Logo
শিরোনাম

ওলামা লীগের সদস্য সচিব এখন ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কৌশলে কমিটিভুক্ত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রভাব বিস্তার ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। তাছাড়া বিভিন্ন প্রোগ্রামে সুশীল সমাজের ব্যক্তি হিসেবে অংশগ্রহণ করে অস্তিত্ব বহাল রাখছেন।তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৬মার্চ) ২৫ সদস্য বিশিষ্ট ঝালকাঠি জেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কাজী মাওলানা মোহা. আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এ কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কানাঘুষা শুরু হয়। কমিটিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী ওলামা লীগের ঝালকাঠি জেলা কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা নেয়ামত উল্লাহকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা ছাইদুর রহমান বলেন, জেলা ওলামা দলের কমিটি করার পূর্বে বিভিন্নভাবে উপজেলা পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছি।

তাদের দেয়া মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে নামের চূড়ান্ত তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। তারা সেই কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। নেয়ামতের নাম কমিটির মধ্যে কিভাবে রইলো বা ঢুকলো সেটা বুঝতে পারছি না। তাকে এ কমিটি থেকে বাদ দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। অপরদিকে গত ১ মার্চ ক্যাবের সুলভ মূল্যের বাজার “প্রশান্তি” পরিচালনায় বেশ কয়েজন আওয়ামী লীগ নেতাকে সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করার অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে যুবদলের এক নেতা প্রতিবাদ করলে সেখানে হুলুস্থুল কাণ্ড বাধে। পরে ফ্যাসিবাদের দোসররা সেখান থেকে কৌশলে কেটে পড়ে। এছাড়া গত বুধবার ঝালকাঠি এলজিইডির হিসাব রক্ষকের দুর্নীতি-অনিয়মের বিচার দাবিতে করা মানববন্ধনে অন্যান্য ঠিকাদারদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী আ. হাকিমও অংশ নেন। তিনি ব্যানারে ছাত্রদলের শীর্ষ পদের এক নেতার পাশে দাঁড়িয়ে অবস্থান জানান দেন। আ. হাকিম নাচন মহল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সুনির্দিষ্ট পদধারী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নলছিটি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের ভাগিনা। ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পরে অনেকেই বিভিন্ন ছদ্মবেশে অবস্থান নিয়েছে। সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন কমিটিতে ঢুকছে। বিএনপি কারো যথেচ্ছ দল না, যার মনে চাইবে আসবে আবার যার মনে চাইবে যাবে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নীতি-নির্ধারকদের আরো কঠোর হয়ে ভূমিকা নেয়ার অনুরোধ জানান তারা। জেলা বিএনপির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন জানান, বিএনপিতে কোন অনুপ্রবেশকারীর স্থান হবে না। সঠিক তথ্যের অভিযোগ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



ব্যবসা দখলে মিথ্যা ছড়িয়ে ভাইকে ‘হত্যাচেষ্টা’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রাত-দিন ডুকরে কাঁদছেন রাজধানীর রামপুরার বিখ্যাত আল কাদির রেস্টুরেন্টের মালিক ফিরোজ আলম সুমন। বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের খাবার, পানি ও অন্যান্য সহায়তা করে আসছিলেন তিনি। একাধিকবার পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ছাত্ররা আশ্রয় নিয়েছিলেন তার রেস্টুরেন্টে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রাস্তায় দায়িত্ব পালনকারী ছাত্রদের তিনবেলা নিজের রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ান সুমন। কিন্তু অপতথ্য ছড়িয়ে ছাত্র-জনতাকে উত্তপ্ত করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন তারই আপন ছোট ভাই ইফতিখারুল আমিন।

ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বড় ভাইকে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কাজে লাগিয়ে তাকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে প্রচার চালিয়ে ছাত্রদের দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেই বড় ভাই। তবে অভিযুক্তরা হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

এই বড় ভাইয়ের নাম ফিরোজ আলম সুমন। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা আছে তার। আল কাদেরিয়া নামে একটি রেস্টুরেন্টের মালিক তিনি। তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি নানা পুরস্কার পেয়েছেন। সুমন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সদস্য। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রথম যুগ্ম মহাসচিব।

