Logo
শিরোনাম

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা যোগাযোগ উপদেষ্টা জন কিরবি।

বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির দিকে যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছে বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।  হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিনের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রশ্ন করেন এক ভারতীয় সাংবাদিক। তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সারা দেশে বেশ কয়েকটি হিন্দু আমেরিকান দল প্রতিবাদ মিছিল করছে। এই সপ্তাহান্তে হোয়াইট হাউসের বাইরেও বিক্ষোভ হয়েছে। তারা শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের এবং মন্দিরের ওপর হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। প্রেসিডেন্ট (বাইডেন) কি এ বিষয়ে অবগত? জাতিসংঘে তার বন্ধু এবং অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে দেখা করার সময় তিনি কি এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন?

জবাবে জন কিরবি বলেন, আমরা এটি খুব, খুব, খুব ঘনিষ্ঠভাবে দেখছি এবং প্রেসিডেন্টও ঘনিষ্ঠভাবে ঘটনাগুলোর দিকে নজর রাখছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়েছে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের আইন প্রয়োগকারী এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সক্ষমতা বাড়াতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সকল বাংলাদেশি নেতার সাথে যোগাযোগের সময়ও এ বিষয়ে খুব স্পষ্ট ছিলাম যে— ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নেতারা বারবারই ধর্ম বা জাতি নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশিকে নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা তাদেরকে এই কাজে সহায়তা করতে চাই।


আরও খবর

রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে চায়

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত থাকায় যুবদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির রাজাপুরে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত থাকায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক টি হায়দার সজিবকে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে জেলা যুবদল নেতা রমজানুল মোরশেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহবায়ক টি হায়দার সজিব জাতীয় নাগরিক কমিটিতে থাকায় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডের জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ দল থেকে বহিস্কার করা হল। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোন ধরণের অপকর্মের দায় দায়িত্ব দল নিবে না। যুবদলের সকল পর্যায় নেতাকর্মীদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।


জাতীয়তাবাদী যুবদল ঝালকাঠি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ রবিউল হোসেন তুহিন ও সদস্য সচিব মোঃ আনিসুর রহমান খান ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।


এ বিষয়ে সজীবের সাথে কথা বললে তিনি জানান , জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম, এখানে কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ ধারণ করা হয় না।

 এখানে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ কাজ করে। এখানে যুবদলের কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়, এটা একটা সর্বজনীন প্লাটফর্ম। আমি কোন গোষ্ঠীর বা ব্যাক্তির চক্রান্তের স্বীকার। 

তবুও আমি দলীয় সিদ্ধান্তর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করছি।


আরও খবর



আপসোস : না বুঝে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছিলাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০25 | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

মেহেরুন নেসা, সমন্বয়ক কুমিল্লা :

আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জীবনের সবচেয়ে বড় সংগ্রামটি করছিলাম কিছুদিন আগে। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম স্বপ্নপূরণের জন্য শুধুমাত্র তার কঠোর পরিশ্রমই যথেষ্ট নয়, বরং সমাজের পুরনো এক নিয়মকে বদলানোর প্রয়োজন। সেই নিয়ম ছিল কোটা ব্যবস্থা, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য এক অন্যায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

আন্দোলন করেছিলাম চাকরির জন্য, কোটা বাতিলের জন্য। ভেবেছিলাম দেশের বেকার সমস্যা দূর হবে আর মুক্তিযুদ্ধের একপেশী গল্প যেই গল্প বেঁচে আওয়ামী লীগ আমাদের জিম্মি করেছিলো ১৫ বছর তা থেকে মুক্তির আশায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ৬ মাসে দেশে চাকরির বাজারের কোনো অগ্রগতি নেয়। 

৬ মাসে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য সরকারি নিয়োগ পরিক্ষা হয় নি, বড় কোনো নিয়োগ সার্কুলার হয় নি। অনেক আশা নিয়ে দেশ সংস্কারের আশায় আন্দোলনে গিয়েছিলাম। অনেক রিস্ক নিয়ে পরিবারের কথা অবাধ্য হয়ে। সবচেয়ে কষ্ট পেয়েছি সেদিন যেদিন দেখলাম আওয়ামী লীগ বিদায় হওয়ার পর আমাদের লোক গুলোই এক একটা দানবে পরিনত হয়েছে। 

