Logo
শিরোনাম

অর্ধশত মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

আরো অর্ধশত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন। গণভবন প্রান্তে ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর ও খুলনার ফুলতলা মডেল মসজিদ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ দেশের প্রতিটি জেলায় ও উপজেলায় স্থাপন করতে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ২০১৭ সালে গ্রহণ করে সরকার। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক (২য় সংশোধিত) প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। গণপূর্ত অধিদপ্তর মসজিদগুলো নির্মাণ করছে।


আরও খবর



সফলতার বিচারে বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসাবে শেখ বসিরের নিয়োগ সর্বশ্রেষ্ঠ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

গোলাম মাওলা রনি, 

ডঃ ইউনুস সরকার এযাবৎ কালে যতো নিয়োগ দিয়েছেন সবগুলোর মধ্যে যদি যোগ্যটা, অভিজ্ঞতা এবং  ! 

জনাব বসিরকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে । কেন হচ্ছে - কারা করছেন এসব নিয়ে আমি কিছু বলবো না । তবে বসির সম্পর্কে যা জানি তা যদি না বলি তবে নিজের প্রতি জুলুম করা হবে । তাঁর ভাইদের সবাই দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং তাদের নিজেদের মধ্যে চমৎকার একটি পারিবারিক সমঝোতা এবং মিল মহব্বত রয়েছে যা বাংলাদেশে বিরল । 

মরহুম আকিজ উদ্দিনের এক ছেলে সংসদ সদস্য ছিলেন । আরেক ছেলে নাসিরের শ্বশুর এবং শ্যালকও এমপি ছিলেন । যশোর জেলায় এই পরিবারের যে জনপ্রিয়তা, এবং গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে সেক্ষেত্রে দেশের সব বড় রাজনৈতিক দলগুলো তাদেরকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্য  সব সময়ই আগ্রহী ছিল এবং এখনো আছে ! 

এখানে একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়  - সাধারণত দুর্বল প্রার্থীরা দলের নমিনেশনের জন্য ফন্দি ফিকির, দলবাজি এবং দালালী করে । কিন্তু দল সব সময়ই  ভালো প্রার্থী খুঁজতে থাকে । সেই দিক থেকে শেখ বসির সব দলের জন্য কাঙ্ক্ষিত এমপি প্রার্থী ! তাঁর পক্ষে বিজয়ী হয়ে পূর্ণ মন্ত্রী হওয়া তেমন কোন সমস্যা ছিলো না ! কিন্তু তিনি সব সময়ই প্রত্যক্ষ রাজনীতি বিমুখ ছিলেন এবং নিজের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ! 

সুতরাং শেখ বসির কেন উপদেষ্টা হতে গেলেন তা আমার মাথায় ধুকছে না ! আমি যতোটুকু জানি তা হলো - বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের জন্য ডঃ ইউনুস একজন সৎ, দায়িত্বশীল এবং সফল ব্যবসায়ী খুঁজছিলেন ! অনেককে তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন - সবাই দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ! অন্য দিকে দেশের কুখ্যাত কয়েকজন লুটেরা ঐ পদে নিয়োগ লাভের জন্য নানাভাবে তদবির করেছেন । কিন্তু ডঃ ইউনুস ওসবের নিকট মাথা নত করেননি ! 

শেখ বসিরকে পাট মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে । কেউ কেউ এটাকে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট বলার চেষ্টা করেছেন । কারন শেখ বসির এবং তাঁর পরিবার দেশের সবচেয়ে বড় এবং সফল পাটকল গুলোর মালিক । যারা সমালোচনা করছেন - তারা হয়তো দেশের পাট শিল্প, পাট মন্ত্রণালয়, বিজেএমসি এবং পাটের বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞ নন ।আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশের সবচেয়ে দেউলিয়া এবং সমস্যা ভারাক্রান্ত মন্ত্রনালয়ের নাম পাট মন্ত্রণালয় এবং এই মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীদেরকে সবাই করুণার দৃষ্টিতে দেখে এবং সুযোগ পেলে ঠাট্টা মশকরা করে ! 

আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, দেশের কোন বাক্তিগত পাটকলের সঙ্গে এই মন্ত্রনালয়ের তেমন কোন সম্পর্ক নেই । বরং বাক্তিগত খাতে যারা সফল পাটকলের মালিক হয়েছেন তারা মন্ত্রনালয়ের বদদোয়া নিয়েই বেড়ে উঠেছেন । কারন - মন্ত্রনালয়ের সব কল বন্ধ , সীমাহীন দায়দেনা এবং চলতি ব্যয় মেটানোর জন্য তাদেরকে অর্থ মন্ত্রনালয়ের গালি খেতে হয় এবং খোটা শুনতে হয় - শেখ বসিররা যদি পারেন তবে তোমরা পারোনা কেন ! 

উল্লেখিত অবস্থায়, শেখ বসির যদি পাট মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন করতে না পারেন তবে বর্তমানে দ্বিতীয় কোন বাক্তি নেই যিনি এই মন্ত্রনালয়ের যন্ত্রণা দুর করতে পারেন । অন্যদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তিনি যে ভালো কিছু করতে পারবেন তা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই !


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




বন অধিদপ্তরে প্রজেক্ট থেকেই ক্যাডার!! বঞ্চিত মেধাবী চাকরীপ্রার্থীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

এনামুল হক ফারুক, সংবাদকর্মী :

কোন সরকারী চাকরীর পরীক্ষা ব্যতীত সাবেক ক্ষমতাসীন দল, প্রভাবশালী আমলা ও অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ সিনিয়র অফিসিয়ালদের প্রত্যক্ষ মদদে বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত কতিপয় কর্মচারীকে কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ক্যাডারভূক্তির জন্য নয়-ছয় চলছে বন অধিদপ্তরে।

বিগত সরকারের আমলে "স্ট্রেংদেনিং রিজিওনাল কো-অপারেশন ফর ওয়াইল্ডলাইফ প্রটেকশন" শীর্ষক প্রকল্পে ১ম শ্রেণিতে ১২ জন- এর মধ্যে ১ জন পশু-চিকিৎসা কর্মকর্তা, ১ জন বাস্তসংস্থানবিদ, ১ জন মহামারী বিশেষজ্ঞ, ১ জন সর্পবিদ, ১ জন মৎস বিশেষজ্ঞ, ১ জন স্তন্যপায়ী প্রাণিবিদ, ১ জন পাখিবিদ ও ৫ জন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং ২য় শ্রেণিতে ৭ জন- এর মধ্যে ১ জন উর্ধ্বতন ল্যাব টেকনিশিয়ান ও ৬ জন বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নেওয়া হয়। ২০১১ সালের জুলাই মাসে এই প্রকল্প শুরু হয়। প্রকল্প শেষে তাদের শর্তানুযায়ী চলে যাওয়ার কথা থাকলেও কোন এক অদৃশ্য জাদুকরী শক্তির প্রভাবে তারা ২০১৭ সালে রাজস্বে স্থানান্তরিত হয়।

বিগত সরকারের আমলের আরেকটি প্রকল্পের নাম "জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন"। এই প্রকল্পের কর্মচারীরাও (মোট ৫৭ জন) নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে ঐ একই শক্তির প্রভাবে ২০১৬ সালে রাজস্বে স্থানান্তরিত হয়। ২৫ জন ১ম শ্রেণির কর্মচারীর মধ্যে ২৩ জন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা, ১ জন বন্যপ্রাণী ও গবেষণা কর্মকর্তা এবং ১ জন গণ-সংযোগ কর্মকর্তা বন অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত আছে।


