Logo
শিরোনাম

পা দিয়ে লিখে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছেন ফুলবাড়ীর মানিক রহমান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

পা দিয়ে লিখে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ -৫ পেয়ে সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে মানিক রহমান তার জন্ম থেকেই দুটি হাত নেই,পা দুটি থাকলেও একটি লম্বা অন্যটি খাটো।এর আগে ২০২২ সালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি জছিমিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও জিপিএ -৫ পেয়েছিল। অদম্য ইচ্ছা শক্তি তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি এবছর নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল মানিক। তার সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বাবা,মা, শিক্ষক শিক্ষিকা সহ-সবাই মুগ্ধ।

এই অদম্য মেধাবী মানিক রহমান কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্র খানা গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান ও সহকারী অধ্যাপক মোছাঃ মরিয়ম বেগমের বড় ছেলে। শুধু মাত্র এসএসসি-এইচএসসিতে নয় মা-বাবা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় নিজের আত্মবিশ্বাস ও মনোবল কে কাজে লাগিয়ে পিএসসি পরীক্ষায় পেয়েছিলেন গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, এবং জেএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ -৫ পেয়ে সবার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন মানিক রহমান। এছাড়া পা দিয়ে মোবাইল চালানো এবং কম্পিউটার টাইপিংয়ে যথেষ্ট পারদর্শী সে, প্রোকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হয়ে ভবিষ্যতে একজন দক্ষ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় মানিক।

মানিকের বাবা মোঃ মিজানুর রহমান ও মা, মোছাঃ মরিয়ম বেগম জানান, আমাদের দুই ছেলের মধ্যে মানিক বড়, ছোট ছেলে মাহিম নবম শ্রেণীতে পড়ে। মানিক জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী তার দুটি হাত নেই একটি পা অন্যটির চেয়ে খাটো।সে প্রতিবন্ধী হলেও জন্মের পর থেকে আমরা তাকে প্রতিবন্ধী মনে করি না,হাত না থাকায় ছোট বেলা থেকেই আমরা তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস করিয়েছি।পা দিয়ে লিখেও তার লেখা অনেক সুন্দর এবং পড়াশোনায় সে খুবই মনোযোগী সবাই দোয়া করবেন কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন যেন তার পুরণ হয়।


আরও খবর



আজকের কথাগুলো সাংবাদিক দীপক সাহাকে নিয়ে

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

রাশেদ আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক :

‘আমাদের ছেড়ে গেলি দীপক দা’

আশি দশকের শেষ দিকে কিছু টগবগে তরুণ কাজ করতাম সাপ্তাহিক সন্দ্বীপ নামক একটি পত্রিকায়। আমাদের টিম লিডার মানে নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন কবি সালেম সুলেরী। ছিলাম আমি, সুমন মাহমুদ, শহিদুল আজম, দীপক সাহা, নঈম নিজাম, ফেরদৌস সালাম, অসিম সাহা, আফরোজা নাজনীন, ফরিদ বাশার। পরে অবশ্য যুক্ত হয় কুদ্দুস আফ্রাদ, শিমুল মাহমুদ। সাপ্তাহিকটিতে নিয়মিত লিখতেন আমীর খসরু, আশরাফ খান, মতিউর রহমান চৌধুরী, সাইফুল আলম, শফিকুল কবীর, আলী মামুদ সহ অনেকে। ফকিরের পুল টয়েনবি সার্কুলার রোডের সেই অফিসে খুবই আড্ডার মধ্য দিয়ে সময় কাটতো, কাজও হতো। আমরা সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা প্রাণোচ্ছাস ভাগাভাগি করে নিতাম।

আজকের কথাগুলো দীপক সাহাকে নিয়ে। একটি ক্যামেরা নিয়ে অফিসে আসতেন। খুবই স্মার্ট তরুণ। দুর্দান্ত এক ফটোসাংবাদিক। আমি তার গ্রিন রোডের বাসায় যেতাম, মুন্নী সাহার সাথে সেখানেই পরিচয়, দীপক দার ছোটো বোন। তিনিও পরে ওই পত্রিকায় লেখা শুরু করেন। 


স্মৃতিতে আজ ভাসছে; 

