Logo
শিরোনাম
সাংবাদিকের জরিমানার প্রস্তাব : ক্ষোভ-বিতর্ক

অন্যায় করলে তার শাস্তি হিসেবে ১০ লাখ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশে সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অসদাচরণ বা কোনও অন্যায় করলে তার শাস্তি হিসেবে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রেখে পুরোনো আইন সংশোধনের উদ্যোগে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রায় পাঁচ দশকের পুরোনো প্রেস কাউন্সিল আইনের সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কিত বিলের খসড়া এখন মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

প্রেস কাউন্সিলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিলটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদের আগামী অধিবেশনে পাস হতে পারে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, আইন সংশোধনের মাধ্যমে প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করা হবে। কিন্তু এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক নেতাদের অনেকে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত সাংবাদিক ইউনিয়ন দুটির নেতারা বলছেন, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জরিমানার বিধান আনার ব্যাপারে প্রেস কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ কখনও আলোচনা করেনি।

তারা বলছেন, প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুল হক নাসিম যখন রাজশাহীতে এক অনুষ্ঠানে জরিমানার বিধান আনার উদ্যোগের কথা বলেছেন, তখনই তারা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারেন।

প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, আইনের একটি বিষয়েই সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকরা কোনও অন্যায় করলে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করা যায় এবং কাউন্সিল সেই অভিযোগের বিচার করতে পারে। কিন্তু প্রেস কাউন্সিল আইনে তারা অভিযোগের বিচার করতে পারলেও, আইনের ১২ ধারায় তিরস্কার করা ছাড়া তাদের আর কোনও শাস্তি দেবার ক্ষমতা নাই।

তিনি উল্লেখ করেন, এখন এই তিরস্কারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার ক্ষমতা প্রেস কাউন্সিলকে দেয়ার জন্য আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঢাল নাই, তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দার- প্রেস কাউন্সিল এরকম অবস্থায় রয়েছে। এর থেকে এই প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার জন্য সরকার প্রেস কাউন্সিল আইনের ১২ ধারায় এই সংশোধনী আনার পদক্ষেপ নিয়েছে।’

সাংবাদিক নেতাদের অনেকে মনে করেন এই প্রস্তাব গৃহীত হলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হবে। কিন্তু প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, এই সংশোধনী আনা হলে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা খর্ব হবে না।

আইনে যা আছে প্রেস কাউন্সিল আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। আইনটি প্রণয়নের পাঁচ বছর পর ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় প্রেস কাউন্সিল। এই আইনে প্রেস কাউন্সিলকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিচার করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

কোনও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেউ পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অসদাচরণ এবং সাংবাদিকতা-নীতির পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করতে চাইলে তিনি প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ বা মামলা দায়ের করতে পারেন। এরপর আইন অনুযায়ী, প্রেস কাউন্সিল তাদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে অভিযোগের বিচার করে থাকেন।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনটির ১২ ধারায় শাস্তির বিধান রয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, কোনও পত্রিকা বা কোনও সংবাদ সংস্থায় কোনও সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে অসদাচরণ অথবা সাংবাদিকতার নীতি ভঙ্গ করেছে এবং কারও বিরুদ্ধে অন্যায় খবর প্রকাশ করেছে- এ ধরনের অভিযোগ বা মামলার বিচার করে প্রেস কাউন্সিল সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক এবং পত্রিকা বা সংবাদ সংস্থার সম্পাদককে তিরস্কার, নিন্দা অথবা সতর্ক করতে পারে।

বর্তমান আইনে এর বাইরে আর কোনও শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা প্রেস কাউন্সিলকে দেওয়া হয়নি। প্রেস কাউন্সিল মনে করছে, বর্তমান বাস্তবতায় তিরস্কার বা নিন্দা করার এই শাস্তি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। তাই শুধু তিরস্কার নয়, এখন ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

তবে আইনে শুধু পত্রিকা বা প্রিন্ট মিডিয়া এবং সংবাদ সংস্থার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিচার করার ক্ষমতা দেয়া আছে প্রেস কাউন্সিলকে। কিন্তু গত কয়েক দশকে বেসরকারি টেলিভিশন বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং অনলাইন বা ডিজিটাল মাধ্যমের অনেক প্রসার হয়েছে। অন্যায় করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে প্রেস কাউন্সিলের কোনও ক্ষমতার কথা আইনে উল্লেখ করা নেই।

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সাংবাদিক নেতাদের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক জরিমানার এমন প্রস্তাব নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের প্রস্তাব নিয়ে সরকার এবং প্রেস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে তাদের সাথে কখনও আলোচনা করা হয়নি।

ওমর ফারুক বলেন, ‘আর্থিক জরিমানা করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।’

একইভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, গণমাধ্যম এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করতে একের পর এক কালো আইন করা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার প্রস্তাবকে তিনি নিবর্তনমূলক বলে মনে করেন এবং এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তার মতে, এ ধরনের জরিমানার বিধান করা হলে তা সাংবাদিকরা মেনে নেবে না।

