Logo
শিরোনাম

পেটের দায়ে পেশা বদলাচ্ছে পরিবহণ শ্রমিকরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল : চলমান অবরোধ-হরতালে যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আতঙ্কে নিরূপায় হয়ে পেশা পরিবর্তন করছেন পরিবহণ শ্রমিকরা। এর মধ্যে দূরপাল্লার বাসের শ্রমিকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। জীবন বাঁচাতে বহু শ্রমিক ইতোমধ্যেই পরিবহণের চাকরি ছেড়ে হোটেলে, গার্মেন্টস, গ্যারেজ ও কৃষি কাজে যোগ দিয়েছেন। অনেকে দিনমজুরের কাজও করছেন। অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়া শ্রমিকদের সংখ্যা হাজারো হতে পারে। পরিবহণের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনালে শিপন (২৩) নামের এমনই এক পরিবহণ শ্রমিকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি বলেন, অভাবের তাড়নায় বাসের হেলপার হিসেবে কাজ শুরু করি। দুই মাস আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে যাতায়াতকারী সৌখিন পরিবহণের হেলপার হিসেবে যোগ দেই। দিনে একটি ট্রিপ দেওয়া যায়। আবার রাতে আরেকটি ট্রিপ দেই। দুটি ট্রিপে ৮০০ টাকা পাই। এর মধ্যে খাওয়া-দাওয়াসহ অন্যান্য খরচ আছে। সব শেষে কোনো কোনো দিন ৩০০ বা ৪০০ টাকা থাকে। সবদিনই রোজগার সমান হয় না। প্রতিমাসে গড়ে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত থাকে। এই দিয়েই সংসার চলে।

এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলের হরতাল অবরোধ শুরু হলে একেবারে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। দূরপাল্লার বাস যাতায়াত করে না বললেই চলে। আর বাস না চললে টাকা রোজগার বন্ধ। কারণ পরিবহণ শ্রমিকরা দিন হাজিরা অনুযায়ী টাকা পায়। ট্রিপ নাই, টাকাও নাই। অবরোধ-হরতালে মালিকরা গাড়ি বের করেন না। উল্টো গাড়ি ভালোভাবে পাহারা দিতে বলেন। অথচ দিন হাজিরার কোনো টাকাও দেন না। শুধু সামান্য দুই বেলা খাওয়ার জন্য মানবিক কারণে টাকা দেন। আবার কোনো কোনো মালিক তাও দেন না বলে পরিচিত অনেক হেলপারের কাছে শুনেছি।

হরতাল-অবরোধ শুরুর আগে গাড়ি যদি টার্মিনালের ভেতরে নিরাপদ জায়গায় পার্কিং করে রাখা যায়, তাহলে তো কথাই নেই। মালিক একেবারে নিশ্চিন্ত থাকেন। কোনো কোনো মালিক সত্যি সত্যিই গাড়ি ভেতরে রাখা হয়েছে কিনা, তা এসে দেখে যান। মালিক বুঝে যান, তার গাড়ি যেহেতু নিরাপদ জায়গায় আছে, সেহেতু গাড়িতে ভাংচুর বা অগ্নিসংযোগের কোনো সম্ভাবনা নেই। এমন পরিস্থিতিতে অধিকাংশ মালিকই গাড়ি তালা দিয়ে চাবি নিয়ে শ্রমিকদের বাড়ি চলে যেতে বলেন। কারণ হেলপার, সুপারভাইজার ও চালক থাকলে মানবিক কারণে তাদের টাকা দেয়ার বা হাত খরচ দেয়ার বিষয় থাকে। মালিকরা গাড়ি বন্ধ তো সবই বন্ধ। অর্থাৎ পরিবহণ শ্রমিকদের পেছনে বাড়তি টাকা খরচ করতে রাজি নন। এমন পরিস্থিতিতে পরিবহণ শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে অন্য গাড়িতে করে ভেঙে ভেঙে বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হন। এছাড়া আর কোনো উপায়ও থাকে না। কারণ থাকলেই খরচ।

 সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি হানিফ খোকন বলেন, পেটের দায়ে অনেক পরিবহণ শ্রমিক হোটেলের বয় হিসেবে কাজ নিয়েছেন। অনেকেই গ্যারেজে কাজ নিয়েছেন। এছাড়া যেসব শ্রমিকের গ্রামের বাড়িতে জমি আছে, তারা কৃষি কাজ করছেন। অনেকেই আবার দিনমজুর হিসেবে কাজ করছেন। এমন অনেক সুপার ভাইজার ও চালককে দেখেছি এই পেশা ছেড়ে আপাতত গ্রামে গিয়ে কৃষি কাজ করছেন। অনেকেই দিনমুজুর বা অটো চালাচ্ছেন। কারণ অনেকের সঙ্গেই পেশাগত কারণে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়। তারা কে কোথায় কেমন আছে বা কি করছে তা কথা প্রসঙ্গে জানা যায়।

সুপার ভাইজার ও চালকদের এছাড়া আর কোনো উপায়ও নেই। কারণ একজন সুপার ভাইজার সিঙ্গেল দুই বার আপ-ডাউন করলে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পায়। আর চালক পায় ১৪শ টাকা। গাড়িই যেহেতু চলে না, সে ক্ষেত্রে পরিবহণ শ্রমিকদের রোজগার বন্ধ। এজন্য তাদের অনেকেই গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কারণ ঢাকায় বিভিন্ন বাসের ভেতরে থাকার সুযোগ থাকায় টাকা লাগে না। তবে খাওয়া দাওয়া করতে অনেক টাকা ।

হানিফ খোকনের ভাষ্য মতে, বহু শ্রমিক পরিবহণ সেক্টরের পেশা ছেড়েছেন। কারণ একদিকে রোজগার নেই। আরেক দিকে প্রাণের মায়া। সম্প্রতি যাত্রাবাড়িতে পার্কিং করে রাখা একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে বাসের ভেতরে থাকা হেলপার জীবন্ত পুড়ে মারা যান। সবারই প্রাণের মায়া আছে। দূরপাল্লার বাসে ভয় আরও বেশি। কারণ রাতে বাস চলাচল করে। কে কোথা থেকে অন্ধকারের মধ্যে বাসে আগুন বোমা ছুড়ে মারবে, তার কোনো হদিস নেই। বাস মালিকের বাস পুড়ে যাবে। আর যাত্রী, হেলপার, সুপারভাইজার ও চালকের জীবন যাবে। চোরাগোপ্তা হামলা করে বাসে আগুন দেওয়ার কারণে পরিবহণ মালিকরা রাস্তায় বাস বের করতে চান না। আর শ্রমিকরাও জীবনের মায়ায় যানবাহন চালানোর সাহস পাচ্ছেন না।

অনেকটা কষ্টেই হানিফ খোকন বলছিলেন, সবারই তো জীবনের মায়া আছে! যাত্রীরা প্রাণের ভয়ে বাসে উঠেন না। বেঁচে থাকলে কিছু না কিছু করে জীবন পার করতে পারবে। ঘরে পিতা-মাতা ভাই বোন আছে।

পরিবহণ শ্রমিক লীগের তথ্য মতে, সারা দেশে পরিবহণ শ্রমিকের সংখ্যা এক কোটির উপরে। দূরপাল্লার প্রতিটি বাসে কমপক্ষে তিনজন করে শ্রমিক থাকেন। চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার। তবে মালবাহী যানবাহনে শ্রমিকের সংখ্যা আরও বেশি। আর লেগুনা, হিউম্যান হলারে দুজন করে শ্রমিক থাকেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাবেশে ব্যাপক নাশকতার ঘটনা ঘটে। ওইদিন অনেক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কবলে পড়ে। এরপর থেকে বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি পালন করছে। এসব কর্মসূচিতে যানবাহনে চোরাগোপ্তা হামলার ঘটনা ঘটছে। যাত্রীবাহী বাস বা মালবাহী কাভার্ড ভ্যান ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন হামলাকারীদের মূল টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এখন পর্যন্ত আড়াই শতাধিক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কবলে পড়েছে। হতাহত হয়েছেন যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, হেলপারসহ পরিবহণ সংশ্লিষ্ট অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে রীতিমত আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কারণে অবরোধ বা হরতালের দিন দূরপাল্লার বাস বা অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে না বললেই চলে। যেসব যানবাহন চলাচল করছে, তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিতান্তই পেটের দায়ে যানবাহন নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছেন।

পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশ ও র‌্যাবের তরফ থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা দিলেও পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতি হয়নি। আতঙ্কে পরিবহণ মালিকরা যেমন রাস্তায় যানবাহন বের করছেন না, তেমনি পরিবহণ শ্রমিকরাও জীবনের মায়ায় রাস্তায় যানবাহন নিয়ে বেরুতে সাহস পাচ্ছেন না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য মতে, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত সারা দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৫৭ লাখ ৪২ হাজার। অনিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা লাখ লাখ। যার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। যদিও ২০২১ সালে জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ লাখ। সারা দেশে ১১ হাজার ৭০৮ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। মহাসড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী দূরপাল্লার যানবাহনের সংখ্যা ২১ লাখের বেশি।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে ৬ জন শিশু পেলো হুইল চেয়ার

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় র‍্যালি ও আলোচনা সভা আয়োজন এর মধ্যে দিয়ে ৩২ তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২৫ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসকের অফিস চত্বর থেকে একটি র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি নওগাঁ জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এসে শেষ হয়।

পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে "প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে সম্মিলিত অংশ গ্রহণ,  নিশ্চিত করবে এসডিজি অর্জন" শিরোনামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি এস এম জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবা অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক নূর মোহাম্মদ। আলোচনা সভায় স্বগত বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবা অধিদপ্তর নওগাঁ'র সহকারী পরিচালক মোঃ মহতাসিম বিল্লাহ।  

নওগাঁ জেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সাবেরা সুলতানা আল আমান্না, নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ কায়েস উদ্দিন, বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন রানী'র প্রধান নির্বাহী ফজলুল হক খান এবং ধামইর উপজেলার আমবাটি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক আঁখি আকতার। 

অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ৬ জন প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



গোপালগঞ্জের ৩টি আসনে মনোনয়ন পেলেন ৩ ‘হেবিওয়েট’ প্রার্থী

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মোঃ মাসুদ রানা,জেলা প্রতিনিধি :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের তিনটি আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছে ৩ ‘হেবিওয়েট’ প্রার্থী। তারা জেলার ঐ তিনটি আসনে দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পরেই প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় আনন্দ মিছিল করেছে দলীয় নেতা-কর্মীরা। রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

গোপালগঞ্জের তিনটি আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন, গোপালগঞ্জ-০১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও বতর্মান সংসদ সদস্য লে: কর্নেল (অব:) ফারুক খান। 


গোপালগঞ্জ-০২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য,বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি"র ছোট ভাই সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী ও বিগত আট বারের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। 

গোপালগঞ্জ-০৩ আসনে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধনমন্ত্রী এবং বতর্মান সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা।

গোপালগঞ্জ জেলায় রয়েছে রাজনৈতিক ঐতিহ্য। এ জেলা জন্মগ্রহণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে কারণে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আধিপত্য এলাকা হিসেবে পরিচিত। বিগত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। সেই সাথে জামানত হারিয়েছে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্য প্রার্থীরা।


এদিকে গোপালগঞ্জ-০৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ঘোষণার পরেই আনন্দ মিছিল ও উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করছে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহেযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিকেলে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহেযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে নেতাকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এসময় কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




নৌকার মনোনয়নে বিবেচনা করা হচ্ছে উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক :

 দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দক্ষ, উচ্চ শিক্ষিত ও করোনাকালীন ভূমিকা। এ কারণে বাদ পড়ছেন বর্তমান অনেক এমপি। 

একই পরিবারের দুই বা ততোধিক সদস্যের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মূলেও রয়েছে তিন ক্যাটাগরিতে বাদ পড়ার শঙ্কা । এমন আসনের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৫টি।

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ডের ২ জন সদস্য  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে ১/১১-এ ভূমিকা বিবেচনা করা হয়েছিল। 

তিন ক্যাটাগরিতে মনোনয়নের ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতও (মোহাম্মদ এ আরাফাত)।

 তিনি বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য। রাজনৈতিক ক্যারিয়ার না থাকলেও উল্লিখিত তিন ক্যাটাগরির পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক জনপ্রিয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

 তিনি ঢাকা-১০ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ধানমন্ডি-নিউমার্কেট-কলাবাগান-হাজারীবাগ থানার সমন্বয়ে গঠিত এই আসনটি। বর্তমানে এই আসনে সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। 

নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। পরে তিনি সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হন।

আগামী নির্বাচনে ঢাকা-১০, মাগুরা-১ ও মাগুরা-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। এবার তিনি দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। 

ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি উল্লিখিত তিন ক্যাটাগরিতে এগিয়ে রয়েছেন। উচ্চ শিক্ষিত হ্যাপি করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন।

 ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এই বার্তা নিয়ে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের জন্য চালু করেছিলেন ‘মানবতার ডাকঘর’। সেই ডাকঘরের সন্ধান পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মোবাইল ফোন নম্বর। 

ফোন করে অসহায় কোনও মানুষ তাদের সমস্যার কথা জানালেই তার ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য অনুষঙ্গ। এমনকি কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি রাতের বেলাও অনেকটা গোপনে মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন প্রয়োজনীয় সামগ্রী। যা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল। 

এদিকে তিন ক্যাটাগরিতে বাদ পড়ার শঙ্কায় বেশ কয়েকটি জায়গায় বাবা-ছেলে,  ভাই ভাই, স্বামী স্ত্রী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চাঁদপুর-২ (মতলব দক্ষিণ-মতলব উত্তর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) ও তার বড় ছেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী (দিপু)। 

একই পরিবারের সবচেয়ে বেশি সদস্যের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর) ও পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে।

 ঠাকুরগাঁয়ে দলীয় মনোনয়নের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলাম, তার ছেলে, মেজো ভাই, ভাতিজাসহ চারজন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

 দবিরুলের বড় ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন, এ নেতার মেজো ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী এবং ভাতিজা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম জুয়েলও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

পাবনা-৪ আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর দুই ছেলে ও মেয়ে, জামাতাসহ চারজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। 

পরিবারের বড় মেয়ে মাহজেবিন শিরিন পিয়া, দুই ছেলে গালিবুর রহমান শরীফ, সাকিবুর রহমান শরীফ, জামাতা আবুল কালাম আজাদ মিন্টু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন।

কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিন সহোদর। তারা হলেন আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, তার বড় ভাই ও রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল এবং তাদের ছোট বোন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী। 

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেন প্রয়াত সংসদ সদস্য (এমপি) আফাজ উদ্দীন আহমেদের তিন ছেলে। নৌকার প্রার্থী হতে চাওয়া তিন ভাই হলেন আফাজ উদ্দীন আহমেদের বড় ছেলে নাজমুল হুদা পটল বিশ্বাস, মেজো ছেলে আরিফ আহমেদ বিশ্বাস ও ছোট ছেলে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন বিশ্বাস। 

যশোর-২ (ঝিকরগাছা ও চৌগাছা) আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কেনেন বাবা ও ছেলে। বাবা-ছেলে হলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তফা আশিষ ইসলাম। 

একই ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনের বেলায়ও। এখান থেকে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও তার ছেলে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমন। 

