Logo
শিরোনাম

পীর হও কিন্তু পীর সেজনা!

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী,কলাম লেখক:

আমাদের দেশে পীরের অভাব নেই। যেখানে - সেখানে পীর। রাস্তার মোড়ে- মোড়ে পীরের সাইনবোর্ড পাওয়া যায়।  আবার  তাদের মুরীদের অভাব নেই।  প্রত্যেক পীরের যথেষ্ট পরিমাণ মুরীদ রয়েছে। প্রায় জায়গাতে খানকা জমজমাট।  ব্যবসা চলেও মাশাআল্লাহ,  অনেক ভাল।  

বড় দু:খের বিষয়,  অধিকাংশ পীর আসল পীর নয়। এগুলো  পীর সেজে বসে আছে। একজন পীর হিসাবে  যেসকল যোগ্যতা থাকা দরকার সেটার কিছুই  তাদের নেই।   বরং ওগুলো অযোগ্য - অপদার্থ, কেউ চোর, কেউ ছিনতাইকারী, কেউ ডাকাত।  তবে কিছু তো আছে  আরো ডেঞ্জার।  ওগুলো ডাকাত বা ছিনতাইকারীর থেকেও জঘন্য।  ডাকাত বা ছিনতাইকারী থেকে তো মানুষ বেঁচে  চলার চেষ্টা করে থাকে।  কিন্তু যখন কোন ডাকাত পীর সেজে বা ইসলামী লেবাস পরে অন্য মানুষের মালামাল ছিনতাই করে,  তখনো বোঝা মুশকিল।  সহজেই ওই সকল ডাকাতগুলো ধরা যায় না। বরং সরলপ্রাণ মানুষেরা বাববার নানান জুলুমের শিকার হয়ে থাকে।  তাদের মাল - দৌলত এর সর্বনাশ করে ফেলে। 

আগে শুনতাম অযোগ্য পীরেরা মানুষের ঈমান ধ্বংস করে তবে এখন দেখছি,  শুধু ঈমান নয়  মানুষের মাল- সম্পদ লুট করে ফেলছে।

এমনি একজন পীরের কাছে গেলাম  কিছুদিন আগে। খানকাতো মাশাআল্লাহ, ভালই চলছে। মুরীদগণ খানকাতে বসে সামা গাচ্ছিল।  ওদিকে খিচুড়ীর সুঘ্রাণ ভেসে আসছে। পীরও প্রস্তুতি নিচ্ছেন  মুরীদদের সামনে নিয়ে ইসলাহী বয়ান দিবেন। বিশাল উঁচু টুপি মাথায়।  মাথা থেকে টুপির উচ্চতা এক ফুটের কম নয়। টুপিতে কারুকার্য করা। যে টুপি দেখলে পরাণ ঠান্ডা হয়ে যায়।

তবে আফসোস!  এই পীর বেশধরা  মানুষটি বড় খেয়ানতকারী।  মানুষের টাকা মেরে লোপাট করে দিচ্ছে।  বহু মানুষের সর্বনাশ করে নিজে ফেরেস্তার রুপ ধারণ করে আছেন।  অনেক মানুষ  তার দ্বারা সর্বস্ব হারায়ে দিকবিদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। 

এজন্য  পীর  সেজে থাকলেই সে পীর নয়। কালো পাগড়ী, সবুজ পাগড়ী আর বড় উঁচু টুপি পরলেই সে পীর নয়।  পীর লিখলেই সে পীর হয় না।  

আল্লাহ তায়ালা সকলকে সহী বুঝ দান করুন। আমিন।


আরও খবর

রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




তারা আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো: দিতির মেয়ে লামিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

শেখ ফরিদ :

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দিয়াপাড়া এলাকায় নানার বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে বিচার শালিশে মামীর লোকজনের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী দিতি ও সোহেল চৌধুরী কন্যা লামিয়া চৌধুরী। আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

লামিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আম্মা মারা যাওয়ার পর প্রতি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবারে কাজিনদের নিয়ে আমি নারায়ণগঞ্জে যাই। ওখানে আমাদের আত্মীয়স্বজন থাকেন। ওদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আসি। আজও গিয়েছিলাম। আসার পরই সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হই। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁতে আমাদের পৈতৃক জায়গা দখল করার চেষ্টা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। সেই টার্গেটে আমি যাওয়ার পর দলবল সন্ত্রাসীরা আসে। ওদের হাতে অস্ত্র ছিল, আমাদের মারার জন্য। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। আমার পা ভেঙে ফেলেছে। আমার ফোনও কেড়ে নিয়েছিল। আমার ওড়না টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে। আমি অনেক ভয় পেয়ে গেছি। এরপর আমি গাড়িতে উঠে গেছি।

লামিয়া বললেন, ‘আমার মা–বাবা মরে গেছে। ওরা আমাদের জায়গাজমি দিয়ে গেছে। কিছুই ভোগ করতে পারি না। চারদিক থেকে লোকজন সব দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমার ভাই দেশে নেই। আমি সবকিছু একাই হ্যান্ডেল করতেছি। এ কারণে সবাই এভাবে আমার পেছনে লেগেছে। কত বছর ধরে আমার জীবনে এসব চলছে, বলে বোঝাতে পারব না। আমার জীবন হুমকির মুখে। আমি একা, সন্ত্রাসীরা এসব বুঝে গেছে।’


দিতির বড় ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার দুপুরে আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শারমিন প্রিতি স্থানীয় উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন,সিনিয়র সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম টিটু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দীন,সোহেল,জাহাঙ্গীর সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ আমাদের বাড়ী সার্ভে করে জোরপূর্বক পিলার বসায়।এসময় আমরা বাঁধা দিলে বিএনপি নেতাদের সহযোগিতায় আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সারমিন প্রিতি ও তার সঙ্গিয় বাহিনী আমার বোন দিতির মেয়ে লামিয়ার ওপর এবং আমাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে এবং লামিয়ার গাড়ী ভাংচুর করে।এসময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় প্রাণ বাঁচাতে লামিয়া গাড়ী নিয়ে চলে যায়।



এদিকে লামিয়া আক্তারের মামী ও চিত্র নায়িকা দিতির ভাই টিপু সুলতানের স্ত্রী শারমিন আক্তার প্রীতি জানান, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমার ওয়ারিশান সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছে। লামিয়া শেখ মারুফের রক্ষিতা হয়ে আমার সম্পত্তি জোরপূর্বক আত্মসাত করে রেখেছে। আমি সমাজের লোকজন ডেকে বিচার শালিস করে আমার স্বামীর সম্পত্তি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলে লামিয়া  ঢাকা থেকে তার বন্ধুদের নিয়ে এসে আমার উপর হামলা চালায়। আমি হাসপাতালে ভর্তি আছি।


সোনারগাঁ থানার ওসি এম এ বারী জানান,  এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। পরে জানতে পারি বিষয়টি চিত্র নায়িকা দিতির পারিবারিক বিষয়।


আরও খবর



ঝালকাঠি ভাইয়ের ক্ষমতা বলে প্যানেল চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, হাসিবুর রহমান :

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম (দোলন মুন্সি) ভাইয়ের ক্ষমতাবলে প্যানেল চেয়ারম্যান হয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীর একটি অংশের প্রতিবাদ ও তোপের মুখে তাঁর দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠান ভেস্তে যায়। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম। ব্যাপক ভোগান্তি পোহাচ্ছে ইউনিয়নের ৩০ হাজার নাগরিক। 

গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার খান জনরোষের ভয়ে আত্মগোপনে চলে গেলে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ শহিদুল ইসলাম কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশাসক হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন। পরে জেলা প্রশাসক উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু সালেহ মো. ইফাত ইশতিয়াককে সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেন। এরমধ্যে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা জাহিদুল ১১ জন ইউপি সদস্যের রেজুলেশনের ক্ষমতাবলে দায়িত্বভার বুঝে পেতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। সুরাহা না হওয়ায় তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। উচ্চ আদালত ইউপি সদস্য জাহিদুলকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। 

গত ১১ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক তাঁকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করে চিঠি দেন। তিনি গত সোমবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিতে স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে সচিবের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে দাওয়াতপত্র দেন। এতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীর একটি অংশের প্রতিবাদ ও তোপের মুখে অনুষ্ঠান ভেস্তে যায়। 