তবে প্রেস কাউন্সিলের কর্মকর্তারা বলেছেন, সাংবাদিক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করেই অনেক আগে এই সংশোধনী প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম জানিয়েছেন, তিনি দায়িত্ব পাওয়ার আগে এই প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। তিনি এই দায়িত্ব পেয়েছেন ২০২১ সালের আক্টোবরে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। জরিমানা করার ব্যাপারে আইনের সংশোধনী প্রস্তাব বড় কোনও বিষয় নয়। বর্তমান বাস্তবতায় এটি একটি ছোট পরিবর্তন।

সাংবাদিকদের ডাটাবেজ সারা দেশে সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি করারও উদ্যোগ নিয়েছে প্রেস কাউন্সিল। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেছেন, পত্রিকাগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের এবং সারা দেশে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তালিকা সংগ্রহ করা হবে। সেই তালিকা প্রেস কাউন্সিল যাচাই-বাছাই করে একটি ডাটাবেজ করবে।

এ ছাড়াও বেসরকারি টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমের সাংবাদিকদের ডাটাবেজ একইভাবে তৈরি করবে প্রেস ইনস্টিটিউট বা পিআইবি। সাংবাদিক যারা তালিকাভূক্ত হবেন, ছয় মাস পর পর তাদের কর্মকাণ্ড সরকারের ওই প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যালোচনা করবে বলেও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে সাংবাদিক নেতাদের অনেকের।


সূত্র : বিবিসি


আরও খবর

আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা জারি

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




মোরেলগঞ্জে সিকিউরিটি গার্ডকে মারপিট

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটের সাবেক সিকিউরিটি ম্যানকে আলতিবুরুজ বাড়িয়া গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিন শেখকে মারপিট করেছে একই প্রশিক্ষনের ফিসারী কর্মী সোহাগ মোল্লা। এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আহত নিজাম উদ্দিন মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লের্ক্সে ভতি করা হয়েছে।  

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. নিজাম উদ্দিন শেখ বলেন, আমি প্রাইড সিকিউরিটি কোম্পানির গার্ড হিসেবে ৪ বছর চাকুরি করি। চাকুরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে “গফফার সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি আমাকে দুই মাসের জন্য অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেন। মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট থেকে আমি চলে আসার ৮ মাস পরে গত ১৯ মার্চ একটি কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ করে সংস্থার ৪ হর্স ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বৈদ্যিুতিক মটর টুরি হয়ে গেছে। মটরটি চুরির বিষয় আমি কিছুই জানি না মর্মে ৩১ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায় নোটিশের লিখিতভাবে জবাব দিতে দিতে গেটে গিয়ে আমি আমার জবারের নোটিশখানা বিবাদীদ্বয়ের হাতে দিলে খামটি খুলে জবাব পড়ার পরে বিবাদীগন আমাকে অশ্লীন ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, তুই যে এ ধরনের কথাবার্তা কেন লিখে এনেছ সোহাগ মোল্লা ও জিয়াউর মোল্লা উত্তেজিত হয়ে চর ছাপ্পর, বুকে পিঠে মাথায় শরীরের বিভিন্নস্থানে কিল ঘুষি মারে। আমি এ ঘটনার প্রশাসনের প্রতি ন্যায় বিচার দাবি করছি।


আরও খবর



প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইনে বদলি শুরু শনিবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নিজ উপজেলা বা থানায় বদলির অনলাইন কার্যক্রম শনিবার (৩০ মার্চ) শুরু হবে। যা চলবে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষকেরা অনলাইনে বদলির আবেদন করবেন। ২ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক আবেদন যাচাই করবেন। ৩ ও ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসাররা আবেদন যাচাই শেষ করবেন। ৫ থেকে ৭ এপ্রিল উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসাররা আবেদন যাচাই ও অগ্রবতি শেষ করবেন।

আরও বলা হয়, ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সহকারী শিক্ষকের আবেদন যাচাই ও অনুমোদন এবং প্রধান শিক্ষকের আবেদন যাচাই ও অগ্রগতি সম্পন্ন করবেন। ১৫ থেকে ১৭ এপ্রিল বিভাগীয় উপপরিচালক আবেদন যাচাই ও অনুমোদন করবেন।

শিক্ষকদের বদলির আবেদনের বিষয়ে একাধিক শর্ত দিয়েছে অধিদপ্তর। শর্ত হয়েছে বলা হয়েছে, শিক্ষকেরা সর্বোচ্চ তিনটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে পছন্দ করবেন। তবে কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে একটি বা দুটি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তী সময় কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আবেদনকারী শিক্ষকের পছন্দক্রম অনুযায়ী বদলি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। একাধিক আবেদনকারীর পছন্দকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। তাই কোনো রকম হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।

সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলির অনলাইন আবেদন শুরু হয় ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। এত দিন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বদলি নিয়ে বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ ছিল। এর আগে ওই বছরের ৩০ জুন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অনলাইনে বদলি কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক (পাইলটিং) উদ্বোধন করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৭ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন।

 


আরও খবর



মে মাসে গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর অবরুদ্ধ উপত্যকার বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গাজার উত্তরাঞ্চলে চলমান সংঘাতের মধ্যে আটকা পড়েছেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ সমর্থিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার উত্তরে মে মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হতে পারে।