শিশু একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে এসাইনমেন্টে গেছি আমি আর দীপক দা। শিশু-কিশোরদের সঙ্গীত প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান। শুরুর আগে আমরা দর্শক সারিতে বসে আছি। দেখি কয়েকজনের মধ্যে একটি সুন্দরী তরুনী খুবই চটপটে । দীপক দা আমাকে দেখিয়ে বললেন দেখো রাশেদ মেয়েটি কতো সুন্দরী, ঠিক যেনো স্বরস্বতী। চলো পরিচিত হই। মেয়েটি যদি হিন্দু হয় তাহলে আমি সম্পর্ক করবো। আর মুসলমান হলে তোমার জন্য ছেড়ে দেবো। প্রমিজ। সঙ্গীত প্রতিযোগিতা শুরু হলো। তনুশ্রী চক্রবর্তীর নাম ঘোষণার পর দেখি স্টেজে সেই মেয়ে উঠলো। রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে মন মাতালো। দীপনদার তখন খুশি আর ধরেনা, হাততালিও থামেনা। আমি নিশ্চুপ। অনুষ্ঠান শেষে দেখা করতে গেলাম। বন্ধুর জন্য চেষ্টা করতে হয়। দীপকদা ছবি তুললেন। আলাদা ইন্টারভিউ করার জন্য ওর বাবার কাছে সময় এবং বাসার ঠিকানা চেয়ে নিলাম। পরে একদিন বাসায় গেলাম। এভাবে দীপক দার সাথে তনুশ্রীর সম্পর্কের সূচনা। কিন্তু বাঁধ সাধলো জাঁত ভেদ নিয়ে। ব্রাক্ষণ মেয়ের সাথে তো সাহার ছেলের বিয়ের রীতি নেই। তখন দীপক দা কাঁদে, আমরাও কষ্ট পাই। সুলেরী ভাইতো গানই লিখে ফেললেন।আমরা সেই দুঃখের গান গাই অফিসে বসে। যাহোক আনুষ্ঠানিক কোনো কিছু করতে না পেরে দীপকদাকে পালিয়ে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করতে হলো। সেই সংসারই করেছেন দীপক দা। বউকে এতো ভালোবাসতেন, পারলে শোকেস এ রেখে দিতেন। পরবর্তীতে আমরা যখন সন্দ্বীপ পত্রিকা ছেড়ে যে যার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। বন্ধনের অনুভুতিও হালকা হয়ে গেছে। যোগাযোগ হয়নি বছরের পর বছর। হঠাৎ আজ মুন্নী সাহার ফেসবুক স্টাটাসে দেখলাম। ‘আমাদের ছেড়ে গেলি ছোট দা’। মনটা ভেঙে চুড়ে গেলো। অনেক কষ্ট লাগছে। প্রিয় তনুশ্রী এই শোক সইবে কি করে? আমি কি আর লিখবো শুধু বলি দীপক দার দেহাবশেষর ছাইগুলো চুমকি হয়ে উড়ুক বিশাল আকাশে।……..

(আমার অনেক ছবি তুলে দিয়েছেন দীপক দা কিন্তু তার সাথে মিলে ছবি খুঁজলাম এখন পাচ্ছিনা। একটি ছবিই পেলাম। কোনো এক বই মেলায়। পেছনে কবি নির্মলেন্দু গুন, কবি মহাদেব সাহা, আমি, দীপকদা, বায়রন বিশ্বাস, সামনের বায়ে কুদ্দুস আফ্রাদ। আরেকটি ছবিতে সন্দ্বীপ পত্রিকার প্রকাশক মুস্তাফিজুর রহমান সহ সংবাদকর্মীরা।)


আরও খবর



তাবাসসুম ঊর্মিকে কেন ওএসডি করা হলো?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

গোলাম মাওলা রনি :

মাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মিকে কেন ওএসডি করা হল এমন একটি প্রশ্ন করেছিলাম যা নিয়ে মুল ধারার গন মাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে । 

ঊর্মিকে কেবল ওএসডি নয় - ইতিমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ! আমি ঊর্মির পক্ষে কিছুই বলিনি - শুধু কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলাম ! কেন প্রশ্ন করেছিলাম তা এখন আপনাদেরকে জানাচ্ছি ! 

