Logo
শিরোনাম

‘অন্যায়কারী অন্যায় একা করে না, দিয়ে-থুয়েই করে’

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

দেশে ছাগলকাণ্ডের পর থেকে শুরু হয়েছে একের পর এক দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন। সমসাময়িক আলোচিত ইস্যুগুলো প্রসঙ্গে মন্তব্য করা থেকে পিছিয়ে নেই তারকারাও। তারই ধারাবাহিকতায় এবার গুণী অভিনেতা আফজাল হোসেন আফজাল হোসেন নিজের অবস্থান জানালেন।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করে তিনি বলেছেন, দেশের চোর-ডাকাতগুলোর কলিজা বড়। তারা দেশের আইন বা আল্লাহকিছুরই ভয় করে না। ভাবে, আমি আমরা সবাইকে তুষ্ট করেই যা করার করছি। অন্যায়কারী অন্যায় একা করে না, অনেককে দিয়ে-থুয়েই করেসেটাই তাদের সাহস ও শক্তি জোগায়।

ফেসবুক পোস্টে আফজাল হোসেন লিখেছেন, একটু ভালো জীবনের আশায় শত চেষ্টা করেও কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য বা কপাল বদলায়নি, বদলেছে কপালের খানিকটা ওপরের দিক। হয় কপালে পড়েছে ভাঁজ অথবা মাথার চুল হতাশার ঠ্যালা-গুঁতোয় হয়েছে উধাও।

আফজাল হোসেন তার লেখায় মানুষের কষ্ট এবং তাদের আনন্দ খোঁজার বিষয়টি উল্লেখ করে লিখেছেন, কষ্টের জীবন নিয়ে মানুষের অত ক্ষোভ-অশান্তি ছিল না। ক্ষোভ আর অশান্তি মন্দ মানুষদের নিয়েযাদের চাওয়া অশেষ, পাওয়ারও শেষ নেই। ঘোরতর অন্যায় তারা হাসতে হাসতে করতে পারে। অথচ যারা সাধারণঅন্যায়ের দিকে এক পা বাড়াতে কেঁপে মরে। ভাবে, অন্যায় যদি করিদেশের আইন গলা চেপে ধরবে, আবার ওপরওয়ালা শেষবিচারের দিন একচুলও ছাড় দেবেন না।

আফজাল হোসেনের পোস্টের শেষ অংশ ভালো মানুষের দীর্ঘশ্বাস আর চোর-ডাকাতদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও উঠে এসেছে। তিনি লিখেছেন, ভালো মানুষেরা দীর্ঘশ্বাস ফেলেআমাদের ভয়ডর এত কেন! চোর, ডাকাত, লুটেরারা সংখ্যায় বাড়তে বাড়তে নিকট পর্যন্ত এসে গেছেসেই তাপে কারও কারও মনে হয়, সবাই করছে যখন, এক-আধটু নিজে করলে অসুবিধা কী! ওই ভাবা পর্যন্তই। ঠকতে ঠকতে জীবন তলানিতে পৌঁছেছে, তবু একদল মানুষ ভালো হয়ে থাকবার বাসনাটা টিকিয়ে রাখে। সে চেষ্টা কি সমাদর পায়? পায় না।


আরও খবর



ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

রাজধানীতে আজ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকার আকাশ আজ সাময়িকভাবে মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি। এ ছাড়া দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। এ সময় পশ্চিম/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

এদিকে সারা দেশের জন্য দেওয়া ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর



মনেপড়ে চরমোনাই এর পীর সাহেব (রহঃ) কে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী, শিক্ষক ও কলামিষ্ট :

ফিলিস্তিনের মুসলমানদের যে অবস্হা, যেভাবে তাদের উপর  নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে তাতো গভীর উদ্বেগের বিষয়।  আমরাতো বাংলাদেশী। ছোট একটি দেশ  ।  অবশ্য আমাদের দেশের সরকার প্রধান ফিলিস্তিনের নির্যাতিত  মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের সুচিকিৎসা এবং বিভিন্ন ভাবে সহযেগিতার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এবং ফিলিস্তিনে নির্যাতন- নিপীড়ন বন্ধ করার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই আমাদের সরকারকে। তবে  যারা ক্ষমতাধর রাষ্ট্র, যারা অনেক শক্তিশালী,  যারা এ সমস্ত বিষয়গুলো ফায়সালা করতে পারেন, তারা কিন্তু নিশ্চুপ। কোন আওয়াজ তাদের নেই।  যেভাবে নিরপরাধ মানুষগুলো মারা হল, কারো যেন মাথা ব্যাথা নেই।