স্থানীয়রা জানান, ইউপি সদস্য জাহিদুলের ভাই জহিরুল ইসলাম সুমন মুন্সি হাইকোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। তাঁর ক্ষমতাবলে যুবলীগ নেতা জাহিদুল প্যানেল চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে সরিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানের পদে আসেন। 

ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের খান ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মুজ্জাম্মেল আরিন্দা জানান, জাহিদুল আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি আমির হোসেন আমুর কাছের লোক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তাঁকে কেউ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে চায় না। 

সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ মাস্টার জানান, হাইকোর্টের রায়কে সম্মান দেখিয়ে জাহিদুলকে বাধা দিচ্ছি না। তিনি যুবলীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন এটি সবাই জানে।

অভিযোগ অস্বীকার করে প্যানেল চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যুবলীগের কোনো পদে ছিলাম না। আমাকে ইউনিয়ন বিএনপির কোনো নেতাকর্মী প্যানেল চেয়ারম্যান পদে বসতে বাধা দিচ্ছে না। যারা এসব করছে তারা বিএনপির দায়িত্বশীল নেতা না।’ 

জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত আছি। অচিরেই ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে।


আরও খবর



টানা ৩ দিন ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশের বেশকিছু অঞ্চলে আগামী ৩ দিন অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এরমধ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পরদিন শুক্রবার একই সময় পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া আগামী শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহীর বাঘাবাড়ী, যশোর ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অবস্থায় বর্ধিত ৫ দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




নারীদের কীভাবে নির্যাতন করা হয়, দেখাল জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলেছে, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র আওয়ামী লীগ সমর্থকরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ ঠেকানোর জন্য মেয়েদের ও মহিলাদের যৌন নির্যাতন করেছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের (ওএইচসিএইচআর) কার্যালয়ের তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মহিলা বিক্ষোভকারীদের উপর শারীরিক আক্রমণ প্রায়শই মুখ, বুক, শ্রোণী এবং নিতম্বের মতো নির্দিষ্ট শরীরের অংশগুলোকে লক্ষ্য করে করা হত, কারণ অপরাধীরা কেবল ব্যথা দেওয়ার জন্যই নয় বরং স্পষ্টতই নারীদের তাদের লিঙ্গের ভিত্তিতে অপমানিত ও অবমাননা করার চেষ্টা করেছিল।

ওএইচসিএইচআর গত ১২ ফেব্রুয়ারি জেনেভা অফিস থেকে ‘২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের বিক্ষোভের সাথে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন’ শীর্ষক তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, নারী প্রতিবাদকারীদের লক্ষ্য করে সহিংসতা প্রায়শই লিঙ্গ-ভিত্তিক ছিল, যা বিশেষভাবে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অপমানজনক ধরনগুলোকেই প্রতিফলিত করে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, অপরাধীরা নারীদের অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করার, আন্দোলনের মধ্যে নারী নেতৃত্বকে দুর্বল করার এবং প্রতিষ্ঠিত পুরুষতান্ত্রিক রীতিনীতিকে শক্তিশালী করার হাতিয়ার হিসেবে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা চালিয়েছিল।

শারীরিক সহিংসতার পাশাপাশি নিয়মিতভাবে লিঙ্গ-ভিত্তিক অপমান করা হত, মহিলা বিক্ষোভকারীদের প্রায়শই নানা ধরনের অন্যান্য অবমাননাকর শব্দ যেমন ‘বেশ্যা’, ‘মাগী’ এবং ‘পতিতা’ বলে উল্লেখ করা হতো।

ওএইচসিএইচআর উল্লেখ করেছে যে, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পুরুষ এবং পুলিশ অফিসাররা প্রায়শই ধর্ষণ, জোরপূর্বক নগ্ন করা এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য ধরনের যৌন সহিংসতার মৌখিক হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা দাবি করেছে যে, তারা আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দ্বারা শারীরিক যৌন সহিংসতার শিকার ব্যক্তির নির্যাতনের বিশ্বাসযোগ্য বিবরণ পেয়েছে।

