইজভাণ্ডারী প্রমুখ। মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারী।


আরও খবর