Logo
শিরোনাম

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image



সদরুল আইনঃ



সৌদি আরবে চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আজ। এ বছর সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজ পালন করবেন। আর বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।



আরবি হিজরি সন ১৪৪৫ এর জিলহজ মাসের ৮ তারিখ আজ। আরবি বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে শুরু হয় হজ। এরপর ৯ জিলহজে হয় আরাফাতের দিন। 


আর ১০ জিলহজে পশু কোরবানি করেন হাজিরা। পশু কোরবানি শেষে আরও দুইদিন থাকে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা। অর্থাৎ হজ সম্পন্ন করতে সবমিলিয়ে সময় লাগে পাঁচদিন।


প্রথমদিন হজযাত্রীরা (পুরুষ) সেলাই ছাড়া ইহরাম বা সাদা কাপড় পরেন। অপরদিকে নারীরা ঢিলেঢালা পোশাক পরেন। এদিন আরও কিছু নিয়ম নীতি মানতে হয়। যেমন কারও সঙ্গে রাগারাগি না করা এবং যৌন সম্পর্কে লিপ্ত না হওয়া।


ইহরাম বাধার পর দলে দলে হাজিরা মিনায় যান। বেশিরভাগ মানুষ বাসে ও গাড়িতে গেলেও কেউ কেউ হেঁটেও মিনায় যান। এটি ৮ কিলোমিটারের একটি পথ।



হজযাত্রীরা এদিন মিনাতেই কাটান। এর পরের দিন ভোরে তারা সেখান থেকে চলে আসেন। হজযাত্রীরা মিনায় নামাজ এবং আল্লাহকে স্মরণ করে সময় কাটান।


দ্বিতীয় দিন হজযাত্রীরা যান আরাফাতের ময়দানে। সেখানে তারা পুরো দিনটি কাটান। আরাফাত শুধু হজের কারণেই গুরুত্বপূর্ণ নয় এটি ইসলামিক বর্ষপঞ্জিকার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।


আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত আরাফাতের পাহাড়ে দাঁড়িয়ে নিজের জীবনের শেষ ভাষণটি দিয়েছিলেন হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)। মিনা থেকে ১৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিন হন লাখ লাখ মানুষ। বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় এদিন রোজা রাখা হয়।


আরাফাতের ময়দানে সারাদিন কাটানোর পর সূর্যাস্তের পর মুজদালিফায় যান হাজিরা। যা ৯ কিলোমিটারের একটি পথ। সেখানে খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করেন তারা। ওই সময় প্রতীকি শয়তানের দিকে ছুড়ে মারার জন্য ছোট পাথর সংগ্রহ করেন তারা। সূর্যোদয়ের ঠিক আগে তারা মুজদালিফা ছাড়েন।



তৃতীয় দিনের শুরুটা হয় মুজদালিফায়। সেখান থেকে সূর্যোদয়ের আগে তারা মিনার দিকে রওনা দেন। মিনায় পৌঁছে তারা প্রতীকি শয়তানকে লক্ষ্য করে ছোট সাতটি নুড়ি পাথর নিক্ষেপ করেন।


মহান আল্লাহ ইব্রাহিম (আঃ)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি যেন তার পুত্রকে কোরবানি করেন। মিনার এই স্থানে যখন আল্লাহকে খুশি করতে ইব্রাহিম (আঃ) তার পুত্রকে নিয়ে আসেন তখন এখানে উপস্থিত হয় শয়তান। যেটি নবী ইব্রাহিমকে আল্লাহর আদেশ অমান্য করতে প্ররোচনা দিচ্ছিল।



 ওই সময় ইব্রাহিম (আঃ) শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেন। এখন হাজিরা এই স্থানে প্রতীকি শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর মারেন।


পাথর নিক্ষেপ শেষে হাজিদের কোরবানি করতে হয়। ইব্রাহিম (আঃ) যখন তার পুত্রকে কোরবানি করতে যান তখন সেখানে আল্লাহ তায়ালা একটি ভেড়াকে এনে দেন।


