Logo
শিরোনাম

পাকিস্তানে ওষুধের সংকট, হচ্ছে না অস্ত্রোপচারও

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেক্স :রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আর্থিক খাতগুলোতে অনিয়মের কারণে অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে পাকিস্তান। যার প্রভাব পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্য খাতেও। অবস্থা এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে প্রয়োজনীয় ওষুধও পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। যার ফলে হাসপাতালে করানো যাচ্ছে না কোনো অস্ত্রোপচারও।

পাক সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে ভারতে গণমাধ্যম এনডিটিভি জানাচ্ছে, বর্তমানে অপারেশন থিয়েটারে মাত্র দুই সপ্তাহের চেতনানাশক ওষুধ রয়েছে। হার্ট, ক্যানসার এবং কিডনির মতো স্পর্শকাতর রোগের অস্ত্রোপচারের জন্য যা অত্যাবশ্যকীয় একটি ওষুধ।

গণমাধ্যমটি আরও জানায়, যারা হাসপাতালে চাকরি করেন তারাও চাকরি হারাতে পারেন। এতে করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি করবে।

এদিকে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এ সংকটের জন্য বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, কাঁচামাল আমদানি করার জন্য লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) ছাড়পত্র দিচ্ছে না বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।

পাকিস্তানের ওষুধ শিল্প প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর। মোট ওষুধের ৯৫ ভাগ কাঁচামালই ভারত, চীনসহ অন্যান্য দেশগুলো থেকে আসে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে কাঁচামাল করাচি বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে।

দেশটির ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জোট পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (পিএমএ) কয়েকদিন আগে এ সমস্যা সমাধানে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই এটি থামাতে হবে।

গত মাসে (জানুয়ারি) পাকিস্তান ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশনের (পিপিএমএ) কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান সাঈদ ফারুক বুখারি জানিয়েছিলেন, ওষুধ উৎপাদন প্রায় ২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তিনি সতর্কতা দিয়ে বলেছিলেন, যদি আগামী ৪-৫ সপ্তাহ কাঁচামাল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে তাহলে ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দেবে।


আরও খবর

পরিবহণ ধর্মঘটে অচল জার্মানি

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




জমজমাট ইফতার বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

রমজানের প্রথম দিনেই জমে উঠেছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের ইফতার বাজার। শুক্রবার পয়লা রমজানে পুরান ঢাকার চকবাজার জামে মসজিদের সামনের সড়কে ভরে উঠেছে হরেক রকমের কাবাব, কোফতা, রোস্ট, পরোটা, তন্দুরি, ফুলুরি, পেঁয়াজু, বেগুনি, হালুয়া, শরবতের মতো শতেক পদের উপাদেয় খাবারের সম্ভারে। তবে দাম বেশ চড়া।

চকবাজারের ইফতারির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’ নামের বিশেষ ইফতারি। এটি কিনতে ক্রেতাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’ তৈরিতে মাংস, সুতি কাবাব, মাংসের কিমা, ডাবলি, বুটের ডাল, ডিম, মগজ, আলু, ঘি, কাঁচা ও শুকনো মরিচসহ নানা পদের খাবার আইটেম এবং হরেক ধরনের মসলা প্রয়োজন হয়।

প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা দরে এটি বিক্রি হচ্ছে। ৬৮ বছর আগে ১৯৪৫ সালে শাহী জামে মসজিদ চত্বরে বাণিজ্যকভাবে এ খাবার বিক্রি শুরু করেন এক ব্যক্তি। সেই খাবারটি এখন পুরান ঢাকাসহ গোটা রাজধানীতে একটি আকর্ষণীয় ইফতারির আইটেম হিসেবে পরিচিত। আকর্ষণীয় সব আইটেমের পাশাপাশি প্রচলিত ইফতারির কদরও অনেক বেশি এই চকবাজারে।

