Logo
শিরোনাম

অস্থির ডিমের বাজার : নতুন দাম নির্ধারণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বেশ কিছু দিন ধরে নিত্যপণ্য ডিমের বাজারে চলছে অস্থিরতা। হু হু করে বাড়ছে পণ্যটির দাম। এই অবস্থায় উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। আগামীকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকে এই দর কার্যকর হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান ডিমের নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানান

ভোক্তার ডিজি জানান, বুধবার থেকে উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা, খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে

ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা খরচ হবে বলে জানানো হয়

ঢাকার বাজারে গতকাল সোমবার ব্রয়লার মুরগির বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। কোথাও কোথাও খুচরা পর্যায়ে ১৯০ টাকা ডজনও বিক্রি হয়েছে। ডিমের বাজারের এই কারসাজি থামাতে বাজারে অভিযানে নেমেছে সরকার। তবে তাতে দাম তেমন একটা কমেনি। বরং কিছু কিছু পাইকারি বাজারে ডিম বিক্রি বন্ধ অথবা কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বরং সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে

ডিমের মূল্যবৃদ্ধির জন্য খামারিরা উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং সরবরাহসংকটকে দায়ী করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই দুটি সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার ৮ অক্টোবর সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে

আমদানির কিছু ডিম ইতোমধ্যে ভারত থেকে দেশের বাজারে এসেছেও। এরপরও ডিমের বাজার কোনো মতেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না সরকার। এই অবস্থায় নতুন দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলো। তবে এই দাম কতটা কার্যকর হবে সেটা নিয়ে জনমনে রয়েছে সংশয়


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




৩ মাসে ৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত তিন মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। 

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রবাসীরা গত মাসে বাংলাদেশে মোট .০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। এই তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ করেছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক . মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, গত তিন মাসে লাখ ২২ হাজার ৮২১ বাংলাদেশি শ্রমিক বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের মাধ্যমে হাজার ৪২৬ জন কর্মী বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য গেছেন।

প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিশ্লেষণ করে আরও বলা হয়েছে, সরকার বিদেশে মৃত্যুবরণ করা অভিবাসী শ্রমিকদের পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে প্রদান করেছে। এছাড়া, আহত বা অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য .৮৮ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বিদেশে মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকদের মরদেহ দেশে আনা এবং শেষকৃত্য কার্যক্রমের জন্য .৩২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। 

এছাড়া, বিদেশে মৃত্যুবরণ করা শ্রমিকদের পরিবারের জন্য বীমা হিসেবে ১২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার অর্থ বিতরণ করা হয়েছে এবং প্রবাসী শ্রমিকদের মেধাবী সন্তানদের জন্য .৯৭ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। 

এসময় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আবাসন ঋণ হিসেবে ,৯৮৯ জন শ্রমিকের মধ্যে মোট ২১৬.৩৩ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। পুনর্বাসন ঋণ হিসেবে ৮১১ জন শ্রমিকের মধ্যে ২২.৮৯ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। 

এছাড়া, বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের সহায়তার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে, যাতে তাদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়। পাশাপাশি, প্রবাসী সহায়তা কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে।

এদিকে, অক্টোবর ২০২৪- ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড (ডব্লিউইডব্লিউবি) এবং মালয়েশিয়ার সোশ্যাল সিকিউরিটি বোর্ড (পিইআরকেইএসও) একটি সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) স্বাক্ষর করেছে, যার ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা নতুন সুবিধা পাবেন।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চার দেশের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কনফারেন্স অব পার্টিস-২৯ (কপ২৯)-এর ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সঙ্গে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট ডেনিস বেক্রিওভিচ বৈঠক করেছেন।

পাশাপাশি তিনি লিচেনস্টাইনের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল রিশ ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গেও বৈঠক করেন। বৈঠককালে অধ্যাপক ইউনূস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। খবর বাসসের

এর আগে সোমবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় আজারবাইজানের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে যায়। জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ১১ থেকে ১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকবেন।

কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের অধ্যাপক ইউনূস বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রাখবেন এবং সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেটিও তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে।