কোরবানি শেষে হাজিরা (পুরুষ) তাদের মাথা মুণ্ডণ করেন এবং ইহরামের কাপর খোলেন। এরপর অনেকে কাবা তাওয়াফ করতে মক্কায় যান। সেখানে কাবায় সাত চক্কর দেওয়ার পাশাপাশি সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে তারা সাতবার আসা যাওয়া করেন। সবকিছু শেষ হওয়ার পর মিনায় তারা তাদের ক্যাম্পে ফিরে যান।



চতুর্থ ও পঞ্চম এ দুইদিনও প্রতীকি শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন তারা। এই সময় প্রতীকি শয়তানের তিনটি স্তম্ভের প্রত্যেকটিতে সাতটি করে নুড়ি পাথরর ছোড়েন হাজিরা। এখানে হাজিরা আরও দুইদিন অবস্থান করবেন।


মিনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে হজযাত্রীরা মক্কায় ফিরে যান এবং শেষবারের মতো কাবা তাওয়াফ করেন। যা ‘বিদায়ী তাওয়াফ’ নামেও পরিচিত।


নিজ বাড়িতে বা দেশে ফিরে যাওয়ার আগে বেশিরভাগ হাজি যান মদিনায়। যেখানে শুয়ে আছেন শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)। মদিনায় হাজিরা নবীজীর রওজা পরিদর্শন করেন।



আরও খবর

১ হাজারই বহাল থাকছে হজ এজেন্সির কোটা

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়স ১৭ হলে ভালো হয়- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্যের বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আপত্তি তোলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন তাহলে আবার নতুন করে ভোটার তালিকা করতে হবে। আপনি প্রধান উপদেষ্টা, প্রথমেই বলে দিচ্ছেন- ভোটারের বয়স ১৭ হলে ভালো হয়। আপনি যখন বলছেন, তখন নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। এটা নির্বাচন কমিশনের কাজ, তাদের ওপর ছেড়ে দিন। ১৮ বছর তো আছে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। যদি কমাতে চান, সেটা নির্বাচন কমিশন প্রস্তাব করুক। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেন। ’

তিনি বলেন, ‘এভাবে না বলে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টা আনা উচিত ছিল, এটা ভালো হতো। তাহলে কোনো বিতর্কের সৃষ্টি হতো না। মানুষের মনে এখন বেশি করে আশঙ্কা তৈরি হবে, এটা করতে গিয়ে আরও সময় যাবে, কালক্ষেপণ হবে। মানুষের মনে ধারণা তৈরি হচ্ছে, আমার না। তাদের মনে ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে, কেন যেন এই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে।’

রাষ্ট্র সংস্কারের ব্যাপারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সংস্কার কোনো নতুন ধারণা নয়, কেউ যদি দাবি করে আমরা (যারা বর্তমানে সংস্কারের কথা বলছেন) সংস্কার দফা নিয়ে আসছি, এটা ভুল। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সে জন্য তো নির্বাচন বন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। দিনের পর দিন একটি অনির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ চালাতে দিতে পারি না।’

তিনি বলেন, ‘সংস্কার চলছে, আমরা বলছি সংস্কার চলুক, সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন করেছে সরকার, কাজ করছেন কিন্তু তারা কাদের সঙ্গে কাজ করছেন? একই সঙ্গে জনগণের কাছে যান, তারা কী চায় জানুন। সংস্কার করেন আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে অস্থিতিশীলতা অনেকটাই কমে যাবে যদি একটি নির্বাচিত সরকার থাকে। কারণ নির্বাচিত সরকারের পেছনে জনগণ থাকে। আমরা সংস্কার চাই, বেশি চাই। তবে দীর্ঘকাল অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকা উচিত নয়। ’

সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অনেক উপদেষ্টা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন, তারা রাজনীতিবিদদের মতো বক্তব্য দিচ্ছেন কটাক্ষ করে। রাজনৈতিক দল আপনাদের প্রতিপক্ষ নয়, তারা আপনাদেরকে সহযোগিতা করছে, করে যাচ্ছে। আপনারাই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের কথাবার্তা বলছেন না। সহযোগিতা সেভাবে করছেন না।

আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। শুধু কথা বলেই কাজ হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে। সংস্কার তো সবাই চায়, সেই সঙ্গে শান্তি চাই মানুষ, বাঁচতে চায়।


আরও খবর



উগ্রবাদ নির্মূলে আলেম-ওলামা ও পীর-মাশায়েখগণকে এগিয়ে আসতে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম, কোন ধর্মেই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের স্থান নেই। জঙ্গীরা ইসলামকে দুনিয়ার সামনে এক নিষ্ঠুর ধর্ম হিসেবে উপস্থাপনের ষড়যন্ত্র করছে। চরমপন্থীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মসজিদের ভিতরেও জিহাদ শব্দের ভুল ব্যাখ্যা করে। যারা জঙ্গীবাদ ও উগ্রবাদী কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত তারা নিজেরা ধর্মের অর্থ জানে না, কোরআনের অর্থ জানে না; জানে না জিহাদের অর্থও। অন্ধকারের এই অপশক্তিকে প্রতিরাধ করতে দেশের ধর্মপ্রাণ আলেম-ওলামা ও পীর-মাশায়েখবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সকল ধরণের প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারকেও আনতে হবে সরকারের নজরদারির আওতায়। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে নরসিংদী রায়পুরা আদিয়াবাদ উত্তর, আদিয়াবাদ দরবার শরিফে হযরত শাহসুফি খাজা আব্দুল আউয়াল শাহ্ চিশতী (রহঃ)'র ১৯ তম বার্ষিক ওরস শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। তিনি আরও বলেন, জঙ্গীবাদ আধিপত্যবাদীদের রাজনৈতিক ও প্রভুত্ব কায়েমের হাতিয়ার। জঙ্গিবাদ নির্মূলে প্রতিহিংসা ও একে অপরের উপর আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্ধকারের অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, জঙ্গীবাদী কর্মকান্ড শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বে ঘটছে। বরং বিশ্বে তা বেশি হারেই ঘটছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা, মানবতা বিরোধী শক্তি, প্রকৃত ধার্মিকতার বিরোধিতা, ধর্মীয় উগ্রবাদের প্রভাব ও মাদ্রাসা শিক্ষার একটি অংশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবে দেশে জঙ্গীবাদ প্রসারিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে মাহফিলে আলোচক ছিলেন, মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, হাফেজ মাওলানা মুফতি মাকসুদুর রহমান মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ কেরামত আলী মাইজভাণ্ডারী প্রমুখ। মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারী।


আরও খবর



নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কে ট্রাক চাপায় ৩ বন্ধুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের কেশরহাট নামক এলাকায় অজ্ঞাত ট্রাক চাপায় দুটি মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী মোট ৩ জন বন্ধু যুবকের মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়। নিহতরা সবাই নওগাঁর মান্দা উপজেলার বাসিন্দা। গত বুধবার দিনগত রাতে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের কেশরহাট এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় স্পটেই ৩ জনের মৃত্যু হয়। সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম দূর্ঘটনাস্থলে পৌছানোর পরও সে সময় প্রথমে নিহতের নাম-পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তাদের নাম পরিচয় সনাক্ত করার পর স্বজনদের কাছে নিহত ৩ বন্ধু যুবকের মৃতদেহ হস্তান্তর করেন পুলিশ। নিহত ৩জন বন্ধু হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার বনকুড়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে কাউসার আলী (১৯), দক্ষিণ চকবালু গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে কাউসার হোসেন (২০) ও আশরাফ আলীর ছেলে সাহাদৎ হোসেন (১৯)। নিহত ৩জন বন্ধু ২০২৩ সালে এইচএসসি পাশ করেন। মান্দা উপজেলার বনকুড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার জানান, নিহত ৩ জন বন্ধু গত বুধবার সন্ধার পর দুটি মোটরসাইকেল যোগে রাজশাহী থেকে নিজ বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলাতে ফেরার পথে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের কেশরহাট এলাকায় পৌছালে সে সময় অজ্ঞাত একটি ট্রাক তাদেরকে চাপাদিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ৩ জন বন্ধুর মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর পৌছার পর থেকে এলাকার লোকজনের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া। পরে আইনানুগ পক্রিয়া শেষে নিহত ৩ জন বন্ধু যুবকের মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে আসাহয় এবং বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মান্দা উপজেলার দক্ষিণ চকবালু গ্রামে কাউসার হোসেন ও সাহাদৎ হোসেন এর এবং বেলা ১১টায় কাউসার আলীর জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবর স্থানে দাফন সম্পূর্ন করা হয়। একই সড়ক দূর্ঘটনায় ৩ জন বন্ধু (যুবকের) মৃত্যুতে তাদের পরিবার, স্বজন ও গ্রামবাসী সহ এলাকাজুড়ে লোকজনের মাঝে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।