একটি ঘটনায়, আগস্টের শুরুতে ঢাকায় বাঁশের লাঠি হাতে একদল লোক একজন মহিলাকে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে যে, সে একজন বিক্ষোভকারী কি না।

জাতিসংঘের তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদন অনুসারে, তার ব্যাগ ও ফোন তল্লাশি করে একটি বাংলাদেশি পতাকা পাওয়ার পর তারা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, তার চুল ছিঁড়ে ফেলে, তার জামা ছিঁড়ে ফেলে, তার স্তন ও নিতম্বে হাত দেয়, তার বুকে আঁচড় দেয় এবং যৌনতাসূচক গালিগালাজ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, জুলাই মাসে ঢাকায় ঘটে যাওয়া আরেকটি ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই সমর্থক একজন বিক্ষোভকারী মহিলা,তার মা এবং তার পরিবারের সকল মহিলাকে ধর্ষণের হুমকি দেয় এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, যৌনতাসূচক অশ্রাব্য গালিগালাজ করার সময় তার স্তন ও যৌনাঙ্গে হাত দেয়।

ঘটনার পর, ফোন করে ভুক্তভোগী তার ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আবার ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানিয়েছেন যে, ছাত্রলীগের লোকেরা কুমিঠ বেশ কয়েকজন মহিলাকে লাঞ্ছিত করেছিল, এদের মধ্যে দুইজন ছাত্রীকে তারা আটক ও হাত দিয়ে নির্যাতন করে এবং পরে পুলিশে সোপর্দ করে।

বাংলাদেশের ভুক্তভোগীরা প্রায়শই কার্যকর রিপোর্টিং ব্যবস্থার অভাব, অপরাধীদের কাছ থেকে প্রতিশোধের ভয়, বিশেষ করে যদি তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য হন এবং ব্যাপক সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে যৌন সহিংসতার রিপোর্ট করা থেকে বিরত থাকেন।

জাতিসংঘের অধিকার সংস্থা আরো বলেছে, ঘটনার শিকার ব্যক্তিরা অনেক সময় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, মনোসামাজিক এবং আইনি পরিষেবাও পান না। এমনকি যদি তারা রিপোর্ট করতে ইচ্ছুক হন, তবুও তাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা, সম্মান এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দেয়া হয় না।

ওএইচসিএইচআর বলেছে, সম্ভবত তারা ঘটনা নথিভুক্ত করেছে তার চেয়ে অনেক বেশি ঘটনা ঘটেছে এবং তাই যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে লিঙ্গ-সংবেদনশীল ঘটনা তদন্তের জন্য দৃঢ়ভাবে সুপারিশ করছে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




নওগাঁয় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

''সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের অঙ্গীকার'' প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় নওগাঁয় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গনে বেলুন, ফেষ্টুন ও পায়রা উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক আশীষ কুমার ভট্টাচার্য। পরে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রাজশাহী রেঞ্জের পরিচালক লুৎফর রহমান, নওগাঁর সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম, এনএসআই এর উপ-পরিচালক মোস্তাক আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনুল আবেদীন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট নাজমুল আসফাক সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার আগে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। সভা শেষে নিরাপত্তা রক্ষার কাজে ভালো ভূমিকা রাখায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিয়নের সদস্যদের মাঝে বাইসাইকেল, সেলাই মেশিন ও অন্যান্য উপহার তুলে দেয়া হয়। এসময় অতিথিরা বলেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের অনেক পুরাতন একটি বাহিনী। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রাম ভূমিকা রেখে চলেছে এই বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের পাশে প্রথমেই এগিয়ে আসে তৃণমূল পর্যায়ের এই আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। দেশের প্রতিটি মানুষের খবর রাখে এই বাহিনীর সদস্যরা। তৃণমূল পর্যায়ের সকল তথ্য যাদের কাছে পাওয়া যায় তারা হলেন এই বাহিনীর সদস্যরা। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অথচ অন্যান্য বাহিনীর চেয়ে এই বাহিনীর সদস্যরা খুবই অবহেলিত। তাই এই বাহিনীকে আরো আধুনিকায়ন করতে বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দ্রুতই এই বাহিনী যুগোপযোগী একটি বাহিনীতে পরিণত হবে বলে জানান অতিথিরা।


আরও খবর