Logo
শিরোনাম

পাহাড়ের টক-মিষ্টি ফল লটকন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

মোঃ ইব্রাহিম শেখ,পার্বত্য চট্রগ্রামঃ  টক-মিস্টি ফল লটকন একসময় পাহাড়ের ঢালুতে আর খালের পাড়ে বনজ ফল লটকন চোখে পড়লেও সময়ের ব্যবধানে পাহাড়ের বিভিন্ন জনপদে দিনের পর দিন ব্যাপক হারে চাহিদা বাড়ছে টক-মিষ্টির এ ফলটির। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে দেশের সমতলের বিভিন্ন জেলাতেও লটকনের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।আম-লিচু চাষে পরিচর্যাসহ মোটা অঙ্কের পুঁজি লাগলেও লটকন ফলে কোনো পুঁজি বা পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। ফলে কম পরিশ্রমে অধিক আয়ের সুযোগ করে দিতে পারে ফলটি।

তবে পাহাড়ে আম-লিচুর বাণিজ্যিক চাষাবাদ হলেও বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ থেকে পিছিয়ে আছে লটকন। আম-লিচু চাষে পরিচর্যাসহ মোটা অঙ্কের পুঁজি লাগলেও লটকন ফলে কোনো পুঁজি বা আলাদা পরিচর্যার প্রয়োজন হয়না। ফলে কম পরিশ্রম আর পুঁজিতে অধিক আয়ের সুযোগ করে দিতে পারে ফলটি।স্থানীয় বাঙালিরা ফলটিকে লটকন নামে চিনলেও চাকমা ভাষায় ‘পচিমগুল’, মারমা ভাষায় ‘ক্যানাইজুসি’ ও ত্রিপুরা ভাষায় ‘খুচমাই’ নামে পরিচিত সুমিষ্ট এ ফল।

জুন মাসের মাঝামাঝিতে পাকতে শুরু করে লটকন। একই সময়ে বাজারেও আসতে শুরু করে ফলটি। এটি নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীল একটি কৃষি পণ্য। গাছের গোড়া থেকে শুরু করে প্রতিটি ডালে থোকায় থোকায় ঝুলতে দেখা যায় ‘লটকন’ ফল। টক-মিষ্টির লটকন ছোট-বড় সকলের কাছেই অতি প্রিয়।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা, রামগড়, দীঘিনালা, গুইমারা ও পানছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলায় অপরিকল্পিতভাবে স্বল্প-পরিসরে অথবা ব্যক্তি উদ্যোগে লটকনের চাষাবাদ হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে এর চাহিদাও ব্যাপক। বর্তমানে এটি স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ৬০/৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সম্প্রতি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাড়ির আঙিনা আর পাহাড়ের ঢালুতে গাছে গাছে ঝুলছে লটকনের সোনালী রঙের থোকা। মাটিরাঙার নবীনগর গ্রামের মো. চান মিয়ার বাড়ির পাশেই পাহাড়ের ঢালুতে মাঝারি আকারের প্রায় অর্ধ-শতাধিক লটকন গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে লটকনের ব্যাপক ফলন হয়েছে।

বিগত বছরের তুলনায় এ বছর লটকনের ফলন কম হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলন কম হলেও বিনা প্ররিশ্রমে তা খুব কম নয়। ইতোমধ্যে স্থানীয় পাইকাররা লটকন কিনতে আসতে শুরু করেছেন। দাম-দরও জানতে চাইছেন। এক একটি গাছের লটকন তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।কথা হয় দূর্গম পাহাড়ি পাড়া তৈাকাতাং থেকে মাটিরাঙা বাজারে লটকন বিক্রি করতে আসা অনিল বিকাশ ত্রিপুরার সঙ্গে।

তিনি জানান, তার বাড়ির আশেপাশে অন্তত ৩০টি গাছে লটকন ধরেছে। এবছর লটকন বিক্রি করে তিনি লাখ টাকা আয় করবেন। স্থানীয় বাজার মূল্যেও সন্তুষ্ট এ লটকন চাষি।

খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মর্ত্তুজা আলী বলেন, প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে পার্বত্য পার্বত্য খাগড়াছড়ির প্রায় সকল উপজেলাতেই ব্যাক্তি উদ্যোগে কমবেশি লটকন চাষ হচ্ছে। লটকনের ফলনও ভালো হয়েছে। অধিক পরিমাণে গাছপালা ও ছায়া থাকায় পাহাড়ি এলাকার মাটি লটকন চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কম পুঁজি ও পরিশ্রমে বেশি লাভবান হওয়ায় কৃষকরা লটকন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে বলেও মনে করেন তিনি।

সরকারিভাবে লটকন ফলকে পরিচিত করার দাবি জানিয়ে স্থানীয় চাষিরা বলেন, এখনও আমাদের দেশের অনেক জেলায় এ ফলটির সঙ্গে মানুষের পরিচয় হয়নি। সরকারি উদ্যোগে দেশ-বিদেশে টক-মিষ্টি সুস্বাদু এই ফলটির গুণাগুণ তুলে ধরে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করলে হয়তো বিশ্ব বাজারে নিজের জায়গা করে নেবে।


আরও খবর



রমজানের দ্বিতীয় ১০ দিনের আমল (মাগফিরাতের ১০ দিন)

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

সুফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

১. তওবা ও ইস্তিগফার বৃদ্ধি করা

রমজানের দ্বিতীয় দশক হলো মাগফিরাত বা আল্লাহর ক্ষমা লাভের বিশেষ সময়। এই সময়ে আমাদের উচিত আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে তওবা করা এবং গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য তাঁর দরবারে প্রার্থনা করা।

তওবা করার পদ্ধতি:

প্রথমে নিজের কৃত গুনাহ সম্পর্কে অনুতপ্ত হওয়া

সত্যিকারের মন থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া

ভবিষ্যতে ওই গুনাহ পুনরায় না করার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা

যদি গুনাহের কারণে কারো প্রতি অন্যায় করা হয়ে থাকে, তবে তাকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া বা তার হক ফিরিয়ে দেওয়া

ইস্তিগফারের দোয়া-

اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’আফু ‘আন্নি।

অর্থ: হে আল্লাহ, তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাসো, তাই আমাকে ক্ষমা করো।


অন্য একটি ইস্তিগফারের দোয়া-

أستغفر الله الذي لا إله إلا هو الحي القيوم وأتوب إليه

উচ্চারণ: আসতাগফিরুল্লাহাল্লাযি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।

অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া কোনো সত্যিকারের উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বত্র বিরাজমান। আমি তাঁর দিকে ফিরে আসছি।


২. তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা-

তাহাজ্জুদ নামাজ হলো রাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নফল নামাজ। এটি আল্লাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অর্জনের শ্রেষ্ঠ উপায়। বিশেষত রমজানের দ্বিতীয় দশকে এই নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, কারণ এটি গুনাহ মাফ ও দোয়া কবুলের অন্যতম মাধ্যম।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- ‘আমাদের প্রতিপালক প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন— ‍‍`কে আছো আমাকে ডাকবে, আমি তার দোয়া কবুল করবো? কে আছো আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করবো?’ (বুখারি, মুসলিম)


৩. কুরআন তিলাওয়াত বৃদ্ধি করা

রমজান হলো কুরআন নাজিলের মাস। তাই এই মাসে আমাদের বেশি বেশি কুরআন পড়া উচিত, অর্থ বুঝে পড়া উচিত এবং কুরআনের শিক্ষা আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করা উচিত।

কুরআন তিলাওয়াতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক-

প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ কুরআন তিলাওয়াত করা

কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা বোঝার চেষ্টা করা

কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গঠনের চেষ্টা করা

তিলাওয়াতের পর কুরআনের দোয়া ও জিকির করা


উত্তম আমল-

প্রতিদিন অন্তত এক পারা কুরআন তিলাওয়াত করা

কুরআনের ছোট ছোট সূরা মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তোলা


৪. দোয়া ও জিকির করা-

রমজানের দ্বিতীয় দশক দোয়া ও জিকিরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এটি মাগফিরাতের সময়, তাই এই সময় বেশি বেশি দোয়া করলে আল্লাহ আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিকির-

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ

লা হাওলা ওলা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ

৫. দান-সদকা বৃদ্ধি করা-

দান-সদকা রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—

দান-সদকা গুনাহগুলোকে এমনভাবে দূর করে দেয়, যেভাবে পানি আগুন নিভিয়ে দেয়। (তিরমিজি)


৬. গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা-

শুধু খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকলেই রোজা পূর্ণ হয় না। বরং চোখ, কান, মুখ, হাত-পা সবকিছুকে সংযত রাখতে হবে।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও সে অনুযায়ী কাজ করা পরিত্যাগ করল না, তার পানাহার ত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো দরকার নেই। (বুখারি)


৭. শবে কদরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া-

রমজানের শেষ দশকের মধ্যে লাইলাতুল কদর (শবে কদর) রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। তাই দ্বিতীয় দশক থেকেই শবে কদরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।

কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন?