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। দেশে নিয়মের বালাই নেয় যে যেভাবে পারছে দেশটাকে অস্থিতিশীল করে, সুযোগ সুবিধা নিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। আন্দোলনের দিনগুলোতে অনেক স্বপ্ন দেখেছি। গ্রুপে সহযোদ্ধারা, সিনিয়ররা আমাদের যে স্বপ্ন দেখিয়েছে আজ তার ছিটেফোঁটাও লক্ষ্য করছি না।

আমাদের কুমিল্লার গ্রুপে হাসনাত ভাইয়ের নির্দেশনা আমাদের অনেক অনুপ্রাণিত করতো। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা। আর এখন সেই হাসনাত ভাইকেই চিনতে পারি না। ক্ষমতার নেশায় আমাদের সহযোদ্ধারা সব অন্ধ হয়ে গেছে।

সবাই এখন ক্ষমতা চায়, তারা এখন আমাদের বোঝাতে চায় রাজনীতিতে যদি তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত না হয় কাউকেই নাকি আওয়ামী লীগ আর বিএনপি ছাড় দেবে না। আপনারা ত তখন আমাদের রাজনীতির কথা বলেন নি। 

আজ ছয় মাস পার হয়ে যায়, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সংস্কার আসেনি। আমাদের সমস্ত আশা, সমস্ত চেষ্টা, সমস্ত সংগ্রাম আপনাদের ক্ষমতার লোভে নিঃশেষ যাচ্ছে। আপনারা সরকারে আছেন সঙ্গে থেকেও কিছু করতে পারছেন না কেনো?

 তাহলে আওয়ামী লীগের লোকজন এখন যা বলছে তাই কি সঠিক। আপনাদের আন্দোলন ছিলো ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কোনো স্থায়ী পরিবর্তনের জন্য নয়। নয়তো কেনো সেই কাঙ্ক্ষিত *কোটা সংস্কার* কখনোই বাস্তবে রূপ নেয়নি। বলতে দ্বিধা নেই আমদের সংগ্রাম, স্বপ্ন, আত্মত্যাগ কিছুই পরিবর্তন করতে পারেনি।

আমার এক বন্ধু শাহিনুর যে এই আন্দোলনে আমাদের ব্যাচের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছিলো সে দেশের বাইরে চলে গেছে। যাওয়ার আগে আমাকে একটি ম্যসেজ দিয়ে গেছে। 

সে লিখেছে দোস্ত, ক্ষমা করিস আমাকে।  এটা শুধু আমার কথা নয়, এটা আমাদের অনেকের কথা, যাদের কষ্টগুলো কোনোদিন বুঝবে না কেউ। কিন্তু আমি জানি, আমরা আজ হারলেও, একদিন এই শহর, এই দেশ, এই পৃথিবী বদলাবে। আমার সংগ্রাম হয়তো একটি ফাটল সৃষ্টি করেছে, যে ফাটল একদিন বড় হয়ে পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

হয়তো আমাদের সংগ্রাম সফল হয়নি, কিন্তু আমাদের সংগ্রাম কখনো হারবে না। আমরা ট্র‍্যাপে পড়ে দেশের ক্ষতি করে ফেলেছি। তবে এই দেশ একদিন আবার ঘুরে দাঁড়াবে। দোয়া করিস যাতে দেশের যা ক্ষতি হয়েছে একদিন যাতে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারি। 

আমিও হয়তো দেশের বাইরে চলে যাবো কিছুদিনের মধ্যে। কিন্তু একটা আক্ষেপ থেকে যাবে না বুঝে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছিলাম, পাসপোর্ট করতে গিয়েই বুঝেছি দেশের কোনো পরিবর্তন হয় নি শুধু পরিবর্তন হয়েছে আমাদের মাথা বিক্রি করা কিছু সমন্বয়কদের।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




কানের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী জুরি প্রধান হলেন জুলিয়েট বিনোশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

সিনেমা দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ উৎসব হলো কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। প্রতিবছর ফ্রান্সের কান শহরে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৩ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত এই উৎসবের ৭৮তম আসর বসতে যাচ্ছে। এবারের আসরে জুরি বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পেলেন ক্যারিয়ারে অস্কারসহ একাধিক পুরস্কারজয়ী বিখ্যাত ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশ। 

