Logo
শিরোনাম

পিএসজিতে নিষিদ্ধ মেসি

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ক্লাবের অনুমতি ছাড়া সৌদি আরব সফরে গিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন লিওনেল মেসি। ফরাসি ক্লাব মেসিকে নিষিদ্ধ করেছে দুই সপ্তাহের জন্য। ফুটবল বিষয়ক জনপ্রিয় সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো ও আরএমসি স্পোর্টসের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে ইএসপিএন। যদিও ক্লাবের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে এখনও কিছুই জানানো হয়নি।

রবিবার (৩০ এপ্রিল) লরিয়েন্টের কাছে ৩-১ গোলে হেরে যায় পিএসজি। দলের হারের দিনে মাঠে ম্লান ছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এমন পারফরম্যান্সের পর ক্লাবটির সমর্থকেরা দুয়োও দেন তার নাম ধরে। এরপরই প্যারিস থেকে সৌদি আরবের দিকে উড়াল দেন মেসি।

সৌদি আরবের পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল খতিব মেসির সৌদি সফরের খবর টুইটারে শেয়ার করে লিখেন, আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে সৌদি আরবের পর্যটনের শুভেচ্ছাদূত লিওনেল মেসি ও তার পরিবারকে দ্বিতীয়বারের মতো এখানে ছুটি কাটাতে আসায় স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী ও প্রকৃত অভ্যর্থনায় তাদের স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত।

মেসির এই সফর নিছক ভ্রমণ নাকি ভিন্ন কোনো কিছুর ইঙ্গিত বহন করছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে। কেননা আগামী ৩০ জুন পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে তার। তার আগে কী নতুন কোনো ঠিকানার খোঁজ করছেন আর্জেন্টাইন তারকা? এমন প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে ফুটবলপাড়ায়।


আরও খবর

বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শুক্রবার, ছুটির দিন। সরকারি সব প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ বন্ধ। তারপরও বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হো চি মিন শহর।

শুক্রবার সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

বিশ্বের বায়ুদূষণ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা ঢাকার দূষণ স্কোর ২৪২ অর্থাৎ এই শহরের বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা হো চি মিন শহরের দূষণ স্কোর ১৯০ অর্থাৎ সেখানকার বাতাসও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের দুটি শহর করাচি ও লাহোর। ভারতের দিল্লি রয়েছে ৭ নম্বরে।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।

১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪




সংস্কার শেষে নির্বাচন কোনো যৌক্তিক কথা নয়

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সংস্কার শেষে নির্বাচন কোনো যৌক্তিক কথা নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এটি কখনো থেমে থাকে না। শুধুমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু করে নির্বাচন দেওয়া উচিত। সংস্কার শেষে নির্বাচন কোনো যৌক্তিক কথা নয়।

রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে ঢাকা বিভাগের বিএনপির নেতাদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রশ্ন তুলে মঈন খান বলেন, সংস্কারের রূপরেখা দুই বছর আগেই ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজকে যারা সংস্কারের কথা বলছেন তারা আগের আন্দোলন সংগ্রামে সময় কোথায় ছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের কর্তৃত্ব একক কোনো দলের নয় এ বিপ্লবে সবার সমর্থন ছিল।

মঈন খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচিতে পালিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। 

কর্মসূচির মধ্যে মাওলানা ভাসানীর মাজারে সকাল ৭.৩০ মিনিটে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দের-এর নেতৃত্বে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রোভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকবৃন্দ, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যসোসিয়েশন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, ভাসানী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও পৃথক পৃথকভাবে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

এছাড়া সকাল ৮ টায় তবারক বিতরণ ও বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার পূর্ব গোমদন্ডী গ্রাম। পিতাঃ শ্রী চণ্ডীচরণ শীল। বঙ্গের কবিগানের ভূবনে কিংবদন্তির নায়ক, মরমী গানের ধারায় মাইজভাণ্ডারী গানের সফল সংযোজক, একুশে পদকে ভূষিত, কবিয়াল রমেশ শীল শুধু মাইজভাণ্ডারী গানের গীতিকারই ছিলেননা; তিনি ছিলেন একাধারে গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী। তিন শতাধিক মাইজভাণ্ডারী গান রচনা করে তিনি এই জগৎকে আশ্চর্যরকম ভাবে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন। শুধু সংখ্যার বিচারে নয়; গুণগত বিচারেও এগুলো উচ্চমার্গীয়, অনেকগুলোই কালোত্তীর্ণ। এতদিন মাইজভাণ্ডারী গান ছিল মূলত সাধনসঙ্গীত। রমেশ শীল তাঁর ব্যাপক কবিয়াল পরিচিতি এবং সৃজনশীল প্রতিভার পরশে মাইজভাণ্ডারী গানে এক নতুন ভাব-জোয়ারের সৃষ্টি করে সাধনসঙ্গীতকে নিয়ে আসেন লোকসঙ্গীতের কাতারে; জনপ্রিয় করে তোলেন যুগপৎ দরবারে ও সুধীমহলে। এ ক্ষেত্রে শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের অবদানের সাথে তাঁর অনেকাংশে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

