Logo
শিরোনাম

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে দুদকের ৭১ চিঠি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত ৭১টি মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি এমএলএআরের জবাব পেয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন

এক প্রশ্নের জবাবে দুদক মহাপরিচালক বলেন, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত ৭১টি মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠানো হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য এখন পর্যন্ত ২৭টি এমএলএআরের বিষয়ে জবাব পেয়েছে সংস্থাটি। এর সঙ্গে পাচার করা অর্থের বিষয়ে যথাযথ তথ্য পরে জানাতে পারব। আজ আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি টিমের সঙ্গেও এ বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছি

তিনি বলেন, দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সে বিষয়টি আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সামনে উপস্থাপন করেছি। যেসব দেশে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয়েছে সে অর্থ ফিরিয়ে আনতে তারা যাতে সহযোগিতা করে সে বিষয়টি আমরা তাদের বলেছি। বৈঠকে আমরা তাদের যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়েছে সেই দেশগুলোর নাম উল্লেখ করেছি, আশা করছি ওইসব দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তারা আমাদের সহযোগিতা করবে

আজ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কো-অপারেশন বিভাগের প্রধান মিশেল ক্রেজা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার পাবলো প্যাডিন পেরেজ, নাদের তানজা এবং কিশওয়ার আমিনের সমন্বয়ে একটি টিম দুদকে বৈঠক করেন

এসময় দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন, দুদক মহাপরিচালক মো আক্তার হোসেন, পরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদ ও গোলাম শাহরিয়ারের সমন্বয়ে একটি টিম সংস্থাটির পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন

দুদক সূত্রে জানা যায়, সভায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করা হয়। এছাড়া, দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারে ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল তাদের পক্ষ হতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস ফর ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি), বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ধারাবাহিকভাবে দুদকের সঙ্গে পাচারকৃত অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সভা করেছেন

বৈঠকগুলোতে গুরুত্ব পেয়েছিল- দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত বিশেষ করে মানিলন্ডারিং, সাইবার ক্রাইম, আর্থিক লেনদেনের তদন্তের ক্ষেত্রে ফরেনসিক অ্যানালাইসিস, ট্রেডবেইজড, মানিলন্ডারিং, অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল, সম্পদ পুনরুদ্ধার, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত আর্থিক ক্রাইম, মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স, তথ্য বিনিময়সহ বিভিন্ন ইস্যু


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




বৈঠক শে‌ষে হাস্যোজ্জ্বল মু‌খে বে‌রি‌য়ে এলেন তা‌রেক রহমান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুষ্ঠিত বৈঠকটি শেষ হয়ে‌ছে। স্থানীয় সময় সকাল ১১টা পর্যন্ত মি‌টিং হওয়ার কথা থাক‌লেও সকাল সা‌ড়ে দশটায় বৈঠকস্থল সেন্ট্রাল লন্ডনের পার্ক লেনের ডরচেস্টার হোটেল থে‌কে বে‌রিয়ে যে‌তে দেখা যায় তা‌কে।

তা‌রেক রহমান বৈঠকে কলম ও বই উপহার দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টাকে। এ তথ‌্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রায় দেড় ঘণ্টা স্থায়ী এ বৈঠক নি‌য়ে বি‌এন‌পির পক্ষে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের সাথে কথা বলবেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এই তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।

এ মুহূর্তে একই ভেন‌্যু‌তে প্রধান উপ‌দেষ্টার প্রেস উইং ও বিএন‌পির নেতারা যৌথভা‌বে প্রেস ব্রিফিং করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রেন লন্ড‌নে বাংলা‌দেশ হাইক‌মিশ‌নের প্রেস মিনিস্টার আকবর হো‌সেন।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




নওগাঁর ৬টি উপজেলায় নেই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর ৬টি উপজেলায় নেই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ভোগান্তিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা।

রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে বড় জেলা নওগাঁ। অন্যান্য জেলার চেয়ে নওগাঁ জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেশি রয়েছে। বর্তমানে জেলার ১১ টি উপজেলার মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পদ শুন্য রয়েছে ৬টি উপজেলায়। এতে করে ভোগান্তিতে পরেছে জেলার ৮ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। শিক্ষার মানোন্নয়নে দ্রুততম সময়ে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে শুন্যপদ গুলো পূরণ করার দাবী জানান নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন।

