Logo
শিরোনাম

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই মুহূর্তে সহযোগিতা করা উচিৎ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমাদের জায়গা থেকে আমরা মনে করি অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারকে তিন, চার, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলছি না। আবার কেউ যদি বলে ছয় মাস, এর মতো অযৌক্তিক কোন কথা হতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ১০০ দিনে যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয়নি, তবে রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করলে এই সরকারের অবস্থান আরও ভাল হতো। সকল রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই মুহূর্তে সহযোগিতা করা উচিৎ। তারা যদি সরকারকে সহযোগিতা করে তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। নির্বাচন দ্রুত হবে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।


সারজিস আলম বলেন, এই সংস্কার সিস্টেমের প্রত্যেকটি জায়গায় রাজনৈতিক দলগুলো দেশের কথা, দেশের মানুষের কথাকে প্রায়োরিটি না দিয়ে কিভাবে ব্যক্তির স্বার্থ প্রাধান্য পায়, দলীয় স্বার্থ প্রাধান্য পায়, কিভাবে নিজের দলের মানুষকে একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো যায়। এগুলো নিয়ে তারা ব্যস্ত হয়ে গেছে। বাজারে গেলে সাধারণ মানুষ চাহিদা মতো কেনা-কাটা করতে পারে না। বাজার সিন্ডিকেটগুলো হাত বদল হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, দুই হাজার মানুষ পরিবারের সদস্যদের কথা চিন্তা না করে জীবন দিয়েছে শুধু মাত্র একটি নির্বাচনের জন্য নয়। তাহলে বিগত ১৬ বছরে সকল মানুষ এক সাথে রাজপথে নেমে যেতো। এই মানুষগুলো এক সাথে নেমেছে যখন খুনি হাসিনার করাপটেড প্রত্যেকটি সিস্টেম ধ্বংশ হয়ে গিয়েছিল। মানুষ প্রত্যেকটি জায়গায় মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। সাধারণ মানুষের সেবা পেতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছিল। মানুষকে টাকা দিতে হতো, সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ছিল, তখন এই সামগ্রিক সিস্টেমগুলোর বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা এক সাথে রাজ পথে নেমেছিল। ১৬ বছরে যে সমাধানটি রাজনৈতিকভাবে হওয়ার কথা ছিল, সেই খুনি হাসিনার পতন হয়েছে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি মাহমুদুল হক সানু, সমন্বয়ক মো. মাহিম সরকার, টাঙ্গাইলের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল আমিন, মো. কামরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়াম প্রমুখ।


আরও খবর



বিশ্বজুড়ে কমে যাচ্ছে ফসল উৎপাদন

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

বিশ্বজুড়ে তীব্র গরমের কারণে কমে যাচ্ছে ফসলের উৎপাদন। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই দাবি করেছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।তারা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও খরার কারণে ধীরে ধীরে বিশ্বে ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। 

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির নতুন ওই গবেষণা বলছে, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শুকনা আবহাওয়া বৈশ্বিক ফসল উৎপাদনের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে, বিশেষ করে গম, যব ও ভুট্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ শস্যের বেলায়।

গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি বড় কৃষি অঞ্চলে ৫০ বছর আগে যে তাপ ও শুষ্কতা ছিল, বর্তমানে এসব অঞ্চলে তাপ ও শুষ্কতা সে সময়ের চেয়ে বেশি। এসব পরিবর্তন নীরবে গোটা বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনে প্রভাব ফেলছে, যার ফলে কমে যাচ্ছে উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ।

স্ট্যানফোর্ডের খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশ বিষয়ক কেন্দ্রের পরিচালক ডেভিড লোবেলের নেতৃত্বে এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, জলবায়ু পরিবর্তন না ঘটলে বিশ্বজুড়ে এসব গুরুত্বপূর্ণ শস্যের উৎপাদন বর্তমানে যে পরিমাণ হচ্ছে, তার চেয়ে ৪ থেকে ১৩ শতাংশ বেশি হতো।

বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট নোরিজ এক প্রতিকবেদনে জানায়, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে কখনো কখনো গাছপালা দ্রুত বাড়লেও গরম ও শুষ্ক মৌসুমে ফসলের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পুষিয়ে দেওয়ার জন্য এই উপকার যথেষ্ট নয়। 

ডেভিড লোবেলের বলেছেন, তাকে প্রায়ই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়, ফসলের ক্ষতি কি ধারণার চেয়েও দ্রুত ঘটছে? এ কৌতূহল থেকেই বিশ্বজুড়ে মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ও তার গবেষণা দল। তাদের গবেষণা বলছে, কিছু জলবায়ু মডেল বৈশ্বিক উষ্ণতার সামগ্রিক চিত্রের সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারলেও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বাদ থেকে গেছে সেখানে। আর সেটি হচ্ছে শুষ্কতার মাত্রা, বিশেষ করে ইউরোপ ও চীনের মতো মৃদু অঞ্চলে।