বাংলার লোক সঙ্গীতকে পল্লী ও শহর অঞ্চলে সমান তালে পরিচিত ও জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের (১৯০১-১৯৫৯) যে অবদান, মাইজভাণ্ডারী গানকে মাইজভাণ্ডারী পরিমণ্ডলের পাশাপাশি সুধী-সমাজে পরিচিত ও জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে রমেশ শীলের অবদান প্রায় অনুরূপ। এ প্রসঙ্গে ফোকলোর বিশেষজ্ঞ ডক্টর ওয়াকিল আহমদের মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য-

আধ্যাত্মিক ভাবধারায় রচিত মাইজভাণ্ডারের গান বাংলা লোক সংগীতের সখা-চারণকবি রমেশ শীল ছিলেন এ ধারার প্রধান রূপকার ও প্রচারক। মাইজভাণ্ডারের গান মূলত আধ্যাত্মিক হলেও এতে সমাজচেতনা অনুপস্থিত নয়: প্রতীক ও রূপকের ভাষায় সমাজের সমালোচনাও প্রকাশ পায়। আমার মনে হয়, এই কারণে মাইজভাণ্ডারের গান বাংলার সাংস্কৃতিক জগতে স্থায়ী আসন লাভ করবে।১

আমাদের ধারণা, রমেশ শীলের ঐতিহাসিক অবদানের কথা স্মরণ রেখেই শেষোক্ত মন্তব্যটুকু সংযুক্ত করা হয়েছে।

এতদিন মাইজভাণ্ডারী গান ছিল মাইজভাণ্ডার দরবার ভিত্তিক। রমেশ শীল একে দরবারি মজলিস থেকে বের করে এনে সাধারণ শ্রোতার কাছেও পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ ক্ষেত্রে লালন সঙ্গীত-সাধক অমূল্য শাহের সাথেও তাঁর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অমূল্য শাহ লালন সঙ্গীতকে তাল-মাত্রায় ফেলে গাইবার নিয়ম প্রবর্তন করেছিলেন, রমেশ শীলও অনুরূপ মাইজভাণ্ডারী গানকে তাল-মাত্রায় ফেলে গাইবার পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। রমেশ শীলের মাইজভাণ্ডারী গানগুলো উচ্চমার্গীয় সাধন সঙ্গীত হিসেবে রচিত হয়েও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। রমেশ শীলের মাইজভান্ডারী গানকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজ জীবনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও দ্বন্দ্বের একটি প্রবহমান গতিধারার যথার্থ চিত্রও খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আমাদের ধারণা।

মাইজভাণ্ডারী তরিকার উদার, মানবিক, অসাম্প্রদায়িক বক্তব্যে আকর্ষিত হয়ে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোকজনও মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রতি ঝুঁকে পড়ে। মাইজভাণ্ডারী পরিমণ্ডলে এরকম উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন- খ্রিষ্টান মাইকেল পেনারু, বৌদ্ধ ধনঞ্জয় বড়ুয়া, হিন্দু সম্প্রদায়ের গুরুদাস ঠাকুর ও কবিয়াল রমেশ শীল। রমেশ শীল শুধু ঝুঁকে পড়েননি, মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা ও পীরমাহাত্ম্য বর্ণনা করে আধ্যাত্মিক উচ্চমার্গীয় সঙ্গীতও রচনা করেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবেও মাইজভাণ্ডারী পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলেন, তাঁর গানসমূহ দারুণভাবে সমাদৃত হয়েছিল। কিন্তু সাধারণভাবে অনেকে এটি সহজভাবে নিতে পারেনি। 