জানা যায়, নওগাঁ জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮ শতাধিক। প্রতিষ্ঠান গুলোতে কর্মরত রয়েছে প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী। 

এ জেলায় মোট উপজেলা রয়েছে ১১টি। এরমধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে কর্মরত আছে ৫ টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার। আর বাকি ৬টি উপজেলায় শিক্ষা অফিসারের পদগুলো শুন্য রয়েছে। পদ শুন্য থাকা এই উপজেলা গুলোতে অন্যান্য উপজেলায় কর্মরত অফিসাররা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি অন্য উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারাও হিমসিম খেয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও চলতি বছরে কর্মরত দু'জন শিক্ষা অফিসার অবসরে যাবেন আর তাতে আরও সমস্যাই পরবেন এ জেলার শিক্ষক-কর্মচারীরা।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলায় দায়িত্বে আছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার ওয়াসিউর রহমান। তিনি তার নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন মহাদেবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের। মান্দা উপজেলার শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ তার নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন নিয়ামতপুর শিক্ষা অফিসের। বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম তার নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন রাণীনগর উপজেলার। সাপাহার উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম তার নিজ উপজেলার পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন পোরশা উপজেলা শিক্ষা অফিসের। ধামইহাট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন তার নিজ উপজেলার পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন আত্রাই উপজেলা শিক্ষা অফিসের এবং বর্তমানে পত্নীতলা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন। মান্দা উপজেলার এসসি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামানসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা বলেন, আগে প্রয়োজনে যেমন প্রতিদিন শিক্ষা অফিসার স্যারকে পাওয়া যেত এখন তেমন ভাবে আর পাওয়া যায় না। অনেক সময় অফিসে গিয়ে জানাতে পারি স্যার অন্য উপজেলায় আছেন। জরুরী প্রয়োজন থাকার পরও স্যার না থাকায় আমাদের ফেরত আসতে হয়। এতে আমাদের ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত সময়ে জেলার প্রতিটি উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নিয়োগ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে জানিয়ে মান্দা উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলার অফিসিয়ালি কাজ, এমপিওভুক্তির ফাইল অগ্রহায়ণ করা, বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত করতে আমাদের সময় পার হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তদারকি করার মতো সময় হয়ে উঠে না। শুধু একটি উপজেলার দায়িত্বে থাকলে এইসব কাজগুলো সুন্দরভাবে করা সম্ভব হয়। জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমার এই জেলায় বর্তমানে ৬ জন শিক্ষা অফিসারের পদ শুন্য রয়েছে। শুধু এই জেলায় নয় দেশের অধিকাংশ জেলার চিত্র একই। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের এইসব পদ গুলো সরকারি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদায়ন দিয়ে পূরণ করলে শিক্ষার মান দ্রুত উন্নত হবে। কেননা একজন উপজেলা শিক্ষা অফিসার যদি দুই থেকে তিনটি উপজেলার দায়িত্বে থাকেন তাহলে তাঁর অফিসিয়াল কাজ করতেই সময় পার হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানের তদারকি ও শিক্ষার মান উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে এই পদগুলো দ্রুত পূরণ করবেন বলে আমি আশা করছি।


আরও খবর



আমেরিকা যে আক্রমণটা করেছে, সেটা হচ্ছে "লিমিটেড স্ট্রাইক

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইয়েস, বি-টু বম্বারে করে নিয়ে আসা বোমা, একেকটার ওজন ১৩.৬ টন করে, সেগুলো ড্রপ করা হয়েছে ইরানের নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটিতে - তারপরেও লিমিটেড স্ট্রাইক। 

কারণ আমেরিকা ইরানকে গোপনে বার্তা পাঠিয়েছে, তারা যে হামলা করেছে, ওটুকুই। ইরানের সাথে ফুল স্কেল ওয়ারে যেতে তারা আগ্রহী না।

ইরানের সাথে এবারের যুদ্ধটা শুরু হয়েছে ট্রাম্পের গ্রিন সিগন্যালেই। ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের উপর হামলা করার জন্য আমেরিকাকে চাপ দিয়ে আসছিল। কেউ রাজি হয়নি। 