মানে যারা ভূত ছাড়াতে পারবেন, অলরেডি  তারা যেন ভূতের দ্বারা আক্রান্ত। কেউ মানবতার পক্ষে কথা বলছেন না। সবাই যেন তেলো মাথায় তেল দিচ্ছেন। অনেকেই ইসরাইলের পক্ষে।  তারা বিভিন্ন সময় অহেতুক কাজে তাদের  দ্বীল কেঁদে উঠলেও মুসলমান মারার সময় একটুও যেন তাদের মনটা কাঁদে না।

আমাদের জাতিসংঘ  এর ভুমিকা  থাকে একদম নিরব।   বিশেষ  করে মুসলমান মারার সময় তারা যেন ঘুমে বিভোর থাকেন।তাদের কাজ-কারবার  দেখে মনেহয়না বিশ্বে কিছু ঘটে যাচ্ছে। যেটা খুবই দুঃখজনক।


এজন্য আমাদেরই একজন প্রাণপ্রিয় নেতা। যিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের আধ্যাত্মিক রাহবার এবং রাজপথের লড়াকু সৈনিক ছিলেন, তিনি চরমোনাই এর মরহুম পীর সাহেব ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং আপোষহীন সংগ্রামী নেতা সৈয়দ মোহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ, পীর সাহেব চরমোনাই। তিনি একবার বক্তৃতায়  বলেছিলেন, আমাদের মুসলিম জাতিসংঘের প্রয়োজন। যে সংঘটি  নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে কথা বলতে পারে। মুসলিমদের সুবিধা- অসুবিধার কথা তুলে ধরতে পারে।

আজকের এই ক্রান্তিকালে সৈয়দ মোহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ, এর কথা বড্ড স্মরণ হয়। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর যে ভাবে জুলুম চলে আসছে, তাতে মুসলিম জাতিসংঘ গঠন সময়ের দাবী। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভাবে ঐ সকল জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন।

সৈয়দ ফজলুল রহ, একজন মুখলিস পীর  এবং বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। যিনি আমাদের দেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে বহু চিন্তা করেছিলেন। তাঁর সেই প্রস্তাব  সেই সময়ে ব্যাপকভাবে সমর্থন পেয়েছিল।  তিনি যদিও আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর চিন্তা- চেতনা, তাঁর রাজনৈতিক দর্শনগুলো যেন অমর হয়ে রয়েছে। সত্যিকারার্থে  বর্তমান পরিস্হিতিতে সকল মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যদি মজলুমদের পক্ষে কথা বলে, তাহলে জালিমেরা  এত্ত সাহস পায় না। কিছুটা হলেও তারা নমনীয় হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভাবে কোন তীব্র প্রতিবাদ  না আসায় তাদের আস্ফালন বেড়েই চলেছে।

এজন্য মুসলিম দেশগুলো একত্রিত হয়ে ঐসকল জালিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নচেৎ মুসলমানদের উপর  থেকে নির্যাতনের খড়গ  নেমে যাবে না।

সাময়িক ভাবে হয়ত ইসরাইল পিছু হটেছে। যুদ্ধ বিরতী এখন। কিন্তু  ওদের তো ওয়াদা ঠিক থাকেনা। আবারও কখন ওরা মুসলিমদের উপর তেড়ে আসবে না এটার কোন গ্যারান্টি নেই। এজন্য বিশ্ব নেতাদের ঐকবদ্ধ হয়ে  একটা সুরাহা করা উচিত।

বিশ্ব মুসলিমের এই ক্রান্তিকালে তাইতো বড্ড স্মরণ হয় সৈয়দ ফজলুল করীম রহ, ( পীর সাহেব চরমোনাই) এর কথা। বারবার মনেপড়ে।  তাঁর চিন্তা- চেতনা ছিল আসলেই প্রশংসনীয়। তিনি মুসলিমদের কথা ভেবে ছিলেন নিঃস্বার্থ ভাবে।  এজন্য তিনি যেন আমাদের হৃদয়ে গেঁথে আছেন। 