১৯ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা ও রামপুরা থানায় নিজের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সুমন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, ছোট ভাই ইফতিখারুল আমিন প্রায় ১৪ মাস ধরে সুমনকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা চালান।

প্রায় ১৫ বছর আগে আল কাদেরিয়া রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলেন তিনি। খাবারের মানের কারণে এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়, ব্যবসাও প্রসারিত হয়। রামপুরা, মালিবাগ, বসুন্ধরা, গুলশানসহ কয়েকটি এলাকায় রেস্টুরেন্টটির শাখা গড়ে ওঠে। কিন্তু করোনার সময় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে কয়েকটি শাখা বন্ধ হয়ে যায়। করোনা শেষে আর্থিক মন্দা কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবসায় আরও ভালো করার জন্য পারিবারিক সিদ্ধান্তে ছোট দুই ভাই ইফাতিখারুল আমিন ও হাসনাইন আমিনকে প্রতিষ্ঠান দেখাশোনার দায়িত্বে আনেন।

তিনি জানান, দুই ভাইকে ব্যবসায় যুক্ত করার পর হঠাৎ করেই দেখেন তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি আরও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। দৈনন্দিন হিসাবে গরমিলসহ মাসে অন্তত ৮/১০ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তখন তিনি গোপনে প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্যাশ কাউন্টারে আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ক্যামেরা বসান। এরপর খেয়াল করেন যে, তার আপন দুই ভাই ক্যাশ কাউন্টার থেকে নগদ টাকা সরিয়ে নিচ্ছেন। ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ফিরোজ আলম সুমন তার ছোট ভাই হাসনাইন আমিনকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার সময় হাতে-নাতে ধরে ফেললে ভাই-ভাইয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব।

সুমন বলেন, আমি চেষ্টা করেছি আমার ভাইদের ব্যবসা শেখাতে। কিন্তু তারা ব্যবসা থেকে টাকা নিয়ে নিজেরা লাভবান হয়েছে। কয়েক বছর ধরে প্রতিদিন তারা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। আমি প্রায় দেড় কোটি টাকা ঋণ করেছি ওই সময়। আমি তাদের বোঝাতে চেয়েছি, কিন্তু তারা আমাকে দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিতে চায়।

তিনি বলেন, আসিফ নামে এক যুবককে টাকা দিয়ে ভাড়া করে তারা। আমার বিরুদ্ধে তাকে ফেসবুকে পোস্ট দিতে বলে, যাতে করে ওই পোস্ট দেখে উত্তেজিত হয়ে লোকজন আমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এতে তারা দ্বায়মুক্ত থাকে। এমন ষড়যন্ত্র তারা করেছিল। এছাড়া আমাকে অসংখ্যবার নানাভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়, সেগুলোও প্রমাণিত।

তিনি আরও বলেন, আসিফ নেওয়াজকে তারা টাকা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে পোস্ট দিতে বলেছে। কিন্তু তারা আসিফকে বলেনি যে, আমি তাদের আপন ভাই। এসব বিষয়ে রামপুরা ও বাড্ডা থানায় অভিযোগ করেছি। সেগুলোর তদন্তও হচ্ছে। অন্য একটি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়নাও জারি রয়েছে।

ফেসবুকে পোস্টদাতা আসিফ নেওয়াজ বলেন, ইফতিখারুলের উদ্দেশ্য ছিল এই পোস্টের কারণে লোকজন উত্তেজিত হয়ে সুমনের ওপর হামলা করবে। আমাকে সে বলেনি সুমন তার ভাই হন। এছাড়া প্রায় এক বছর ধরে সে আমাকেসহ আরও অনেককে ব্যবহার করে সুমনকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। আমি ইফতেখারুল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। সিআইডি ও ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিট বিষয়টি তদন্ত করছে।

ভাইদের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে রাজধানীর ভাটারা থানার সাঈদনগরে সুমনদের বাসায় গেলে তাদের বাবা নুরুল আমিনকে পাওয়া যায়নি। পরে ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি এ ব্যাপারে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