রাতের ইবাদতের পরিমাণ বৃদ্ধি করা

আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য আরও বেশি ইবাদত করা

শেষ দশকের জন্য একটি ইবাদতের রুটিন ঠিক করে রাখা

রমজানের দ্বিতীয় দশক আমাদের জন্য ক্ষমা লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ। এই সময়ে আমাদের উচিত গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেশি করে দোয়া করা, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা এবং দান-সদকা করা। আল্লাহ যেন আমাদের এই রমজান কবুল করেন এবং সবাইকে ক্ষমা করে দেন। আমিন!


আরও খবর

রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




১ মার্চ প্রথম রোজা হলে

৩৩ বছর পর ঘটতে যাচ্ছে ‘বিরল’ ঘটনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

আগামী শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ওইদিন সন্ধ্যায় আকাশে নতুন চাঁদের দেখা মিললে পরের দিন শনিবার (১ মার্চ) সেসব দেশে পালিত হবে প্রথম রোজা।

আর এমনটি হলেই মধ্যপ্রাচ্য ও ইসলামিক বিশ্বের কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ করবেন- চন্দ্র ও সৌর মাস একসঙ্গে শুরু হওয়ার ‘বিরল’ ঘটনা। যেটি প্রতি ৩৩ বছর পর পর মাত্র একবার ঘটে থাকে। মানে এবার আরবি বর্ষপঞ্জিকার রমজান মাসের প্রথমদিন আর ইংরেজি বর্ষপঞ্জিকার মার্চ মাসের প্রথমদিন একই দিনে হবে। অর্থাৎ দুটি পঞ্জিকার নতুন মাসের প্রথম দিনটি একসঙ্গে শুরু হবে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

সৌদির জেদ্দার জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মাজেদ আবু জাহরা বলেছেন, 'এটি এমন একটি ঘটনা যেটি প্রত্যেক ৩৩ বছর পর একবার হয়। এটি যে কোনো মাসেই হতে পারে।' তিনি আরও বলেছেন, 'সৌর ও চন্দ্রচক্রের মধ্যে যে জটিল পারস্পরিক ক্রিয়া রয়েছে এটি তারই একটি স্বাক্ষ্য।

সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর ঘূর্ণনের হিসাব করে সৌর বর্ষপঞ্জিকার দিন গণনা করা হয়। এতে লিপ ইয়ারের (অধিবর্ষ) বছরটি হয় ৩৬৬ দিনের। আর সাধারণ বছরগুলো হয় ৩৬৫ দিনের। কিন্তু চন্দ্রবর্ষপঞ্জিকা গণনা করা হয় চাঁদের পর্যায় অথবা চন্দ্রচক্রের ভিত্তিতে। আর এ কারণে রমজান মাস প্রতি বছর ইংরেজি বর্ষপঞ্জিকার ভিন্ন ভিন্ন দিন এবং মাসে শুরু হয়।


আরও খবর

রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া সকল ট্রেনের সময়সূচি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

) ৪৯ - বলাকা ভোর ৪:৪৫

) ৪৭ - দেওয়ানগঞ্জ  কমিউটার  ৫:৪০

) ৭৬৯ - ধুমকেতু ৬:০০ (বৃহস্পতিবার)

) ৮১৬ - পর্যটক এক্সপ্রেস ০৬:৩০ (বন্ধ নাই)

) ৭০৯ - পারাবত ৬:৪০ (মঙ্গলবার)

) ৭৬৫ - নীলসাগর ৬:৪৫ (সোমবার)

) ৭৮৮ - সোনার বাংলা ৭:০০ (বুধবার)

