Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

পা দিয়ে লিখেই এসএসসিতে গোল্ডেন প্লাস পেয়েছে মানিক

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী ঃ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমানের ছেলে মানিক মিয়া। বিধাতার একি নির্মম পরিহাস জন্ম প্রতিবন্ধী দুই হাত বিহীন ঠোঁট কাটা মানিককে দুনিয়াতে অদম্য মেধাবী করে পাঠিয়েছেন দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য। 

দু হাত না থাকলেও পরাশুনায় পিছিয়ে নেই তার ইচ্ছা শক্তি সাধারণ ছাত্র, ছাত্রীদের চেয়ে অনন্য ২০১৬সালে ফুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি গোল্ডেন প্লাস ২০২০ সালে জছিমিয়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি জিপিএ ৫ মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২২ সালেও এসএসসিতে গোল্ডেন প্লাস পেয়ে গোটা উপজেলায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মানিক।এজন্য মানিকের গর্ভধারিণী মহীয়সী নারী মোছাঃ মরিয়ম বেগমের অবদান অনস্বীকার্য। মা মরিয়ম একটি কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা বটে এই জন্য কবির ভাষায় বলতে হয় একজন শিক্ষিত মা উপহার দিতে পারে ভবিষ্যৎ একটি শিক্ষিত জাতি।

মেধাবী মানিকের কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, আপনাদের দোয়ায় আমি এইচএসসি ভর্তি পরীক্ষায় জন্য ভালোভাবে প্রস্তূতি নিয়ে ঢাকা নটরডেম কলেজে ভর্তি হতে চাই এবং আমার স্বপ্ন বুয়েটে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পরতে এবং ভবিষ্যতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা আপনারা দোয়া করবেন আমি যেন আমার স্বপ্ন পূরন করতে পারি।

এব্যাপারে মানিকের বাবা মিজানুর রহমান ও 

মা মরিয়ম বেগম বলেন,মহান আল্লাহতালার রহমতে আমাদের ঘরে দুই ছেলে সন্তান দিয়েছেন বড় ছেলে মানিক ছোট ফাহিম ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পরে। মানিকের জন্ম থেকে দুটি হাত নেই ঠোঁট কাটা তা আমাদের মনে হয়না মানিক যেন আমাদের মানিকেই ছোট বেলা থেকেই আমরা তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস শেখাই।সমাজের অনেক সুস্থ স্বাভাবিক ছেলে মেয়েদের পরা শুনার মেধার চেয়ে আল্লাহ রহমতে আমাদের মানিকের পরা শুনার মেধা বুদ্ধি অনেক বেশি সবাই আমাদের মানিকের জন্য দোয়া করবেন তার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হবার ইচ্ছা যেন আল্লাহতায়ালা পুরণ করেন। 


আরও খবর



অভিযান বন্ধে দস্যুদের চাপের মুখে নাবিকরা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি জিম্মি হওয়ার পর থেকে দস্যুদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এমন খবরে অভিযান বন্ধ করতে নাবিকদের ওপর চাপ দিচ্ছে দস্যুরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান জানান, গত দুদিন আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী জিম্মি হওয়া জাহাজটিকে চাপের মুখে রেখেছে। অন্যদিকে দস্যুরাও অভিযান বন্ধ করতে নাবিকদের ওপর চাপ দিচ্ছে। দস্যুরা নৌবাহিনীর উদ্দেশে বলেছে, বাড়াবাড়ি করলে জাহাজ তীরে তুলে দেবে।

এদিকে, জিম্মি হওয়া জাহাজের মালিকপক্ষ ও সরকার নাবিকদের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে কোনো ক্ষতি ছাড়াই নাবিক ও জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমর মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আমরা কোনো ধরনের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করছি না। তাছাড়া রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও সুস্পষ্ট বার্তা হচ্ছে সহিংস অভিযান পরিচালনা করা যাবে না।

তিনি বলেন, নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে মধ্যস্থতার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের দিকে সব থেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। দশ বছর চুপচাপ থাকার পর গত নভেম্বর থেকে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে তারা। তাদের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে শত শত মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দস্যুরা।


আরও খবর



সুপ্রিম কোর্টে মারামারি, পাঁচ আইনজীবী রিমান্ডে

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির মামলায় পাঁচ আইনজীবীর তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে পাঠানো পাঁচ আইনজীবী হলেন কাজী বশির আহমেদ, তুষার, তরিকুল, এনামুল হক সুমন ও ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইরজীবীরা রিমান্ডের আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

মামলা থেকে জানা যায়, গত ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ (এস আর সিদ্দিকী সাইফ) বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

মামলায় আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করা হয়েছে। নাহিদ সুলতানা যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।