ইফতার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জিলাপি কালাই আইটেম ২৪০ টাকা, আটার জিলাপি ২০০ টাকা, বড় সাইজের জিলাপি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শিঙাড়া ১৫ টাকা প্রতি পিস, সমুচা ১৫ টাকা, চিকেন টোস্ট ৪৫ টাকা, চিকেন পরোটা ৫০ টাকা, বিফ পরোটা ৬০ টাকা, নরমাল পরোটা ৩০ টাকা, বেগুনি ৫ টাকা, আলুর চপ ৫ টাকা, পেঁয়াজু ৫ টাকা, ভেজিটেবল পাকোড়া ৫ টাকা, ডিমচপ প্রতিটি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ঘুমনি ৮০ টাকা কেজি, ছোলা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, সবজির বড়া ১০ টাকা প্রতিটি, গরুর টিকা ৩০ এবং মুরগির টিকা ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জালি কাবাব প্রতি পিস ৫০ টাকা, সাসলিক ৫০ টাকা, টিকা কাবাব ৫০ টাকা, কোয়েল পাখির রোস্ট ৭৫ থেকে ১০০ টাকা, চিকেন রোল ৬০ টাকা, আস্ত মুরগি ৩৫০ টাকা, পনির ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পানীয় আইটেমের মধ্যে পেস্তা শরবত ২০০ টাকা লিটার, মাঠা ৮০ টাকা লিটার, বোরহানি ১২০ টাকা লিটার, ফালুদা বড় বাটি ২০০ টাকা, ফালুদা ছোট বাটি ১০০ টাকা, দইবড়া বড় বক্স ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



শি-য়ের মস্কো সফর আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দক্ষিণ চীনে

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মস্কো সফর আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দক্ষিণ চীন সাগরে। এই সফরে ইউক্রেন ইস্যু সর্বাধিক গুরুত্ব পেলেও, ধারণা করা হচ্ছে তাইওয়ানে চীনের সম্ভাব্য সেনা অভিযানে ঘনিষ্ঠ বন্ধু পুতিনের সমর্থন চাইতে পারেন শি।

ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানে অনুপ্রাণিত হয়ে তাইওয়ানে সামরিক অভিযান চালাতে পারে চীন, গত বছর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এ অবস্থায় ইউক্রেনে মস্কোর অভিযানে নড়েচড়ে বসে পূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে পরিচিত চীনবিরোধী দেশগুলো। এর আগে তাইওয়ানে বেইজিংয়ের সম্ভাব্য হামলার বিষয়টি নিয়ে ততটা মাথা ঘামায়নি তারা।

তবে ইউক্রেনে রুশ অভিযান হঠাৎ করেই অস্বস্তি বয়ে আনে দক্ষিণ চীন সাগরে। পশ্চিমা দেশগুলোর মনোযোগ ইউক্রেনে থাকার সুযোগে তাইওয়ানে হামলা চালিয়ে বসতে পারে চীন, এমন আশঙ্কা প্রবল হয়ে ওঠে এই অঞ্চলের মার্কিন মিত্রদের মধ্যে।

যুগ যুগ ধরেই তাইওয়ানকে নিজেদের ‘রেডলাইন’ হিসেবে মনে করে চীন। বেইজিং বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে একীভূত না হলে তাইপের ওপর বল প্রয়োগ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না তাদের সামনে। এ অবস্থায় সত্যিকারের চীনা সেনা অভিযানের আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে তাইওয়ানকে।

শঙ্কা বাড়ছে কেন : বিশেষ করে তাইওয়ান প্রশ্নে পূর্বসূরীদের থেকে অনেক বেশি আগ্রাসী অবস্থান নিয়েছেন চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর তার মূল এজেন্ডায় রয়েছে তাইওয়ানের একত্রীকরণ। আর এ ব্যাপারে তাকে অনুপ্রাণিত করছে তার মিত্র রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বলা হচ্ছে, ঘনিষ্ঠ বন্ধু পুতিনের ইউক্রেন অ্যাডভেঞ্চার একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে উৎসাহী করছে জিনপিংকে।

তাইওয়ান ঘিরে বেড়ে যাওয়া চীনা সামরিক তৎপরতায় ফুটে উঠছে বিষয়টি। অঞ্চলটিতে নিয়মিত সেনা মহড়ার চালাচ্ছে বেইজিং, প্রায় নিয়মিতই তাইপের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে চীনা যুদ্ধবিমান। এ অবস্থায় ২০২৬ সালের মধ্যেই তাইওয়ানে হামলা চালাতে পারে চীনা বাহিনী- এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা।