সৈয়দ ফজলুল করীম রহ, একজন আপোষহীন বলিষ্ঠ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তাঁর রাজনীতি ছিল যেন বে- মেছাল। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে এদেশে রাজনীতি করেছেন।  যার কারণে তাঁর সুনাম - সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল দেশ থেকে দেশান্তরে। বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া রুপসা থেকে পাথুরিয়া  এক  নামে যিনি ছিলেন সবার প্রিয়। সেই মহান ব্যক্তি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের কথা ভেবেছেন। বিশ্ব মুসলিমের শান্তি- নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেছেন সব সময়। 

তাঁর বড় এক   সুচিন্তা  ছিল মুসলিম জাতিসংঘ। মুসলিমগণ এক হয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বললে  কোনদিন আর মুসলিমদের উপর এভাবে নির্যাতন নেমে আসবেনা।  বিশ্বে যত মুসলিম রাষ্ট্র আছে সকলেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করা সম্ভব। মুসলমানেরা একতাবদ্ধ না হয়ে কখনো এই ধরনের অমানবিক নির্যাতন বন্ধ হবে না।

আল্লাহতায়ালা সেই মহান মনিষীকে ক্ষমা করুন। জান্নাতুল ফিরদাউসে সুউচ্চ মাকাম দান করেন। আমিন


আরও খবর

অভিজাতরা কেন সালাফি হচ্ছে

শুক্রবার ২০ জুন ২০25




ঢাকা মেডিকেল কলেজ

স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে হল পরিদর্শনে আল্টিমেটাম

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

নিরাপদ আবাসনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলেজের হল পরিদর্শনে আসার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। তারা বলেছেন, দাবি বাস্তবায়নে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ না নিলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যাবেন এবং কলেজ প্রশাসনের একতরফা হলত্যাগের নির্দেশনা মানবেন না।রোববার ১২টায় কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা দেন।

বৈঠকের পর মিলন চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষার্থীরা জানান, দিনের পর দিন তারা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে জীবন বিপন্ন করে থাকছেন, কিন্তু প্রশাসন কার্যকর সমাধানের পরিবর্তে কেবল তাদের হল ছেড়ে দিতে বলছে।

সরেজমিনে না এলে হবে কঠোর কর্মসূচি

ঢামেকের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ডা. ফজলে রাব্বী হলের আবাসিক ছাত্র আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, অনেক দিন ধরে নিরাপদ আবাসনের জন্য আন্দোলন করছি। হলের ভগ্নদশা দেশবাসী দেখেছে। আজ কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম, কিন্তু সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাস পাইনি। বরং আমাদের বারবার বলা হয়েছে হল ছেড়ে দিতে।

তিনি বলেন, আমরা এখন স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বলছি— আগামীকাল (২৩ জুন) দুপুর ১২টার মধ্যে তিনি যেন তার প্রতিনিধি দলসহ ঢামেকে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেন এবং সমস্যার বাস্তব সমাধান দেন। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলনের দিকে যাব।

এক প্রশ্নের জবাবে নোমান বলেন, গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে হল ছাড়তে হবে, কিন্তু সেখানে কোথাও লেখা নেই যে ভবনের সংস্কারের জন্য এটি করা হচ্ছে। এতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, আমাদের আন্দোলন দমন করতেই এই নির্দেশনা। আমরা এটা মানছি না। যেহেতু সংস্কার হচ্ছে না, আমরাও হল ছাড়ছি না।

তিনি আরও যোগ করেন, এই হলে থাকতে গেলে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে। যেকোনো সময় ভবন ভেঙে পড়তে পারে। এর দায়ভার তখন স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকেই নিতে হবে, কারণ এখনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সেটা দায়িত্ব এড়ানোর নামান্তর হবে।