চট্টগ্রামের অভিজাত মুসলমান সম্প্রদায়েরই একটা অংশ রমেশ শীলকে, এমনকি রমেশ শীলের কারণে মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকাকেও তীব্রভাবে সমালোচনা করেছে-


নয়া সুন্নি


নয়া এক ফেরকায়ে বাতেল হায় জাহের


বানাতে হোঁ মুসলমানো-কো কাফের।


নয়া সুন্নি নয়া উনকো আকিদা


আজব সুন্নি সুনিদা হাম নাদিদা।


পুরানে সুন্নিও ছে হেঁ ওয়ো বেজার


কমিউনিষ্ট আওর সেকুলারকা মদদগার।


আজব সুন্নি গজব উনকা তরিকা


রমেশ শীল ভি হায় উনকো এক খলিফা।


শুধু মুসলমান সম্প্রদায়ের একাংশ নয়, রমেশ শীল স্ব-সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেও বিদ্রূপাত্মক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। মাইজভাণ্ডার যাওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁকে 'একঘরে' করে রাখা হয়েছিল। তীব্র মনোদুঃখে রমেশ শীল রচনা করেন নিম্নোক্ত গানটি-


আমার প্রাণে খোঁজে মাইজভাণ্ডার।

নিন্দা করলে কি ক্ষতি আমার।


নিন্দুকেরা নিন্দা করুক, 

নিন্দা করা স্বভাব তার।।

কিসে হারাম হল তাল,

তালে লোহা পিটে বানায় দা ছুরি কোদাল,

তালে মাটি পিটে কুলাল ভাণ্ড বাসন হয় তৈয়ার।।

দেখ খোদার তৈয়ার ঢোল, 

দুনিয়াময় চামড়া ছানি ভিতরে তার খোল, 

নানা শব্দে বাদ্য বাজে শুনতে লাগে চমৎকার।।

শুন যত বন্ধুগণ, 

নিন্দুকেরে তোমরা কভু ভেবনা দুশমণ, 

তারা ত্বরিকতের ধোপার মতন ধুয়ে করুক পরিষ্কার।।

খাদেম রমেশের বাণী, 

প্রাণ দিয়েছি পীর কদমে যা করেন তিনি,

ঐসব নিয়ে টানাটানি করা আমার কি দরকার।। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রমেশ শীল শুধু মাইজভাণ্ডারী গানের গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীই ছিলেন না, মাইজভাণ্ডার পরিমণ্ডলের অনেকের বিশ্বাস, রমেশ শীল ছিলেন মাইজভাণ্ডারের ফয়েজপ্রাপ্ত একজন খলিফাও। 


আরও খবর

সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহ

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




৩ মাসে ৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত তিন মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। 

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রবাসীরা গত মাসে বাংলাদেশে মোট .০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। এই তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ করেছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক . মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, গত তিন মাসে লাখ ২২ হাজার ৮২১ বাংলাদেশি শ্রমিক বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের মাধ্যমে হাজার ৪২৬ জন কর্মী বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য গেছেন।

প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিশ্লেষণ করে আরও বলা হয়েছে, সরকার বিদেশে মৃত্যুবরণ করা অভিবাসী শ্রমিকদের পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে প্রদান করেছে। এছাড়া, আহত বা অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য .৮৮ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বিদেশে মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকদের মরদেহ দেশে আনা এবং শেষকৃত্য কার্যক্রমের জন্য .৩২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। 

এছাড়া, বিদেশে মৃত্যুবরণ করা শ্রমিকদের পরিবারের জন্য বীমা হিসেবে ১২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার অর্থ বিতরণ করা হয়েছে এবং প্রবাসী শ্রমিকদের মেধাবী সন্তানদের জন্য .৯৭ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। 

এসময় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আবাসন ঋণ হিসেবে ,৯৮৯ জন শ্রমিকের মধ্যে মোট ২১৬.৩৩ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। পুনর্বাসন ঋণ হিসেবে ৮১১ জন শ্রমিকের মধ্যে ২২.৮৯ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। 

এছাড়া, বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের সহায়তার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে, যাতে তাদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়। পাশাপাশি, প্রবাসী সহায়তা কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে।

এদিকে, অক্টোবর ২০২৪- ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড (ডব্লিউইডব্লিউবি) এবং মালয়েশিয়ার সোশ্যাল সিকিউরিটি বোর্ড (পিইআরকেইএসও) একটি সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) স্বাক্ষর করেছে, যার ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা নতুন সুবিধা পাবেন।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