এমন পরিস্থিতিতে শি জিনপিংয়ের রাশিয়া সফরকে কেন্দ্র করে তাইওয়ান ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন সমীকরণ। চীনা প্রেসিডেন্টের মস্কো সফরে ইউক্রেন ইস্যুই গুরুত্ব পাচ্ছে বলে মনে করা হলেও, ইউক্রেনে রাশিয়াকে সমর্থন দেয়ার বিনিময়ে তাইওয়ান প্রশ্নে সহযোগিতা চাইতে পারেন শি জিনপিং, ধারণা করা হচ্ছে এমনটাও।

পাশাপাশি ইউক্রেন অভিযানের সামরিক অভিজ্ঞতাও বেইজিংয়ের সঙ্গে বিনিময় করতে পারে মস্কো। এছাড়া ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত চীনা প্রযুক্তি ও অস্ত্র সামগ্রীর কার্যকারিতার ব্যাপারেও মস্কোর কাছ থেকে অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে চীন, যা কাজে দেবে তাইওয়ানে তাদের সম্ভাব্য অভিযানে।

সব মিলিয়ে মস্কোতে চীনা প্রেসিডেন্টের এই সফরে ইউক্রেনের পাশাপাশি নির্ধারিত হতে পারে তাইওয়ানের ভাগ্যও, মনে করা হচ্ছে এমনটাই।


আরও খবর

পরিবহণ ধর্মঘটে অচল জার্মানি

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় বাকলজোড়া ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলমান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

জেলা প্রতিনিধি (নেত্রকোনা):

নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুরের বাকলজোড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভোটের মাঠে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত আগমন দেখা গেছে।

প্রথমবারের মতো দূর্গাপুরে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

এতে কিছুটা অসুবিধা হলেও প্রিজাইডিং অফিসাররা ডামিতে শিখিয়ে দিচ্ছেন।  

উল্লেখ্য,  গত ১০ জানুয়ারি বাকলজোড়া ইউনিয়নের  সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী তালুকদারের মৃত্যুর পর পদটি শুন্য হয়। 

শূন্য পদে উপ নির্বাচনে ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। 

এর মাঝে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক (নৌকা) স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ তালুকদার (মোটরসাইকেল) ও সিরাজুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহ দুই প্লাটুন বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ র‍্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

এই ইউনিয়নে ভোটার রয়েছেন ২৩ হাজার ৭শ ৫৪ জন।  এরমধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ১৮১ নারী ১১ হাজার ৫৭৩ জন।

৭ নং পাইক পাড়া বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বিজন কান্তি ধর জানান সুন্দর সুষ্ঠু ভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

প্রিজাইডিং অফিসার বিজন কান্তি ধর জানান, সকাল ৮.৩০ থেকেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে এই প্রথমবার ইভিএম পদ্ধতি ভোট গ্রহণ চলছে, তাই ভোট দিতে হালকা অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু আমরা সবাইকে বলছি নির্দ্বিধায় ভোট দিতে। কালকা সমস্যাগুলো আমরা উপস্থিত থেকে সমাধান করে দিচ্ছি। ভোটারগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভোট দিচ্ছে। 

এছাড়া দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট গণ কেন্দ্র গুলোতে উপস্থিত থেকে ভোট গ্রহণ তদারকি করছেন।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থা ভোটরা এসে ভোট তবে বাকলজোড়া কেন্দ্রে আমার অনুসারীদেরকে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা করছে। এই বিষয়ে আমি অভিযোগ করেছি, দেখা যাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি ব্যবস্তা গ্রহণ করে। এছাড়া সার্বিকভাবে ভোট গ্রহণ ভালোই চলছে। 


আরও খবর



নওগাঁয় র‌্যাবের অভিযানে ৩টি শুটারগান ও গুলিসহ এক শীর্ষ ডাকাত আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় একাধীক মামলার আসামী শীর্ষ ডাকাত সানোয়ার হোসেনকে (৫৩) কে ৩টি শুটারগান ও গুলিসহ হাতেনাতে আটক করেছে র‌্যাব।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে জানানো হয়, নওগাঁর