বিজ্ঞানীদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে উঠেছে এসব অঞ্চল, যার ফলে ফসলের ওপর আরও বেশি চাপ পড়ছে। অন্যদিকে, পূর্বাভাস করা মডেলের চেয়ে কম তাপ ও শুষ্কতার মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন খামার, বিশেষ করে মধ্য পশ্চিম অঞ্চলের খামারগুলো। এ পার্থক্যটি গবেষকদের চমকে দিয়েছে এবং উন্মোচন করেছে জলবায়ু মডেলিংয়ের একটি বড় ত্রুটি।

গবেষণার তথ্য বিশ্লেষক ও এ গবেষণার সহলেখক স্টেফানিয়া ডি টমাসো বলেছেন, গবেষণার এসব অপ্রত্যাশিত ফল বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু মডেলগুলোর এসব ত্রুটি সংশোধন করা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সঠিকভাবে পূর্বাভাস দেওয়া এবং আরও স্মার্ট কৃষি কৌশল পরিকল্পনা করার জন্য অনেক জরুরি।

লোবেল বলেছেন, প্রধান শস্যের ওপর জলবায়ুর প্রভাবের পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করেছে জলবায়ু বিজ্ঞান। তবে এখনও কিছু অঞ্চল রয়েছে, বিশেষ করে কফি, কোকো, কমলা এবং জলপাইয়ের মতো বিশেষ ফসলের ক্ষেত্রে। এসব শস্য খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ততটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও এগুলো ভোক্তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সরবরাহের চ্যালেঞ্জের কারণে এসব পণ্যের দাম বাড়ছে।

গবেষকরা বলছেন, নীতিনির্ধারক ও কৃষকদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করছে এ গবেষণা, যা উষ্ণায়িত পৃথিবীতে বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ রক্ষায় উন্নত জলবায়ু মডেল ও লাগসই বিভিন্ন অভিযোজন কৌশলের জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেছে।


আরও খবর

অভিজাতরা কেন সালাফি হচ্ছে

শুক্রবার ২০ জুন ২০25




পাঁচ টাকার নোট থেকে কুসুম্বা মসজিদের ছবি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দায় পাঁচ টাকার নোট থেকে ঐতিহাসিক কুসুম্বা শাহী মসজিদের ছবি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মান্দা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে মঙ্গলবার বেলা সারে ১১ টার দিকে মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর বাজারের চৌরাস্তার মোড়ে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, কুসুম্বা মসজিদ জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অমূল্য নিদর্শন। এটি পাঁচ টাকার নোটে বহাল থাকায় দেশের মানুষ সহজেই ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারতেন। সেই নোট থেকে কুসুম্বা মসজিদের ছবি প্রত্যাহার করে নেওয়া দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে অবমূল্যায়নের শামিল। অবিলম্বে কুসুম্বা মসজিদের ছবি পুনরায় পাঁচ টাকার নোটে বহালের দাবি জানাচ্ছি। এ দাবী না মানা হলে ভবিষ্যতে মান্দাসহ নওগাঁবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির নেতারা। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অর্থ উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। একই দাবিতে জামায়াতে ইসলামী মান্দা উপজেলার শাখার নেতারা আলাদাভাবে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। মান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকরামুল বারী টিপু, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ও শামশুল ইসলাম বাদল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল জলিল ও আব্দুল মালেক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তালহা জুবায়ের এবং উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিদুজ্জামান সালেক প্রমুখ।


আরও খবর



শিক্ষা গ্রহণ না করায় ১০০ বছর পিছিয়ে গেছে বাঙালি সমাজ

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলা একাডেমি'র সভাপতি বিশিষ্ট চিন্তক ও লেখক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, "ব্রিটিশরা আসার পর স্কুল-কলেজের শিক্ষা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকায় বাঙালি মুসলমান সমাজ ১০০ বছর পিছিয়ে যায়‌। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বই পড়া তথা শিক্ষার বিকল্প নেই।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বুক অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বুক অলিম্পিয়াড বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সভাপতি লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী মাহফুজ ফারুকের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বুদ্ধিজীবী গবেষক ও লেখক ড. কাজল রশীদ শাহীন, বুদ্ধিজীবী লেখক ও সংগঠক নাহিদ হাসান, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, 'এবং বই'য়ের সম্পাদক ও লেখক ফয়সাল আহমেদ এবং 'স্বরে অ' প্রকাশনীর প্রকাশক আবু বকর সিদ্দিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বুক অলিম্পিয়াড বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেঁজুতি হাসান।

সারাদেশের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীরা বাছাই পর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ শতাধিক বিজয়ীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পর্ব।

