
ভারতের স্থানীয় বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এতে মসলা পণ্যটির দাম নিম্নমুখী। এ অবস্থায় রফতানি উৎসাহিত করতে পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্য (এমইপি) কমিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যটির আমদানি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের হিলির সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অনিল সরকার জানান, এর আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্য ছিল ৪০৫ ডলার। এর নিচে কোনো এলসি (ঋণপত্র) গ্রহণ করা হচ্ছিল না। বর্তমানে এমইপি কমিয়ে ৩০৫ ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে আরো মূল্যে এলসি খোলা যাবে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় নতুন এমইপি ঠিক করে দেয় ভারতের মূল্য নির্ধারণী সংস্থা। গতকাল এ মূল্য কার্যকর হয়েছে।
তবে এমইপি কমলেও রফতানি শুল্ক আগের মতোই আছে। তবে মূল্য কমার ফলে শুল্কের পরিমাণও কমে আসবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, রফতানি মূল্য কমায় পেঁয়াজ কিনতে কেজিপ্রতি ২ রুপি দাম কমে গেছে। এছাড়া বর্তমানে প্রতি ট্রাক পেঁয়াজ আমদানিতে ৫০ হাজার রুপির মতো কম শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতি ট্রাক পেঁয়াজ আমদানিতে আগের চেয়ে চার লাখ টাকা কমে এলসি খোলা যাবে। এতে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমদানি বাড়লে দেশের বাজারেও পেঁয়াজ সরবরাহ বাড়বে। এতে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম কমে আসবে।’
ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হওয়ায় এবং দাম কমতে থাকায় সম্প্রতি দেশটির কৃষকরা আন্দোলন শুরু করেন। তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতেই ভারত সরকার রফতানি মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে দেশী নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় সরবরাহ বেড়েছে ও দাম কমেছে। ফলে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ভারতীয় পেঁয়াজের রফতানি মূল্য কমানো বাংলাদেশী আমদানিকারকদের জন্য স্বস্তির বিষয় হলেও স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম কমার আশঙ্কা রয়েছে