এই দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কান চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয় নারী জুরি সভাপতি হিসেবে ইতিহাস গড়লেন জুলিয়েট বিনোশ। এটিকে এই ফরাসির জন্য অনেকটা বৃত্তপূরণের মতো ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কেননা আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে ১৯৮৫ সালে আন্দ্রে টেশিনের রেন্ডেজ-ভাউস প্রিমিয়ারের মধ্য দিয়ে কানে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। এ জন্য ২০১০ সালে কানে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতা এই ফরাসি প্রায়ই বলে থাকেন, আমি কান ফেস্টিভ্যালে জন্মগ্রহণ করেছি।


জুলিয়েট বিনোশ তার ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে
এমিলি ব্রোন্টেজ উদারিং হাইটস, চকলেট, দ্য ইংলিশ পেশেন্ট, ড্যান ইন রিয়েল লাইফ এবং সার্টিফায়েড কপির মতো সিনেমায় অভিনয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন। কানে জুরিপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


এক বিবৃতিতে এই ফরাসি অভিনেত্রী বলেন,
১৯৮৫ সালে প্রথমবারের মতো যখন আমি এই ফেস্টিভ্যালে আসি, তখন ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তায় ভুগছিলাম। কখনো কল্পনাই করতে পারিনি, ৪০ বছর পর জুরি সভাপতির মতো সম্মানসূচক ভূমিকায় আসতে পারব। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব, বিশেষাধিকার এবং এভাবে সম্মান জানানোয় কান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।


গত বছরের আসরটিতে জুরি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন
বার্বি সিনেমার পরিচালক গ্রেটা গারউইগ। জুলিয়েট তার কাজেরও প্রশংসা করেন। সবশেষ ২০২৪ সালে উবার্তো পাসোলিনির মুক্তিপ্রাপ্ত দ্য রিটার্ন সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গেছে এই ফরাসি অভিনেত্রীকে।


আরও খবর



নওগাঁয় জাতীয় ভোটার দিবস পালিত

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

''তোমার আমার বাংলাদেশ, ভোট দিবো মিলেমিশে'' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নওগাঁয় র‌্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে ৭ম জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়েছে।  রবিবার সকালে নওগাঁ জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে ফেষ্টুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। পরে একটি র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়।  পরে আলোচনা সভায় জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আব্দুল মোত্তালিব এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার, নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইবনুল আবেদিন, নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রায়হান আলমসহ অন্যান্যরা। 

অনুষ্ঠানে নওগাঁর ১১টি উপজেলার ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০২৫ এর অগ্রগতি তুলে ধরা হয় এবং কয়েকজন নাগরিকের মাঝে এনআইডি স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



৬ মার্চ, যশোর হত্যাকাণ্ড দিবসে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করবে উদীচী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

আগামীকাল ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার যশোর হত্যাকাণ্ড দিবস। ১৯৯৯ সালের এই দিনে, যশোর টাউন হল মাঠে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’র দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলন এর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। হাজার হাজার মানুষ আনন্দঘন পরিবেশে যখন উপভোগ করছিল বাউল শিল্পীদের পরিবেশিত গান, তখন হঠাৎ রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে ঘাতকের বোমা হামলায় প্রকাণ্ড বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির সেদিনের সেই বোমা হামলায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ১০ টি তাজা প্রাণ, আহত হয়ে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায় অসংখ্য মানুষ। যাদের  মধ্যে অনেকেই আজও মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। যশোর হত্যাকাণ্ডের দুই যুগেরও অধিক কাল অতিক্রান্ত হয়ে গেছে, রাষ্ট্র ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে অনেক, কিন্তু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি আজও। 


দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালনের জন্য বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আগামীকাল ৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় উদীচী চত্বর, তোপখানা রোডে  (প্রেসক্লাবের বিপরীতে) প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশের আয়োজন করেছে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ।এই সমাবেশে উদীচীর শিল্পী কর্মীগণ যশোর হত্যাকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে নির্মিত নাট্যালেখ্য পরিবেশনের মাধ্যমে যশোর হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও বিচারের দাবী জানাবে। সমাবেশটি সফল করতে সকলের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 


আরও খবর