Logo
শিরোনাম

অস্থির রয়েছে নিত্যপণ্যের বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (৬ জুন)। বাজেট পরবর্তী দিনে (শুক্রবার) অস্থির রয়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু, পেঁয়াজের পাশাপাশি মাছ ও মাংসসহ সব ধরনের পণ্যের দাম আগের মতোই বাড়তি রয়েছে।

শুক্রবার (৭ জুন) মোহাম্মদপুর স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দামই বাড়তি। এ সপ্তাহেও কমেনি আলুর দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া মানভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।

কাঁচা পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ টাকা। বেগুন ৮০ টাকা কেজি, লাউ ৮০ টাকা পিস, পেঁপে কেজি ৫০ টাকা, গাজর ১৫০ টাকা, টমেটো ৯০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫৫ টাকা ও কাঁকরোল কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, রুই ২৮০ টাকা, ছোট পাঙাশ ১৮০ টাকা, চিংড়ি ৬২০ টাকা, শিং ৩২০ টাকা, ইলিশ সাইজ ভেদে ১২০০ থেকে ১৬৬০ টাকা, টেংরা কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




নিষিদ্ধ না হলে আ’লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সরকার বা আদালত যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করে তাহলে দলটির নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, এখন নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। ডানে বামের বা বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই। এখন আমরা বিবেকের চাপে আছি। এ দেশে ভালো নির্বাচন করাও সম্ভব, খারাপ নির্বাচন করাও সম্ভব।

বিগত নির্বাচন কমিশনকে শাস্তির আওতায় আনার চিন্তাভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বিষয়। আমরা ওনাদের সুপারিশনামা এখনও পাইনি। তবে আমাদের কমিশনের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো চিন্তা করা হচ্ছে না। সিদ্ধান্তও নেই।

সিইসি বলেন, আমরা ভোটারদের আস্থাহীনতা দূর করব। এ জন্য বাড়ি বাড়ি যাব। ৬ মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করব। ভোটার তালিকা থেকে যারা বাদ পড়ে গেছে তাদের অন্তর্ভুক্ত করব।

তিনি বলেন, আপনাদের বলতে চাই এবারের নির্বাচন আগের মতো হবে না। এ জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। এ জন্য সবার সহযোগিতা লাগবে।

গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া দল আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না সেটি নিয়ে রাজনীতির মাঠে নানা আলোচনা চলছে। বাংলাদেশে গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্ররা বিভিন্ন সংস্কার করে অনুষ্ঠিতব্য আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সুযোগ না দেওয়ার কথা বলছে। ছাত্র নেতাদের দাবি, জুলাই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত পতিত আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করার সুযোগ যেন না দেওয়া হয়।


আরও খবর



তীব্র শীতে কাঁপছে রাজাপুরের নিন্মশ্রেণীর মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

মোঃ হাসিবুর রহমান রাজাপুর. ঝালকাঠি

তীব্র শীত আর কনকনে হাওয়ায় কাঁপছে রাজাপুরের নিম্নশ্রেণীর মানুষ। গত কয়েকদিনে ধারাবাহিকভাবে তাপমাত্রা কমছে । ঠান্ডা বাতাস আর তীব্র শীতে ভোগান্তি বাড়ছে এ অঞ্চলের মানুষের। ভর দুপুরেও গরম কাপড় মুড়িয়ে চলাফেরা করছে স্থানীয়রা। আবহাওয়া অধিদপ্তরে সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা  হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীত থেকে রক্ষা পেতে যে যার মতো গরম পোশাক পড়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রাজাপুর সদর হাসপাতালে অনেক রোগী ভর্তি হয়েছেন শীতজনিত রোগে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানা গেছে, পৌষের শীতের এই দাপট চলবে আরো বেশ কয়েকদিন। রাত ১২টার পরপরই ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যায় গোটা দক্ষিণাঞ্চল। সকাল বেলা ছিল মেঘে ঢাকা এমন অবস্থা। রাজাপুর সদর হাসপাতালে খোঁজ নিলে জানা যায় ঠান্ডাৎ শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও ডিপথেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। মেডিসিন বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, শীতের কারণে বয়স্কদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, অ্যালার্জি, চর্মরোগ বেড়ে গেছে। শুক্রবার রাত ৯:৩০ এর দিকে রাজাপুর উপজেলার বেশকিছু স্থানে দেখা গেছে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে মানুষজন। বাইপাস মোড়ের ছিন্নমূল এক পথশিশু জানায়, গত কয়েকদিন ধরে অনেক কুয়াশা পড়ছে। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় তেমন কোনো কাজ করতে পারছি না। অর্থের অভাবে শীতবস্ত্রও কিনতে পারছি না। রাজাপুর বাইপাস মোড়ের এক ব্যবসায়ী জানান, অতিরিক্ত শীতের কারণে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। বাইরে লোকজনের চলাফেরা কমে গেছে। ফলে রিকশাচালক থেকে শুরু করে দিনমজুর, এমনকি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়েছেন। স্কুল-কলেজেও উপস্থিতি কমে গেছে।