জাসদের এক সময়ের আধ্যাত্মিক নেতা প্রয়াত কর্নেল তাহেরের এক ছোট ভাইয়ের আসনে এবার মনোনয়ন চেয়েছেন আরেক ছোট ভাই। 

নেত্রকোণা-৫ আসনের (পূর্বধলা উপজেলা) জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য তার ছোট ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল। 

আবার এমন ঘটনাও আছে যে, নিজের আসনে ছেলে মনোনয়ন পাইয়ে দিতে বাবা নিজেই দলীয় কার্যালয়ে ছেলের সঙ্গে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার ছেলে মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিমের মনোনয়নপত্র জমা দিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজি সেলিম। তিন ক্যাটাগরিতে এগিয়ে আছেন বলে দাবি সোলায়মান সেলিমের।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




অতীতের ন্যায় এই নির্বাচনেও সেনাবাহিনী থাকতে পারে

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন মো. আলমগীর বলেছেন, সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্ত এখনো নেইনি। তবে অতীতে যেহেতু নির্বাচনে সেনাবাহিনী ছিলো এবারো সম্ভাবনা রয়েছে। নিরপেক্ষে, সুষ্টু এবং অবাধ একটি করার লক্ষ্যে এবং দেশে বিদেশে সবার কাছে যেন নির্বাচনের সবকিছু বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়, মানুষ যাতে বিশ্বাস করে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে তার জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মত বিনিময় করেছি। জেনেছি তারা কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন। যা নিয়েছেন তাতে আমি সন্তুষ্ট। তাদেরকে বলা হয়েছে ভোটররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে। 

সোমবার বিকালে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে জেলা রিটানিং অফিসার, সহকারী রিটানিং অফিসার, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন। 

এসময় তিনি ইউএনও ওসিদের বদলির আদেশ নিয়ে আরও বলেন, সব অফিসাররা চৌকুশ। এসময়ে বদলি কোন সমস্যা হবেনা। এসময় আরও বলেন, সব কথা তো বলা যাবেনা। স্বামী স্ত্রীর সব কথা কি বাইরে বলা যায় ? শুধু এইটুকু বলা যায় যত দ্রতুই এই কার্যক্রম করা যায় তাই কার হবে। যাতে তাদের কষ্ট না হয় এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে। 

এসময় তিনি বিদেশের চাপ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, তারা আমাদের বন্ধু। আঞ্চলিক নানা সর্ম্পক রয়েছে। তারা আমাদেরকে নানা পরামর্শ দিতেই পারেন। আমরা যেটা ভালো মনে করি সেটা করি। তারা দুই তিন দিন আগেই এসেছিলো। আমাদের আইন সম্পর্কে জেনেছে। আমাদের দেশের প্রস্তৃুতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে গেছে। বলে গেছে আপনারা যা যা ব্যবস্থা নিয়েছেন তা ঠিক আছে। 

নির্বচানে বাংলাদেশের বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি না থাকার প্রশ্নে  বলেন, এখন কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসতে চায় কিনা এ নিয়ে বলেন, এখন যদি কোন রাজনৈতিক দল আসতে চায় নির্বাচনে সে ক্ষেত্রে সিডিউল পরিবর্তন করার আইনগত বাধা আছে কিনা এটি দেখতে হবে পরীক্ষা করে। এই মুহুর্তে এটি নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




শান্তি চুক্তির ২৬ বছর আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৬ বছর পূর্তি আজ। পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে পার্বত্য জেলাসমূহে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটে; সূচিত হয় শান্তির পথচলা। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উদ্যোগ শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য এলাকার সব অধিবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অঞ্চল। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক, অবকাঠামো ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোনো তৃতীয় পক্ষ বা বহিঃশক্তির মধ্যস্থতা ছাড়াই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এ ঐতিহাসিক শান্তির দলিলটি স্বাক্ষরিত হয়। বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জাতিগত হানাহানি বন্ধ হয়। অনগ্রসর ও অনুন্নত পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার অর্জন এ চুক্তির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির স্মারক।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির আলোকে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছি। 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