আরও খবর



অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই মুহূর্তে সহযোগিতা করা উচিৎ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমাদের জায়গা থেকে আমরা মনে করি অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারকে তিন, চার, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলছি না। আবার কেউ যদি বলে ছয় মাস, এর মতো অযৌক্তিক কোন কথা হতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ১০০ দিনে যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয়নি, তবে রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করলে এই সরকারের অবস্থান আরও ভাল হতো। সকল রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই মুহূর্তে সহযোগিতা করা উচিৎ। তারা যদি সরকারকে সহযোগিতা করে তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। নির্বাচন দ্রুত হবে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।


সারজিস আলম বলেন, এই সংস্কার সিস্টেমের প্রত্যেকটি জায়গায় রাজনৈতিক দলগুলো দেশের কথা, দেশের মানুষের কথাকে প্রায়োরিটি না দিয়ে কিভাবে ব্যক্তির স্বার্থ প্রাধান্য পায়, দলীয় স্বার্থ প্রাধান্য পায়, কিভাবে নিজের দলের মানুষকে একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো যায়। এগুলো নিয়ে তারা ব্যস্ত হয়ে গেছে। বাজারে গেলে সাধারণ মানুষ চাহিদা মতো কেনা-কাটা করতে পারে না। বাজার সিন্ডিকেটগুলো হাত বদল হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, দুই হাজার মানুষ পরিবারের সদস্যদের কথা চিন্তা না করে জীবন দিয়েছে শুধু মাত্র একটি নির্বাচনের জন্য নয়। তাহলে বিগত ১৬ বছরে সকল মানুষ এক সাথে রাজপথে নেমে যেতো। এই মানুষগুলো এক সাথে নেমেছে যখন খুনি হাসিনার করাপটেড প্রত্যেকটি সিস্টেম ধ্বংশ হয়ে গিয়েছিল। মানুষ প্রত্যেকটি জায়গায় মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। সাধারণ মানুষের সেবা পেতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছিল। মানুষকে টাকা দিতে হতো, সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ছিল, তখন এই সামগ্রিক সিস্টেমগুলোর বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা এক সাথে রাজ পথে নেমেছিল। ১৬ বছরে যে সমাধানটি রাজনৈতিকভাবে হওয়ার কথা ছিল, সেই খুনি হাসিনার পতন হয়েছে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি মাহমুদুল হক সানু, সমন্বয়ক মো. মাহিম সরকার, টাঙ্গাইলের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল আমিন, মো. কামরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়াম প্রমুখ।


আরও খবর



দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, একাট্টা দলগুলো

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পদে না রাখার বিধান যুক্ত করে তা বাস্তবায়ন, নির্বাচনে বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহার বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা পুনঃপ্রবর্তনের দাবিসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সুপারিশ জানিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে প্রস্তাব দিচ্ছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল তাদের মতামত সংবলিত প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে।

দলগুলোর প্রস্তাবনার মধ্যে আরো রয়েছে, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের পদক্ষেপ গ্রহণ, তৃণমূলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্প্রতি ও সৌহার্দ সমুন্নত রাখতে বিদ্যমান দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রথা বাতিল করা, ভোটার তালিকা থেকে মৃত ও বিতর্কিত ভোটারদের বাদ দিয়ে নির্ভুল তালিকা প্রণয়ন এবং কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যোগ্যদের বাছাই করে নির্বাচন পরিচালনা অর্থাৎ রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগদান।

গত ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংস্কার কমিশনের কাছে নির্বাচনী ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও কমিশনকে জবাবদিহিতার আওয়তায় আনতে ২২টি প্রস্তাবনা দিয়েছে। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত এই প্রস্তাবনাটি নির্বাচন ভবনে জমা দিয়েছে। দলটি প্রস্তাবনায় বলেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুর্নবহাল করতে হবে। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংশ্লিষ্ট সবার ঐকমত্য ও সমন্বিত উদ্যোগের ভিত্তিতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে আইনী বৈধতা দিয়ে সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সৎ, দক্ষ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা এবং প্রয়োজনে সংখ্যা বাড়াতে হবে। নির্বাচনের স্বচ্ছতার প্রশ্নে জনগণের আস্থা বজায় রাখার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে প্রত্যাখ্যাত ও বহুল বিতর্কিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।