আরও খবর



জানা গেল তাহসানের ‘আলো’ গান কাকে নিয়ে লেখা!

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

তুমি আর তো কারো নও শুধু আমার, যত দূরে সরে যাও রবে আমার, স্তব্ধ সময়টাকে ধরে রেখে, স্মৃতির পাতায় শুধু তুমি আমার, কেন আজ এত একা আমি, আলো হয়ে দূরে তুমি, আলো আলো আমি কখনো খুঁজে পাবনা, চাঁদের আলো তুমি কখনো আমার হবে না... এই গানের কথাগুলো এখনো সঙ্গীতপ্রেমীরা নিজের অজান্তে গেয়ে ওঠেন। আলো গানটি কাকে নিয়ে লেখা? সম্প্রতি এমন প্রশ্ন ঘুরছে চারপাশে। আসলেই তাহসান এই আলো গানটি কাকে নিয়ে লিখেছেন? এই গানের প্রেক্ষাপটই বা কী?

তাহসানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তার বহুল আলোচিত এই গান সম্পর্কে। তাহসান বললেন, ‘আলো গানটি ২০০৬ সালে লেখা। তখন আমি বাতি নিভিয়ে ঘর অন্ধকার করে ফেলতাম। সেই অন্ধকারে জোছনা দেখতাম। তখন কবি কবি একটা ব্যাপার ছিল আর কি। তখন আমার মা মাঝে মধ্যে ঘরে ঢুকে বলতো তোর কী সমস্যা, সারাদিন চাঁদের দিকে তাকায়ে থাকিস কেন? চাঁদের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই আমার একটা টান ছিল, প্রত্যেকেরই থাকে প্রকৃতির সঙ্গে একটা যোগাযোগ তৈরি করার। আমিও প্রকৃতির সঙ্গে অর্থাৎ চাঁদের সঙ্গে স্থায়ীভাবে যোগাযোগ তৈরি করতাম। তখনই ইচ্ছে ছিল যে কিছু একটা লিখবো।’

ব্যক্তিগত ঘটনা থেকেই এই গানের উৎপত্তি জানিয়ে তাহসান বললেন, ‘এই গানটি যখন লেখা হয়, সেটা আমার একটা পারসোনাল স্টোরি। কাউকে কখনো বলিনি, হয়তো পুরোপুরি বলতেও পারবো না। তবে কাছাকাছি যাই, আমাদের জীবনে আমরা যখন কোনোকিছু পেয়ে যাই, তখন কিন্তু যে মর্মটা সেটা হারিয়ে ফেলি আস্তে আস্তে। আপনি হৃদয়ের গভীর থেকে যদি কোনো জিনিস চাচ্ছেন- এটা যদি দূর থেকে অ্যাপ্রেসিয়েট করেন আর ওটা যদি না পান তাহলে ঐ অনুভূতিটা সারাজীবন থেকে যায়। চাঁদের আলোটা রূপক অর্থে সেই অনুভূতি। আমি তাকে অনেক ভালোবাসি, আর আমি তাকে পাবো না- এই অনুভূতিটা ধারণ করি বলেই প্রেমটা সারাজীবন থেকে যায়। আমাদের পছন্দের সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটাও যদি পেয়ে যাই, তখন কিন্তু কদর করতে পারি না।’

