Logo
শিরোনাম

পিটিআই ছেড়ে যাচ্ছেন শীর্ষ নেতারা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) শীর্ষ নেতারা হঠাৎ করে দলত্যাগ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে ইমরানের সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নেতাও সরে গেছেন। কেউ কেউ বলছেন তারা আর রাজনীতি করবেন না।

ইমরান খান দাবি করেছেন, সেনাবাহিনীর ধরপাকড় ও চাপে পড়ে নেতারা তার পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন।

বুধবার (২৪ মে) সবাইকে চমকে দিয়ে ইমরানের নেতৃত্বাধীন সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ফাওয়াদ চৌধুরী পিটিআই ছাড়ার ঘোষণা দেন। শুধু তাই নয়, রাজনীতি থেকেও কয়েকদিন দূরে থাকবেন বলে জানান তিনি।

এরপর সাবেক অর্থমন্ত্রী আসাদ উমর জানান, তিনি পিটিআইয়ের সঙ্গে থাকবেন। কিন্তু দলের মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন।

এর আগে সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট শিরিন মাজারিও পিটিআই এবং রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

এই তিন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে ৯ মের সংঘাতের পর গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন ইমরানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদের সারাদেশে বিক্ষোভ হয়। যা রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসব সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে তারা বাইরে বের হওয়ার পরই অজানা কারণে পিটিআই এবং রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিচ্ছেন।

বুধবার এক অডিও বার্তায় ইমরান খান বলেছেন, তার নেতাদের ওপর ধরপাকড় চালানো হচ্ছে এবং দলের বেশিরভাগ নেতা এখন বন্দী। তিনি জানিয়েছেন, দলের কোনো শীর্ষ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন সেই সুযোগও নেই।

এদিকে গত ৯ মে ইমরানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে হামলা চালায়। এছাড়া হামলা হয় লাহোরে কর্পস কমান্ডারের বাড়িতেও। সেনাবাহিনীর অবকাঠামোয় হামলা চালানোর অভিযোগে এখন পিটিআইয়ের সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের ব্যক্তিদের আটক করা হচ্ছে।

সূত্র: এএফপি


আরও খবর



ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। যদিও ডলার সংকটের কারণে আমদানি এলসি খুলতে পারছে না ব্যাংকগুলো।

রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম ২৫ পয়সা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে প্রতি ডলারে পাবেন ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা। আর আমদানিকারদের কাছে বিক্রি করা হবে ১১০ টাকা ২৫ পয়সা।

নির্ধারিত দামের সঙ্গে ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেবে। তবে কোনও ব্যাংক চাইলে এর সঙ্গে অতিরিক্ত আরও আড়াই শতাংশ বাড়তি প্রণোদনা দিয়ে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করতে পারবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর আগে ২২ নভেম্বর প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা কমিয়ে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা এবং আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য সাদেকা হালিম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন উপাচার্য হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.সাদেকা হালিম চৌধুরী। 

তিনি জবির ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য হলেন সাদেকা হালিম।

আজ বৃহস্পতিবার সাদেকা হালিমকে এ নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন। 

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলে হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫–এর ১০ (১) ধারা অনুসারে অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন। 

উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ চার বছর। তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়স পূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসরগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে ওই মেয়াদের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করবেন।

 উপাচার্য পদে তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন এবং বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ড. সাদেকা হালিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। 

রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম প্রথম উপাচার্যের দায়িত্ব পান। 

এরপর ২০০৮ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক আবু হোসেন সিদ্দিক দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেসবাহ উদ্দিনকে তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।

 ২০১৩ সালে অধ্যাপক মীজানুর রহমানকে চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০২১ বছরে গত ১৮ মার্চ উপাচার্য মীজানুর রহমান দ্বিতীয় দফার মেয়াদের পর পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক। 

দ্বায়িত্বকালীন সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১১ নভেম্বর তিনি মারা গেলে ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম চৌধুরী।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