) ৭৩৭ - এগারো সিন্দুর প্রভাতি ৭:১৫ (বুধবার)

) ৭০৭ - তিস্তা ৭:৩০ (সোমবার)

) ৭০৪ - মহানগর প্রভাতী ০৭:৪৫ (বন্ধ নাই)

) ৮০৯ - বুড়িমারী এক্সপ্রেস ০৮:১০ (সোমবার)

) ৪৩ - মহুয়া ৮:১৫ 

) ৭২৬ - সুন্দরবন ৮:২০ (বুধবার)

) ০৯ - সুরমা মেইল ০৮:৪৫ 

) ৭৭১ - রংপুর এক্সপ্রেস  ৯:১০ (সোমবার)

) ৩৫ - তিতাস ৯:৪৫ 

) ৭৯৯ - জামালপুর এক্সপ্রেস  ১০:০০ (রবিবার)

) ৭০৫ - একতা ১০:১৫ (বন্ধ নাই)

) ৭৮১ - কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ১০:৩০ (সোমবার)

) ৭১৭ - জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ১১:১৫ (মঙ্গলবার)

) ৭৩৫ - অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ১১:৩০ (বন্ধ নাই)

) ৮২৮ - রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ১০:৪৫ 

) ০৫ - রাজশাহী কমিউটার ১২:১৫ 

) ৭৮৯ - মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ১৩:১৫ (শুক্রবার)

) ৭৯১ - বনলতা এক্সপ্রেস ১৩:৩০ (শুক্রবার

) ৮০২ - চট্টলা এক্সপ্রেস ১৩:৪৫ (শুক্রবার)

) ৭৫৪ - সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ১৪:৪৫ (রবিবার)

) ৭৭৩ - কালনী এক্সপ্রেস ১৪:৫৫ (শুক্রবার)

) ৭৫৫ - মধুমতি এক্সপ্রেস ১৫:০০ (বৃহস্পতিবার)

) ৭১২ - উপকূল এক্সপ্রেস ১৫:১০ (মঙ্গলবার)

) ৫১ - জামালপুর কমিউটার ১৫:৪০ 

) ৭৭৬ - সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ১৬:১৫ (শনিবার)

) ৭০২ - সুবর্ণ এক্সপ্রেস ১৬:৩০ (সোমবার)

) ৭৪৫ - যমুনা এক্সপ্রেস ১৬:৪৫ (বন্ধ নাই)

) ৮০৫ - চিলাহাটি এক্সপ্রেস ১৭:০০ (শনিবার)

) ৩৫ - তিতাস কমিউটার ৫:৪৫ 

) ৭৪৩ - ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ১৮:১৫ (বন্ধ নাই)

) ৭৪৯ - এগারোসিন্দুর ১৮:৪৫ (বন্ধ নাই)

) ৭৬৪ - চিত্রা এক্সপ্রেস ১৯:৩০ (রবিবার)

) ১২ - নোয়াখালী এক্সপ্রেস ১৯:১০

) ৭৫৭ - দ্রুতযান এক্সপ্রেস ২০:০০ (বন্ধ নাই)

) ৮২৬ - জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ২০:০০ 

) ৫৫ - ভাওয়াল এক্সপ্রেস ২০:১৫ 

) ৭৯৭ - কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ২০:৪৫ (বুধবার)

) ৭৩৯ - উপবন এক্সপ্রেস ২২-০০ (বুধবার)

) ০৯ - সুরমা মেইল ২১-০০

) ৭২২ - মহানগর এক্সপ্রেস ২১:২০ (রবিবার)

) ৭৫১ - লালমনি এক্সপ্রেস ২১:৪৫ (শুক্রবার)

) ৭৭৭ - হাওড় এক্সপ্রেস ২২:১৫ (বুধবার)

) ৮১৪ কক্সবাজার এক্সপ্রেস ২২:৩০ (বন্ধ নাই)

) ০২ - চট্টগ্রাম মেইল ২৩:৪৫

) ৭৫৯ - পদ্মা এক্সপ্রেস ২২:৪৫ (মঙ্গলবার)

) ৭৪২ - তৃর্না নিশিথা ২৩:১৫ (বন্ধ নাই)

) ৭৯৩ - পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ২৩:৩০ (বন্ধ নাই)

) ৭৯৬ - বেনাপোল এক্সপ্রেস ২৩:৪৫ (বুধবার)