তাদের প্রতিবেশী ইমরান হোসাইন বলেন, আল কাদেরিয়া রেস্টুরেন্টটি সুমন সাহেবের। তিনি তার ভাইদের বসিয়েছিলেন। পরে শুনলাম, তার ভাই টাকা-পয়সা আত্নসাৎ করেছে। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়েও তাদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছে।  ঘটনাটি নিয়ে থানা পুলিশও হয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না।

সাইফুল ইসলাম নামে আরেক প্রতিবেশী বলেন, এক সময় তাদের পারিবারিক সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। বছর খানেক ধরে তাদের সম্পর্ক ভালো না। নানা দ্বন্দ্ব হচ্ছে শুনেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে কার দোষ এটা আমরা ওইভাবে বলতে পারবো না। যেহেতু এটি থানা পুলিশ ও আদালতে গেছে সেখানে গিয়ে সব বলবো।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি বলেন, সুমন একজন ভালো ব্যবসায়ী। আমাদের সংগঠনের নেতাও। তার ভাইদের কাছে হেনস্থার শিকার তিনি। আমরা এর প্রতিবাদও জানিয়েছি।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সবগুলো অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




ঈদের জামায়াতের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ মাঠ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাতের আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫,০০০ মুসল্লির জন্য নামাজের স্থান প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিকগণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। এছাড়া, মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে:

বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা: পুলিশ, র‍্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।

ওজু ও টয়লেটের সুব্যবস্থা: মুসল্লিদের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস: জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে।

বিকল্প ব্যবস্থা: বৃষ্টি বা প্রতিকূল আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় ঈদের জামাতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মাননীয় প্রশাসক ঢাকাবাসীকে প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছি, যাতে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন।”

পরিশেষে, তিনি আগাম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে মহান আল্লাহর কাছে সবার ইবাদত কবুল হওয়ার প্রার্থনা করেন।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দাবি না মানলে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা না আসলে লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন। রাজধানীর শেরে বাংলা নগর ঢাকা মহিলা পলিটেকনিকের সামনে মহাসমাবেশে এ ঘোষণা দেন তারা।

এর আগে জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাইকোর্টের রায় বাতিল, ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করাসহ ছয় দফা দাবি পূরণের জন্য ঢাকা মহিলা পলিটেকনিকের সামনে মহাসমাবেশ এর ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া সমাবেশে কুমিল্লায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়।

মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে বিভিন্ন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হোন। এ সময় তারা ৬ দফা দাবি পূরণে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে একত্রিত হোন শেরে বাংলানগর মহিলা পলিটেকনিক এর সামনে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের আন্দোলন যৌক্তিক। তবে তারা রাস্তায় থেকে যানজট তৈরি করতে চাচ্ছেন না। দীর্ঘ আট মাস ধরে আন্দোলন করলেও সরকার আমলে নিচ্ছেন না। তাদেরকে সরকার রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে তারা আর সময় দেওয়ার পক্ষে নয়। খুব শিগগিরই তাদের দাবি পূরণ করা না হলে আরও কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি।


আরও খবর



এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিশ্চিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ওপর যুক্তিযুক্ত পর্যায়ে শুল্ক বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে না রাখলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ব্যাহত হবে।

সফররত মার্কিন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সফররত কর্মকর্তারা ঢাকায় মার্কিন ডেপুটি হেড অব মিশনের গুলশান বাসভবনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠন করেন। এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও উপস্থিত ছিলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘আলোচনার সময় অর্থনৈতিক দিক এবং শুল্কের বিষয়টি উঠে এসেছে। আমরা শুল্ক বিষয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা মার্কিন নেতাকে বলেছি, শুল্কের বিষয়টি সব অংশীদারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে না রাখলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ব্যাহত হবে।

