Logo
শিরোনাম

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত ‘মোখা’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আজ (শুক্রবার) ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হতে পারে।

এ ছাড়া অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



ইউক্রেন যুদ্ধের আরো বড় প্রভাবের আশঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে ইউরোপজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে এবং মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে যুদ্ধের বড় নেতিবাচক প্রভাব এখনো পড়েনি। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সুইস ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণের পর ইউরোপে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক বাজারে অস্থিরতা দেখা গেছে এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের অর্থনীতিতে বড় সংকোচন হয়েছে।

মাঝারি থেকে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব আরো বেশি হতে পারে, বিশেষ করে বাস্তব অর্থনীতির ক্ষেত্রে। এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এই প্রভাব প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।

গবেষণা অনুসারে, যুদ্ধের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জার্মানি। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আক্রমণ না করত তাহলে ২০২২ সালের চতুর্থ অর্ধে দেশটির জিডিপি শূন্য দশমিক সাত শতাংশ বেশি এবং মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম থাকত।

 ইতালির ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক দুই শতাংশ কম এবং জিডিপি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেশি হতো।

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যুদ্ধ না হলে সুইজারল্যান্ডের জিডিপি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেশি এবং মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম হতো।

এই যুদ্ধ আগের যুদ্ধের তুলনায় কাছাকাছি এবং অতীতের তুলনায় শরণার্থী ও অতিরিক্ত সামরিক ব্যয়ের কারণে ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




পরীক্ষায় পাসের হার কম থাকায় ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শোকজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার কম থাকায় ৭টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন বন্ধের জন্য শোকজ করেছে মাদ্রাসা অধিদপ্তর। 

চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় ১০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পাস করেছিলো। এতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফল বিপর্যয় হওয়ায় এসব মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন কেনো বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গত রবিবার ঐ ৭জন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে পাঠানো শোকজ নোটিশ প্রকাশ করেছে মাদ্রাসা অধিদপ্তর।

জানা যায়, ফল বিপর্যয় প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ছোট মহারান্দি টেকনিক্যাল দাখিল মাদরাসার ২০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ২জন, পাশের হার ১০ শতাংশ, একই উপজেলার নির্মল দারাজিয়া দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ জন, পাশের হার ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, দিবার সিদ্দিকী নগর দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১জন, পাশের হার ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ফরিদপুর নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ২১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২জন, পাশের হার ৪ শতাংশ।

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পঞ্চপুর আলিম মাদরাসার মাদরাসার ২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১জন, পাশের হার ৯ দশমিক ৯ শতাংশ, একই উপজেলার বিথী সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার মাদরাসার ১৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ জন, পাশের হার ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। রাজাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ জন, পাশের হার ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। 

অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানানো হয়েছে, মাদরাসা গুলোর কম পাসের হার এমপিও নীতিমালা পরিপন্থি। প্রতিষ্ঠান গুলো এ কর্মকাণ্ডে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এসব মাদ্রাসা গুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত বা স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা কেনো গ্রহণ করা হবে না তার জবাব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই গণিত বিষয়ে ফেল করেছে বলে বলে জানা যায়।


আরও খবর



কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে ইউএনজিএর ৭৮তম অধিবেশনের সাইডলাইনে শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ অব কমিউনিটি ক্লিনিক : ইনোভেটিভ অ্যাপ্রোচ অ্যাচিভিং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ ইনক্লুসিভ অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ডিজঅ্যাবিলিটি শীর্ষক উচ্চ-স্তরের সাইড-ইভেন্টের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কমিউনিটি ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের চাবিকাঠি। সবার কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোর এ প্রচেষ্টাকে সহায়তার জন্য উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বহুপাক্ষিক অর্থায়ন সংস্থাগুলোসহ আমাদের উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি উন্নয়নশীল বিশ্বে কমিউনিটি-ক্লিনিক স্বাস্থ্য সেবায় তাদের সহায়তার হাত প্রসারিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। টেকসই উন্নয়ন ও সার্বজনীন স্বাস্থ্যের বিষয়ে আমাদের সম্মিলিত কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য এ বছর শপথ নেওয়ার সময় আমরা আপনাদের উপস্থিতিতে উৎসাহিত বোধ করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, গ্লোবাল সাউথের উদীয়মান কণ্ঠস্বর হিসেবে বাংলাদেশ অর্থপূর্ণ আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের সম্ভাব্য উপায় হিসেবে ইস্যুটিতে চ্যাম্পিয়ন হবে। আমাদের দিক থেকে, বাংলাদেশ আগ্রহীদের সঙ্গে উপলব্ধি এবং দক্ষতা বিনিময় করতে প্রস্তুত। সব সুখের মূলে রয়েছে স্বাস্থ্য। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চারদিকে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা আশা করি, এ সাইড ইভেন্ট স্বাস্থ্য এবং আমাদের সব জনগণ ও কমিউনিটির কল্যাণে আমাদের অভিন্ন অঙ্গীকারের আরেকটি নিদর্শন হয়ে থাকবে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, তারা বুঝতে পেরেছেন যে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো আবার চালু করা ও এগুলোর টেকসইয়ত্ব শুধুমাত্র এগুলোর মালিক ও রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী স্থানীয় জনগণের ওপর নির্ভর করে। কেন ৯০ শতাংশ সেবাপ্রার্থী কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতি তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে- তা এ চিত্রটিই বলে দেয়।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে তাদের পার্লামেন্ট কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্ট অ্যাক্ট পাশ করেছে। যাতে এর কার্যক্রম ও ফান্ডিং পদ্ধতি আরো সহজতর করা যায়।

