Logo
শিরোনাম

পাকিস্তানে ফের মেয়েদের স্কুল উড়িয়ে দিলো সন্ত্রাসীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:

পাকিস্তানে ফের মেয়েদের স্কুলে বোমা হামলা করেছে জঙ্গিরা। শুক্রবার দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের একটি মেয়েদের স্কুলের বোমা হামলা করেছে জঙ্গিরা। এর আগেও গত ৯ মে একটি মেয়েদের স্কুলে বোমা হামলা করা হয়েছিল।


জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ব্যাপক সন্ত্রাসী হামলার কবলে রয়েছে। বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিভিন্ন জেলার মেয়েদের স্কুল এই ধরনের হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু।



শুক্রবার হামলার শিকার স্কুলটি ওয়ানা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত। এটি সোফিয়া নূর স্কুল নামে পরিচিত।


৯ মে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের শেভা শহরে ইসলামিয়া গার্লস স্কুলে বোমা হামলা করা হয়। তবে বোমা হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


পরপর দুটি স্কুলে বিস্ফোরণের পর আতঙ্কে রয়েছেন প্রদেশের বাসিন্দারা। অতীতেও তারা বহুবার এ ধরনের হামলা দেখেছে।


পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য নিউজ অনুসারে, স্কুলের কয়েকটি ব্লকে নির্মাণকাজ চলছিল। খবর অনুযায়ী, ভোর ৩টার দিকে বিস্ফোরণে ভবনটির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, স্কুলের প্রশাসন চাঁদাবাজির চিঠি পেয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়রা তা অস্বীকার করেছেন।


ওয়ানা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘যারা স্কুলে হামলা করেছে তারা ওয়াজিরিস্তানের জনগণকে শিক্ষা ও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রাখতে চায়। তবে এতে আমারা দমে যাব না। আমরা নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’


তিনি বলেন, তাদের সংগঠন প্রায় এক মাস আগে একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছ থেকে চাঁদাবাজির চিঠি পেয়েছিল।


অ্যাসোসিয়েশনের একজন সিনিয়র সদস্য এএফপিকে বলেন, ‘এর কিছুদিন পর আমাদের অফিসে আরেকটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে ১ কোটি রুপি দিতে বলা হয়। এর পরে আমাদের কাছে আফগান নম্বর থেকে হুমকিমূলক কল আসতে শুরু করে। তারা কলে টাকা দাবি করতো।’


সদস্যদের অভিযোগ, স্থানীয় তালেবান গোষ্ঠীর থেকে চাঁদা দাবি করা হতো বলে স্কুল প্রশাসনকে বলা হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তা ব্যর্থ।


নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন জেলা সরকারি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, তালেবান দলগুলো ওই এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে। 


যারা টাকা দিতে রাজি না হয় তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়, তাদের বাড়িঘরে হামলা বা তাদের নিজেদেকেই হত্যা করা হয়। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও হত্যা করা হয়েছে।




আরও খবর



ঢাকায় যারা থাকেন বা যাচ্ছেন তারা যে সব বিষয়ে সাবধান হবেন!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

১। ফার্মগেটে হঠাৎ দেখতে পেলেন, কতগুলো মানুষ একজন মানুষ কে মেরে রক্তাত্ত করে চলেছে আর সে আপনাকে বলছে ভাই, সাহায্য করেন। আপনি দয়া দেখাতে গিয়ে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলেই বিপদ হতে পারে। ওরা আপনাকে মেরে সব কিছু নিয়ে যেতে পারে, কারণ তারা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।

২। ওভার ব্রিজ এর উপর মহিলা কাঁদছে যে, সে যার সাথে দেখা করবে তার মোবাইলে কল দিতে হবে কিন্তু তার কাছে টাকা নেই। বলবে আপনার মোবাইল দিয়ে সেই লোকের নাম্বারে মিসকল দিলেও সে ব্যাক করবে। আপনি কল দিলেন তো ফাঁদে পড়লেন। ওরা নিরীহ মানুষ দেখে তাদের নম্বর সংগ্রহ করে ও পরবর্তীতে সেই নাম্বারে কল করে লোভনীয় প্রস্তাব দেয়, রাজী হলে আপনাকে তাদের আস্তানাতে নিয়ে ব্লাক মেইল করবে।

৩। শাহবাগ, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী জ্যামে আটকে আছেন, নানা ধরণের লিফলেট যেমনঃ দুর্বলতা,রোগে, নানা লোভে আপনাকে ফাঁদে ফেলার ব্যবস্থা।