আমি ২০১২ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার মধ্যে যে গনতান্ত্রিক মনভাব এবং আচরণ দেখেছি তা ২০১৩ সালের পর থেকে ভয়াবহ রূপ নেয় । কিছু আমলার প্ররোচনা এবং তেলবাজদের চক্রান্তের কারনে শেখ হাসিনার যে মানসিক বিবর্তন ঘটে সেখানে তাঁকে নিয়ে বা তার পরিবার নিয়ে কেউ টু শব্দ উচ্চারণ করলে তিনি সমালোচনাকারীকে শায়েস্তা করার জন্য পাগল হয়ে যেতেন । 

ডঃ ইউনুস আমাদের স্বপ্ন-ভালবাসা-ঘাম-শ্রম এবং রক্তের ফসল ! তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন করলে বা তার সমালোচনা করলে কেন আমলারা শেখ হাসিনার জমানার মতো আচরণ করবেন । ঊর্মির বক্তব্য নিয়ে তাকে প্রথমত শো কজ করতে হবে । তার উত্তর সন্তোষজনক না হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে । অপরাধ বেশি গুরুতর হলে - ফৌজদারি মামলাও হতে পারে । কিন্তু এসব না করে - এক কথায় ওএসডি করা এবং তারপর সাময়িক বরখাস্ত করার মাধ্যমে যে দৃষ্টান্ত তৈরি হল তার সঙ্গে শেখ হাসিনার জমানার পার্থক্য কতোটুকু !  

ঊর্মি যে বিভাগের কর্মকর্তা সেই বিভাগে ইতিমধ্যে বহু লংকা কাণ্ড ঘটেছে । ডিসি নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির খবরে সারা দেশে তোলপাড় হয়েছে । কাউকে ঊর্মির মতো শাস্তি দেয়া হয়েছে এমন খবর আমি এখনো শুনিনি । 

বাংলাদেশে নতুন করে বিরাজনীতিকরন, মাইনাস টু এবং মব জাস্টিস নিয়ে তুমুল বিতর্ক হচ্ছে । এখানে হঠাৎ হুট হাট করে অনেক কিছু ঘটছে যা নিয়ে প্রশ্ন না করলে শেখ হাসিনার চেয়েও জঘন্য ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়ে যাবে । 

গন হারে মামলা, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যাকে ইচ্ছা তাকে নিয়োগ বা চাকুরী থেকে বাদ দেয়ার পরের ধাপ হবে - রাজনীতিবীদদের উপর অত্যাচার । আর তখন যদি বিএনপি-জামাতের শীর্ষ নেতাদেরকে ধরা হয় - আদালতে উঠানোর সময় সাবের হোসাইন চৌধুরীর মতো লাথি গুঁতো কিল ঘুষি মারা হয় তখন প্রশ্ন করার মতো সাহস কারোরই থাকবে না ।


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিম তালিকায় ড. ইউনূস

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকায় শুরুর দিকেই রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম।

সম্প্রতি ২০২৫ সালের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকা আম্মানের দ্যা রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার প্রকাশ করে

প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের প্রভাব ও অবদান পর্যালোচনা করে প্রকাশিত হয় দ্য মুসলিম ৫০০: দ্য ওয়ার্ল্ডস ৫০০ মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস, যা ১৬ বছর আগে থেকে প্রকাশ করা হচ্ছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম ৫০ নম্বরে স্থান পেয়েছে

প্রতিবছর প্রকাশিত এই তালিকায় পাঁচটি ক্যাটাগরিতে প্রভাবশালী মুসলিমদের নির্বাচন করা হয়। এই ক্যাটাগরিগুলো হলো: ধর্মীয়, রাজনৈতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্প ও সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া ও বিনোদন। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সেসব মুসলিম ব্যক্তিত্বকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি দীর্ঘদিন ধরে মাইক্রোফাইন্যান্স ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তার অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান এবং বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব তাকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তিনি বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকায় বাংলাদেশ থেকে অন্যতম মুখ

২০২৫ সালের প্রকাশিত তালিকার নারী বিভাগের Woman of the Year হয়েছেন জর্ডানের রানী রানিয়া আল-আবদুল্লাহ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করছেন