স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূলে পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা ভাবেন। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয় রোধ করতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করার জন্য পাঁচটি অগ্রাধিকার অন্তর্ভুক্ত করা, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে বিশেষত এনসিডিগুলোর জন্য উন্নত ডিজিটাল স্বাস্থ্য ও ডায়াগনস্টিক পরিষেবা দিতে সক্ষম করে তোলা এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মতো ক্রমবর্ধমান জলবায়ু-জনিত স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সক্ষমতা আরও উন্নত করা।

অবশিষ্ট দুটি হলো- মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্নায়ুবিক ব্যাধির জন্য স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা সেবা উন্নত করা, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারকে সেবা দেওয়াসহ একটি শক্তিশালী ডেটা-চালিত স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিক বিল্ডিং ব্লক হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ব্যবহার করা যায়।

এ সময় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক একটি ধারণা- যা বাংলাদেশে সময়ের পরীক্ষায় দাঁড়িয়ে গেছে। এটি এখন আমাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এ মডেলটিকে বাকি উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি সর্বোত্তম অনুশীলন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা আমাদের জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমার পিতা, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই, জাতির পিতা সমগ্র জনগণের জন্য চিকিৎসা সহায়তার ন্যূনতম সুযোগ দেওয়ার জন্য গ্রামীণ চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করতে চেয়েছিলেন।

তিনি আরো বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো তার স্বপ্ন এবং প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। এখন প্রায় ১৪ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে, যা স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা এবং পুষ্টি-সম্পর্কিত পরিষেবাগুলোর জন্য ওয়ান-স্টপ সেন্টার হিসেবে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল, যা এখন সারা দেশে কাজ করছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নবজাতক, শিশু এবং মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রায় ৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক জন্মদানের জন্য দক্ষতাপূর্ণ সেবার সুবিধা দিচ্ছে। এতে গড়ে প্রতি মাসে ৯ দশমিক ৫ থেকে ১০ মিলিয়ন লোক ক্লিনিকে সেবা নিতে আসেন এবং এ সেবাপ্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ নারী ও শিশু। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সর্বজনীন টিকাদানের স্থানীয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এবং তারা কোভিড-১৯ টিকার কভারেজ সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসংক্রামক রোগের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্নায়বিক ব্যাধিও পরীক্ষা করার সুযোগ রয়েছে। আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এবং যেখানে সম্ভব মানসিক স্বাস্থ্যের সহায়তা প্রসারিত করতে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছি। এ জন্য কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কফোর্সের প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা আপডেট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ২৭টি প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং তিনটি পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী বিনামূল্যে দিয়ে আসছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অ্যান্টিবায়োটিকগুলোকে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এবং অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ এজেন্ট দিয়ে প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো জরুরি ও জটিল ক্ষেত্রে উচ্চতর চিকিৎসা সুবিধার জন্য রেফারেল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, সেবা প্রদানকারীরা স্বাস্থ্য ডেটা রেকর্ড করার জন্য ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে সজ্জিত। তারা স্বাস্থ্য এবং বিকলতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য সামাজিক এবং আচরণগত পরিবর্তনের বিষয়গুলোতেও তারা সম্পৃক্ত।

কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর প্রতিটি ৬ হাজার জন লোককে সেবার আওতায় আনবে বলে আশা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্লিনিকগুলো সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের একটি অনন্য মডেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, স্থানীয় লোকেরা এর জন্য জমি সরবরাহ করে এবং সরকার পরিচালনার খরচ বহন করে। নারীদের বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণসহ সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে নেওয়া এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের দ্বারা এগুলো পরিচালিত হয়।

তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় আসার পর, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো প্রায় সাত বছর ধরে অবহেলিত ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রাখা হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)-এর বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদ।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে, সিন্ট মার্টেনের প্রধানমন্ত্রী সিলভেরিয়া এলফ্রিডা জ্যাকবস জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা কভারেজ অর্জনকারী বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

মালদ্বীপের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সাফিয়া মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, এত শক্তিশালী নারী নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে পেরে তিনি অভিভূত। তিনি সবার কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার উপায়গুলো সহজ করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূমিকা নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও দেখানো হয়।

সূত্র : বাসস

 


আরও খবর



স্বপ্নের নায়ককে হারানোর দিন আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

বিনোদন ডেস্ক : বাংলা সিনেমার রাজকুমার চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।

ঠিক ২৭ বছর আগে ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহর রহস্যমৃত্যু ঘটে। সেই রহস্যের জট এখনও খোলেনি। দফায় দফায় তদন্ত, প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি নায়কের পরিবার কিংবা ভক্তরা। কারণ সেসব প্রতিবেদনে বরাবরই বলা হয়েছে, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। যদিও তার পরিবার অর্থাৎ মা নীলা চৌধুরী এখনো সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা মানতে নারাজ।

তবে এটি অপমৃত্যু নাকি হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে এখনো রয়েছে ধোঁয়াশা থাকলেও সালমান শাহের মৃত্যুর এত বছর পরও তার জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি।

বলা হয়, সালমান শাহ ছিলেন কালোত্তীর্ণ নায়ক। কোনো কালের মধ্যে তিনি সীমাবদ্ধ ছিলেন না। তার ফ্যাশন সচেতনতা, স্টাইলিশ চলাফেরা সবসময়ের জন্য প্রযোজ্য। ভক্তদের চোখে তিনি ছিলেন ‘স্বপ্নের নায়ক’।
ক্ষণজন্মা এই নায়কের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায়। তার পিতার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরীতার নানা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ অভিনয় করেছিলেন। অভিনয়ে সালমানের আসা নানার কারণেই।

সালমানের পারিবারিক নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান বড় ছিলেন। ছোটবেলায় তিনি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী। ইমন নামে অভিনয় জীবন শুরু হয় বিটিভিতে শিশুশিল্পী হিসেব ১৯৮৬ সালে ছায়ানট থেকে পল্লীগীতিতে পাস করেছিলেন তিনি।

মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক ‘পাথর সময়’-এ একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সালমান শাহ’র অভিনয়ে অভিষেক হয়েছিল। পরবর্তীতে আরও বেশকিছু নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। প্রথম সিনেমাই সালমান শাহ দর্শকের মাঝে ঝড় তোলেন। এ সিনেমার মাধ্যমে চিত্রনায়িকা মৌসুমীও চলচ্চিত্রে আসেন। সালমান-মৌসুমী জুটি অল্প সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।
পরবর্তীতে এ জুটি ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘দেনমোহর’ সিনেমায় অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। এরপর শাবনূরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সালমান শাহ। এ জুটিও অসামান্য জনপ্রিয়তা পায়। প্রায় এক ডজন সিনেমায় এ জুটি অভিনয় করেন।

সালমান শাহ অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো, ‘তুমি আমার’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘বিচার হবে’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘সুজন সখি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বুকের ভেতর আগুন’ ইত্যাদি।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ফ্লাইওভারে পোস্টার লাগানো রোধে মনিটরিং করবে ডিএসসিসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ফ্লাইওভারগুলোতে যেন কোনো ব্যক্তি, সংস্থা পোস্টার বা বিজ্ঞাপন লাগাতে না পারে সে বিষয়ে মনিটরিং করবে সংস্থাটি।

এ লক্ষ্যে মনিটরিংয়ে লোক নিয়োগ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ডিএসসিসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে দক্ষিণ সিটির সচিব আকরামুজ্জামান এ বিষয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করেছেন।

সচিব আকরামুজ্জামান জানান, কোনো ফ্লাইওভারে কেউ বিজ্ঞাপন, পোস্টার যেন না লাগাতে পারে তা মনিটরিং করতে এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি মনিটরিং করবেন।

জানা গেছে, ফ্লাইওভারে পোস্টার, বিজ্ঞাপন লাগানো রোধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এ কাজ মনিটরিং করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এর উপ-কর কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম শাওনকে।


আরও খবর