অলিম্পিয়াডে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত বই আল মাহমুদের ছড়া-কিশোরকবিতাগ্রন্থ 'পাখির কাছে ফুলের কাছে', বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস 'আম আঁটির ভেঁপু', জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ 'বনলতা সেন', হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস 'ময়ূরাক্ষী', মাহফুজ ফারুকের লেখা 'বুকপিডিয়া' এবং ইমরান মাহফুজ সম্পাদিত লিটলম্যাগ 'কালের ধ্বনি'র জুলাই অভ্যুত্থানে আহত কবি ও লেখক সংখ্যা পাঠ শেষে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং বই তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।


আরও খবর



বাড়ছে যমুনার পানি, নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পাশাপাশি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। চার দিনে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ২৫ সেন্টিমিটার এবং কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে নদীতীরবর্তী নিম্নঅঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। একই সময়ে জেলার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

এদিকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নদীবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বাড়বে। আকাশের মেঘগুলো দেশের উত্তরের দিকে যাচ্ছে এবং বৃষ্টিপাত বাড়ছে, যে কারণে নদ-নদীর পানি বাড়বে বলে আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেসুর রহমান জানান, যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় গত ২০ জুন ৩ সেন্টিমিটার, ২১ জুন ৮ সেন্টিমিটার ও ২২ জুন ১৪ সেন্টিমিটার । সমতল রেকড করা হয়েছে ১০.১৯ মিটার। একই সময়ে কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে গত তিন দিনে ২৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এছাড়াও ২৩ জুন কাজিপুর পয়েন্টে পানি বেড়েছে ৯ সেন্টিমিটার। পানির সমতল ১১.৯৯ মিটার। সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি বেড়েছে ২৩ জুন ১০ সেন্টিমিটার । পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ এবং কাজিপুর পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে এখনও প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।


আরও খবর



সরকারি বিনিয়োগে সুশাসন জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ আর্থিক পরিষেবার দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সরকারি বিনিয়োগে সুশাসন জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ

টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি তিনটি স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত: জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং নৈতিক সুশাসন। এগুলো কোনো বিমূর্ত ধারণা নয়, বরং বাস্তব প্রয়োজন। মূল্যায়ন, নিরীক্ষা এবং অনুশীলন হলো সেই সব মাধ্যম, যা এ স্তম্ভগুলো নির্মাণে সহায়তা করে। এগুলো আমাদের নীতিমালা ও প্রকল্পগুলোকে কাগজে সীমাবদ্ধ না রেখে জনগণের জন্য বাস্তব ও দৃশ্যমান উপকারে পরিণত করে।

অর্থ উপদেষ্টা রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়নের রূপান্তর: মূল্যায়ন, নিরীক্ষা ও নৈতিকতার মাধ্যমে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) স্বাধীন মূল্যায়ন অফিস (আইইও) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ এবং সম্মতি ও তদন্ত বিভাগ যৌথভাবে উচ্চ পর্যায়ের সেমিনারটি আয়োজন করে, যেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির অগ্রাধিকার অর্জনের মূল স্তম্ভ হিসেবে উন্নয়ন প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে জবাবদিহিতা, মূল্যায়ন এবং সততা স্থাপনের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।

সেমিনারে এনডিবির টেকসই উন্নয়নের কৌশল হিসেবে মূল্যায়ন, নিরীক্ষা এবং কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থার একীভূত দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা হয়। এতে ১৫০-এর বেশি অংশগ্রহণকারী, যার মধ্যে ছিলেন উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারক, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি খাতের নেতৃবৃন্দ। এটি উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি সক্রিয় প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অধীনে এশিয়া, জেইসি এবং এফএন্ডএফ-এর অতিরিক্ত সচিব ও উইং প্রধান স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং এনডিবি-র স্বাধীন মূল্যায়ন অফিসের (আইইও) মহাপরিচালক আশ্বিনী কে. মুথু সূচনা বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিন এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, এনডিবি এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার বিশেষজ্ঞ ও অংশীদারদের উপস্থিতি সংলাপ ও জ্ঞান বিনিময়ের জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, বৈশ্বিক সেরা চর্চাগুলো আমাদের প্রেক্ষাপটে প্রয়োগ করতে হবে। আশ্বিনী কে. মুথু বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও অন্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে এনডিবি আগ্রহী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ‘জাতীয় প্রকল্প মূল্যায়ন নীতি’ প্রণয়নের পথে রয়েছে। এ নীতিমালা চূড়ান্ত করতে আমরা সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

একদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে উন্নয়ন নীতিনির্ধারণী বিষয়ে বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দের মূল প্রবন্ধ তুলে ধরা হয়।

সেমিনারটি বাংলাদেশ ও এনডিবির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশ ২০২১ সালে এনডিবির সদস্য হয়, যা ছিল প্রথম কোনো নন-ব্রিকস দেশ। অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী উদ্যোগকে সামনে রেখে এ দিনের আলোচনায় সুশাসন, মূল্যায়নযোগ্যতা ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে, এনডিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্য এবং এসডিজির প্রতিশ্রুতির সহায়তায় অবকাঠামো ও টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করা হয়।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