জুলাই বিপ্লব যখন তুঙ্গে, যখন ক্ষণে ক্ষণে রাজপথে ঝরে যাচ্ছিল একটা একটা করে তাজা প্রাণ, ঠিক তখনই সবার অলখ্যে ০১ আগস্ট ২০২৪ পিএসসির আলোচনাসভায় উঠে আসে উপযুক্ত প্রকল্প হতে রাজস্বে স্থানান্তরিত কর্মচারীদের সরকারী চাকরীতে নিয়মিতকরণ ও স্থায়ীকরণের বিষয়টি। সরকার পতনের আভাস পেয়ে ঐদিনই এটা পাস হয়। বিজয় পরবর্তী সময়ে যখন নতুন সরকার বিভিন্ন দাবী দাওয়া আর ভাঙ্গা আইন ব্যবস্থা পুনর্গঠণে ব্যস্ত, ঠিক তখনই মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তাদের চাকরী নিয়মিতকরণ হয়। এই কাজটি এতোটাই গোপনীয়তার সাথে করা হয়েছে যে, মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এর প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়নি। এরই মধ্যে আবার তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ফাইল বন মন্ত্রণালয় ও পিএসসির গন্ডি পার হয়ে এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থান করছে। এই ফাইল যেন চন্দ্র-সূর্যের চেয়েও গতিশীল। কোন বিপ্লব বা সরকার পতন- কিছুই এর গতি রোধ করতে পারেনি।

সম্প্রতি নেওয়া "বন অধিদপ্তর সংস্কার পরিকল্পনা" পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে এর ১৮ নম্বর প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে ২০ জন ক্যাডার বহির্ভূত সহকারী বন সংরক্ষকগণের বিসিএস বন ক্যাডারভূক্তি করতে হবে এবং ১৯ নম্বরে বলা হয়েছে যে সকল বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তাকে পদনাম পরিবর্তন করে বিসিএস বন ক্যাডারভূক্ত সহকারী বন সংরক্ষক হিসেবে পদয়ায়ন করতে হবে। উল্লেখ্য যে, সহকারী বন সংরক্ষক পদটি সরাসরি বিসিএস বন ক্যাডার দ্বারা ৬৭% ও পদোন্নতির মাধ্যমে ফরেস্ট রেঞ্জার হতে ৩৩% পূর্ণ করার বিধান আছে। অন্য কোনভাবে এই পদে ক্যাডারভূক্তি সম্পূর্ণ বেআইনি।

জুলাই বিপ্লবের চেতনা হচ্ছে বৈষম্য দূরীকরণের চেতনা। সেখানে নতুন বিসিএস এর মাধ্যমে কর্মকর্তা নিয়োগ না দিয়ে ক্ষমতাসীনদের মদদপুষ্ট প্রকল্প কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ ও ক্যাডারভূক্তি কি সিস্টেমের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়ে যাওয়া পুরনো ভুতের অস্তিত্ব জানান দেয় না?কেন সত্যিকারের মেধাবীদের বঞ্চিত করে চাটুকারিতা ও মেধাহীন জাতি প্রাধান্য পাবে ?


আরও খবর

দেশের নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশ ২০২৪' অনুমোদন

রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করতে পারবে ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে পারবে—এমন বিধান রেখে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকে উপস্থিত একজন উপদেষ্টা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য জানিয়েছেন।

১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইন সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এই অধ্যাদেশ এনেছে।

মঙ্গলবার খসড়া অধ্যাদেশের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, আদালত যদি মনে করেন তাহলে অপরাধী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে, নির্বাচন কমিশন আছে। আদালত যদি মনে করেন তারা সেটা করতে পারবেন। তবে শাস্তি দেবেই, এমন নয়। এমন প্রস্তাবনা অধ্যাদেশে রয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পেলে বৃহস্পতিবারের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশ জারি করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠক বসে সচিবালয়ে। এতে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই প্রধান উপদেষ্টার প্রথম সচিবালয়ে অফিস। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক এবং প্রধান উপদেষ্টা আসায় সচিবালয়ে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।


আরও খবর

জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪




ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন উত্তরের জনপদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