আরও খবর



ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন,স্টাফ রিপোর্টার :

ঢাকার ধামরাইয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধে মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

গত রাত মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) ভোরে সেহরি রান্নার সময় এমন ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন নান্নু মিয়া (৬০), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৮), একমাত্র কন্যা সাথী আক্তার (২১) ও ছেলে সোহাগ মিয়া (১৮)। বর্তমানে সকলেই শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

আহত নান্নু মিয়া উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের উত্তর পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ধামরাই পৌরসভার মোকামটোলা ইব্রাহিম হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। নান্নু মিয়া ইব্রাহিম হোসেনের ৪ তলা বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন।

জানা যায়, ভোর রাতে নান্নু মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম সেহরি রান্নার সময় ঘরে জমানো গ্যাসে অটো সুইচ দিলেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই সাথে তিনটি কক্ষের সব পুড়ে যায় এবং ঘরে নান্নু মিয়াসহ স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের আর্তচিৎকারে বাড়ির মালিক ইব্রাহিম হোসেনসহ প্রতিবেশীরা নান্নাু মিয়া ও তার স্ত্রী পুত্র ও কন্যাকে উদ্ধার করে অতিদ্রুত ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার ইমারজেন্সিতে দ্বায়িত্বে থাকা চিকিৎসক দ্রুত তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

স্থানীয়রা জানায়, সেহরির সময় হঠাৎ করে বাড়ির মালিক ইব্রাহিম হোসেনের ঢাক চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। পরে এগিয়ে দেখি তার বাড়ির নিচ তলায় ভাড়াটিয়া নান্নু মিয়ার কক্ষে আগুন লেগেছে। পরে সেখান থেকে অগ্নিদগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে ইসলামপুর সরকারি হাসাপাতালে নিলে সেখান থেকে আবার তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি অগ্নিদগ্ধ ৪ জনকেই স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ওই পরিবারে লাইন গ্যাস ও সিলিন্ডার গ্যাস দুটোই আছে। তবে গ্যাসের সিলিন্ডার ফাটেনি। ধারনা করা হচ্ছে লাইন গ্যাসের সুইচ খোলা ছিল। সেই গ্যাস ধীরে ধীরে ঘরের ভিতর জমা হয়েছে এবং রান্নার সময় আগুন দেওয়ার সাথে সাথেই তিনটি কক্ষে মালামাল যা ছিল পুড়ে গেছে এবং পরিবারে ৪ জন সদস্য ছিল সবাই মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। তারা বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকা মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

অগ্নিদগ্ধদের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা বলেন, আজ সেহরির সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে চার জন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।তাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায়।তাদের কে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



নির্ধারিত দামে কোথাও মিলছে না খেজুর

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুরের খুচরা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এতে দোকানদারদের অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা: ফুয়ারা খাতুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে আমদানি করা বিভিন্ন মানের খেজুরের আমদানি মূল্য, আরোপিত শুল্ক ও করাদি এবং আমদানিকারকের অন্যান্য খরচ বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতি কেজি খেজুরের মানভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নিরূপণ করা হয়েছে।

যদিও সরকার নির্ধারিত দামে কোথাও খেজুর মিলছে না। বাজারে সবচেয়ে কম দামের খেজুর জাইদি জাতের। এই খেজুর প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। যেটির সরকার নির্ধারিত দাম ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছর রোজায় যে খেজুর পাইকারি ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেই খেজুরের ওপরে এবার শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ২০৮ টাকা। এতে পাইকারি বাজারেই খেজুরের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

বাদামতলীর খেজুর ব্যবসায়ী শাওন বলেন, আমরা পাইকারি ব্যবসায়ীরা সবসময় অল্প লাভেই বিক্রি করে থাকি। আমাদের চিন্তা থাকে লাভ অল্প হলেও বিক্রি যদি বেশি হয়, তা হলে লাভ এমনিতে বেশি হবে। আমাদের বিক্রি হয় কেনার ওপর ভিত্তি করে। যেই খেজুর আগে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করতাম, সেখানে এখন ৩৫০ টাকা শুল্ক দেয়া লাগছে। তা হলে বোঝা যাচ্ছে, ভ্যাট বাড়ানোর ফলে খেজুরের দাম বেড়েছে। এই বিক্রেতার দাবি, সরকার যদি শুল্ক কমিয়ে দেয় তা হলে খেজুরের দাম অটোমেটিক কমে যাবে। জনগণের ভোগান্তি হবে না। এখন সবাই একতরফা ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করছে। আসল ঘটনা তো অন্য জায়গায়। আমরা আমদানি করি, সেটির শুল্ক যদি বেশি দিতে হয়, তাহলে দাম তো বাড়বেই। এটি হচ্ছে মৌসুমি ব্যবসা। ফলে খুচরা বিক্রেতারা যে দামে কেনেন, তার চেয়ে বেশি মুনাফায় খেজুর বিক্রি করছেন।