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




রাজাপুরে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ, কলেজছাত্র কারাগারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির রাজাপুরে সহপাঠীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগে কাজী ফাহাদ (১৮) নামে এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

রবিবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা রাজাপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ ফাহাদকে গ্রেপ্তার করে।

পরে সোমবার (১০ মার্চ) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার ফাহাদ এবং ভুক্তভোগী তরুণী রাজাপুরের বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বর্তমানে ভুক্তভোগী ছাত্রী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মামলার এজাহারে ছাত্রীর মা উল্লেখ করেন, সহপাঠী হওয়ার সুবাদে তার মেয়ে ও ফাহাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের ফলে তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে ফাহাদ কৌশলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত ঘটায়। এতে তার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি বিস্তারিত ঘটনা জানতে পারেন এবং আইনের আশ্রয় নেন।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বিয়ের প্রলোভনে সহপাঠীকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলার চার ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


আরও খবর



ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে করবেন না

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বললেন, একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি ছাড়া আন্দোলন বন্ধ হবে না।

মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টন মোড়ে সমাবেশ থেকে তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হলেও এটিএম আজহার মুক্ত হলেন না কেন? তার মুক্তি কবে হবে সুস্পষ্টভাবে জানতে চাই। আমাদের উদারতা ও ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে করবেন না।

অভ্যুত্থানের ছয় মাস পরও জামায়াত কেনো দলীয় নিবন্ধন ফিরে পায়নি- এ প্রশ্ন তুলে শফিকুর রহমান বলেছেন, দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ও নিবন্ধন ফিরিয়ে দিন। আমরা চরম ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। কিন্তু সবকিছুর সীমা আছে।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে জামায়াত আমির বলেছেন, ফ্যাসীবাদের ভাষায় কথা বলবেন না। রাজনৈতিক ভাষায় কথা বলুন। ভয় দেখাবেন না; চোখ রাঙিয়ে কথা বলবেন না। কারো চোখ রাঙানীকে ভয় করি না।

২০১২ সালে ২২ আগস্ট গ্রেপ্তার হন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহার। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর সাজা বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। রায় পুনর্বিবেচনায় রিভিউ করেছেন এটিএম আজহার।

মানবতা বিরোধী অপরাধে জামায়াতের পাঁচ শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। বিচার চলাচলে অথবা রায় ঘোষণার পর কারাগারে মারা গেছেন আরও পাঁচ জন। দণ্ডিত নেতাদের মধ্যে একমাত্র এটিএম আজাহার বেঁচে আছেন। জামায়াত বারবার অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ মিথ্যা মামলায় ও সাজানো সাক্ষীতে নেতাদের সাজা দিয়েছে।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অন্যান্য মামলায় জামায়াতের সব নেতা ছাড়া পেয়েছেন। মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলা স্পর্শকাতর হওয়ায় জামায়াতও এতদিন এটিএম আজাহারের মুক্তির কথা বলেননি। মঙ্গলবার রাজধানীসহ দেশের ৭৯ সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরে একযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে জামায়াত।

বিকেল চারটায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও পল্টন মোড়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরির কারণে বিজয়নগরমুখী সড়কে ঘণ্টখানেক আগে থেকেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কর্মদিবসে সমাবেশ এবং রাস্তা বন্ধ হওয়ায় তীব্র যানজট হয়। বিকেল পাঁচটায় অফিস ছুটির পর ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়। জামায়াত আমিরের নেতৃত্বে পল্টন থেকে প্রেস ক্লাব, মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত মিছিল হয়। ওই সময়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগ আরও বাড়ে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের যৌথভাবে আয়োজিত সমাবেশ থেকে শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৯ থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনে জামায়াতকে বিশেষভাবে টার্গেট করে শীর্ষ নেতাদের একে একে কারাবন্দি করা হয়। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সকল মজলুম মুক্তি পেলেও এটিএম আজহারই ব্যতিক্রম। তিনিসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতারা আপোসের বদলে ফাঁসি বেছে নিয়েছেন। আমাদের বিজয় সবে শুরু হয়েছে কিন্তু শেষ হয়নি। ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ; শেষ হয়নি যুদ্ধ’।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল। দুই মহানগরের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।


আরও খবর