বিএনপি নেতা বলেন, আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা টানাপড়েনের সম্মুখীন হবে। আমরা এ বিষয়ে যা করতে যাচ্ছি তা বলেছি। আমরা এটি নিয়ে আরো কাজ করছি।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তাঁদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। কারণ মার্কিন পক্ষ নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে এবং এ বিষয়ে বিএনপির আবস্থান কী তা জানতে আগ্রহী।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা বৈঠকে জানিয়েছি, এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। আমরা সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করতে পারি, যার ওপর এক মাসের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।’ তিনি বলেন, যদি ঐকমত্য অর্জন করা হয় তবে জুলাইয়ের সনদে সব দল স্বাক্ষর করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বিএনপি নেতা বলেন, তাঁরা মার্কিন কর্মকর্তাকে বলেছেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার না হওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসুবিধা হচ্ছে। জনসমর্থনের মাধ্যমে পরিচালিত একটি নির্বাচিত সরকারের পক্ষে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ।


আরও খবর



কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে গরু ও মুরগির মাংসের দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতরে সরবরাহ ঘাটতির প্রভাব পড়েছে বাজারে। যে কারণে ক্রেতা কমলেও কমেনি মাংস, সবজির দাম। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বেড়েছে গরুর মাংস ও মুরগির দাম। তবে দুটি বাজার খুঁজেও মেলেনি খাসির মাংস। পেঁয়াজ রসুনে স্বস্তি মিললেও গরুর মাংস আর মুরগির দামে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

রাজধানীর মিরপুরের উত্তর ও মধ্য পীরেরবাগের একাধিক মাংসের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেজিতে অন্তত ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। কোনো দোকানে আরেকটু বেশি।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-২ উত্তর পীরেরবাগ ছাপড়া মসজিদ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজি, মাছ ও গরুর মাংসের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়।

মরিয়ম গোস্ত বিতানের বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচুর গরু কাটছি। চাহিদা অনুযায়ী বিক্রিও ছিল বেশি। আজকে আর গরু কাটি নাই। তবে চাহিদা থাকায় মিরপুর-১ থেকে একমণ মাংস এনেছি। আর ৫ কেজি বিক্রি বাকি আছে।

তিনি বলেন, গতকালও ৭৮০ টাকায় মাংস বিক্রি করছি। আজ ৮০০ টাকা বিক্রি করছি।

তবে কাদের গোশত বিতানে গরুর মাংসের দাম আরও ২০ টাকা বেশি, অর্থাৎ সেখানে ৮২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। পাইকারি এই দোকানে মুরগি ডিমসহ নিত্যপণ্য বিক্রি করা হয়।

কাদের গোশত বিতানের বাদশা মিয়া বলেন, আজও সবচেয়ে বেশি মাংসের চাহিদা। ঈদের আগের দিন থেকে এখানে ৮২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। দেশি মুরগি ৬০০ টাকা, ব্রয়লার ২৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি বাজারে নেই। পাকিস্তানি কক ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিম মিলছে কমেই, ১২০ টাকা ডজন।

উত্তর পীরেরবাগ এলাকার একটি আবাসিক ভবনের এক বাসিন্দা বলেন, হাসপাতালে চাকরি করি। এ ঈদে ছুটি মেলেনি। বাসায় রাতে কিছু অতিথি আসবে। গরুর মাংস কিনতে এসে দেখি কেজি প্রতি ৪০ টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে। গত ৩ দিন আগেও গরুর মাংসের কেজি ছিল ৭৮০ টাকা। আজকে নিলো ৮২০ টাকা।

নির্মাণ শ্রমিক ফরহাদ গরুর মাংসের দাম শুনে কপালে ভাঁজ নিয়ে মুরগির দাম জানতে চান। সেখানেও বাড়তি দাম। বাধ্য হয়ে ৩৩০ টাকায় একটি পাকিস্তানি কক কিনে ফেরার পথে ফরহাদ বলেন, গরুর মাংস আমগো নাগালের না, মুরগিও দেখতাছি দাম বাড়তাছে। খামু কি? ৩৩০ টাকায় কক কিনে আমগো পোষায় না। কি করমু। ব্রয়লার আর কতো! একটা দিন তো কক খাইতে মন চায়।