এমন বলে যে রুম ডেট এর ব্যবস্থা আছে।

৪। রাস্তায় সুন্দর চোখ এর বোরকা আলি আপনার সাথে কথা বলতে চায়, প্রেমের প্রস্তাব নয়, কিন্তু ইসারা, যে আপনি ভাববেন একটু চেষ্টা করলে কাছে পাবেন, যদি তাই ভাবেন তবে ধরা পড়ার সম্ভাবনা শতভাগ। আপনাকে তাদের আস্তানায় নিবে, তারপর আর কিছু আপনার করা লাগবে না। সব হারাবেন। মেয়ে দিয়ে ব্লাক মেইল করবে।

৫। গাবতলি, সায়েদাবাদ, কিংবা সদরঘাট , মাওয়া, আরিচা, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে বসে আছেন, দেখলেন যে বাইরে তাস, লুডু ইত্যাদি খেলছে, কাছে গেলেন কি ফেঁসে গেলেন।

৬। যাত্রাপথে অপরিচিত লোক এর সাথে মতবিনিময় করবেন খুবই কম। আপনি যে স্থানে যাবেন সে স্থান যেন আপনার পরিচিত।

৭। রেলগাড়ির ছাঁদে চলাচল করা থেকে বিরত থাকবেন, কারণ এক দল ছেলে পাওয়া যায়, যারা রেলের ছাদের উপর থেকে ছিনতাই করে ছাদ থাকে ফেলে দেয়।

৮। লঞ্চ এ কম যাত্রী থাকলে উঠবেন না।

৯। যারা দ্রুত যাতায়াত এর জন্য স্পীড বোট এ যাতায়াত করবেন তারা টাকা বা মুল্যবান কিছু সাথে নিবেন না। কারণ দেখা গিয়েছে যে, এক দল আছে যারা বোট ছাড়ার পর নির্জন স্থানে বোট ভিড়িয়ে ছিনতাই করে আপনাকে নামিয়ে দিতে পারে।

১০। হেঁটে যেতে হলে বিভিন্ন বাসের মাঝখান দিয়ে যাওয়া অনুচিত কারণ নেশাখোর ওঁত পেতে থাকে ছিনতাই এর জন্য।

এছাড়াও যাতায়াতের সময় এ জাতীয় অন্যান্য ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টিতে শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ।।


আরও খবর



দুর্নীতির বড়পুত্র ঝালকাঠির প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান , ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

দেশের নানা প্রান্তে যখন বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুষ্টিকর দুধ, তখন ঝালকাঠিতে দিবসটি যেন হারিয়ে যায় প্রশাসনিক ফাইলের ভাঁজে। হয়নি কোনো র‍্যালি, বিতরণ করা হয়নি এক ফোঁটা দুধও। অথচ বরাদ্দ ছিল—দুই লাখ আট হাজার টাকা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর বদলে উঠেছে অনিয়ম, গাফিলতি ও দুর্নীতির অভিযোগ।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান স্বীকার করেছেন, এ বছর দিবসটি পালন করা হয়নি। তিনি বলেন, 'বেশ ক’দিন ধরে বৃষ্টি, সামনে ঈদ, র‍্যালির টি–শার্ট এখনো তৈরি হয়নি। তাই কর্মসূচি করা যায়নি।'

তবে বরাদ্দের বিষয়ে তিনি বলেন, 'ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে পাওয়া ২ লাখ ৮ হাজার টাকা এখনো আমার কাছে গচ্ছিত আছে। পরে এই টাকা দিয়ে দিবস পালন করব।'

তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—যে অর্থ নির্ধারিত ছিল ১ জুনের কর্মসূচির জন্য, তা ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেওয়া কতটা যৌক্তিক?

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ঘুরে ও খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুধু দুগ্ধ দিবস নয়, দপ্তরের অন্যান্য কার্যক্রমেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। সরকারি অনুদান, খামার উন্নয়ন প্রকল্প, এমনকি ভেটেরিনারি সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও ঘুষ ও পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন অনেক খামারি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খামারি বলেন, 'টাকা না দিলে কোনো কাজ হয় না। সেবা নিতে এলেই হয়রানি শুরু হয়।'

আরেক খামারি বলেন, 'সরকার তো আমাদের উন্নয়নের জন্যই এসব প্রকল্প দেয়। কিন্তু এখানে এসে দেখি উল্টোভাবে চলছে সব কিছু।'

স্থানীয় কয়েকজন খামারি ও সচেতন নাগরিক বলছেন, এমন অনিয়ম চলতে থাকলে জেলার প্রাণিসম্পদ খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর প্রভাব পড়বে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও।

তাঁদের মতে, এখনই এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। না হলে সরকারের ভালো উদ্যোগগুলো মাঠপর্যায়ে পৌঁছাবে না।


আরও খবর



করোনা বাড়ছে সতর্কতা জরুরি এখনই

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

অধ্যাপক ডা. মুহাম্মাদ সিদ্দিক :

বিগত সময়ের মতো আবারও কড়া নাড়তে শুরু করেছে COVID-19. COVID-19 Omicron XBB 1.5 সাবভেরিয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত সতর্কতা এবং নির্দেশিকাগুলো জানা দরকার।