 

খেজুর কিনতে এসে জসিম উদ্দীন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে খেজুর গত বছর কিনেছিলাম ৩০০ টাকায়, সেটি চাইছে ৬৫০ টাকা। পছন্দও হচ্ছিল না। পরে বাধ্য হয়ে ১২০০ টাকা কেজি খেজুরের ২০০ গ্রাম কিনলাম। পরিচিত দোকানদার মন খারাপ বুঝে বললেন, 'জায়গামতো কোনো খবরদারি বা নজরদারি কোনোটাই নেই। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাদামতলীতে খেজুরের বস্তাপ্রতি দাম বাড়ানো হয়েছে গড়ে কমপক্ষে এক হাজার টাকা। এক দিকে রমজানে স্কুল খোলা রাখতেই হবে, সেটা নিয়ে কতো কোর্টকাচারি চলল। খেজুরে বাড়তি দাম, বরই খাওনের পরামর্শ মন্ত্রীর। সেটা নিয়েও কতো কত সমালোচনা। কিন্তু খেজুর নাগালে এলোই না।' বাদামতলীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাত ও আকার অনুযায়ী দেশে কমপক্ষে ৩০ ধরনের খেজুর বিক্রিক্র হয়। এর মধ্যে দাম কম হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে 'জাইদি' ও বস্তায় আসা খেজুর। এটি আসে ইরাক থেকে। এ ছাড়া আজোয়া, মরিয়ম, মাসরুক, ডালা-আলজেরিয়া, নাঘাল, সায়ের, মডজুল, থকালমি, ফেনছি, ইরান ও জর্দানের মরিয়ম, লাকজারি, সুগাই, তিউনিসিয়া থাল, সুফকারি, জাম্বু, মাবরুম, দাব্বাস, রেজিজ, আমিরাতের লুলু ও বারহিল বাজারে
এসব খেজুরের চাহিদা রয়েছে।


দেশের বাজারে প্রতি কেজি মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মাবরুম ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, মেডজুল ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দাবাস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। আজোয়া মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি। আজোয়া এবং মরিয়ম ক্ষেত্র বিশেষে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আরও বেশি দামের খেজুরও আছে। তবে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে জাইদি খেজুর, দাম প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কেন বাড়ে?

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রক্তে এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ছে মানেই বিপদ। হার্টের রোগের পিছনে যে এই উপাদানটির হাত রয়েছে। তা এখন সকলেই জানেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে স্ট্রোক, করোনারি ডিজিজ, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এখন প্রশ্ন হলো, কোলেস্টেরল কী? তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়ই বা কী?

মোমের মতো চটচটে একটি পদার্থ হলো কোলেস্টেরল। যার উৎসস্থল হলো লিভার। রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে কোলেস্টেরল শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায়। কোলেস্টেরল মানেই যে খারাপ, এমন ধারণাও ঠিক নয়। রক্তের মধ্যে সাধারণত দুধরনের কোলেস্টেরল থাকে।

লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) এবং হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল)। এই দুয়ের মধ্যে হার্টের বন্ধু হল এইচডিএল। অন্যটিই যত নষ্টের গোড়া। চিকিৎসকেরা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে ভাসতে থাকা ওই চটচটে পদার্থগুলোই এক সময়ে ধমনীর গায়ে আটকে যায়। ধমনীর গায়ে অবাঞ্ছিত কিছু প্লাক তৈরি করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়, শুরু হয় নানান সমস্যা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে ওষুধের উপর ভরসা করতেই হয়।

১) রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বাইরের ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই ধরনের খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। যে কারণে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আগে সেই সব খাবার খাওয়া কমাতে হবে।

২) পলি এবং মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সাথে ফাইবারজাতীয় খাবার থাকাও প্রয়োজন। ওট্‌স, গম, কিনোয়া, ব্রাউন রাইস, টাটকা শাকসব্জি, বিভিন্ন রকমের বাদাম, বীজ, ফল- রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

৩) এলডিএল বশে রাখতে আরো একটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আখরোট, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, টোফুর মতো খাবার এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

৪) কোলেস্টরলের সমতার অভাব হওয়ার আরো একটি বড় কারণ হলো শরীরচর্চা না করা। মধ্যবয়সিদের মধ্যে এই প্রবণতা আরো বেশি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করাও জরুরি। তার জন্য যে জিমে যেতেই হবে এমন নয়। সাধারণ কিছু যোগব্যায়াম, সাইক্লিং, সাঁতারের মতো ব্যায়াম করা যেতেই পারে।


আরও খবর