পেটের দায়ে পেশা বদলাচ্ছে পরিবহণ শ্রমিকরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল : চলমান অবরোধ-হরতালে যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আতঙ্কে নিরূপায় হয়ে পেশা পরিবর্তন করছেন পরিবহণ শ্রমিকরা। এর মধ্যে দূরপাল্লার বাসের শ্রমিকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। জীবন বাঁচাতে বহু শ্রমিক ইতোমধ্যেই পরিবহণের চাকরি ছেড়ে হোটেলে, গার্মেন্টস, গ্যারেজ ও কৃষি কাজে যোগ দিয়েছেন। অনেকে দিনমজুরের কাজও করছেন। অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়া শ্রমিকদের সংখ্যা হাজারো হতে পারে। পরিবহণের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনালে শিপন (২৩) নামের এমনই এক পরিবহণ শ্রমিকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি বলেন, অভাবের তাড়নায় বাসের হেলপার হিসেবে কাজ শুরু করি। দুই মাস আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে যাতায়াতকারী সৌখিন পরিবহণের হেলপার হিসেবে যোগ দেই। দিনে একটি ট্রিপ দেওয়া যায়। আবার রাতে আরেকটি ট্রিপ দেই। দুটি ট্রিপে ৮০০ টাকা পাই। এর মধ্যে খাওয়া-দাওয়াসহ অন্যান্য খরচ আছে। সব শেষে কোনো কোনো দিন ৩০০ বা ৪০০ টাকা থাকে। সবদিনই রোজগার সমান হয় না। প্রতিমাসে গড়ে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত থাকে। এই দিয়েই সংসার চলে।

এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলের হরতাল অবরোধ শুরু হলে একেবারে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। দূরপাল্লার বাস যাতায়াত করে না বললেই চলে। আর বাস না চললে টাকা রোজগার বন্ধ। কারণ পরিবহণ শ্রমিকরা দিন হাজিরা অনুযায়ী টাকা পায়। ট্রিপ নাই, টাকাও নাই। অবরোধ-হরতালে মালিকরা গাড়ি বের করেন না। উল্টো গাড়ি ভালোভাবে পাহারা দিতে বলেন। অথচ দিন হাজিরার কোনো টাকাও দেন না। শুধু সামান্য দুই বেলা খাওয়ার জন্য মানবিক কারণে টাকা দেন। আবার কোনো কোনো মালিক তাও দেন না বলে পরিচিত অনেক হেলপারের কাছে শুনেছি।

হরতাল-অবরোধ শুরুর আগে গাড়ি যদি টার্মিনালের ভেতরে নিরাপদ জায়গায় পার্কিং করে রাখা যায়, তাহলে তো কথাই নেই। মালিক একেবারে নিশ্চিন্ত থাকেন। কোনো কোনো মালিক সত্যি সত্যিই গাড়ি ভেতরে রাখা হয়েছে কিনা, তা এসে দেখে যান। মালিক বুঝে যান, তার গাড়ি যেহেতু নিরাপদ জায়গায় আছে, সেহেতু গাড়িতে ভাংচুর বা অগ্নিসংযোগের কোনো সম্ভাবনা নেই। এমন পরিস্থিতিতে অধিকাংশ মালিকই গাড়ি তালা দিয়ে চাবি নিয়ে শ্রমিকদের বাড়ি চলে যেতে বলেন। কারণ হেলপার, সুপারভাইজার ও চালক থাকলে মানবিক কারণে তাদের টাকা দেয়ার বা হাত খরচ দেয়ার বিষয় থাকে। মালিকরা গাড়ি বন্ধ তো সবই বন্ধ। অর্থাৎ পরিবহণ শ্রমিকদের পেছনে বাড়তি টাকা খরচ করতে রাজি নন। এমন পরিস্থিতিতে পরিবহণ শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে অন্য গাড়িতে করে ভেঙে ভেঙে বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হন। এছাড়া আর কোনো উপায়ও থাকে না। কারণ থাকলেই খরচ।

 সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি হানিফ খোকন বলেন, পেটের দায়ে অনেক পরিবহণ শ্রমিক হোটেলের বয় হিসেবে কাজ নিয়েছেন। অনেকেই গ্যারেজে কাজ নিয়েছেন। এছাড়া যেসব শ্রমিকের গ্রামের বাড়িতে জমি আছে, তারা কৃষি কাজ করছেন। অনেকেই আবার দিনমজুর হিসেবে কাজ করছেন। এমন অনেক সুপার ভাইজার ও চালককে দেখেছি এই পেশা ছেড়ে আপাতত গ্রামে গিয়ে কৃষি কাজ করছেন। অনেকেই দিনমুজুর বা অটো চালাচ্ছেন। কারণ অনেকের সঙ্গেই পেশাগত কারণে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়। তারা কে কোথায় কেমন আছে বা কি করছে তা কথা প্রসঙ্গে জানা যায়।

সুপার ভাইজার ও চালকদের এছাড়া আর কোনো উপায়ও নেই। কারণ একজন সুপার ভাইজার সিঙ্গেল দুই বার আপ-ডাউন করলে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পায়। আর চালক পায় ১৪শ টাকা। গাড়িই যেহেতু চলে না, সে ক্ষেত্রে পরিবহণ শ্রমিকদের রোজগার বন্ধ। এজন্য তাদের অনেকেই গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কারণ ঢাকায় বিভিন্ন বাসের ভেতরে থাকার সুযোগ থাকায় টাকা লাগে না। তবে খাওয়া দাওয়া করতে অনেক টাকা ।

হানিফ খোকনের ভাষ্য মতে, বহু শ্রমিক পরিবহণ সেক্টরের পেশা ছেড়েছেন। কারণ একদিকে রোজগার নেই। আরেক দিকে প্রাণের মায়া। সম্প্রতি যাত্রাবাড়িতে পার্কিং করে রাখা একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে বাসের ভেতরে থাকা হেলপার জীবন্ত পুড়ে মারা যান। সবারই প্রাণের মায়া আছে। দূরপাল্লার বাসে ভয় আরও বেশি। কারণ রাতে বাস চলাচল করে। কে কোথা থেকে অন্ধকারের মধ্যে বাসে আগুন বোমা ছুড়ে মারবে, তার কোনো হদিস নেই। বাস মালিকের বাস পুড়ে যাবে। আর যাত্রী, হেলপার, সুপারভাইজার ও চালকের জীবন যাবে। চোরাগোপ্তা হামলা করে বাসে আগুন দেওয়ার কারণে পরিবহণ মালিকরা রাস্তায় বাস বের করতে চান না। আর শ্রমিকরাও জীবনের মায়ায় যানবাহন চালানোর সাহস পাচ্ছেন না।

অনেকটা কষ্টেই হানিফ খোকন বলছিলেন, সবারই তো জীবনের মায়া আছে! যাত্রীরা প্রাণের ভয়ে বাসে উঠেন না। বেঁচে থাকলে কিছু না কিছু করে জীবন পার করতে পারবে। ঘরে পিতা-মাতা ভাই বোন আছে।

পরিবহণ শ্রমিক লীগের তথ্য মতে, সারা দেশে পরিবহণ শ্রমিকের সংখ্যা এক কোটির উপরে। দূরপাল্লার প্রতিটি বাসে কমপক্ষে তিনজন করে শ্রমিক থাকেন। চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার। তবে মালবাহী যানবাহনে শ্রমিকের সংখ্যা আরও বেশি। আর লেগুনা, হিউম্যান হলারে দুজন করে শ্রমিক থাকেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাবেশে ব্যাপক নাশকতার ঘটনা ঘটে। ওইদিন অনেক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কবলে পড়ে। এরপর থেকে বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি পালন করছে। এসব কর্মসূচিতে যানবাহনে চোরাগোপ্তা হামলার ঘটনা ঘটছে। যাত্রীবাহী বাস বা মালবাহী কাভার্ড ভ্যান ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন হামলাকারীদের মূল টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এখন পর্যন্ত আড়াই শতাধিক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কবলে পড়েছে। হতাহত হয়েছেন যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, হেলপারসহ পরিবহণ সংশ্লিষ্ট অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে রীতিমত আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কারণে অবরোধ বা হরতালের দিন দূরপাল্লার বাস বা অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে না বললেই চলে। যেসব যানবাহন চলাচল করছে, তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিতান্তই পেটের দায়ে যানবাহন নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছেন।

পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশ ও র‌্যাবের তরফ থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা দিলেও পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতি হয়নি। আতঙ্কে পরিবহণ মালিকরা যেমন রাস্তায় যানবাহন বের করছেন না, তেমনি পরিবহণ শ্রমিকরাও জীবনের মায়ায় রাস্তায় যানবাহন নিয়ে বেরুতে সাহস পাচ্ছেন না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য মতে, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত সারা দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৫৭ লাখ ৪২ হাজার। অনিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা লাখ লাখ। যার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। যদিও ২০২১ সালে জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ লাখ। সারা দেশে ১১ হাজার ৭০৮ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। মহাসড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী দূরপাল্লার যানবাহনের সংখ্যা ২১ লাখের বেশি।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চেয়েও আলোচিত যে সব স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক :

 আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগই ইতোমধ্যে ২৯৮ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

 এবারের নির্বাচন এমনভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যেখানে আওয়ামী লীগের জয় নিয়ে কোনরকম সংশয় নেই। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, যেমন জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম তারা নির্বাচনের দ্বিতীয় হওয়ার লড়াই করছে।

 কিন্তু কেউই নির্বাচনে ক্ষমতায় যাবে এমন কোন আশাবাদ ব্যক্ত করছেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

 যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে নানা ভাবে যুক্ত ছিলেন, আছেন। তারাই এবার অনেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

এর ফলে এবারের নির্বাচন শুরু থেকেই জমে গেছে। 

অনেক স্থানেই দেখা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থীর চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী অনেক বেশি আলোচিত এবং আলোকিত।

 যে সমস্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন জাতীয় রাজনীতিতেও আলোচিত, গুরুত্বপূর্ণ এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে তারা কোণঠাসা করে ফেলতে ফেলতে পারেন এমন আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছে।

এ কে আজাদ চৌধুরী:

      এ কে আজাদ চৌধুরী একজন বর্ণাঢ্য শিল্পপতি ব্যবসায়ী। তিনি এক সময় বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ছিলেন। 

আওয়ামী ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী একদা আওয়ামী লীগ সভাপতিরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন ফরিদপুর-৩ আসনে।

 কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন পাননি। তার বদলে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে শামীম হককে। শামীম হকের চেয়ে জাতীয়ভাবে অনেক বেশি পরিচিত এ কে আজাদ চৌধুরী।

 তিনি ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের নেতাই শুধু নন, একটি টেলিভিশন চ্যানেল এবং একটি দৈনিক পত্রিকার মালিকও বটে। আর এর ফলে নির্বাচনের মাঠে তিনি যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দেবেন এটি এখন থেকেই বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে।

হাবিবে মিল্লাত:

   হাবিবে মিল্লাত সিরাজগঞ্জ থেকে দুই বারের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু সিরাজগঞ্জ-২ আসন থেকে এবার তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

 তার বদলে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জান্নাত আরা হেনরীকে। হাবিবে মিল্লাত সাবেক  স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের জামাতা।

 তিনি এলাকাতেও অনেক শক্তিশালী অবস্থানে ছিলেন বলে কোন কোন মহল মনে করে। তবে তার বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী তৎপরতা নানা অভিযোগ রয়েছে।

 হাবিবে মিল্লাত একজন শুধু চিকিৎসকই নন, তিনি বিভিন্ন টকশোর কারণে দেশে আলোচিত নাম। দু বারের এমপি থাকার কারণে স্থানীয় পর্যায়ে তার একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে।

 এই অবস্থায় তার নির্বাচনী আসনে জান্নাত আরা হেনরীকে প্রার্থী করা হয়েছে যিনি ২০০৮ এর নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। 