এবারে করোনা ভিন্ন : COVID-19-এর একটি নতুন রূপ- Omicron XBB সাবভেরিয়েন্ট দ্রুত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এ রূপটি পূর্ববর্তী রূপগুলোর চেয়ে বেশি সংক্রামক এবং অনেক ক্ষেত্রে এটি সাধারণ লক্ষণ না দেখিয়েই ছড়িয়ে পড়ে। অতএব স্বাস্থ্য সতর্কতা অনুসরণ করা এবং মাস্ক পরা আবারও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

Omicron XBB কী এবং এটি কীভাবে আলাদা : Omicron XBB হলো একটি রিকম্বিন্যান্ট সাবভেরিয়েন্ট, যা দুটি Omicron স্ট্রেনের সংমিশ্রণে গঠিত। গবেষণা অনুসারে, এটি: পূর্ববর্তী রূপগুলোর চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কখনও কখনও স্ট্যান্ডার্ড পরীক্ষায় শনাক্তকরণ এড়িয়ে যায় (মিথ্যা নেতিবাচক)। ক্ল্যাসিক্যাল COVID লক্ষণ না দেখিয়ে ব্যক্তিকে সংক্রামিত করতে পারে।

নতুনভাবে পর্যবেক্ষণ করা লক্ষণ : অনেক রোগীর কাশি বা জ্বরের মতো সাধারণ লক্ষণ দেখা যায় না। এর পরিবর্তে যে লক্ষণগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে রিপোর্ট করা হচ্ছে তা হলো- জয়েন্টে ব্যথা, মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পিঠব্যথা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, হালকা থেকে মাঝারি নিউমোনিয়া। অনেক ক্ষেত্রে নাকের সোয়াব পরীক্ষা ভাইরাস শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। তবে বুকের এক্স-রে বা সিটি স্ক্যানের মতো ইমেজিং পরীক্ষায় ফুসফুসের সংক্রমণ প্রকাশ করে। লক্ষণগুলো হালকা হলেও অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিপজ্জনক রূপ : বর্তমান তথ্যের ওপর ভিত্তি করে (যদিও XBB দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তবু এটি উচ্চ মৃত্যু বা বিষাক্ততার কারণ কিনা) সে সম্পর্কে এখনও কোনো বৈজ্ঞানিক ঐক্যমত্য নেই। তবে, বয়স্ক ব্যক্তি, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি অথবা অন্তর্নিহিত অবস্থার (যেমন- ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ) রোগীরা আরও গুরুতর জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন।

যেভাবে সুরক্ষা পাবেন : জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন (নাক ও মুখ উভয়ই ঢেকে রাখুন)। ঘনঘন হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। কমপক্ষে ১.৫ মিটার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। যদি কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার কোভিড ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজ গ্রহণ করুন (যদি সময় থাকে)।

ভুল তথ্য থেকে সাবধান : ইন্টারনেটে অতিরঞ্জিত বা বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে। সঠিক তথ্যের জন্য বিশ্বস্ত উৎসের ওপর নির্ভর করুন।

সচেতনতাই সবচেয়ে শক্তিশালী ঢাল : ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু অসাবধানতারও কোনো সুযোগ নেই। আপনি যদি সতর্ক থাকেন, নিয়মিত মাস্ক পরেন এবং স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করেন, তবে নিজে যেমন সুস্থ ও ভালো থাকবেন, তেমনি আপনার প্রিয়জনদের জন্যও ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারবেন।

লেখক : চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক

ওয়াশিংটন ডিসি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র


আরও খবর



নওগাঁয় ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি নিজের জমি সুরক্ষিত করি'' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও নওগাঁয় ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গনে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জেলার প্রতিটি ভূমি অফিসে আগামী ৩ দিন ব্যাপী বিশেষ ভূমিসেবা প্রদান, বিনামূল্যে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ ও ডিজিটাল সেবা সম্পর্কে সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হবে। এমন আয়োজন স্বচ্ছতার সঙ্গে ভূমি সেবা প্রতিটি মানুষের দ্বারে পৌছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ভূমি সেবা প্রাপ্তি সম্পর্কে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে সচেতনতার ব্যাপক অভাব রয়েছে। আগে সেবা প্রাপ্তির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে তবেই যে কোন সরকারি অফিসে গিয়ে হয়রানী ছাড়াই সহজেই সেবা পাওয়া সম্ভব হবে। আর ভূমি সেবা নিতে আসা অধিকাংশ মানুষরাই জানেন না ডিজিটাল ভূমি সেবা সম্পর্কে। আর এই সব মানুষরা যখন ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমি সংক্রান্ত সেবা নিতে আসেন তখন অনেক ভূমি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই সব সেবা গ্রহিতাদের একটি বিষয় একাধিকবার বলতে নারাজ। তিনি আরও বলেন, অনেক মানুষই ভয়ে তৃতীয় পক্ষের দালালদের কাছে গিয়ে হয়রানীর শিকার হোন এবং অর্থ খোয়া দেন। আগে তথ্য জানতে এবং অপরকে জানাতে হবে। আর এই জন্য প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের ভূমি সেবা সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সেবা নিতে আসার প্রতি মানুষদের সাথে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে একটি বিষয় একাধিকবার ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিয়ে ভূমি সেবার তথ্যগুলো সম্পর্কে সচেতন করার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি। নওগাঁ জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ সোহেল রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইবনুল আবেদীন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার সালমান হাবিব, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গনমাধ্যমকর্মী, সেবা গ্রহিতা, সুধীজনরা।