এই তালিকায় আরও অনেক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব যেমন, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইবন আল-হুসেইন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, এবং ইরানের আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিসহ শীর্ষস্থানীয় মুসলিম ব্যক্তিত্বরা স্থান পেয়েছেন


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




১০৭ ভুয়া আইনজীবীকে বরখাস্ত করল বার কাউন্সিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

১০৭ জন ভুয়া আইনজীবীকে বরখাস্ত করেছে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (বিসিআই)। ২০১৯ থেকে ২০২৪ এর মধ্যে দিল্লির ১০৭ জন আইনজীবীর নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে বার কাউন্সিল

বিসিআইয়ের তরফে গত ২৬ অক্টোবর একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ভুয়া আইনজীবীদের চিহ্নিত করে নির্মূল করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। বিচারব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা বজায় রাখতে এবং আইনি ব্যবস্থাকে অনৈতিক কার্যকলাপের হাত থেকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ।

বার কাউন্সিলের আরো দাবি, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে কয়েক হাজার আইনজীবীকে তাদের শংসাপত্র দেখাতে বলা হয়েছিল। তাদের মধ্যে যারা অনুশীলনের বৈধ প্রমাণ ও শংসাপত্র দেখাতে পারেননি, তাদেরকেই বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আইনজীবীদের নামের তালিকা থেকেও বাদ গিয়েছে ওই ভুয়া আইনজীবীদের নাম

উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই গুজরাতের গান্ধীনগরে ভুয়ো আদালত খুলে প্রতারণার চক্র চালানোর খবর প্রকাশ্যে এসেছে! সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বিচারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মরিস স্যামুয়েল ক্রিশ্চিয়ান। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি ওই ভুয়া আদালত চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। নগর দায়রা আদালতে যাদের জমিজমা সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন, মূলত তাদেরই প্রতারণার জালে ফাঁসাতেন অভিযুক্ত। একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নগর দায়রা আদালতে জমে থাকা মামলা নিজের আদালতে শুনানির জন্য টোপ দিতেন ওই ভুয়া বিচারক। সেই আবহেই এবার ১০৭ জন আইনজীবীকে বহিষ্কারের ঘোষণা করল বার কাউন্সিল


আরও খবর



বকশীগঞ্জে গৃহবধু হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :  

বকশীগঞ্জে গৃহবধু সূচনা আক্তার সূচী (২৭) হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে পৌর শহরের মালিরচর মন্ডলপাড়া এলাকাবাসী এই কর্মসূচীর আয়োজন করে। মানববন্ধনে সূচীর স্বজনরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। 

মালিচর মন্ডলপাড়া-ধুমালী সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমান,আলমগীর মিয়া,মজনু মিয়া ও গৃহবধূ সূচনার মা রোজিনা বেগম প্রমূখ। আসামীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। গত শুক্রবার রাতে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইড়মারি খানপাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে সূচীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

জানা যায়,বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইড়মারী খানপাড়া গ্রামের ইফাজ উদ্দিনের ছেলে আলমাছ হোসেন আরিফের (৩২) সাথে প্রায় পাচঁ বছর পূর্বে পৌর শহরের মালিরচর মন্ডলপাড়া গ্রামের বেলায়েত মিয়ার মেয়ে সূচনা আক্তার সূচীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্বামী ও শশুড় বাড়ির লোকজনের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে সূচনার ঝগড়া হয়। পরে রাত ৮ টার দিকে পুলিশ তার স্বামীর ঘর থেকে গৃহবধু সূচীর লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পরেই সূচীর স্বামী ও শশুড়সহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় গৃহবধু সূচীর মা রোজিনা বেগম বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সূচনার শাশুড়ী আকলিমা বেগম (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে। 

মানববন্ধনে সূচনার মা রোজিনা বেগম বলেন,বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন সূচনাকে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। তার মেয়ে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। 

সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বলেন,এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। সূচনা যদি আত্মহত্যা করেই থাকে তাহলে বাড়িতে খবর না দিয়ে শশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেলো কেন। দোষীদের শাস্তি দাবি জানান তিনি।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে,গৃহবধুর শাশুড়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও খবর