জাতীয় সংসদে অধিকতর দল ও মতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ সংসদকে অধিকতর প্রতিনিধিত্বমূলক করার উদ্দেশ্যে, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (প্রোপোশনাল রিপ্রেজন্টেশন-পিআর) প্রথা চালু করতে হবে। নতুন নেতৃত্ব তৈরির প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত বা ত্বরান্বিত করতে দুই বারের বেশি কোন ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপতির পদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রাখা যাবে না। তৃণমুল পর্যায়ে আবহমানকাল ধরে চলে আসা সামাজিক ঐক্য অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে বিদ্যমান দলীয় প্রতীকের বিধান বিলুপ্ত করতে হবে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বাতিল করতে হবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শগ্রহণের বাধ্যবাধকতা না রাখা এবং নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির আদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা এবং বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। নির্বাচনে অনিয়ম হলে আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ নির্বাচন বাতিল করার সংক্রান্ত আরপিওর ৯১(ক) অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করতে হবে।

এদিকে ইসলামী আন্দোলনের ১৪টি প্রস্তাবের মধ্যে নির্বাচনের ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা, ভোটগ্রহণের পূর্বে ভোটকেন্দ্রের মোট ব্যালট পেপার, তার ক্রমিক নম্বর, শূন্য ব্যালট বাক্স সব দলের পোলিং এজেন্ট এবং সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ করা, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টকারী, জালভোট প্রদানকারী এবং নির্বাচন পরিচালনার কাজে নিয়োজিত কেউ পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আইন করা, যাতে ভবিষৎতে আর কেউ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করার সাহস না পায়। এছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক নির্বাচনকালীন পর্যবেক্ষক রাখা এবং ইসিকে এমন ক্ষমতা দেওয়া, যাতে কোনো দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীরা দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও মানবতাবাদী অপরাধে লিপ্ত হলে কমিশন তাদের দলীয় নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে, আরপিওতে এমন শক্ত বিধান যুক্ত করা।

বাংলাদেশ সমমনা জোটের ২১ প্রস্তাবনার মধ্যে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুনিদিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা, অর্থপাচার রোধ ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ করা, দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সুসংগঠিত করা ও সীমান্ত হত্যা বন্ধে আন্তজার্তিক সীমান্ত আইন বাস্তবায়ন করা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য আনা এবং সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পরও যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন এ সংক্রান্ত আইনের কঠোর বিধান যুক্ত এবং বেআইনি ঘোষণা করা।

আর খেলাফত মজলিশও বেশকিছু সুপারিশ করেছে নির্বাচনী কমিশন ব্যবস্থা ও সংস্কার কমিশনের কাছে। তাদের প্রস্তাবনার মধ্যে নির্বাচনে পেশিশক্তি ও কালোটাকার ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা, ব্যয়ের ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়ম পেলে প্রার্থিতা বাতিল এবং এমনকি নির্বাচিত হলেও তার পদ বাতিল ঘোষণা করার বিধান আইনে সন্নিবেশ করা। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং চাকুরিজীবীদের জন্য পোস্টার ব্যালট প্রথা সচল রাখা।

এদিকে, প্রত্যেকটি দলই কয়েকটি বিষয় অভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে এর মধ্যে সংখ্যানুপাতে সংসদ গঠন (পিআর প্রথা চালু), তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রীর পদে না থাকা এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনে রাষ্ট্রপতির পরামর্শ গ্রহণ এবং নির্বাচনে তাদের বিচারিত ক্ষমতা প্রদান করা।


আরও খবর



সফলতার বিচারে বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসাবে শেখ বসিরের নিয়োগ সর্বশ্রেষ্ঠ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

গোলাম মাওলা রনি, 

ডঃ ইউনুস সরকার এযাবৎ কালে যতো নিয়োগ দিয়েছেন সবগুলোর মধ্যে যদি যোগ্যটা, অভিজ্ঞতা এবং  ! 