ইভেন ২০০৩ সালেও ইসরায়েল আমেরিকাকে রিকোয়েস্ট করেছিল, ইরাক পরে, আগে ইরানকে ধরো। কিন্তু বুশ ফ্যামিলি এবং তার নিও কন মন্ত্রিসভার সাথে সাদ্দামের অতীত হিস্টরি, তেল বিষয়ক হিসাব-নিকাশ সবকিছুর কারণে আমেরিকা ইরাকেই আক্রমণ করে। 

এরপরেও ইসরায়েল পুশ করে গেছে। কিন্তু পরবর্তী প্রেসিডেন্টরা কেউ রাজি হয়নি অনেকগুলো কারণে। এমনিতেই ইরাক-আফগান যুদ্ধে তারা ফেঁসে গিয়েছিল। তার উপর ইরানের প্রক্সিরা দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছিল।

এবারের ইকুয়েশনটা ভিন্ন ছিল এই কারণে যে এবার ইরানের প্রক্সিরা সবাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে এবারই ছিল ইসরায়েলের জন্য সর্বশেষ সুযোগ আমেরিকাকে এই যুদ্ধে টেনে আনার। তারা সেই চেষ্টাই করতে থাকে।


এমনিতে ট্রাম্পের নীতি হচ্ছে আমেরিকা ফার্স্ট নীতি। সে সরাসরি কোনো দেশে আমেরিকান সৈন্য মোতায়েনের বিপক্ষে। কিন্তু সৈন্য মোতায়েন না করেই বোমা মেরে সব তামা তামা করে দেওয়ায় তার কোনো আপত্তি নেই। বিশেষ করে সে যদি মনে করে, বোমা মেরে শত্রুর সক্ষমতা হ্রাস করে তার সাথে "ডিল" করা যাবে। 

সুতরাং ট্রাম্প সেই কাজটাই করে। সে ইরানকে ৬০ দিন সময় দেয় তার সাথে ডিল করতে। সেই ডিলের শর্ত প্রথমদিকে একরকম থাকলেও ইসরায়েলের চাপে মাঝপথে গিয়ে সে শর্ত আরও কঠিন করে ফেলে। জিরো এনরিচমেন্টের শর্তে অনড় হয়ে বসে থাকে। ইরান যখন সেটাতে আপত্তি জানায়, তখন ৬১-তম দিনে সে ইসরায়েলকে অনুমতি দেয় - যাও, আক্রমণ করো।


ট্রাম্পের হয়তো আশা ছিল, ইসরায়েলের আক্রমণে ইরানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে, এবং আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় ইরান তার কাছে এসে ক্ষমাটমা চেয়ে তার শর্ত অনুযায়ী চুক্তি করতে বসে পড়বে। কিন্তু ইরান যখন সামলে নিয়ে পাল্টা আঘাত করতে শুরু করে, তখন সেই হিসাব পাল্টে যায়। ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য আমেরিকার এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া জরুরী হয়ে পড়ে। 


এখনও পর্যন্ত ট্রাম্পের যে মনোভাব, ট্রাম্পের সাপোর্ট বেজের মধ্যেই যুদ্ধের ব্যাপারে যে মনোভাব, তাতে ট্রাম্প সরাসরি সৈন্য পাঠিয়ে যুদ্ধে যোগ দিবে - এই সম্ভাবনা একেবারেই কম। কিন্তু বি-টু বম্বার এবং বাঙ্কার ব্লাস্টার পাঠিয়ে ট্রাম্প যে নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটি ধ্বংস করে দিবে, এটা গত তিন-চার দিন ধরেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল।


বিশেষ করে লিজেন্ডারি ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট সাইমুর হার্শ পরিষ্কার জানিয়েছিল, তার সোর্স তাকে জানিয়েছে, ট্রাম্প অলরেডি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়ে দিয়েছে। ফলে মাঝখানে ট্রাম্প যে দুই সপ্তাহের কথা বলেছিল, মোস্ট প্রবাবলি ওটা ছিল ব্লাফ।


বিমান হামলা করলেও এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে আগ্রহী না। সেজন্যই সে ইরানকে সরাসরি গোপন বার্তা পাঠিয়েছে। কিন্তু ইরান কি এই হামলার পাল্টা জবাব দিবে? বলা মুশকিল।


