উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী ঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমানের ছেলে মানিক মিয়া। বিধাতার একি নির্মম পরিহাস জন্ম প্রতিবন্ধী দুই হাত বিহীন ঠোঁট কাটা মানিককে দুনিয়াতে অদম্য মেধাবী করে পাঠিয়েছেন দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য।
দু হাত না থাকলেও পরাশুনায় পিছিয়ে নেই তার ইচ্ছা শক্তি সাধারণ ছাত্র, ছাত্রীদের চেয়ে অনন্য ২০১৬সালে ফুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি গোল্ডেন প্লাস ২০২০ সালে জছিমিয়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি জিপিএ ৫ মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২২ সালেও এসএসসিতে গোল্ডেন প্লাস পেয়ে গোটা উপজেলায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মানিক।এজন্য মানিকের গর্ভধারিণী মহীয়সী নারী মোছাঃ মরিয়ম বেগমের অবদান অনস্বীকার্য। মা মরিয়ম একটি কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা বটে এই জন্য কবির ভাষায় বলতে হয় একজন শিক্ষিত মা উপহার দিতে পারে ভবিষ্যৎ একটি শিক্ষিত জাতি।
মেধাবী মানিকের কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, আপনাদের দোয়ায় আমি এইচএসসি ভর্তি পরীক্ষায় জন্য ভালোভাবে প্রস্তূতি নিয়ে ঢাকা নটরডেম কলেজে ভর্তি হতে চাই এবং আমার স্বপ্ন বুয়েটে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পরতে এবং ভবিষ্যতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা আপনারা দোয়া করবেন আমি যেন আমার স্বপ্ন পূরন করতে পারি।
এব্যাপারে মানিকের বাবা মিজানুর রহমান ও
মা মরিয়ম বেগম বলেন,মহান আল্লাহতালার রহমতে আমাদের ঘরে দুই ছেলে সন্তান দিয়েছেন বড় ছেলে মানিক ছোট ফাহিম ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পরে। মানিকের জন্ম থেকে দুটি হাত নেই ঠোঁট কাটা তা আমাদের মনে হয়না মানিক যেন আমাদের মানিকেই ছোট বেলা থেকেই আমরা তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস শেখাই।সমাজের অনেক সুস্থ স্বাভাবিক ছেলে মেয়েদের পরা শুনার মেধার চেয়ে আল্লাহ রহমতে আমাদের মানিকের পরা শুনার মেধা বুদ্ধি অনেক বেশি সবাই আমাদের মানিকের জন্য দোয়া করবেন তার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হবার ইচ্ছা যেন আল্লাহতায়ালা পুরণ করেন।