জনাব বসিরকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে । কেন হচ্ছে - কারা করছেন এসব নিয়ে আমি কিছু বলবো না । তবে বসির সম্পর্কে যা জানি তা যদি না বলি তবে নিজের প্রতি জুলুম করা হবে । তাঁর ভাইদের সবাই দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং তাদের নিজেদের মধ্যে চমৎকার একটি পারিবারিক সমঝোতা এবং মিল মহব্বত রয়েছে যা বাংলাদেশে বিরল । 

মরহুম আকিজ উদ্দিনের এক ছেলে সংসদ সদস্য ছিলেন । আরেক ছেলে নাসিরের শ্বশুর এবং শ্যালকও এমপি ছিলেন । যশোর জেলায় এই পরিবারের যে জনপ্রিয়তা, এবং গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে সেক্ষেত্রে দেশের সব বড় রাজনৈতিক দলগুলো তাদেরকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্য  সব সময়ই আগ্রহী ছিল এবং এখনো আছে ! 

এখানে একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়  - সাধারণত দুর্বল প্রার্থীরা দলের নমিনেশনের জন্য ফন্দি ফিকির, দলবাজি এবং দালালী করে । কিন্তু দল সব সময়ই  ভালো প্রার্থী খুঁজতে থাকে । সেই দিক থেকে শেখ বসির সব দলের জন্য কাঙ্ক্ষিত এমপি প্রার্থী ! তাঁর পক্ষে বিজয়ী হয়ে পূর্ণ মন্ত্রী হওয়া তেমন কোন সমস্যা ছিলো না ! কিন্তু তিনি সব সময়ই প্রত্যক্ষ রাজনীতি বিমুখ ছিলেন এবং নিজের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ! 

সুতরাং শেখ বসির কেন উপদেষ্টা হতে গেলেন তা আমার মাথায় ধুকছে না ! আমি যতোটুকু জানি তা হলো - বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের জন্য ডঃ ইউনুস একজন সৎ, দায়িত্বশীল এবং সফল ব্যবসায়ী খুঁজছিলেন ! অনেককে তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন - সবাই দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ! অন্য দিকে দেশের কুখ্যাত কয়েকজন লুটেরা ঐ পদে নিয়োগ লাভের জন্য নানাভাবে তদবির করেছেন । কিন্তু ডঃ ইউনুস ওসবের নিকট মাথা নত করেননি ! 

শেখ বসিরকে পাট মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে । কেউ কেউ এটাকে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট বলার চেষ্টা করেছেন । কারন শেখ বসির এবং তাঁর পরিবার দেশের সবচেয়ে বড় এবং সফল পাটকল গুলোর মালিক । যারা সমালোচনা করছেন - তারা হয়তো দেশের পাট শিল্প, পাট মন্ত্রণালয়, বিজেএমসি এবং পাটের বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞ নন ।আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশের সবচেয়ে দেউলিয়া এবং সমস্যা ভারাক্রান্ত মন্ত্রনালয়ের নাম পাট মন্ত্রণালয় এবং এই মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীদেরকে সবাই করুণার দৃষ্টিতে দেখে এবং সুযোগ পেলে ঠাট্টা মশকরা করে ! 

আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, দেশের কোন বাক্তিগত পাটকলের সঙ্গে এই মন্ত্রনালয়ের তেমন কোন সম্পর্ক নেই । বরং বাক্তিগত খাতে যারা সফল পাটকলের মালিক হয়েছেন তারা মন্ত্রনালয়ের বদদোয়া নিয়েই বেড়ে উঠেছেন । কারন - মন্ত্রনালয়ের সব কল বন্ধ , সীমাহীন দায়দেনা এবং চলতি ব্যয় মেটানোর জন্য তাদেরকে অর্থ মন্ত্রনালয়ের গালি খেতে হয় এবং খোটা শুনতে হয় - শেখ বসিররা যদি পারেন তবে তোমরা পারোনা কেন ! 

উল্লেখিত অবস্থায়, শেখ বসির যদি পাট মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন করতে না পারেন তবে বর্তমানে দ্বিতীয় কোন বাক্তি নেই যিনি এই মন্ত্রনালয়ের যন্ত্রণা দুর করতে পারেন । অন্যদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তিনি যে ভালো কিছু করতে পারবেন তা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই !


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