পৌষ মাস শুরুর আগেই জেঁকে বসেছে শীত। বিশেষ করে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে উত্তরের জনপদ। পর্যায়ক্রমে যা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। উত্তরের জনপদের পাশাপাশি শীত নেমেছে রাজধানীতেও। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন।

শীতের কারণে উত্তরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতে গ্রামগ্রঞ্জে বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের অবস্থা কাহিল। ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা আরও করুণ। সবচেয়ে বিপদে আছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় অবশ্য বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আর সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা। আর বর্ধিত ৫ দিনেও একই অবস্থা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

ঘনকুয়াশায় ঢাকা ঠাকুরগাঁও : তীব্র শীতে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় প্রতিবছর এই জেলায় শীতের প্রকোপ অনেক বেশি থাকে। এবছর অক্টোবর মাসে শীতের আমেজ শুরু হলেও নভেম্বরের দিকে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতো। তবে ডিসেম্বরের শুরুতে হালকা কুয়াশা ও হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকলেও হঠাৎ করে ৯ ডিসেম্বর রাত ৯টা থেকে ঘনকুয়াশার দাপট অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। এতে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক থেকে শুরু করে পথচারী ও জনসাধারণ পড়েন চরম বিপাকে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত নয়টার দিকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় উত্তরের এই জেলা। কুয়াশার এতোই ঘনত্ব যে যানবাহনের হেডলাইটও হার মেনেছে। লাইটের আলো ১০-১৫ গজ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারছে না। সড়কে গাড়ি চালানো প্রায় অনোপুযোগী হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কায় ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে দেখা গেছে চালকদের।

গাড়ি চালক স্বপন সরকার বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ১০-১৫ গজ দূরে গাড়ির লাইটের আলোও কাজ করছে না।

এর আগে কখনো এতো ঘন কুয়াশা ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ দেখেনি। আগামী দিনগুলোতে আরও কুয়াশা ও শীত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষগুলো। রাস্তার ধারেই যে যা পারছেন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতার জন্য আগুন পোহাচ্ছেন। অন্যদিকে ঠান্ডার প্রকোপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে বিশেষ করে ঠান্ডার কারণে নবজাতক ও কমবয়সী শিশুরা বেশি ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা সদর হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও প্রতিনিয়ত প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনের ওপর রোগী ভর্তি থাকেন। সচরাচর শীতের সময় রোগীর বেশি চাপ থাকে। তবে এবার আগের মতোই রোগীর চাপ থাকলেও বর্তমানে বিশেষ করে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালটিতে ৪০ শয্যার শিশু ওয়ার্ড হলেও সোমবার রাত ১১ টার দিকে ১৩০ জনেরও বেশি রোগী ভর্তি ছিলেন। যা ধারণ শয্যার থেকে তিন গুণ বেশি বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশু ওয়ার্ডে ভতিকৃত বেশিরভাগ শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান রোগীর অভিভাবক ও স্বজনরা।

শীতকালে নবজাতক শিশুদের ৬ মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের বুকের দুধ পানসহ অন্যান্য বয়সী শিশুদের পুষ্টিকর তাজা খাবার খাওয়ানোর, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে সর্দি-কাশি ও জ্বর হলে দেরি না তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবু মো. রাজিব-উল-দোজা (তূর্য)’র।

তিনি বলেন, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিচ্ছি। এটা আমাদের পেশা ও দায়িত্ব।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তার তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁওয়ে বর্তমানে সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। দিন দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

এমন আবহাওয়ায় কৃষিক্ষেত্রেও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের শীত সহনশীল পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনের পরামর্শসহ কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। কৃষকরা শীত সহনশীল পদ্ধতি অবলম্বন করলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার তেমন সুযোগ নেই।

ইতোমধ্যে চাহিদা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঠকুরগাঁও জেলার জন্য ৮০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা সংশ্লিষ্ট দফতরের পাঠানো হয়েছে। সেগুলো পেলে তা দ্রুত বিতরণ করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা।

তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন : উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে চলছে শীতের দাপট। হিমালয়ের হিম বাতাসে এ জেলায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে। মধ্যরাত থেকে এখন পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে মুড়িয়ে রয়েছে পুরো জেলা। তীব্র শীত অনুভূত না হলেও ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। সে কারণেই এই অঞ্চলে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে তেঁতুলিয়ায় ১১ ডিগ্রির নিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আহসান হাবীব নামে একজন জানান, রাতে তীব্র ঠান্ডা লাগছে। আজও ভোরে কুয়াশা ছিল, তবে গতকালের মতো না। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে হাত-পা যেন অবশ হয়ে আসার মতো অবস্থা। রাতে এখন ডাবল কাঁথা-কম্বল নিতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে পৌষ মাসের ঠান্ডা শুরু হয়েছে।

এদিকে তীব্র শীতের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।


আরও খবর



রেকর্ডসংখ্যক ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করল কুয়েত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কুয়েত ৯৩০ জন ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।বিভিন্ন অপরাধমূলক তৎপরতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জনের জেরে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। এই ব্যক্তিদের সবাই অভিবাসী হিসেবে দেশটিতে গিয়েছিলেন।

কুয়েতের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফাহাদ আল ইউসেফ আজ সোমবার এক ব্রিফিংয়ে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার এই ৯৩০ জনের নাগরিকত্ব বাতিল সংক্রান্ত যাবতীয় নথি চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে। সভার পরবর্তী বৈঠকে সেসবকে পর্যালোচনা ও অনুমোদন শেষে স্বাক্ষর করা হবে।

নথিপত্র স্বাক্ষর হওয়ামাত্র নাগরিকত্ব বাতিল হবে তাদের। বস্তুত দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম একদিনে এতসংখ্যক ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল হচ্ছে। এর আগে গত ২০ অক্টোবর একদিনে ৪৮৯ জন ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করেছিল কুয়েতের সরকার। এতদিন পর্যন্ত এটিকেই এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিলের রেকর্ড বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

সোমবারের ব্রিফিংয়ে ফাহাদ আল ইউসেফ বলেন, “নথিতে যাদের নাম এসেছে, তারা প্রত্যেকেই কুয়েতের আইন অনুসারে বড় মাত্রার অপরাধী। যদি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতেও অপরাধমূলক তৎপরতা চলতে থাকবে এবং এটা আমরা হতে দিতে পারি না।”

তবে তিনি জানিয়েছেন, যাদের নাগরিকত্ব বাতিল হচ্ছে বা হওয়ার মুখে রয়েছে— তারা চাইলে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ লক্ষে ইতোমধ্যে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত জেনারেল ডিরেক্টোরেটের অধীনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং নাগরিকত্ব বাতিলের শিকার ব্যক্তিরা চাইলে নির্দিষ্ট সময়েসীমার মধ্যে আবেদন করতে পারবেন।

“আমরা কারো সঙ্গে অবিচার করতে চাই না। আমরা শুধু চাই কুয়েত এবং কুয়েতের জনগণের নিরাপত্তা।”

মাত্র ১৭ হাজার ৮১৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশ কুয়েতের জনসংখ্যা ৪৯ লাখ। এ জনসমষ্টির অর্ধেকেরও বেশি অভিবাসী এবং তাদের অনেকেই দেশটির নাগরিকত্ব নিয়েছেন।

তবে অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কুয়েতের আদি অর্থাৎ আরব বংশোদ্ভূত নাগরিকরা সংয়খ্যালঘু ও কোনঠাসা অবস্থায় পৌঁছাচ্ছেন বলে মনে করছে দেশটির সরকারি প্রশাসন। এ কারণে গত দু-তিন বছর ধরে অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি দেশটির সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। গত দু’বছরে শত শত অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত।


আরও খবর