আরেক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তৌহিদুল আবেদীন তানভীর (কে-৭৮ ব্যাচ) বলেন, আমাদের চলমান আন্দোলনে দাবির বিষয়গুলোতে কতটুকু অগ্রসর হয়েছে জানতে চেয়েছি। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। শুধু মিটিং ডেকে, নির্দেশনা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছি— আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যদি নিজে বা তার প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে না আসেন, তাহলে আমরা আমাদের আন্দোলন আরও কঠোরতর করতে বাধ্য হব।

বহাল আছে হল না ছাড়ার সিদ্ধান্ত

এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনার বিপরীতে শিক্ষার্থীরা আগেই ঘোষণা দিয়েছেন যে তারা হল ত্যাগ করবেন না। আজকের ঘোষণায় সেই সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের ভাষ্য, যেহেতু ভবনের সংস্কার বা বিকল্প আবাসনের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেহেতু আমরা আমাদের হল ছাড়ছি না। আন্দোলন থামছে না।

প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহ ধরে ঢামেক শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তাদের মূল দাবিগুলো হলো- দ্রুত বাজেট পাস করে নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস নির্মাণ, নতুন ভবন চালু না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা, নতুন একাডেমিক ভবনের বাজেট অনুমোদন, পৃথক বাজেট ও বাস্তবায়নের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ এবং প্রকল্পের অগ্রগতি দেখভাল করতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তি।

কলেজ কর্তৃপক্ষ গতকাল এক আদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে এবং আজ ২২ জুন দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়ে এবং তারা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




গজারিয়ায় সুফলভোগীদের মাঝে প্রাণী বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

গজারিয়া(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি:

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের নদীবিধৌত চরাঞ্চলের সমন্বিত প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফল ভোগীদের মাঝে প্রাণী বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার(২জুন) সকাল ১১ঘটিকায় উপজেলার ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই প্রাণী বিতরণ করা হয়।বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আশরাফুল আলম,উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রিগান মোল্লার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার ফয়সাল আরাফাত বিন সিদ্দিক,উপজেলা প্রকৌশলী সামিউল আরেফিন,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাঈদ মল্লিক প্রমুখ।

জানা যায়,নদীবিধৌত চরাঞ্চলের সমন্বিত প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩১৫ জন সুফলভোগী খামারীদের হাঁস মুরগী ছাগল ভেড়া বিতরন করা হয়।যার মধ্যে ১৫১ জন হাঁসখামারীকে ২১টি করে হাঁস,৭২জন মুরগী খামারীকে ২৫টি করে মুরগী,৪৩জন ভেড়া খামারীকে ৩টা করে ভেড়া ও ৪৯জন ছাগল খামারী ২ টি করে ছাগল পান। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা:রিগান মোল্লা জানান,খামারীগন সবাই ২দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ পান এবং প্রাণির ঘর বানানোর জন্য ভেড়া,ছাগল খামারীরা ১১০৪০/ও হাঁস,মুরগী খামারীরা ৮৮৩৯/টাকা করে বিকাশে পান।


আরও খবর



ফের কেঁপে উঠল জেরুজালেম-তেল আবিব

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

সাতসকালে ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইরান। হামলার পর জেরুজালেম ও তেল আবিবে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।  খবর জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শনাক্ত করেছে এবং ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বাজানো হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'হুমকি' প্রতিহত করার জন্য কাজ করছে।

নতুন করে ইরানের এই হামলার প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশ করতে নির্দেশনা দিয়েছে। একইসাথে "পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত" সেখানে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম বলছে, মধ্য ও দক্ষিণ ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের খবর পেয়ে চিকিৎসকরা সেখানে ছুটে গেছেন। এ হামলায় ইসরায়েলে ৩০ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অনন্ত দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় বে’র শেভার সোরোকা হাসপাতালে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্ হামলায় ছাদ ধসে আহত হওয়ার এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে, এ হামলাকে ‘ইরানি শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত একটি যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী উরিয়েল বুসো।

জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ইরানের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির বীরশেবার সোরোকা হাসপাতালে আঘাত হানে। এছাড়া মধ্য ইসরায়েলজুড়ে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি স্থানে সরাসরি আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানি ভূখণ্ড থেকে কমপক্ষে ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।


আরও খবর