ইরানের পক্ষে পাল্টা জবাব দেওয়া কঠিন। কারণ আমেরিকা এই হামলায় মিডল ইস্টের কোনো বেজ ব্যবহার করেনি। তারা সরাসরি আমেরিকা থেকে উড়ে এসেছে। ফলে ইরানের পক্ষে গালফ কান্ট্রিগুলোর বেজে আক্রমণ করা সম্ভব হবে না। ওটা করতে গেলে গালফ কান্ট্রিগুলো সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে চলে যাবে।


ইরানের পক্ষে আমেরিকান জাহাজগুলোর উপর আক্রমণ করাও সম্ভব না। সফল হবে কি না, সেই প্রশ্ন যদি বাদও দেই - সফল হলেও ওরকম হামলায় আমেরিকার কয়েক ডজন সৈন্য নিহত হলেই আমেরিকা ইরানকে গাযার মতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার লাইসেন্স পেয়ে যাবে। 


ফলে ইরানের হাতে অপশন আছে দুইটা। এক, ইসরায়েলে হামলা আরও তীব্র করা। সেটা তারা অলরেডি শুরু করে দিয়েছে। তেল আবিবের চমত্‍কার কিছু ভিডিও আসা শুরু হয়েছে। 

আর দ্বিতীয় অপশন হচ্ছে, আরও কিছুদিন পরে, ইরাকে বা সিরিয়ায় আমেরিকান ঘাঁটিতে আক্রমণ করা। এর আগে কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার পরেও তারা ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ করেছিল। কিন্তু সেটা তারা আমেরিকাকে জানিয়েই করেছিল, যেন ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের সক্ষমতার প্রমাণ মেলে, কিন্তু আমেরিকান প্রাণহানি না ঘটে। 

এবারও সেরকম হামলা করবে কি না, বা করার আগে জানিয়ে করবে কি না, সেটা আসলে নির্ভর করবে আমেরিকার আজকের হামলায় তাদের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটার উপর।

অ্যানিওয়ে, আপাতত যা মনে হচ্ছে, আমেরিকা এখনও গ্রাউন্ড ইনভেশনে যাচ্ছে না, আপাতত আর বেশি হামলা করারও পরিকল্পনা তাদের নাই। কিন্তু ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা এখনও শেষ হয়নি। 

ইসরায়েল আজকের হামলার জবাব দিলে ইরানও পাল্টা জবাব দিবে। এই পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা এবং ফলাফলও আমেরিকার সমীকরণ আবার পাল্টে দিতে পারে। আর ইসরায়েল যদি আমেরিকার এই "মিশন সাকসেকফুল"-কে নিজেরও মিশন সাকসেফুল দাবি করে থেমে যায়, তাহলে এটা একটা এক্সিট স্ট্র্যাটেজি হতে পারে।


আরও খবর



লাব্বাইকে’ মুখর হওয়ার অপেক্ষায় আরাফাতের ময়দান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। মক্কার অদূরে তাঁবুর শহর খ্যাত মিনায় অবস্থান নিয়েছেন লাখ লাখ হাজি। তারা সেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবুতে অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগিতে নিমগ্ন আছেন। রাত পোহালেই তারা রওয়ানা করবেন আরাফাতের ময়দানে। সেখানেই পালিত হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

পবিত্র আরাফাতের ময়দানে জড়ো হবেন লাখ লাখ হাজি। সেখানে মসজিদে নামিরায় খুতবা দেবেন হজের ইমাম। এই ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। এজন্য আরাফাতের ময়দানে অবস্থানকেই হজের দিন বলা হয়।

বৃহস্পতিবার লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠবে আরাফাত প্রান্তর। দুই খণ্ড সাদা কাপড় (পুরুষের ইহরাম) শরীরে জড়িয়ে একত্রিত হবে আরাফার ময়দানে। সবার মুখেই একই ধ্বনি লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক- আমি হাজির, হে আল্লাহ, আমি হাজির।’‘লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই। ইন্নাল হামদা ওয়াননিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক সব প্রশংসা ও নেয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার, তোমার কোনো শরিক নেই

এবার বিশ্বের নানা প্রান্তের ১৪ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। স্থানীয় হজযাত্রী মিলে এই সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৫৮ জন।

হজ পালন নির্বিঘ্ন করতে কড়া নিরাপত্তাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার। ধর্মীয় বিষয়ক প্রেসিডেন্সি রোববার (২৫ মে) ঘোষণা করেছে যে, এ বছর হজে আরাফার দিনের ঐতিহাসিক খুতবা প্রদান করবেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ।

