Logo
শিরোনাম

পীর সাহেব চরমোনাই কী সফল হতে পারবে?

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী, শিক্ষক ও কলামিস্ট :

ইসলামী রাজনৈতিক অঙ্গনে সুবাতাস  বইছে। বসন্তের হিমেল হাওয়ায়  উজ্জীবিত  রাজনীতির ময়দানে  এখন প্রীতি - ভালবাসাার সয়লাব বয়ে যাচ্ছে।   ছয়মাস আগেও যাদের সাথে মুখ দেখাদেখি হতনা, ভিন্ন ভিন্ন প্লাট ফরমে বাসা বেঁধে ছিল। যে সব মানুষদের সাথে মুখ দেখা  আজীবন  নিষিদ্ধ ছিল বলা যায়, সেসব লোকগুলোর সাথে এখন প্রেম- প্রীতি দেয়া- নেয়া হচ্ছে। এখন একই ছাদের নিচে, একই টেবিলে বসে গেছে সবাই। আর কেউ মুখ ভেংচি দিয়ে দুরে চলে যাচ্ছেনা।  বরং দিনে দিনে প্রীতির বন্ধন মজবুত হচ্ছে বলে মনেহয়।


 অবশ্য এর কারিগর পীর সাহেব চরমোনাই তথা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ।  এদেশের দেওবন্দী স্রোতধারার সর্ববৃহৎ ইসলামী সংগঠন হল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।  এই সংগঠনের আমীর সৈয়দ রেজাউল করীম ( পীর সাহেব চরমোনাই) ।  নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল করীম ( শায়েখে চরমোনাই)  

 যারা  ২৪ সনের বিপ্লবের কান্ডারী। যাদের ইসস্পাত এর ন্যায়  দৃঢ়তা এবং সাহসিকতার সঙ্গে এই  গণ অভ্যুথ্থানের নেতৃত্বে ছিলেন।  তারাই সর্বপ্রথম ইসলামী দলগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা- ভালবাসার নজরে তাকিয়েছেন। আর কাউকে পিছনে  ফেলা নয়।  আর কারো প্রতি অশ্রদ্ধা নয়। বরং ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইলের এ রাজ্যে ফ্যাসিস্টদের চিরতরে উৎখাত করে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে  এ জাতি যেন নতুন দিগন্তে পৌছাতে পারে, এদেশ থেকে দুর্নীতির শেকড় উপড়ে ফেলে একটা সুস্হ- সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য পীর সাহেব চরমোনাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। 


পহেলা কাজ কিন্তু পীর সাহেব করেছেন। তিনিই সকলের সাথে বারবার বৈঠকে বসছেন।তার দলের নেতাদের পাঠাচ্ছেন বিভিন্ন জায়গাতে। নিজের আমিত্ব মিটিয়ে দেশের ওলামায়েকেরামের দারস্ব হচ্ছেন বারবার। ইসলামী রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কুশল বিনিময়,  কখনো তাদের অফিসে যাতায়াত, কখনো বিভিন্ন প্রোগ্রামে ইসলামী দলগুলোর  প্রধান এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সাথে মিলে একাকার হয়ে যাচ্ছেন।


জামায়াতের আমীর চরমোনাইতে গেলেন! এটা কি কল্পনা করা যায়? আমিতো কোনদিন ভাবতেও পারিনি  জামাত আর চরমোনাই এর মধ্যে বরফ গলবে কোনদিন।  বরং রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মন্তব্য হল, জামায়াতের সাথে কোন দিন চরমোনাই এর সম্পর্ক হবেনা। কিন্তু সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জামায়াতের আমীর চরমোনাইতে গেলেন।  আর সেখানে পীর সাহেব তাকে অভ্যর্থনা জানাল। বেচারা ডা: শফিকুর রহমান তো শেষমেষ চরমোনাই এর ভূয়সী প্রশংসা করলেন। চরমোনাইকে একটি দ্বীনি মারকাজ বলে আখ্যা দিলেন।


চরমোনাই ওয়ালাদের বড় চমক হল, এবারের চরমোনাই এর ওলামা সন্মেলনে দেশের শীর্ষস্হানীয় আলেমদের হাজির করতে পেরেছেন। বিশেষ করে বর্তমান সময়ের দেওবন্দী হালকার সবচেয়ে জনপ্রিয় আলেম আল্লামা মামুনুল হক সাহেবকে দাওয়াত দিয়ে সেখানে নিয়ে গেছেন, এটা সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত। তাছাড়া এদেশের তাওহিদী জনতার মনের কামনা- বাসনাও ছিল এটা। এ সময়ে সবচেয়ে বড় সেলিব্রিটি হলেন তিনি। যদিও মামুনুল হক সাহেব বরিশালের প্রোগ্রামে পীর সাহেব চরমোনাই এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ প্লাট- ফরমে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন, তারপরেও চরমোনাই এর ওলামা সন্মেলনে মামুনুল হক সাহেবের উপস্হিতি পীর সাহেব এর সফলতা বলা যায়।