মরিয়ম গোশত বিতানের মালিক বাবুল শিকদার বলেন, গরুই বেচতেছিলাম, খাসির মাংসের বাড়তি দাম, তাই দোকানেই তুলি নাই।

ব্রয়লার মুরগি কিনে মুসলিমা বেগম বলেন, কক ৩৩০ টাকা কেজি। কেমনে খামু কন! ব্রয়লারও যে খুব কম তা না, তবে দেড় কেজি ব্রয়লার কিনে যা বাঁচবে তা দিয়ে কিন্তু সবজি কেনা যায়। তাই কক বাদ দিয়ে ব্রয়লারই কিনতে হলো।

মধ্য পীরেরবাগ বিসমিল্লাহ গোশত বিতানে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা ভিড় করেও ফিরে যাচ্ছেন। মাংস শেষ। মালিক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, প্রতি রমজানের ঈদে অন্তত ২০টা গরু কাটি। গতকালও ২টা কাটছি। আজ একটা, তা সকাল সকালই শেষ হয়ে গেছে।

মাছের সরবরাহ কমেছে বাজারে। যা আছে তাও ক্রেতা কম।

নদীর চিংড়ির কেজি ৭০০ টাকা, তবে লাল ও অন্য সাদা চিংড়ি ৬৬০ টাকায় মিলছে। রুই মাছ যেন ছুলেই দাম। ৪৬০ টাকা কেজি হাঁকিয়ে বেচা হচ্ছে ৪২০ টাকায়। তেলাপিয়া ১৮০ টাকা। নলা মাছ ১৬০ টাকা। ইলিশ ৭৬০ থেকে ১৩০০ টাকার মধ্যে আকার অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বিক্রেতা তরিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে মাছের সরবরাহ কম। ক্রেতাও কম। যা পাইছি তাই বেচতাছি। ক্রেতারা তো মাছের চেয়ে মাংসই বেশি কিনতাছে।

ছাপড়া মসজিদ কাঁচাবাজারে গিয়ে জানা যায়, কিছু সবজিতে বেড়েছে দাম। দামে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ নেই। কেজিতে টমেটোর দাম বেড়েছে ২০ টাকা। টমেটো ৬০ টাকা ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

আলু ২০-২৫ টাকায় মিলছে। তবে পটল ও শশায় অসন্তুষ্ট ক্রেতারা।

ছাপড়া মসজিদ কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম মিয়া বলেন, বেগুন গত সপ্তাহে কিনেছি ৮০ টাকায়। গত সপ্তাহেও ঢেঁড়শ ছিল ৫০ টাকা, আজ তা ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে, কেজি বাড়তি ১০ টাকা। গত সপ্তাহেও শশার দাম ছিল ৬০টাকা, আজ ৮০ বেচতে হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা পিস, কচুরলতি ৮০ টাকা কজি, ১০ টাকা বাড়তিতে করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের ছোট পাতা কপির পিস ৫০ টাকা, ঝিঙা ৭০, চিচিঙ্গা ৭০, কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা। পেঁপে আর পটলে বিরক্ত ক্রেতারা। পটল ৮০, পেঁপে ৬০ টাকা।

হুসাইন আল মামুন নামে ক্রেতা বলেন, গরুর মাংসের সঙ্গে আলু আর পটল ভাল লাগে। আলুটার দাম ঠিক আছে। পটল যে ৮০! আর গরুর মাংসের দাম তো জানেনই ৮২০ টাকা! আমাদের মতো মধ্যবিত্তের ৬ সদস্যের পরিবারের জন্য এটা বেশিই।

ধনেপাতার ১০০ গ্রাম ২৫ টাকায় বিক্রি হলেও লেবুর দাম ফের বেড়েছে। ছোট ছোট লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

সবজি বিক্রেতা আলমগীর বলেন, টমেটো ও গাজরের দাম বাড়তি। পেঁপে ও পটলে বিরক্ত ক্রেতারা। কিন্তু কিছু করার নাই। কেনাই তো বাড়তি আমাদের।


আরও খবর