জনপ্রিয় এই গায়ক উদাহরণ টেনে বললেন, ‘আমি সবসময় ভাবতাম আমার লিভিং রুমে যদি একটা পিয়ানো থাকতো তাহলে হয়তো প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা বাজাতাম। কিন্তু দেখেন আমার লিভিং রুমে পিয়ানো আছে। আমি কিন্তু প্রতিদিন বাজাই না। ঠিক ওই সেন্সটাই একটা স্পেসিফিক ঘটনা থেকে আমার মাথায় এসেছিল। সেটা হয়তো বলতে পারছি না। একটা জিনিসের ওপর আমার ইমোশন এসেছিল, যেহেতু আমি সেই ইমোশন এক্সপ্লোর করতে পারবো না, ওটাই আমার বুকের ভেতরে ধরে রেখেছিলাম। আমরা প্রতিটা মানুষই মনে হয় ওটা করি। সবাই হয়তো আমার সেই গানে জিনিসটা ফিল করতে পেরেছে, চাঁদকে আমরা দেখতে পাই কিন্তু কখনো নিজের হবে না।


আরও খবর

সকাল সকাল দেশ ছাড়লেন তাহসান-রোজা

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে আবারও নির্বাচনের প্রস্তাব

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

জাতীয় অথবা স্থানীয় সরকার যেকোনো নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে আবারও নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এছাড়াও সরকারের কাছে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে কমিশন। সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেবে অন্তর্বর্তী সরকার বলেও জানানো হয়েছে প্রস্তাবনায়।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়।

নির্বাচন ব্যবস্থা:

(ক) নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করা।

(খ) নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা ।

(গ) কোনো আসনে মোট ভোটারের ৪০% ভোট না পড়লে পুন:নির্বাচন করা।

(ঘ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন বন্ধ করা, রাজনৈতিক দলগুলোকে সৎ, যোগ্য এবং ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনে ‘না-ভোটের’ বিধান প্রবর্তন করা। নির্বাচনে না-ভোট বিজয়ী হলে সেই নির্বাচন বাতিল করা এবং পুন:নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাতিলকৃত নির্বাচনের কোনো প্রার্থী নতুন নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারার বিধান করা।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন:

(ক) ঋণ-বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(খ) কোনো আদালত কর্তৃক ফেরারি আসামি হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(গ) বেসরকারি সংস্থার কার্যনির্বাহী পদে আসীন ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ওই পদ থেকে তিন বছর আগে অবসর গ্রহণ সংক্রান্ত আরপিওর ধারা বাতিল করা।

(ঘ) সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬(২)(ঘ) এর অধীনে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(ঙ) আইসিটি আইনে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) শাস্তি প্রাপ্তদের সংসদ নির্বাচনে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(চ) গুরুতর মানবাধিকার (বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতন, সাংবাদিকদের/মানবাধিকারকর্মী ওপর হামলা, ইত্যাদি) এবং গুরুতর দুর্নীতি, অর্থপাচারের অভিযোগে গুম কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশন বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হলে তাদেরকে সংবিধানের ৬৬(২)(ছ) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা। (সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠি উচ্চতর হওয়া দরকার এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা দরকার। এ ক্ষেত্রে ‘ট্রানজিশান্যার জাস্টিসের’ যুক্তিও উত্থাপন করা যেতে পারে।)

(ছ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পদত্যাগ না করে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(জ) তরুণ, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য শতকরা ১০ ভাগ মনোনয়নের সুযোগ তৈরির বিধান করা।

(ঝ) স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১% শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধানের পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতির বিধান করা এবং এ ক্ষেত্রে একক কিংবা যৌথ হলফনামার মাধ্যমে ভোটারদের সম্মতি জ্ঞাপনের বিধান করা।

(ঞ) একাধিক আসনে কোনো ব্যক্তির প্রার্থীর হওয়ার বিধান বাতিল করা।

(ট) হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের প্রেক্ষাপটে আপিল প্রক্রিয়ায় অনুচ্ছেদ ১২৫(গ) বহাল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা। কোনো আদালত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে, নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনোরূপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবেন না ।