এরপর তিনি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হন এবং সেখানে সেখানেও তিনি নানা কর্মকাণ্ডের কারণে বিতর্কিত হয়েছিলেন। তবে দীর্ঘদিন রাজনীতি করে এবং রাজনৈতিক পরিবার থেকে বেড়ে ওঠা হেনরী, হাবিবে মিল্লাত এর চেয়ে জাতীয় পর্যায়ে কম আলোচিত হলেও স্থানীয় পর্যায়ে তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। 

এই নির্বাচনী এলাকাতেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। 

মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন:

 ফরিদপুর মানেই কাজী জাফর উল্লাহ এবং মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের লড়াই। গত দুটি নির্বাচনে কাজী জাফর উল্লাহ ফরিদপুর-৪ আসন থেকে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন।

 এবার কাজী জাফর উল্লাহ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ার হয়েছেন। অনেকে ধারণা করেছিলেন যে, তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবেন না। তারপরও তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সকলকে বিস্মিত করেছেন। 

এই আসনে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সঙ্গে পেরে ওঠা কষ্টকর হবে বলেই অনেকে মনে করছেন। 

ইহতেশামুল হক চৌধুরী: 

      ইহতেশামুল হক চৌধুরী আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিএম-এর মহাসচিব হিসেবেও কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। 

তিনি এবার সিলেটের তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিলেটে তার একটা শক্ত ভিত রয়েছে। চিকিৎসক মহলে তার আলাদা অবস্থান রয়েছে। তিনি সিলেট অঞ্চলে নির্বাচন জমিয়ে দিতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন। 

মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূঁইয়া: 

  মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূঁইয়া আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। কিন্তু এবার তিনি মনোনয়ন পাননি। তার বদলে কুমিল্লা-১ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আবদুস সবুর। এটি পছন্দ করেনি মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূঁইয়া।

 তিনি এখন পাল্টা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এই নির্বাচনী এলাকাতে নিঃসন্দেহে সুবিদ আলী ভূঁইয়া আলোচিত নাম। জাতীয়ভাবেও তিনি একজন পরিচিত ব্যক্তিত্ব। 

এই আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন জমিয়ে ফেলবেন বলে অনেকেই মনে করছেন।

ইকবাল হোসেন সবুজ:


   গাজীপুর-৩ আসনের বর্তমান এমপি দলিয় মনোনয়ন না পেয়ে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থি হয়েছেন।নির্বাচনী এলাকাটির প্রতিটি কোন চষে বেড়ানো জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা মনোনয়ন না পাওয়াটা ছিল বিস্ময়ের।

অনেকেই ধারনা করেছিল তার মনোনয়ন না পাওয়ার কারনে হয়ত বা তার রাজনৈতিক জীবনের চরম উত্থানের ভাটা পড়তে যাচ্ছে।কেউ কেউ ধারনা করেছিল হয়ত বা তার রাজনৈতিক উত্থানে ছন্দনপতন শুরু হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু জনদাবির প্রেক্ষিতে আকস্মিকভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থি হওয়ার ঘোষণা এবং বুধবার লক্ষাধিক লোকের সমাবেশের মধ্য দিয়ে তিনি মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে যে চমক এনেছেন তা দেখে অনেকেই চমকে গেছেন।

এখানে তার জনপ্রিয়তা এখনো অটুট বলে বলে মনে করছেন অনেকেই এবং নৌকার সাথে তার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। কমতে শুরু করেছে রাতের তাপমাত্রা। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা নামলেই উত্তর হিমালয় দিকে থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীত অনুভূত হয়।

৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সোমবার রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী নভেম্বর থেকে উত্তরের পঞ্চগড় জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ায় শীত পড়তে শুরু করেছে। তাপমাত্রা বর্তমানে ১৪-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে শীতের প্রকোপ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপে ৩১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩০.৩ রাজশাহীতে ৩০.০, রংপুরে ২৯.৫, ময়মনসিংহে ২৮.৫, সিলেটে ২৯.৫, চট্টগ্রামে ৩০.৫, খুলনায় ২৮.০ ও বরিশালে ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ জানান, জেলায় একটু একটু করে শীত বাড়ছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। তিনি জানান, আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে । যা গতকাল মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর গত সোমবার রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এবার তেমন কুয়াশা নেই।

 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