ধামইরহাট উপজেলার দিলালপুর এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে অভিযান অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত সানোয়ার হোসেন  ধামইরহাট উপজেলার দিলালপুর গ্রামের ওছমান আলীর ছেলে।

র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান আরো বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস অভিযানিক দল মঙ্গলবার ভোর রাতে দিলালপুর গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শীর্ষ ডাকাত সানোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়। এ সময় তার দেয়া তথ্য মতে লুকিয়ে রাখা ৩টি ওয়ান শুটারগন ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান র‌্যাব কর্মকর্তা।

অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান আরো জানান, সানোয়ার হোসেন দীর্ঘ দিন থেকে বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ ভাবে ডাকাতি করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৭টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি বেশি সময় ধামইরহাট এলাকার বাহিরে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় আত্নগোপনে থাকতেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আটককৃত শীর্ষ ডাকাত এর সঙ্গীদের ও আটক করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

নওগাঁর ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজ্জামেল হক কাজী জানান, র‌্যাবের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইনে থানায় একটি মামলা হলে মঙ্গলবার বিকালে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় পরীক্ষার হলে মাদক সেবন ৩ ছাত্র আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :


নওগাঁয় মাদক সেবনের দায়ে ৩ জন ছাত্রকে আটক করা হয়। খবর পেয়ে আটককৃতদের ছাড়িয়ে আনার দাবীতে পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান মূল গেটে তালাবদ্ধ করে পরীক্ষার্থীদের ক্যম্পাসে প্রবেশে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের পর্ব সমাপনী পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাসের ভেতরে এই অভিযান চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ২য় থেকে ৮ম পর্বে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের পর্ব সমাপনী ব্যবহারিক পরীক্ষা চলছিলো। কয়েকটি ধাপে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। পরীক্ষা চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাম্পাসের ভেতরে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন নওগাঁ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টহল টিমের সদস্যরা। সেখানে মাদক সেবনরত অবস্থায় আটক করা হয় তৌহিদ, মারুফ ও রাসেল নামে ৩ জন শিক্ষার্থীকে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানের পরই নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক তানভীর ইসলামের নেতৃত্বে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে প্রধান গেইটটি তালাবদ্ধ করে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে সেখানে থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়। 

এক পর্যায়ে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য জুলকার নাইন অরিয়ানসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়ার দাবীতে স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় সকল পর্বের পরীক্ষা। ঐ মুহুর্তে যেসব পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসেছিলো, তাঁদের সবাইকে মূল গেইটের বাহিরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ছাত্রলীগের এমন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে সাধারন শিক্ষার্থীদের একজনকে মারধর করার অভিযোগও রয়েছে। খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে শিক্ষার্থীরা আবারো পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করে। ছাত্রলীগের এমন কর্মকান্ডে পুরো ক্যাম্পাসে পরীক্ষা বন্ধ থাকে প্রায় ৩ ঘন্টা। এতে চরম বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

আটককৃতরা তাঁদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন।

নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রেজভী বলেন, ঘটনাটি জানার পরই ক্যাম্পাসে গিয়ে কলেজ প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। আটকদের মধ্যে একজন ছাত্রদল কর্মী রয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের অধিকার আদায়ের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। একজন মাদকসেবী কখনোই ছাত্রলীগের বন্ধু হতে পারে না। ছাত্রদল কর্মীকে ছাড়িয়ে আনতে যারা এমন ঘৃণিত কর্মকান্ড ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠিকভাবে ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে। নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুর রকিব জানান, বহিরাগতরা মূল গেইট তালাবদ্ধ করেন, পরে প্রশাসনের সহযোগীতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার পর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আটক শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা নেই বলে দাবী করেন তিনি।

নওগাঁ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন বলেন, আটককৃতরা পরীক্ষার্থী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মাদকাসক্তদের সুস্থ্যজীবনে ফেরাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আটকদের কারাগারে প্রেরণ না করলেও মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হতে পারে।


আরও খবর