(ঠ) হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কিংবা তথ্য গোপনের কারণে আদালত কর্তৃক কোনো নির্বাচিত ব্যক্তির নির্বাচন বাতিল করা হলে ভবিষ্যতে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার বিধান করা।

মনোনয়নপত্র:

(ক) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যতীত সব প্রার্থীর সশরীরে মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি করা ।

(খ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

(গ) প্রার্থিতা চূড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করা। এ লক্ষ্যে আদালতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি শুধু ‘কোরাম নন জুডিস’ ও ‘ম্যালিস ইন ল’-এর ক্ষেত্রে সীমিত করা।

(ঘ) মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ৫ বছরের আয়কর রিটার্নের কপি জমা দেওয়ার বিধান করা।

(ঙ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

২.৩ হলফনামা:

(ক) প্রার্থী কর্তৃক মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রত্যেক দল তার প্রার্থীদের জন্য প্রত্যয়নপত্রের পরিবর্তে দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা অনুরূপ পদধারী ব্যক্তি কর্তৃক হলফনামা জমা দেয়ার বিধান করা, যাতে মনোনীত প্রার্থীর নামের পাশাপাশি মনোনয়ন বাণিজ্য না হওয়ার ও দলীয় প্যানেল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ থাকে।

(খ) পরবর্তী নির্বাচনের আগে যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত ব্যক্তির হলফনামা যাচাই-বাছাই করতে এবং মিথ্যা তথ্য বা গোপন তথ্য পেলে তার নির্বাচন বাতিল করা।

নির্বাচনী ব্যয়:

(ক) সংসদীয় আসনের ভোটার প্রতি ১০ টাকা হিসেবে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণের বিধান করা।

(খ) সব নির্বাচনী ব্যয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা আর্থিক প্রযুক্তির (যেমন, বিকাশ, রকেট) মাধ্যমে পরিচালনা করা।

(গ) নির্বাচনী আসনভিত্তিক নির্বাচনী ব্যয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবিড়ভাবে নজরদারিত্ব করা।

(ঘ) প্রার্থী এবং দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবের রিটার্নের নিরীক্ষা এবং হিসাবে অসঙ্গতির জন্য শাস্তির বিধান করা।

২.৬ নির্বাচনী অভিযোগ ব্যবস্থাপনা:

(ক) বিদ্যমান ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি'কে অনুসন্ধান বা তদন্ত করার ক্ষমতা প্রদানের পাশাপাশি বিচার-নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করে’ ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিচারিক সত্তা/বডি গঠন করা।’

(খ) নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটির আওতায় প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত কমিটিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা মতে বিচারার্থে অপরাধ আমলে নেওয়ার এবং সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতিতে অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা অর্পণ করা।

(গ) সংসদ নির্বাচন চলাকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলোর কার্যাবলি তদারকি করার নিমিত্তে নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটি’ একজন নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে গঠন করা।

(ঘ) কার্যকালীন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলো প্রশাসনিকভাবে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটির আওতায় আনা। বিচারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এগুলোকে স্বাধীন করা।

(ঙ) হাইকোর্ট বিভাগে নির্বাচনি মামলার চাপ কমাতে এবং শুধু নির্বাচনি বিরোধ সংশ্লিষ্ট মামলা (ইলেকশন পিটিশন) দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য জেলা পর্যায়ে ‘সংসদীয় নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল’ স্থাপন এবং ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের সুযোগ রাখা।


আরও খবর



২৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৪২ কোটি ডলার

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশে চলতি ডিসেম্বরের মাসের গত ২৮ দিনে বৈধপথে ২৪২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে ; দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। রেমিট্যান্সের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ডিসেম্বরে দেশে রেকর্ড প‌রিমাণ প্রবাসী আয় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। একক মা‌সে এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ২৫৯ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ডিসেম্বরের ২৮ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৮ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬৩ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডি‌সেম্বর সময়ে (২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত) এক হাজার ৩৫৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৪০ কোটি ডলার এবং সবশেষ নভেম্বরে মাসে এসেছে ২২০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, পরিমাণ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