এভাবে পীর সাহেব চরমোনাই এগিয়ে যাচ্ছেন। ইসলামী দলগুলো নিয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ তৈরী করতে চাচ্ছেন, অন্তত আগামী নির্বাচনে যেন ইসলামের পক্ষে একটা বাক্স থাকে।  মানুষ ইসলামের পক্ষে রায় দিতে পারে এমন কোশেশ তিনি করে যাচ্ছেন।  


তবে পীর সাহেব চরমোনাই কী পারবেন সবাইকে এক দস্তারখানে নিয়ে আসার? এখনো কিছু কিছু রাজনৈতিক দল বসে আছেন। যাদের থেকে কোন আভাস পাওয়া যাচ্ছেনা।  আবার যাদের সাথে নতুন করে প্রীতি গড়ে উঠছে, তারা কী এই প্রেমবন্ধন রাখবেন?   


তবে সাধারণ জনতার প্রাণের দাবী, আর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকা নয়। এবার এক ছাতার নিচে যখন বসা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত প্রীতির এ বন্ধন টিকে থাকুক। সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে চলুক। এই প্রত্যাশা সকলের।

আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন।  আমিন।


আরও খবর



‘র’ নিষিদ্ধের সুপারিশ মার্কিন ফেডারেল কমিশনের

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)’ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে মার্কিন ফেডারেল সরকার গঠিত কমিশন। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে এ সুপারিশ করা হয়। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দেশটির ফেডারেল সংস্থা কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভারতে সংখ্যালঘুরা দিন দিন অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছে জানিয়ে ইউএসসিআইআরএফের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিউনিস্টশাসিত ভিয়েতনাম ধর্মীয় বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ ও কড়াকড়ি আরোপ করেছে। সেই কারণে ভিয়েতনামকে ‘কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন’ বা বিশেষ উদ্বেগের দেশ হিসেবে তালিকাভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। চীনকে নিয়ে অভিন্ন উদ্বেগের কারণে ভারতের মতো ভিয়েতনামের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছে ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় দীর্ঘদিন ধরে নয়াদিল্লিকে সহায়ক শক্তি হিসেবে দেখছে ওয়াশিংটন। সে কারণেই ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বরাবরই এড়িয়ে গেছে। তবে এই সংস্থা সুপারিশ বাধ্যতামূলক না হওয়ায় র-এর ওপর মার্কিন সরকার যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না, তা জোর দিয়েই বলা চলে।

২০২৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর ভারতের নজরদারির ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র-ভারত মৈত্রীর সম্পর্কে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করে। সাবেক ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শিখ নেতা হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনেছে। তবে, ভারত বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে আসছে দেশটি।

প্রতিবেদনে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশন বলেছে, ‘২০২৪ সালে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ও বৈষম্য বেড়েই চলেছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত বছরের নির্বাচনী প্রচারণায় ‘মুসলিমসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে ও ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।’ গত বছর এপ্রিলে মুসলমানদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে মোদি বলেছিলেন, তারা ‘বেশি বেশি সন্তান’ নেয়। এর সঙ্গে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের ভোটের স্বার্থ রয়েছে বলে মোদির অভিযোগ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন সংস্থাটির প্রতিবেদনে। তবে নয়া দিল্লি এসব প্রতিবেদনকে ‘গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলেছে। ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা মোদি বরাবরই ধর্মীয় বৈষম্য ও নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এসব অভিযোগের বিপরীতে তার ভাষ্য, তার সরকারের বিদ্যুতায়ন ও ভর্তুকি থেকে সংখ্যালঘুরা ব্যাপকভাবে উপকৃত।

ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের জন্য ভারতকে ‘কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি নিখিল যাদব ও র—এর বিরুদ্ধে ‘সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের’ সুপারিশ করেছে ইউএসসিআইআরএফ।

মানবাধিকারকর্মীরা বরাবরই ভারতীয় সংখ্যালঘুদের দুর্দশার কথা তুলে ধরছেন। ভারতে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের ছড়াছড়ি, জাতিসংঘের দৃষ্টিতে চরম বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইন, ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা ক্ষুণ্নকারী আইন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও মুসলমানদের মালিকানাধীন স্থাপনা ভেঙে ফেলার কথা তুলে ধরেছেন তারা।