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এক রাজকীয় ফরমানে তাকে আরাফাহর দিনে খুতবা দেওয়ার অনুমোদন দেন। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার পরপর এই ভাষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। হজের খুতবা একযোগে ৩৪টি ভাষায় অনূদিত হবে।

৯ জিলহজ বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন।

১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কোরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন।

সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

এদিকে এবার এমন সময় হজ পালিত হচ্ছে যখন সৌদি আরবের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে। এজন্য হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য তাপজনিত শারীরিক সমস্যা এড়াতে হজ পালনকারীদের সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সরাসরি সূর্যালোক এড়িয়ে ক্যাম্পের ভেতরে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

গত বছর প্রচণ্ড গরমে ১ হাজার ৩০১ জন হাজির মৃত্যু হয়েছিল। এ বছর সেই ভয়াবহতা এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ছায়াযুক্ত এলাকা তৈরিসহ নানা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

গত বছরের প্রাণঘাতী গরমের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে তাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করতে, এবার কাজ করছে ৪০টিরও বেশি সরকারি সংস্থা এবং আড়াই লাখ কর্মকর্তা। সৌদি হজমন্ত্রী তাওফিক আল-রাবিয়া জানান, এবারে ছায়াযুক্ত জায়গা ৫০ হাজার বর্গমিটার (১২ একর) বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৪০০টির বেশি শীতলীকরণ ইউনিট এবং দ্রুত চিকিৎসা সহায়তার জন্য অতিরিক্ত হাজার হাজার মেডিকেল কর্মী মোতায়েন থাকবে।

এছাড়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে এবার হজ ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হয়েছে ড্রোন ক্যামেরা ও বিশাল তথ্য বিশ্লেষণ ব্যবস্থা। বিশাল জনসমাগমের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে এ প্রযুক্তি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

গত বছরের মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন অনিবন্ধিত হাজি। তাদের জন্য পর্যাপ্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবু বা বাসের ব্যবস্থা ছিল না। এবার অনিবন্ধিত হাজীদের ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে কঠোর পদক্ষেপ। চলছে টেক্সট মেসেজ সতর্কতা, ড্রোন নজরদারি এবং নিয়মিত অভিযান।

 


আরও খবর



নওগাঁয় ৮ শহীদ পরিবারের সদস্যদের ৮০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র প্রদান

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলায় গণঅভ্যুত্থানে জেলার ৮ জন শহীদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সরকারের পক্ষ থেকে ৮০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র তুলে দেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১১ টায় এ সঞ্চয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠান শুরু হয়। শনিবার রাত সোয়া ১১টায় জেলার মিডিয়া সেল ডিসি গ্রুপে এ তথ্য জানানো হয়। 

গণঅভ্যুত্থানে শহীদরা হলেন, নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার পানিশাইল গ্রামের মোঃ মামুন সরদারের ছেলে রায়হান আলী, ধামইহাট উপজেলার কৈগ্রাম ফারসিপাড়া গ্রামের মৃত ছাকোয়াত হোসেনের ছেলে বায়েজিদ বোস্তামী, আত্রাই উপজেলার তারাটিয়া গ্রামের শেখ আবু জাফরের ছেলে শেখ ফাহমিন জাফর, একই উপজেলার শ্রীধর গুড়নই গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে শাখিল আনোয়ার, নওগাঁ সদর  উপজেলার শিমুলিয়া মন্ডলপাড়া গ্রামের লুৎফর মন্ডলের ছেলে বিপ্লব মন্ডল, একই উপজেলার দপ্তরী পাড়া গ্রামের এনাব নাজেজের ছেলে আস সাবুর, মান্দা থানার কশব ভোলাগাড়ী গ্রামের পিন্টু রহমানের ছেলে রাসেল রানা ও বদলগাছী উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আহম্মদ উল্লাহর ছেলে রিদোয়ান শরীফ রিয়াদ। জানা যায়, গতকাল শনিবার দুপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নওগাঁ জেলার শহীদদের পরিবারের সদস্যদের হাতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সঞ্চয়পত্র তুলে দেয়া হয়। জেলার ৮ টি শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দকে সর্বমোট ৮০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে এই সঞ্চয়পত্র তুলে দেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। এসময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন মোঃ মুনির আকন্দ, জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, নওগাঁ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ ও নওগাঁ জেলার ছাত্র প্রতিনিধিবৃন্দ।


আরও খবর