আরও খবর



নির্বাচন যত দেরি হবে, সমস্যা আরো বাড়বে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি হবে, সমস্যা আরো বাড়বে। কারণ, সরকারি দপ্তরগুলোতে এখনো ফ্যাসিবাদীরা বসে রয়েছে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতন্ত্রের জন্য উপযোগী করতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য ধারাবাহিক প্রতিটি সংগ্রামকেই স্মরণে রাখা দরকার।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে আন্তরিক। রাজনৈতিক সংস্কারের চিন্তা থেকেই ২০১৬ সালে ভিশন-২০৩০ এবং ২০২২ সালে ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা দেওয়া হয়েছিল। বিএনপি প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচনে যেতে চায়। কিন্তু জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ করতে হবে। তবে জনগণের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষে আমরা নই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিগত ১৬ বছরে বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে, সাত শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করে এবং ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ।

এ সময় সংস্কার নিয়েও কথা বলেন ফখরুল। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসলে ভালো হতো। তাহলে সংস্কারকাজ এগিয়ে যেত।


আরও খবর



বেড়েছে সরবরাহ, সবজির বাজারে স্বস্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভরা মৌসুমে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে শীতের সবজির। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের শাক-সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। ৪০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে বেশির ভাগ সবজি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও কাঁচা বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

বিক্রেতারা জানান, শীতকালীন সবজির সরবরাহ অনেকটাই বেড়েছে। সরবরাহ বাড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় শীতকালীন সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সরবরাহ বৃদ্ধি পেলেও বিক্রি আশানুরূপ বাড়েনি। কিন্তু দাম কম থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

বাজারে মানভেদে শিম ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৩০ টাকা পিস, প্রতি পিস লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, খিরাই ৫০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং জলপাই ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৭০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, ঢেরস ৮০ টাকা, লতি ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা এবং কাঁচামরিচের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

লেবুর হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা ৮০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, কলমি শাক ১০, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সবজির দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নগরবাসী। তারা বলছেন, এখন সবজি কিনে খুব স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর হলেও বাজারে সবজি কিনে স্বস্তি মিলছে। তবে দু-এক বছর আগে শীতের সময় সবজির দাম আরও কম থাকতো। তারপরেও কয়েক সপ্তাহের তুলনায় এখন সবজির দাম কমাটাই স্বস্তির বিষয়।

খিলগাঁও বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাব্বি বলেন, বাজারের সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে তুলনায় এই সপ্তাহে কিছু কিছু সবজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং কিছু সবজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সবজির দাম কমায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

সবজি বিক্রেতা মো. সাগর বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি সবজির দামি অনেকটাই কমেছে। এই বিক্রেতার দাবি, সবজির দাম কমলেও বিক্রি বাড়েনি। সবজি সরবরাহ বাড়ার কারণে বিক্রি অনেক কমেছে। একই কথা বলেছেন এই বাজারের আরও কজন বিক্রেতা। তবে রাজধানীর অন্যান্য বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সবজির দাম কমায় ক্রেতারা এখন সেসব সবজি বেশি করে কিনছেন। রামপুরা, মালিবাগ বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, আগে এক আইটেমের সবজি যদি পাঁচ কেজি বিক্রি হতো, এখন সেটা ৮-১০ কেজি বিক্রি হয়। এতে তারাও লাভবান হচ্ছেন।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