উল্লেখ্য, ইউএসসিআইআরএফ উভয়দলীয় সরকারি সংস্থা। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং করণীয় সুপারিশ করে। আর ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালের সেপ্টেম্বরে। সাধারণত বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের তথ্য সরবরাহ করে সংস্থাটি।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ওয়াক্ফ আইন ঘিরে অতি সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যে সহিংসতা ঘটল, তা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মনে করে ভারত। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত ৮ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শফিকুল আলমের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবারের বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”

“বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সাথে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী এবং ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যেখানে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অযৌক্তিক মন্তব্য করা এবং সদ্গুণের পরামর্শ প্রদানের পরিবর্তে বাংলাদেশ যদি তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে আরও ভাল করবে।”

গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা এবং পরের দিন উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয় ‘সংশোধিত ওয়াক্ফ বিল, ২০২৫’। তারপর ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে আইনে পরিণত হয় সেই বিল এবং ৮ এপ্রিল তা কার্যকর হয়।

এদিকে আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলিমরা ও বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই বিক্ষোভকে ঘিরে আক্ষরিক অর্থেই রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়াসহ বিভিন্ন জেলা। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘাতে মুর্শিদাবাদে ৩ জন সংবাদও পাওয়া গেছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ শতাধিক বিক্ষোভকারী। তবে বর্তমানে মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য জেলার অবস্থা শান্ত।

আইন স্থগিতের দাবিতে ইতমধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি সঞ্জিব খান্নার বেঞ্চে বুধবার মামলার ওপর শুনানিও শুরু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার দিনই আইনটির কার্যকর হওয়ার সময় পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




ইউক্রেনের সঙ্গে স্থায়ী শান্তি চুক্তি করতে আগ্রহী পুতিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া স্থায়ী শান্তি চুক্তি করতে আগ্রাহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত উইটকফ। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে স্থায়ী শান্তি চুক্তির জন্য আগ্রহী।তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পুতিনের সাথে আলোচনার পর স্টিভ উইটকফ একথা বলেন।

ট্রাম্প মস্কো ও কিয়েভকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তবে রাশিয়ার ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বারবার আলোচনা সত্ত্বেও ক্রেমলিনের কাছ থেকে কোনও বড় ছাড় পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।

শুক্রবার, ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সেন্ট পিটার্সবার্গে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত জানুয়ারিতে রিপাবলিকান দলের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে এটি তাদের তৃতীয় বৈঠক।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফক্স নিউজের এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ বলেন, তিনি একটি শান্তি চুক্তি উদীয়মান দেখছেন। পুতিনের দুই প্রধান উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ ও কিরিল দিমিত্রিভ ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

উইটকফ বলেন, পুতিনের অনুরোধ হলো এখানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। তাই যুদ্ধবিরতির বাইরেও আমরা এর উত্তর পেয়েছি। এই জায়গায় পৌঁছাতে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমরা এমন কিছুর দ্বারপ্রান্তে এসে পড়েছি, যা বৃহত্তরভাবে বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় সিলেটসহ বিভিন্ন শহরে দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলা দায়েরসহ জড়িত কমপক্ষে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সোমবার বেশ কয়েকটি শহরে গাজায় সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় সংঘটিত সহিংস ও বেআইনি ঘটনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের অবমাননা। এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কমপক্ষে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরো তদন্ত চলছে এবং এই নিন্দনীয় কাজের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আরো মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রেস সচিব আরো বলেন, দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দৃঢ় প্রয়াসে পুলিশ গত রাতে অপরাধীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছে। আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জন্য বিক্ষোভের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজগুলো নিষ্ঠার সঙ্গে পর্যালোচনা করছে। এই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিবৃতিতে‌ বলা হয়, তদন্তে সহায়তা করতে পারে এমন তথ্য থাকা যে কাউকে এগিয়ে আসার জন্য আমরা আহ্বান জানাই। আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, যারা আমাদের সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তাদের জবাবদিহি করা হবে।


আরও খবর



যে যাই বলুক, ২৬'জুনের পরে নির্বাচন যাবে না

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

যে যাই বলুক, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২৬শে জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না।

বৈঠকের ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা পরিবেশে কথা হয়েছে। সংস্কারের ব্যাপারে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিক।

এরপর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারে বিলম্ব হচ্ছে কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার বিচারে বিলম্ব হচ্ছে না। ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচার শুরু করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে। বিচার শুরুর জন্য একাধিক ট্রাইব্যুনাল গঠন, বিচারপতি নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জানাননি। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, ডিসেম্বর নির্বাচনের কাট অফ সময়। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।


আরও খবর