শেষে জেলা প্রশাসক সেবা গ্রহিতাদের মাঝে ভূমির খাজনা আদায়ের রশিদ, খারিজের রশিদ, নামজারির রশিদ এবং ভূমি অধিগ্রহণের অর্থের চেক প্রদান করেন। 


আরও খবর



ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনার প্রকোপ বাড়ছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

গত মাসের শেষ দিক থেকে ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এরইমধ্যে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ভারতের পাশাপাশি অন্য কিছু দেশেও করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নয়াদিল্লি থেকে পিটিআই এ খবর জানায়।

চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর পাওয়া বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে ভারতই সর্বশেষ। ভাইরাসটিকে বিশ্বব্যাপী মহামারি ঘোষণা করার পাঁচ বছরের বেশি সময় পরও এর নতুন নতুন ভেরিয়েন্টের আবির্ভাব অব্যাহত রয়েছে।

ভারতে এক সপ্তাহে করোনা রোগী বেড়েছে ১২০০ শতাংশের বেশি। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটিতে সক্রিয় করোনা রোগী ১ হাজার ২শ’ শতাংশের চেয়ে বেশি বেড়েছে।

রবিবার সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩১ মে পর্যন্ত ভারতে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে।

ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে ৩ হাজার ৩৯৫ সক্রিয় করোনাভাইরাস রোগী ছিলেন। যা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ১ হাজার ২শ’ শতাংশ বেশি। গত ২২ মে ভারতে সক্রিয় করোনা রোগী ছিল ২৫৭। আর ২৬ মে ছিল ১ হাজার ১০ জন।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে দেশটিতে ৬৮৫ জন নতুন করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

এনডিটিভি বলেছে, সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলো হচ্ছে কেরালা, মহারাষ্ট্র ও দিল্লি। কেরালায় শুক্রবার ১৮৯ জন নতুন কোভিড আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এই রাজ্যে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৩৬ জন।

এছাড়া মহারাষ্ট্র ৪৬৭, দিল্লিতে ৩৭৫, গুজরাটে ২৬৫, কর্ণাটকে ২৩৪, পশ্চিমবঙ্গে ২০৫, তামিলনাড়ুতে ১৮৫ এবং উত্তরপ্রদেশে ১১৭ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। অন্যদিকে রাজস্থানে ৬০, পুদুচেরিতে ৪১, হরিয়ানায় ২৬, অন্ধ্রপ্রদেশে ১৭ এবং মধ্যপ্রদেশে ১৬ সক্রিয় রোগীর তথ্য জানা গেছে। চলতি বছরে ভারতে কোভিডে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, পশ্চিম এবং দক্ষিণে করোনার রোগীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে দেখা গেছে। নতুন রূপগুলো ওমিক্রনের সাবভেরিয়েন্ট।

আইসিএমআর প্রধান ড. রাজীব বেহেল বলেছেন, এই সাবভেরিয়েন্টগুলোই সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ। তিনি জানান, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রথমে দক্ষিণ ভারতে, পরের পশ্চিম ভারত এবং এখন উত্তর ভারতেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সব আক্রান্ত সমন্বিত রোগ নজরদারি কর্মসূচির (আইডিএসপি) মাধ্যমে নজর রাখা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত সংক্রমণের তীব্রতা খুবই কম, তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তার মতে, এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ রোগী হালকা উপসর্গ নিয়ে সংক্রমিত হচ্ছেন। আর তাই জটিল রোগীর সংখ্যা খুবই কম। তবে তিনি বলেছেন, সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রস্তুত থাকাই সবচেয়ে ভালো।

২০২০ সালে শুরু হওয়া এই মহামারিতে এখন পর্যন্ত ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৪ কোটি। মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড় ৫ লাখ মানুষের। বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিনেশন প্রকল্প-এর আওতায় ভারতের ৭২ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের হার আবারও ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক ব্যবহারে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড়যুক্ত স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে ৫ হাজার ৩৬৪ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন।

এছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে ভারতে ৪ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ৫৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।


আরও খবর