সোমবার (১৮ মার্চ) ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকিশেন (আইপিসি) এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

আইপিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১১ লাখ হয়েছে। যা গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে পূর্বাভাস রয়েছে। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে এই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘনিয়ে আসার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। একইসঙ্গে তিনি দেশটির বিরুদ্ধে অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ব্রাসেলসে গাজায় মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত একটি সম্মেলনের উদ্বোধনের সময় বোরেল বলেছিলেন, গাজায় আমরা আর দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে নেই। আমরা এখন দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছি যা হাজার হাজার মানুষকে প্রভাবিত করছে।

৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালালে গাজায় দীর্ঘ যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের ওইদিনের হামলায় প্রায় ১২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এসময় আরও ২৫৩ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় সশস্ত্র যোদ্ধারা। ওই হামলার জবাবে গাজায় ওইদিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত অন্তত ৩১ হাজার ৭২৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৩ হাজার ৬৭৬ জন।

 


আরও খবর



নেত্রকোনায় গণহত্যা দিবসে পালন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক দলিলপত্র এবং ছবি প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার(২৫ মার্চ) দুপুরে শহরের রাজুরবাজার এলাকায় রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের গেইটে এই প্রদর্শন করা হয়। 

স্কুলের প্রধান শিক্ষকের উদ্যোগে প্রদর্শনী ঘুরে ঘুরে দেখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্তার।

এসময় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ এই প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। 

পরে উক্ত প্রদর্শনীর উপর দলীয় প্রতিবেদন তৈরি করায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে বই উপহার তুলে দেন।


স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, ১৭৫৭ সন থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের যুদ্ধ সংক্রান্ত একশত ছবি সংগ্রহ করে এখানে রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ছবি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই। 

কারণ ওই পরিস্থিতি যেহেতু তাদেরকে দেখানো যাবে না। 

সে জন্য ছবি দেখে যেন নতুন প্রজন্ম জানতে পারে এর জন্যই এই আয়োজন। এই দুর্লভ ছবি গুলো যেখানে সেখানে পাবে না। এগুলো দেখতে  জাতীয় যাদুঘরে যেতে হবে।  


এছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানান, এ প্রদর্শনী মাধ্যমে আমরা স্বচক্ষে বিভিন্ন ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারলাম। এখানে পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের দলিল সহ মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন দুর্লভ ছবি, অবিভক্ত বাংলা মানচিত্রসহ ২৫ শে মার্চ কাল রাত্রির বিভিন্ন চিত্র উপস্থাপন করা হয়। 

চাইলেও এই চিত্রগুলো যেকোনো জায়গায় দেখা সম্ভব নয়, একমাত্র জাতীয় জাদুঘর ও সরকারি কোন উদ্যোগ ছাড়া। আমরা স্যারের এই উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাই, তিনি দুর্লভ কিছু জিনিস সংগ্রহ করে আমাদের মাঝে প্রদর্শন করেছেন। 


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবনী পয়েন্টে সকাল থেকে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। জেলার ইনানী, পাটুয়ারটেক, মহেশখালী, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরসহ অন্যান্য স্পটেও পর্যটকদের পদচারণা লক্ষ্য করা গেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন। এছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম টহল জোরদার করেছেন।

ইতোমধ্যে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল গুলোর প্রায় শতভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে। কলাতলী আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, আগামী সোমবার পর্যন্ত পর্যটকদের চাপ থাকবে। রমজান মাসের পর পর্যটন ব্যবসায় ফের চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন তিনি।

এদিকে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে দেখা গেছে, তীব্র গরমের মাঝেও সমুদ্রের নীলজলরাশি অস্বস্তি ভুলিয়ে দিয়েছে পর্যটকদের।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ফলে হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল কক্সবাজার। ঈদের আগমনে দর্শনার্থীদের সেই খরা কেটেছে। ঈদের দিনই পর্যটন নগরীতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবনী পয়েন্টে পর্যটকরা আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে তিল ধারনের ঠাঁই ছিলনা। বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাগরের লোনাজলে গোসল করতে নামে। কেউ সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

সকাল থেকেই কলাতলী থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতে লক্ষাধিক দর্শনার্থী নামেন বলে জানিয়েছেন সৈকতে দায়িত্বরত কর্মীরা।

সৈকতে দায়িত্বরত এক বিচকর্মী বলেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি আজ সকাল থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। শুধু ঈদের দিনেই অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন বলে আমরা ধারণা করছি। শুক্রবারে এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশী হয়েছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য আদায় হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। খাবার টেবিলে মূল্যতালিকা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা তালিকা দেখেই খাবারের চাহিদা জানাতে পারবেন।

জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলের কক্ষ ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ অনেক আগেই দেওয়া আছে। অতিরিক্ত ভাড়া যেন কেউ আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পৃথক কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন।

হোটেলে কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।


আরও খবর

৯৫ শতাংশ বুকিং বাতিল ছাঁটাই শুরু

রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